বিচার বিভাগীয় সচিবালয় চায় সুপ্রিমকোর্ট – ইউ এস বাংলা নিউজ




বিচার বিভাগীয় সচিবালয় চায় সুপ্রিমকোর্ট

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২২ জুন, ২০২৫ | ৯:২১ 82 ভিউ
মাসদার হোসেন মামলার রায়ের ২৬ বছরেও বিচার বিভাগ পৃথকীকরণসংক্রান্ত ১২ দফা নির্দেশনার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি। এখনো হয়নি সুপ্রিমকোর্টের জন্য পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয়। ফলে দৃশ্যমান পরিবর্তন আসেনি বিচার বিভাগে। আলাদা সচিবালয় প্রত্যাশা করছে সুপ্রিমকোর্ট। এ অবস্থায় আজ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে ‘বিচারিক স্বাধীনতা ও দক্ষতা’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বৈঠকটি আমাদের জন্য টার্নিং পয়েন্ট। আমরা কোথায় যাচ্ছি এই সেমিনারের পরে পর্যবেক্ষণ করবেন। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, প্রধান বিচারপতির রোডম্যাপ আমলে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা আজ সেমিনারে বড় কিছু ঘোষণা দিতে পারেন। জুলাই অভ্যুত্থানের পর প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নিয়ে ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ

প্রথম অভিভাষণে বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ তুলে ধরেন। পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয়, বিভাগটির কাঠামোগত সংস্কারসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্থান পেয়েছিল সেই রোডম্যাপে। বহু আকাঙ্ক্ষিত সেই রোডম্যাপ এখন বাস্তবায়নের পথে। সুপ্রিমকোর্টের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের ব্যাপার বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনাসহ রায় দেন। রায় অনুসারে ২০০৭ সালের এই দিনে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক করা হয় বিচার বিভাগকে। ওই রায়ে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের লক্ষ্য পূরণে অধস্তন আদালতের বিচারকদের পদোন্নতিসংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নসহ ১২ দফা নির্দেশনা দেন। এর অধিকাংশই পৃথকীকরণের দেড় যুগেও বাস্তবায়ন করেনি সরকার। হয়নি বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয়ও। ফলে দৃশ্যমান

পরিবর্তন আসেনি বিচার বিভাগে। বরং মামলাজট বেড়েছে তিনগুণ। ২০২৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতির ঘোষিত রোডম্যাপে তিনি স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠায় একগুচ্ছ প্রস্তাব তুলে ধরেছিলেন। সেদিন তিনি বলেন, ‘একটি ন্যায়ভিত্তিক বিচারব্যবস্থার কাজ হলো, নিরপেক্ষভাবে, স্বল্প সময় ও খরচে বিরোধের মীমাংসা নিশ্চিত করে জনগণ, সমাজ ও রাষ্ট্রকে সুরক্ষা দেওয়া। এজন্য বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ ও আইনসভা থেকে পৃথক ও স্বাধীন করা সবচেয়ে জরুরি। কেননা, শাসকের আইন নয়, বরং আইনের শাসন নিশ্চিত করাই বিচার বিভাগের মূল দায়িত্ব। বিচার বিভাগ যেন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারে, সেজন্য আমি জরুরি ভিত্তিতে বিচার বিভাগে কিছু সংস্কার বাস্তবায়নে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এই সংস্কারের উদ্দেশ্য হবে,

বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে, তা দ্রুত দূর করে একটি স্বাধীন, শক্তিশালী, আধুনিক, দক্ষ ও প্রগতিশীল বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা। তিনি আরও বলেছিলেন, ‘বিচারকদের প্রকৃত স্বাধীনতা ততদিন পর্যন্ত নিশ্চিত হবে না, যতদিন না বিচার বিভাগে দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা, অর্থাৎ সুপ্রিমকোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয়ের যৌথ এখতিয়ার সম্পূর্ণরূপে বিলোপ হবে। এসব বিলোপ করে জরুরি ভিত্তিতে সুপ্রিমকোর্টের অধীনে পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। এটি হবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকল্পে প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রথম ধাপ। সেই রোডম্যাপ ঘোষণার পর ১০ মাসের বেশি সময় পার হলেও পুরোপুরি দৃশ্যমান করা সম্ভব হয়নি বিচার বিভাগের জন্য পৃথক কোনো সচিবালয়। এ বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের পাবলিক রিলেশন অফিসার মোহাম্মদ

শফিকুল ইসলাম শনিবার বলেন, রোডম্যাপ ঘোষণার ধারাবাহিকতায় সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিগণের মতামত পূর্বক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় গঠনসংক্রান্ত প্রস্তাব তৈরি করা হয়। গত বছরের ২৭ অক্টোবর ওই প্রস্তাব আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়। এসংক্রান্ত কাজটি মন্ত্রণালয়ে চলমান। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি সাংবাদিকদের বলেছেন, রোববারের সেমিনারটি আমাদের জন্য একটা টার্নিং পয়েন্ট হবে। আশা করছি কোনো সুখবর আসতে পারে। জানা গেছে, এই পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠিত হলে অধস্তন আদালতের বিচারকদের পদায়ন, বদলি, পদোন্নতি, শৃঙ্খলা, ছুটি ইত্যাদি বিষয়ে প্রচলিত দ্বৈত শাসনের অবসান ঘটবে। বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা। সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী

মনজিল মোরসেদ বলেন, বিচার বিভাগ পৃথকীকরণসংক্রান্ত মাসদার হোসেন মামলার রায়ে ১২ দফা নির্দেশনার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হওয়া দুঃখজনক। পৃথক সচিবালয় গঠন না হওয়ায় স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। কারণ, এখনো বিচারকদের পদোন্নতি, বদলি ও পদায়নের বিষয়গুলোতে আইন মন্ত্রণালয়ই প্রাধান্য পাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির অধীনে থাকবে বিচার বিভাগীয় সচিবালয়, তবেই সমন্বিত ব্যবস্থাপনায় এসব সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাজ্যে ট্রাম্প, ‘বিশেষ সম্পর্ক’ জোরদারের আশা দুবাইয়ে বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটি, আটকা পড়েছেন ১৭৮ যাত্রী আর কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেবে না বাংলাদেশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য নতুন নির্দেশনা মাউশির সাবেক ডিসি সুলতানার জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন বিশ্ব রেকর্ড করতে গিয়ে ভেঙে পড়ল নাইজেরিয়ান শেফের বিশাল হাঁড়ি মুসলিম দেশগুলো কি ন্যাটোর আদলে যৌথ বাহিনী গঠন করছে? কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে সুশীলা কার্কি লিবিয়ার উপকূলে শরণার্থী বহনকারী নৌকায় আগুন, নিহত অন্তত ৫০ মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত উত্তরাখণ্ড, মৃত্যু ১৩ অস্কারে যাচ্ছে ইরানের ছবি নিরাপত্তাহীন পারমাণবিক কেন্দ্রে ফুয়েল লোড বিপজ্জনক ১৭ বিয়ে করা সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত রাজধানীতে আজ কোথায় কী ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠকে খুলবে কি বাণিজ্য চুক্তির জট তরুণদের সর্বনাশা লিগ! ঢাকার তাপমাত্রা নিয়ে দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অফিস টিভিতে আজকের খেলা আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রধান চালিকাশক্তি হতে পারে ভারত-বাংলাদেশ একাদশে বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর