বেলুচিস্তানে স্ত্রী-সন্তানের সামনে সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ২৭ মে, ২০২৫
     ৮:০৯ অপরাহ্ণ

আরও খবর

ইরানের এক হামলায় ইসরাইলের ৩০ বৈমানিক নিহত

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পদত্যাগ করলেন জাতিসংঘের ফিলিস্তিন তদন্ত কমিশনের তিন সদস্য

গাজায় ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে পদদলিত হয়ে নিহত ২১

ফিলিপাইনে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়াচ্ছে এআই ও ভুয়া তথ্য

সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের বাড়ি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ভারতের

সৌদিতে নারী যাত্রীদের জন্য বিশেষ সেবা আনছে উবার

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে গত মাসে ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে জয়ী হয়েছেন জোহরান মামদানি। এটি শহরটির অনেক মানুষের জন্য আনন্দের খবর হলেও কপালে উদ্বেগের ভাঁজ পড়েছে আবাসন ব্যাবসায়ীদের। তারা ক্ষতির ঝুঁকি দেখছেন। এরই মধ্যে এ নিয়ে মুখ খুলেছেন খাতসংশ্লিষ্ট অনেকে। তারা বলছেন, পরিবর্তনশীল এ সময়ে গ্রাহকরা ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না; তারা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। নিউইয়র্কে আবাসন ব্যবসার ব্রোকার জে বাত্রা জানান, তাঁর ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ম্যানহাটানে লাখ লাখ ডলারের সম্পত্তির দুই পৃথক ক্লায়েন্ট বাত্রাকে জানিয়েছেন, তারা নিউইয়র্কের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে লেনদেন করতে চান। বাত্রার উদ্ধৃতি দিয়ে গতকাল সোমবার সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেক ধনী ও বিলাসবহুল ক্রেতা একটু বেশি সতর্ক হয়ে উঠেছেন। মামদানি যত বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করছেন, ততই তাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। অনেককে বলতে শোনা যাচ্ছে– ‘হায়, শহরটি কোথায় যাচ্ছে!’ ৩৩ বছর বয়সী গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক মামদানি গত জুনের শেষ দিকে নিউইয়র্কের মেয়র প্রাইমারিতে জয়লাভ করেন। এর পর থেকে বেশ কয়েকজন পেশাদার আবাসন ব্যবসায়ী সিএনএনকে জানান, উচ্চস্তরের ক্রেতারা তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ বন্ধ করতে শুরু করেছেন। মামদানির প্রস্তাবিত নীতিগুলোর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে অনিশ্চিত। তারা আরও বলেন, মামদানির জয়ের ফলে তাঁর রাজনীতির সঙ্গে একমত না হওয়া নিউইয়র্কের কিছু ধনী বাসিন্দা শহর ত্যাগের পরিকল্পনা ত্বরান্বিত করেছেন। মামদানি ১০ লাখ ডলারের বেশি আয়কারী নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের ওপর ২ শতাংশ হারে কর আরোপের প্রস্তাব করেছেন। তাঁর কাছে আবাসন প্রস্তাবের একটি তালিকাও আছে, যার মধ্যে রয়েছে– ভাড়া স্থির করার প্রতিশ্রুতি, ব্যাপক পাবলিক হাউজিং নির্মাণ ও সংস্কার এবং কঠোর তদারকি। মার্কিন গণমাধ্যমটি বলছে, মামদানি মেয়র হলেও তাঁর প্রস্তাবগুলো বাস্তবে পরিণত নাও হতে পারে। এর অনেক কারণ রয়েছে। তবুও তাঁর প্রাথমিক জয় বাত্রার কিছু ক্লায়েন্টকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। কেউই আসলে তাদের কর বাড়ুক, এমনটা চান না। নিউইয়র্ক সিটি বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল আবাসন বাজারের আবাসস্থল। এটি এমন একটি জায়গা, যেখানে ঝলমলে বিলাসবহুল টাওয়ারের লোকেরা শ্রমিক শ্রেণির বাসিন্দাদের পাশাপাশি বাস করেন। এ শ্রমজীবী শ্রেণির মানুষ ক্রমবর্ধমান ভাড়া ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে তাল মেলাতে লড়াই করছেন। শহরের আবাসন খাতের অবস্থা চরম। নিউইয়র্ক শহরের আপার ইস্ট সাইড এলাকার বাসিন্দাদের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ যাচাই করে সিএনএন জানাতে পেরেছে, ওই এলাকার বাসিন্দারা বেনামে মামদানির প্রাথমিক জয়ের পর শহর ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাব্য পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। কিন্তু এখনও এসব গল্প কাল্পনিক। যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক ফল পছন্দ না হলে স্থানান্তরিত হওয়ার হুমকি দেওয়ার একটি দীর্ঘকালীন ঐতিহ্য রয়েছে। মামদানির আবাসন ও অর্থনৈতিক প্রস্তাবগুলো এমন এক সময়ে এসেছে, যখন নিউইয়র্কের ভাড়া ক্রমাগত বাড়ছে। রিয়েলেটর ডটকমের মতে, এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে শহরে গড় চাওয়া ভাড়া ছিল ৩ হাজার ৩৯৭ ডলার, যা এক বছরের আগের তুলনায় ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। এটা ২০২০ সালের শুরু থেকে ১৮ শতাংশ বেশি। বাত্রা জানান, কিছু ক্লায়েন্ট যারা ভাড়া আয়ের জন্য ছোট অ্যাপার্টমেন্ট ভবন কেনার পরিকল্পনা করছিলেন, তারা এখন প্রস্তাবিত ভাড়া স্থগিত করার কারণে পুনর্বিবেচনা করছেন। নিউইয়র্কের এ পরিস্থিতির সুবিধা পেতে পারে যুক্তরাষ্ট্রেরই ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য। সেখানে আবাসন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অনেকে জানিয়েছেন, নিউইয়র্ক ছেড়ে আবারও ফ্লোরিডায় আসতে পারেন অনেকে। এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

বেলুচিস্তানে স্ত্রী-সন্তানের সামনে সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৭ মে, ২০২৫ | ৮:০৯ 41 ভিউ
স্ত্রী-সন্তানদের সামনেই পাকিস্তানের বিশিষ্ট সাংবাদিক আবদুল লতিফ বালুচকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে দুষ্কৃতকারীরা। শনিবার বেলুচিস্তান প্রদেশের আওয়ারান জেলার মাশকে এলাকায় অজ্ঞাত সন্ত্রাসীর হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই সাংবাদিকের বাড়িতে ঢুকে অপহরণের চেষ্টা করে দুষ্কৃতকারীরা। প্রতিরোধের চেষ্টা করলে আক্রমণকারীরা গুলি চালিয়ে ঘটনাস্থলেই তাকে হত্যা করে। জানা গেছে, সাংবাদিক আবদুল লতিফ বেলুচিস্তানের স্বাধীনতার সংগ্রামকে সমর্থন করতেন। কয়েক মাস আগে আবদুল লতিফের ছেলে, সাইফ বালুচসহ পরিবারের সাতজন সদস্যকে অপহরণ করে নিরাপত্তাবাহিনী। পরে তাদের মরদেহ উদ্ধার হয়। পরিবারকে টার্গেট করার পর এবার ওই সাংবাদিককে হত্যার ঘটনা ঘটল। দৈনিক ইন্তিখাব এবং আজ নিউজ নামে দুটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত ওই সাংবাদিক হত্যার

ঘটনার তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছে পাকিস্তান ও বেলুচ সংগঠনগুলো। স্থানীয় বেলুচ সংবাদমাধ্যম ও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো জানিয়েছে, হামলাকারীরা ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিলে এসব হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। বালুচ ইয়াকজেহতি কমিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ড বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। এই হত্যাকাণ্ড পাক সরকারের ‘খুন করে পুঁতে দাও’ নীতির অংশ। এই পদ্ধতিতে বেলুচিস্তানের পরিচয়টাই ধীরে ধীরে মুছে ফেলতে চায় সরকার। বিদ্রোহীদের চুপ করিয়ে দেওয়ার জন্য এই হত্যা। পাকিস্তান ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টস (পিএফইউজে) নির্মম এ হত্যাকাণ্ডে গভীর শোক ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। পিএফইউজে’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খালিদ খোখর এবং সাধারণ সম্পাদক আরশাদ আনসারী বলেছেন, এই অযৌক্তিক সহিংসতার ঘটনা সাংবাদিকদের তাদের দায়িত্ব পালন করার সময় যে ঝুঁকির

সম্মুখীন হতে হয় তার একটি স্পষ্ট আলামত। বেলুচিস্তান ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টস (বিইউজে) এই ঘটনাকে বেলুচিস্তানে স্বাধীন কণ্ঠস্বরকে চুপ করানোর একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বেলুচিস্তানের নারী মঞ্চের নেত্রী শালি বালুচ এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছে, ‘আওয়ারান জেলার মাশকেতে সাংবাদিক আবদুল লতিফের মৃত্যু আমাদের স্তম্ভিত করে দিয়েছে। বেলুচিস্তানে কীভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের বিশাল এলাকা বেলুচিস্তান। প্রায় ৪৪ ভাগ। ভু-রাজনৈতিকভাবে খুব গুরুত্বপূর্ণ। আবার মাটির নিচে আছে বিস্তর খনিজ। ইসলামাবাদ এই খনিজ জাতীয় প্রয়োজনে ব্যবহারের পক্ষে। অন্যদিকে, এখানকার মানুষ চাইছে খনিজের উপর প্রথমে তাদের হিস্যা নিশ্চিত হোক। তাছাড়া খনিজ সম্পদ কীভাবে উত্তোলিত ও ব্যবহৃত হবে তার জন্য চাই

এ অঞ্চলের রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসন। এ রকম অবস্থান থেকেই বেলুচদের সঙ্গে ইসলামাবাদের নীতিনির্ধারকদের বিরোধ চলছে। বেলুচিস্তান প্রাকৃতিক সম্পদসমৃদ্ধ। সেখানে তেল, কয়লা, সোনা, তামা ও গ্যাসের খনি রয়েছে। এরপরও পাকিস্তানের সবচেয়ে দরিদ্র অঞ্চল এটি। পাকিস্তান সরকারের রাজস্ব আয়ের একটি বড় উৎস বেলুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ। অথচ এই প্রদেশের বাসিন্দাদের কঠোর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিন যাপন করতে হয়। বেলুচিস্তান প্রদেশের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, পাকিস্তান সরকার খুবই কৌশলে ক্রমাগত তাদের প্রয়োজনকে উপেক্ষা করে যাচ্ছে এবং তাদের সম্পদের অপব্যবহার করছে। এর ফলে তাদের মধ্যে (সরকার দ্বারা) প্রতারিত হওয়ার অনুভূতি গড়ে উঠেছে এবং তাদের সমর্থন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দিকে ঝুঁকে পড়ছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ইজারার টাকা তোলা নিয়ে জামায়াত-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ২ গত জুলাইয়ে জনতার পাশে দাঁড়ানো সেনার এই জুলাইয়ে গোপালগঞ্জে জনতার ওপর বর্বরতা, নির্বিচার গুলি-হত্যা এনসিপি’র ‘মুজিববাদ মূর্দাবাদ’ স্লোগানে গোপালগঞ্জে জনবিস্ফোরণ, বিক্ষোভে সেনার গুলি-নিহত ৪ আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে ধরে নিয়ে বুট দিয়ে পিষে মারলো সেনাবাহিনী জামায়াত-শিবির এনসিপি প্রতিরোধে গোপালগঞ্জে গৃহবধূ-বৃদ্ধা-কিশোরীরাও রাজপথে এপিসিতে চড়ে গোপালগঞ্জে জনরোষ থেকে পালিয়ে বাঁচলেন এনসিপি নেতারা ইরানের এক হামলায় ইসরাইলের ৩০ বৈমানিক নিহত গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র, ১৪৪ ধারা জারি পলাতক ৮ আসামিকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পদত্যাগ করলেন জাতিসংঘের ফিলিস্তিন তদন্ত কমিশনের তিন সদস্য গাজায় ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে পদদলিত হয়ে নিহত ২১ ফিলিপাইনে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়াচ্ছে এআই ও ভুয়া তথ্য যেভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন ঐকমত্য না হওয়ায় সংসদের উচ্চকক্ষই বাদের চিন্তা সকল দায় ঢাকার ওপর চাপাতে চায় জাতিসংঘ ‘কোথায় থাকব, কে আশ্রয় দেবে জানি না’ সিরিজ জয়ে চোখ বাংলাদেশের চাকরি জীবনে একবার গুরুদণ্ড পেলে ওসি হতে পারবেন না পাহাড়ে ফলের নতুন ভান্ডার