ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
ট্রাম্পের চেষ্টায়ও থামছে না ইউক্রেন যুদ্ধ, পুতিন আসলে কী চান
যুক্তরাষ্ট্রের ‘গাজা পরিকল্পনা’র মধ্যেই জাতিসংঘে রাশিয়ার পাল্টা প্রস্তাব
নেদারল্যান্ডের হেগে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের সামনে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ
বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিশ্চিতের আহ্বান ব্রিটিশ এমপি বব ব্ল্যাকম্যানের
দিল্লির লাল কেল্লায় বিস্ফোরণ: তদন্ত চলছে, সীমান্তে সতর্ক ভারতীয় বাহিনী
দিল্লি হামলাকে ‘ষড়যন্ত্র’ আখ্যা মোদির, তদন্তে সন্ত্রাসবিরোধী আইন প্রয়োগ ভারতীয় পুলিশের
যে কোনো দেশের পারমাণবিক পরীক্ষা হলে রাশিয়া ‘সমানভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে’: ল্যাভরভ
বেলুচিস্তানে স্ত্রী-সন্তানের সামনে সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা
স্ত্রী-সন্তানদের সামনেই পাকিস্তানের বিশিষ্ট সাংবাদিক আবদুল লতিফ বালুচকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে দুষ্কৃতকারীরা। শনিবার বেলুচিস্তান প্রদেশের আওয়ারান জেলার মাশকে এলাকায় অজ্ঞাত সন্ত্রাসীর হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তিনি।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই সাংবাদিকের বাড়িতে ঢুকে অপহরণের চেষ্টা করে দুষ্কৃতকারীরা। প্রতিরোধের চেষ্টা করলে আক্রমণকারীরা গুলি চালিয়ে ঘটনাস্থলেই তাকে হত্যা করে।
জানা গেছে, সাংবাদিক আবদুল লতিফ বেলুচিস্তানের স্বাধীনতার সংগ্রামকে সমর্থন করতেন। কয়েক মাস আগে আবদুল লতিফের ছেলে, সাইফ বালুচসহ পরিবারের সাতজন সদস্যকে অপহরণ করে নিরাপত্তাবাহিনী। পরে তাদের মরদেহ উদ্ধার হয়। পরিবারকে টার্গেট করার পর এবার ওই সাংবাদিককে হত্যার ঘটনা ঘটল।
দৈনিক ইন্তিখাব এবং আজ নিউজ নামে দুটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত ওই সাংবাদিক হত্যার
ঘটনার তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছে পাকিস্তান ও বেলুচ সংগঠনগুলো। স্থানীয় বেলুচ সংবাদমাধ্যম ও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো জানিয়েছে, হামলাকারীরা ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিলে এসব হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। বালুচ ইয়াকজেহতি কমিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ড বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। এই হত্যাকাণ্ড পাক সরকারের ‘খুন করে পুঁতে দাও’ নীতির অংশ। এই পদ্ধতিতে বেলুচিস্তানের পরিচয়টাই ধীরে ধীরে মুছে ফেলতে চায় সরকার। বিদ্রোহীদের চুপ করিয়ে দেওয়ার জন্য এই হত্যা। পাকিস্তান ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টস (পিএফইউজে) নির্মম এ হত্যাকাণ্ডে গভীর শোক ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। পিএফইউজে’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খালিদ খোখর এবং সাধারণ সম্পাদক আরশাদ আনসারী বলেছেন, এই অযৌক্তিক সহিংসতার ঘটনা সাংবাদিকদের তাদের দায়িত্ব পালন করার সময় যে ঝুঁকির
সম্মুখীন হতে হয় তার একটি স্পষ্ট আলামত। বেলুচিস্তান ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টস (বিইউজে) এই ঘটনাকে বেলুচিস্তানে স্বাধীন কণ্ঠস্বরকে চুপ করানোর একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বেলুচিস্তানের নারী মঞ্চের নেত্রী শালি বালুচ এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছে, ‘আওয়ারান জেলার মাশকেতে সাংবাদিক আবদুল লতিফের মৃত্যু আমাদের স্তম্ভিত করে দিয়েছে। বেলুচিস্তানে কীভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের বিশাল এলাকা বেলুচিস্তান। প্রায় ৪৪ ভাগ। ভু-রাজনৈতিকভাবে খুব গুরুত্বপূর্ণ। আবার মাটির নিচে আছে বিস্তর খনিজ। ইসলামাবাদ এই খনিজ জাতীয় প্রয়োজনে ব্যবহারের পক্ষে। অন্যদিকে, এখানকার মানুষ চাইছে খনিজের উপর প্রথমে তাদের হিস্যা নিশ্চিত হোক। তাছাড়া খনিজ সম্পদ কীভাবে উত্তোলিত ও ব্যবহৃত হবে তার জন্য চাই
এ অঞ্চলের রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসন। এ রকম অবস্থান থেকেই বেলুচদের সঙ্গে ইসলামাবাদের নীতিনির্ধারকদের বিরোধ চলছে। বেলুচিস্তান প্রাকৃতিক সম্পদসমৃদ্ধ। সেখানে তেল, কয়লা, সোনা, তামা ও গ্যাসের খনি রয়েছে। এরপরও পাকিস্তানের সবচেয়ে দরিদ্র অঞ্চল এটি। পাকিস্তান সরকারের রাজস্ব আয়ের একটি বড় উৎস বেলুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ। অথচ এই প্রদেশের বাসিন্দাদের কঠোর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিন যাপন করতে হয়। বেলুচিস্তান প্রদেশের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, পাকিস্তান সরকার খুবই কৌশলে ক্রমাগত তাদের প্রয়োজনকে উপেক্ষা করে যাচ্ছে এবং তাদের সম্পদের অপব্যবহার করছে। এর ফলে তাদের মধ্যে (সরকার দ্বারা) প্রতারিত হওয়ার অনুভূতি গড়ে উঠেছে এবং তাদের সমর্থন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দিকে ঝুঁকে পড়ছে।
ঘটনার তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছে পাকিস্তান ও বেলুচ সংগঠনগুলো। স্থানীয় বেলুচ সংবাদমাধ্যম ও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো জানিয়েছে, হামলাকারীরা ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিলে এসব হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। বালুচ ইয়াকজেহতি কমিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ড বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। এই হত্যাকাণ্ড পাক সরকারের ‘খুন করে পুঁতে দাও’ নীতির অংশ। এই পদ্ধতিতে বেলুচিস্তানের পরিচয়টাই ধীরে ধীরে মুছে ফেলতে চায় সরকার। বিদ্রোহীদের চুপ করিয়ে দেওয়ার জন্য এই হত্যা। পাকিস্তান ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টস (পিএফইউজে) নির্মম এ হত্যাকাণ্ডে গভীর শোক ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। পিএফইউজে’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খালিদ খোখর এবং সাধারণ সম্পাদক আরশাদ আনসারী বলেছেন, এই অযৌক্তিক সহিংসতার ঘটনা সাংবাদিকদের তাদের দায়িত্ব পালন করার সময় যে ঝুঁকির
সম্মুখীন হতে হয় তার একটি স্পষ্ট আলামত। বেলুচিস্তান ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টস (বিইউজে) এই ঘটনাকে বেলুচিস্তানে স্বাধীন কণ্ঠস্বরকে চুপ করানোর একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বেলুচিস্তানের নারী মঞ্চের নেত্রী শালি বালুচ এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছে, ‘আওয়ারান জেলার মাশকেতে সাংবাদিক আবদুল লতিফের মৃত্যু আমাদের স্তম্ভিত করে দিয়েছে। বেলুচিস্তানে কীভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের বিশাল এলাকা বেলুচিস্তান। প্রায় ৪৪ ভাগ। ভু-রাজনৈতিকভাবে খুব গুরুত্বপূর্ণ। আবার মাটির নিচে আছে বিস্তর খনিজ। ইসলামাবাদ এই খনিজ জাতীয় প্রয়োজনে ব্যবহারের পক্ষে। অন্যদিকে, এখানকার মানুষ চাইছে খনিজের উপর প্রথমে তাদের হিস্যা নিশ্চিত হোক। তাছাড়া খনিজ সম্পদ কীভাবে উত্তোলিত ও ব্যবহৃত হবে তার জন্য চাই
এ অঞ্চলের রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসন। এ রকম অবস্থান থেকেই বেলুচদের সঙ্গে ইসলামাবাদের নীতিনির্ধারকদের বিরোধ চলছে। বেলুচিস্তান প্রাকৃতিক সম্পদসমৃদ্ধ। সেখানে তেল, কয়লা, সোনা, তামা ও গ্যাসের খনি রয়েছে। এরপরও পাকিস্তানের সবচেয়ে দরিদ্র অঞ্চল এটি। পাকিস্তান সরকারের রাজস্ব আয়ের একটি বড় উৎস বেলুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ। অথচ এই প্রদেশের বাসিন্দাদের কঠোর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিন যাপন করতে হয়। বেলুচিস্তান প্রদেশের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, পাকিস্তান সরকার খুবই কৌশলে ক্রমাগত তাদের প্রয়োজনকে উপেক্ষা করে যাচ্ছে এবং তাদের সম্পদের অপব্যবহার করছে। এর ফলে তাদের মধ্যে (সরকার দ্বারা) প্রতারিত হওয়ার অনুভূতি গড়ে উঠেছে এবং তাদের সমর্থন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দিকে ঝুঁকে পড়ছে।



