বইমেলায় প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ নিয়ে নতুন বিতর্ক ও অভিযোগ – ইউ এস বাংলা নিউজ




বইমেলায় প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ নিয়ে নতুন বিতর্ক ও অভিযোগ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১২ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৯:৫২ 93 ভিউ
অমর একুশে বইমেলায় এবার কিছু প্রকাশনা সংস্থাকে প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বাংলা একাডেমি কর্তৃক এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সুবিধাভোগের অভিযোগ তোলা হয়েছে। কয়েকটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ও প্রকাশক সংগঠনগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলা একাডেমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা প্রকাশনা জগতে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম এই সিদ্ধান্তের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, কিছু প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে এবারে প্যাভিলিয়ন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা মেলার নিয়ম-নীতি মেনেই করা হয়েছে। বইমেলার স্টল বরাদ্দের জন্য বাংলা একাডেমি একটি উপকমিটি গঠন করেছে, যার মধ্যে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ, প্রকাশকদের প্রতিনিধি এবং সাংস্কৃতিক

ব্যক্তিত্বরা রয়েছেন। এই সিদ্ধান্তের পেছনে থাকছে কয়েকটি প্রকাশক সংগঠনের চাপ। তাদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি, জাতীয়তাবাদী সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ এবং বাংলাদেশ সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। এসব সংগঠন দাবি করছে, কিছু প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান 'স্বৈরাচারের দোসর' এবং তাদের বইমেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া উচিত। যেসব প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান প্যাভিলিয়ন পাচ্ছে না, তাদের মধ্যে রয়েছে তাম্রলিপি, কাকলী প্রকাশনী, পাঠক সমাবেশ, পুঁথিনিলয়, সময়, মিজান পাবলিশার্স, চারুলিপি, জিনিয়াস পাবলিকেশন, নালন্দা, পার্ল পাবলিকেশন, বিশ্বসাহিত্য ভবন, শব্দশৈলী। অন্যপ্রকাশ, আগামী প্রকাশনী ও অনুপম প্রকাশনীর প্যাভিলিয়ন ছোট করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। এদিকে, সময় প্রকাশনের প্রকাশক ফরিদ আহমেদ অভিযোগ করেছেন, প্যাভিলিয়ন না দেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র

করা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, "আমার প্রকাশনা সংস্থা কখনো সরকারের কোনো লাভজনক কাজে যুক্ত ছিল না, এমনকি সরকারের কোনো পদেও আমি ছিলাম না। আমি ৩৫টি বইমেলায় অংশ নিয়েছি, কিন্তু কখনো এমন অভিযোগ শুনিনি।" অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হাসান এই সিদ্ধান্তকে সাধারণ প্রকাশকদের বিজয় হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং বাংলা একাডেমির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে তিনি দাবি করেছেন, আগামী, অন্যপ্রকাশ এবং অনুপম প্রকাশনীর বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, কারণ তাদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। প্রকাশকরা দাবি করছেন, যদি কোনো প্রকাশনীর বিরুদ্ধে সুবিধাভোগের অভিযোগ থাকে, তবে তা প্রমাণিত

হওয়া উচিত এবং সরকারের কোনো লাভজনক কাজের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক প্রমাণ করা প্রয়োজন। বাংলা একাডেমি ও প্রকাশকদের মধ্যে চলমান এই বিতর্ক বইমেলার পরিবেশে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এ বিষয়ে আরও আলোচনা এবং সিদ্ধান্তের প্রয়োজন বলে মনে করছেন অনেক প্রকাশক।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বাংলা প্রেসক্লাব মালয়েশিয়ার আহবায়ক কমিটি গঠন ত্বক ফর্সাকারী ২২ ব্র্যান্ডের ক্রিমে ক্ষতিকর পারদ জামায়াতের অবস্থানে হঠাৎ পরিবর্তন কেন? ট্রাম্পের পাকিস্তানপ্রীতি: ‘সাময়িক বন্ধুত্ব’ নাকি ‘নয়া কৌশল’? ৩৬৮ রান খরচ করে টাইগারদের শিকার ৪ উইকেট চকরিয়া ও পেকুয়ায় গ্রেফতার ২৭ টেস্ট মর্যাদার ২৫ বছর পূর্তি উদ্যাপন করবে বিসিবি কণ্ঠহীনদের জন্য প্রযুক্তির বিস্ময়, মস্তিষ্ক পাঠ করে কথা বলছে এআই কেন আলিয়ার কাছ থেকে করণকে চুরি করতে চান ওয়ামিকা ইলেকটোরাল পদ্ধতিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন চায় বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল ৩৬৮ রান খরচ করে টাইগারদের শিকার ৪ উইকেট তিন সীমান্তে ৩০ জনকে পুশইন ভারি বর্ষণ-সমুদ্রের জোয়ারে বাঁশখালীর বেড়িবাঁধে ভাঙন দুই পুলিশকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়া দণ্ডিত আসামি গ্রেফতার পুষ্টিগুণে ভরপুর সজনেপাতার গুঁড়ো যেভাবে খাবেন বর্ষাকালে সুস্থ থাকতে বদলে ফেলুন লাইফস্টাইল ৩৬৮ রান খরচ করে টাইগারদের শিকার ৪ উইকেট লাফিয়ে বাড়ছে তেলের দাম ইরানের হামলায় তেলআবিবে প্রাণহানি অর্ধশতাধিক যুক্তরাষ্ট্র কি ইরানের ফোর্দো পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস করতে পারবে?