
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
বজ্রপাতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ ৫ জনের মৃত্যু

বজ্রপাতে সারা দেশে বজ্রপাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পৃথকভাবে এ ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলায় ২ জন, শেরপুরে ১ জন, নেত্রকোনায় ১ জন এবং গাজীপুরে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
টঙ্গী পূর্ব (গাজীপুর): গাজীপুরের টঙ্গীতে বজ্রপাতে রাকিবুল হাসান খান রাফি (২৩) নামে এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের তুরাগ নদের তীরে।
নিহত রাফি কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার বয়রা নিয়ামতপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম খানের ছেলে। তিনি উত্তরা ১০নং সেক্টরে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করে কামারপাড়া ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি-আইইউবিএটি’র সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শেষবর্ষে
পড়ালেখা করতেন। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে রাফিসহ তার একদল বন্ধু টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে ক্রিকেট খেলতে যায়। খেলা শেষে দুপুরে বাসায় ফেরার পথে বৃষ্টি নামে। হঠাৎ বজ্রপাতে রাফি গুরুতর আহত হয়। এ সময় রাফিকে তার বন্ধুরা উদ্ধার করে কামারপাড়া আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। এ ব্যাপারে টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি ইসকান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। শেরপুর উত্তর প্রতিনিধি: শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে গোলাম মোস্তুফা (৬০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন
অপর এক কৃষক আফিজুল হক। বৃহস্পতিবার দুপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার পাঁচগাঁও উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত গোলাম মোস্তফা পাঁচগাও গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে বলে জানা গেছে। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ধান কাটার সময় বৃষ্টির মধ্যে আকস্মিক বজ্রপাত হলে ধানখেতে কাজ করার সময় দুই কৃষক বজ্রপাতে অচেতন হয়ে পড়েন। পরে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গোলাম মোস্তুফাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর কৃষক আফিজুল হক আহত অবস্থায় নালিতাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে নালিতাবাড়ী থানার ওসি সোহেলরানা জানান, বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে ও একজন কৃষক আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। নেত্রকোনা প্রতিনিধি: নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে বজ্রপাতে গোলাপ মিয়া (৩০)
নামে এক কৃষক মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার ২টার দিকে উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে বাড়ির সামনে জমিতে ধান কাটছিলেন উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের পাইক মিয়ার ছেলে গোলাপ। এ সময় তার বাবা ও ভাইসহ পরিবারের অন্য লোকজনও সঙ্গে ছিলেন। হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়। এক পর্যায়ে গোলাপ মিয়ার পাশেই বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এতে চিৎকার দিয়ে দৌড়ে গিয়ে জমির একপাশে গিয়ে পড়েন গোলাপ। সঙ্গে থাকা পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে দ্রুত মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তবে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চিকিৎসক গোলাপকে মৃত ঘোষণা করেন। মোহনগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, বজ্রপাতের ঘটনায় মৃত্যু হওয়ায় এ বিষয়ে পরিবারের
পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নেই। তাই তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। দিরাই (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে হাওড়ে বজ্রপাতের কবলে পড়ে রিংকু দাস নামে এক কৃষকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে ৩ জন ট্রলি গাড়ি নিয়ে উদ্গল হাওড়ে ধান আনতে গেলে হঠাৎ বজ্রপাত হয়। ঘটনাস্থলে উপজেলার গোপালপুর গ্রামের রনধীর দাসের ছেলে রিংকু দাস (৩০) লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মনি রানী দাস তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত ২ দুইজন হলেন- একই গ্রামের অনন্ত দাসের ছেলে রাকেশ দাস ও সাবেক মেম্বার ননী দাসের ছেলে কালিপদ দাস। এ ব্যপারে দিরাই থানা
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশের ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে হাওড়ে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে মানিক মিয়া (৩৫) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপরে উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের পাগনার হাওরে এ ঘটনা ঘটে। বজ্রপাতে নিহত মানিক মিয়া ফেনারবাঁক ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর নতুনপাড়ার (হকিয়ার ডকি) গ্রামের মৃত হুসেন আলীর ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, মানিক মিয়া তার ছেলেকে নিয়ে পাগনার হাওরে বোরো ধান কাটতে যান। হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হলে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মারা যায় মানিক। পরে খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন লাশ উদ্ধার করে নিহতের বাড়িতে নিয়ে আসে। সঙ্গে থাকা তার
ছেলের কোনো রকম সমস্যা হয়নি। সে সুস্থ আছে। জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলাম নিশ্চিত করে বলেন, পাগনার হাওড়ে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে ১ জন নিহত হয়। লাশ হাওড় থেকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পড়ালেখা করতেন। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে রাফিসহ তার একদল বন্ধু টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে ক্রিকেট খেলতে যায়। খেলা শেষে দুপুরে বাসায় ফেরার পথে বৃষ্টি নামে। হঠাৎ বজ্রপাতে রাফি গুরুতর আহত হয়। এ সময় রাফিকে তার বন্ধুরা উদ্ধার করে কামারপাড়া আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। এ ব্যাপারে টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি ইসকান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। শেরপুর উত্তর প্রতিনিধি: শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে গোলাম মোস্তুফা (৬০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন
অপর এক কৃষক আফিজুল হক। বৃহস্পতিবার দুপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার পাঁচগাঁও উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত গোলাম মোস্তফা পাঁচগাও গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে বলে জানা গেছে। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ধান কাটার সময় বৃষ্টির মধ্যে আকস্মিক বজ্রপাত হলে ধানখেতে কাজ করার সময় দুই কৃষক বজ্রপাতে অচেতন হয়ে পড়েন। পরে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গোলাম মোস্তুফাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর কৃষক আফিজুল হক আহত অবস্থায় নালিতাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে নালিতাবাড়ী থানার ওসি সোহেলরানা জানান, বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে ও একজন কৃষক আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। নেত্রকোনা প্রতিনিধি: নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে বজ্রপাতে গোলাপ মিয়া (৩০)
নামে এক কৃষক মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার ২টার দিকে উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে বাড়ির সামনে জমিতে ধান কাটছিলেন উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের পাইক মিয়ার ছেলে গোলাপ। এ সময় তার বাবা ও ভাইসহ পরিবারের অন্য লোকজনও সঙ্গে ছিলেন। হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়। এক পর্যায়ে গোলাপ মিয়ার পাশেই বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এতে চিৎকার দিয়ে দৌড়ে গিয়ে জমির একপাশে গিয়ে পড়েন গোলাপ। সঙ্গে থাকা পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে দ্রুত মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তবে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চিকিৎসক গোলাপকে মৃত ঘোষণা করেন। মোহনগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, বজ্রপাতের ঘটনায় মৃত্যু হওয়ায় এ বিষয়ে পরিবারের
পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নেই। তাই তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। দিরাই (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে হাওড়ে বজ্রপাতের কবলে পড়ে রিংকু দাস নামে এক কৃষকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে ৩ জন ট্রলি গাড়ি নিয়ে উদ্গল হাওড়ে ধান আনতে গেলে হঠাৎ বজ্রপাত হয়। ঘটনাস্থলে উপজেলার গোপালপুর গ্রামের রনধীর দাসের ছেলে রিংকু দাস (৩০) লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মনি রানী দাস তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত ২ দুইজন হলেন- একই গ্রামের অনন্ত দাসের ছেলে রাকেশ দাস ও সাবেক মেম্বার ননী দাসের ছেলে কালিপদ দাস। এ ব্যপারে দিরাই থানা
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশের ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে হাওড়ে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে মানিক মিয়া (৩৫) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপরে উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের পাগনার হাওরে এ ঘটনা ঘটে। বজ্রপাতে নিহত মানিক মিয়া ফেনারবাঁক ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর নতুনপাড়ার (হকিয়ার ডকি) গ্রামের মৃত হুসেন আলীর ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, মানিক মিয়া তার ছেলেকে নিয়ে পাগনার হাওরে বোরো ধান কাটতে যান। হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হলে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মারা যায় মানিক। পরে খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন লাশ উদ্ধার করে নিহতের বাড়িতে নিয়ে আসে। সঙ্গে থাকা তার
ছেলের কোনো রকম সমস্যা হয়নি। সে সুস্থ আছে। জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলাম নিশ্চিত করে বলেন, পাগনার হাওড়ে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে ১ জন নিহত হয়। লাশ হাওড় থেকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।