বিশ্বজুড়ে ব্রিটিশদের ৮টি গণহত্যা – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ১১ এপ্রিল, ২০২৫
     ১০:৫৫ অপরাহ্ণ

বিশ্বজুড়ে ব্রিটিশদের ৮টি গণহত্যা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১১ এপ্রিল, ২০২৫ | ১০:৫৫ 68 ভিউ
বিশ্ব ইতিহাসের পাতা মূলত তিনটি দেশের অপরাধে পূর্ণ। দেশ তিনটি হলো- যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স। মানবাধিকার, স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার আড়ালে এই দেশগুলো যে কী ধরনের জঘন্য অপরাধ চালিয়েছে, ইতিহাসে তার রেকর্ড রয়েছে। এর মধ্যে এক ব্রিটেন আফগানিস্তান, ভারত, ইরান, ইরাক, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইয়েমেনে এমন সব অপরাধযজ্ঞ চালিয়েছে, যা বিশ্ব ইতিহাসে অতুলনীয়। এসব স্বাধীন ও উন্নয়নশীল দেশের বিরুদ্ধে ব্রিটেনের অপরাধ ও তাদের নৃশংসতাগুলো নিচে তুলে ধরা হলো- ১. আফগানিস্তানে ব্রিটিশ অপরাধ প্রথম ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধ (১৮৩৯-১৮৪২) হেলমান্দ উপত্যকার দক্ষিণ অংশে সংঘটিত হয়েছিল। এই যুদ্ধটি ছিল ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্য এশীয় অঞ্চলে ক্ষমতা ও প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতায় নামা প্রধান অভিযানগুলোর অন্যতম। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ‘গ্রেট গেম’ নামে

পরিচিত এই যুদ্ধে হেলমান্দের আশেপাশে বিপুল সংখ্যক মানুষ নিহত হয়। এতে আফগানিস্তানজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ভয় ও আতঙ্ক। ২. ভারত দখল ও মারাত্মক দুর্ভিক্ষ বিভিন্ন ঐতিহাসিক সূত্র অনুসারে, ১৭৭০-এর দশকে ব্রিটিশ বাহিনী ভারত দখলে নেয়। এ সময় দুর্ভিক্ষ, রোগ, ব্রিটিশ সৈন্যদের হাতে দুর্ব্যবহার ও নির্যাতনের কারণে অথবা জোরপূর্বক শ্রমের চাপের কারণে কেবল বাংলা প্রদেশে এক কোটিরও বেশি ভারতীয়র মৃত্যু হয়। ১৯৪২ সাল থেকে ব্রিটিশ সরকার ও প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের ঔপনিবেশিক সিদ্ধান্তের কারণে ভারতে আরেকটি দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। যার ফলে প্রায় ৫০ লক্ষ ভারতীয় মারা যান। ৩. বোয়ার যুদ্ধ দক্ষিণ আফ্রিকায় সংঘটিত বোয়ার যুদ্ধের সময় (১৯০০-১৯০২) ব্রিটেন অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহের সম্ভাব্য বিপদ এড়াতে কয়েক হাজার নিরপরাধ মানুষকে

জোরপূর্বক শ্রম শিবিরে বন্দি করে। এক বছরের মধ্যে ওই শিবিরগুলোতে থাকা বোয়ার ১০ শতাংশ মানুষ রোগ-শোক ও অনাহারে মারা যায়। যাতে ব্রিটিশ সরকার আফ্রিকায় তার ঔপনিবেশিক ও অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জন করতে পারে। এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্রিটিশ নীতির ফলে আনুমানিক ৪৮,০০০ বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল। যার মধ্যে নারী ও শিশুও ছিল। ৪. ১৯১৭-১৯১৯ সালের গণহত্যা ইতিহাসজুড়ে ইংল্যান্ড ইরানে অসংখ্য অপরাধ করেছে। সেই অপরাধগুলোর মধ্যে একটি ছিল ১৯১৭ সাল থেকে ১৯১৯ পর্যন্ত ইরানে সংঘটিত গণহত্যা। এতে ইরানী জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশকেই নিধন করে ব্রিটেন। অন্য কথায়, এই বছরগুলোতে ব্রিটেন ইরানের জনসংখ্যার প্রায় ৯০ হাজার থেকে এক কোটি মানুষকে হত্যা করে। মার্কিন

পররাষ্ট্র দপ্তরের নথি অনুসারে, ১৯১৪ সালে ইরানের জনসংখ্যা ছিল ২ কোটি। ১৯১৯ সালে ইরানের এই জনসংখ্যা কমে ১ কোটি ১০ লক্ষে দাঁড়ায়। ৫. ইরাকে রাসায়নিক বোমা হামলা ১৯১৯ সালে উইনস্টন চার্চিলের নির্দেশে ইরাকে চালানো রাসায়নিক বোমা হামলা ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক ট্র্যাজেডিগুলোর একটি। সেই সময় পশ্চিম এশিয়ায় ব্রিটিশ বিমান বাহিনীর কমান্ড আরবদের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র পরীক্ষার অনুরোধ করে। তৎকালীন যুদ্ধ সচিব উইনস্টন চার্চিল ইরাকি উপজাতিদের বিরুদ্ধে বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহার করেছিলেন। ১৯২০ সাল পর্যন্ত ওই প্রাণঘাতী গ্যাসের ব্যবহার অব্যাহত ছিল। ব্রিটিশ বিমান বাহিনী ১৯২৫ সালে ইরাকের সুলায়মানিয়ার জনগণকে দমন করার জন্য আবারও ওই অস্ত্রগুলো ব্যবহার করে। ৬. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মান জনগণের ওপর গণহত্যা ১৯৩৯ সালের

৩ সেপ্টেম্বর ব্রিটেন ও ফ্রান্স জার্মান রেইখের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এ ঘোষণার দুই দিন পর ব্রিটেন জার্মান শহরসহ দেশটির বেসামরিক জনবসতিতে বোমা হামলা শুরু করে। ১৯৩৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর কক্সহেভেন ও উইলহেল্মশেভেন শহরে প্রথম বিমান হামলা চালানো হয়। ১৯৪০ সালের ১২ জানুয়ারি ওয়েস্টারল্যান্ড শহরে বোমা হামলা চালানো হয়। একই বছরের ২০ মার্চ কিয়েল ও হার্নিয়াম শহরে ১১০টি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিস্ফোরক ও অগ্নিসংযোগকারী বোমা বর্ষণ করা হয়। এ হামলায় একটি হাসপাতাল সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়। ১৯৪০ সালের এপ্রিলে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বোমারু বিমানগুলো এমন সব শহরে ক্রমবর্ধমান আক্রমণ শুরু করে, যেসব শহরে কোনো সামরিক স্থাপনাই ছিল না। ৭. উত্তর আয়ারল্যান্ডে হত্যাকাণ্ড ১৯৭০

থেকে ২০০০ সালের মধ্যে ব্রিটিশ সেনারা ৩০০ জনেরও বেশি আইরিশ পুরুষ, নারী ও শিশুকে হত্যা করে। নিহতরা সবাই ছিল নিরস্ত্র এবং কেউই ব্রিটিশ সেনাদের জন্য মারাত্মক হুমকি ছিল না। নিহতদের মধ্যে ক্যাথলিক পুরোহিত, বয়স্ক নারী, শিশু- এমনকি কিশোরী মেয়েরাও ছিল। তা সত্ত্বেও, ব্রিটিশ সরকারের নথিপত্রে প্রকাশ করা হয়েছে- ১৯৭২ সালে উত্তর আয়ারল্যান্ডে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত সমস্ত ব্রিটিশ সেনাকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। ৮. ইয়েমেনে গণহত্যা ১৯৬৩-১৯৬৬ সালে ইয়েমেনের এডেনের নির্যাতন শিবিরগুলো ব্রিটিশদের অপরাধের অপর একটি উদাহরণ। ১৯৬০-এর দশকে ইয়েমেনিরা ইয়েমেন বন্দরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য কঠোর চেষ্টা করেছিল। এ সময় ব্রিটিশরা ভিন্নমত দমনের সর্বোত্তম উপায় হিসেবে ভয়াবহ সব নির্যাতন কক্ষ

তৈরি করেছিল। প্রতিপক্ষ ইয়েমেনিদের সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় রেফ্রিজারেটেড কক্ষে রাখার ফলে তাদের অনেকেই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এই কক্ষগুলোতে সিগারেটের আগুন দিয়েই মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলা, নগ্ন বন্দিদের বর্শার উপর স্থাপন ও ধর্ষণসহ অন্যান্য যৌন নির্যাতনের ঘটনা ব্রিটিশ অপরাধযজ্ঞের জঘন্য ইতিহাস। সূত্র: তাসনিম ও মেহের নিউজ

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
নয় মাস মুক্তিযুদ্ধের পর যেদিন বিজয়ের সূর্য হেসেছিল বাংলার আকাশে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রহসন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, জনগণের রায় ছাড়াই ক্ষমতার বন্দোবস্ত মানবে না দেশ নিয়াজীর আত্মসমর্পণের চুক্তিনামা নিয়ে আসেন ক্যু করে পদচ্যুত করতে ব্যর্থ হয়ে ইউনুসের কাছে রাষ্ট্রপতি এখন অচ্ছুৎ! সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের লুটপাট: জুলাইয়ের খুনিদের আসল চেহারা ফেব্রুয়ারিতে ভোট, নাকি সংঘর্ষ—সংকটময় মোড়ে বাংলাদেশ বিচারের নামে শেখ হাসিনার সাথে চলছে অবিচার, বিশ্বে নিন্দিত বাংলাদেশ ইনিয়ে-বিনিয়ে পাকিস্তানকে মহিমান্বিত করার চেষ্টা, জুতা মেরে বাঙালির জবাব! একটি জাতিকে পঙ্গু করতেই রাও ফরমানের নীলনকশা, বাস্তবায়নে জামাত প্রহসন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, জনগণের রায় ছাড়াই ক্ষমতার বন্দোবস্ত মানবে না দেশ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বাণী মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ আত্মসমর্পণের আগের সেই মুহূর্তগুলো এক সাগর রক্তের বিনিময়ে, বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা আমরা তোমাদের ভুলবনা। একাত্তরে তাঁদের সাহস, দৃঢ়তা আর সংকল্প আমাদের এনে দিয়েছিল স্বাধীনতা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আদালতে তোলা হচ্ছে ৭১–কে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্রে ইউনুস সরকার: কুচকাওয়াজ বাতিল ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলা নিয়ে সরব আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম গোয়াইনঘাটে অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার, গ্রেপ্তার নেই প্রকৃত চোরাকারবারি আড়াল করার অভিযোগ বাংলাদেশকে প্রান্তে ঠেলে দেওয়া যাবে না”: শেখ হাসিনা মুহাম্মদ ইউনুস সরকারকে কড়া সমালোচনা পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ, ইউনুস সরকার নিখোঁজ