ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করে বহিষ্কার কলাম্বিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ১৩ এপ্রিল, ২০২৫
     ৯:৪৪ পূর্বাহ্ণ

ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করে বহিষ্কার কলাম্বিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৩ এপ্রিল, ২০২৫ | ৯:৪৪ 54 ভিউ
কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিলকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার রায় দিয়েছে লুইজিয়ানার এক অভিবাসন আদালত। আদালতের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে খলিলের উপস্থিতি ‘পররাষ্ট্রনীতিতে গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে’। তাই তাকে দেশছাড়া করা যেতে পারে। বিচারক জ্যামি ই. কোমানস বলেছেন, ‘সরকার পরিষ্কার ও শক্ত প্রমাণ উপস্থাপন করেছে যে তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাড়ানো যাবে।’ খলিলের আইনজীবী মার্ক ভ্যান ডার হাউট অবশ্য জানিয়েছেন, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন। তিনি বলেন, ‘তাই এখনই কিছু হচ্ছে না।’ শুক্রবারের শুনানির শেষে খলিল বলেন, ‘আপনি আগেই বলেছিলেন, এই আদালতের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ন্যায়বিচার ও মৌলিক অধিকার। কিন্তু আজ যা দেখলাম, এই প্রক্রিয়ার কোথাও এসব ছিল না। ট্রাম্প প্রশাসন এজন্যই

আমাকে আমার পরিবার থেকে হাজার মাইল দূরের এই আদালতে পাঠিয়েছে।’ আইনজীবী ভ্যান ডার হাউট বলেন, ‘আজ আমরা যা দেখলাম, সেটি ছিল ন্যায়বিচারকে তামাশায় পরিণত করার দৃশ্য। তার অধিকার যে লঙ্ঘিত হচ্ছে, তার স্পষ্ট প্রমাণ ছিল এটি। মতপ্রকাশ দমনের উদ্দেশ্যে অভিবাসন আইনের অপব্যবহার হয়েছে এখানে।’ খলিল একজন বৈধ মার্কিন বাসিন্দা। গত ৮ মার্চ নিউইয়র্কে তার বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত অ্যাপার্টমেন্টের লবিতে তাকে আটক করে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। তারপর একদিনের মধ্যে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় লুইজিয়ানার জেনা শহরের অভিবাসন ডিটেনশন সেন্টারে। তার স্ত্রী একজন মার্কিন নাগরিক এবং তিনি শিগগিরই মা হবেন। খলিলের আইনজীবীরা বলছেন, তাকে আটকের সিদ্ধান্ত প্রথম সংশোধনীর অধীনে থাকা বাকস্বাধীনতাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো

রুবিও বলছেন, পুরোনো আইনের মাধ্যমে খলিলকে তাড়ানোর অধিকার সরকারের আছে। এই আইন অনুযায়ী, যাদের কারণে পররাষ্ট্রনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তাদের বহিষ্কার করা যায়। আদালতে ভ্যান ডার হাউট বলেন, ‘সরকারের যেসব প্রমাণ আদালতে এসেছে, তাতে স্পষ্ট যে এর পেছনে পররাষ্ট্রনীতি নয়, বরং মতপ্রকাশের কারণে তাকে তাড়াতে চায় সরকার।’ খলিল সিরিয়ায় জন্ম নেওয়া এক ফিলিস্তিনি। তার পরিবার তিবেরিয়াস শহর থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ হওয়ার পর সিরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছিল। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদে গত বছর যেসব ছাত্ররা ক্যাম্পাসে আন্দোলন করেছিল, তাদের মধ্যে খলিল ছিলেন মুখপাত্র ও আলোচক। তিনি কোনো আইন ভাঙেননি এবং ভবনের দখলে জড়িত ছিলেন না। কিন্তু তার খোলা মুখে প্রতিবাদে অংশ নেওয়া ও নিজের নাম

প্রকাশ করায় তাকে অনেকেই হামাসপন্থী ও ইসরায়েলবিরোধী বলেছে। হোয়াইট হাউস বলেছে, ‘খলিল সন্ত্রাসীদের পক্ষে কথা বলছেন।’ যদিও তারা এই দাবির পক্ষে এখনো কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সির ফেডারেল আদালত সরকারকে বলেছে, আপিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত খলিলকে বহিষ্কার করা যাবে না। ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, তারা কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি এবং এর মেডিকেল সেন্টার থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের গবেষণা অনুদান কেটে নিচ্ছে। কারণ তারা মনে করে, ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষ ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয় ব্যর্থ হয়েছে। কিছু ইহুদি ছাত্র ও শিক্ষক বলছেন, আন্দোলনের সময় তারা হয়রানি বা একঘরে হওয়ার শিকার হয়েছেন। সরকার এর আগেও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে যারা ইসরায়েলের সমালোচনা করেছিলেন। একজন অধ্যাপককে

তাড়ানো হয়েছে, কারণ তিনি হিজবুল্লাহ নেতার জানাজায় অংশ নিয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
অবৈধ আইসিটি ট্রাইব্যুনালের প্রহসনমূলক বিচারের রায় প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ১৮ নভেম্বর : সারা দেশে সর্বাত্মক শাটডাউন The political Lens By RP Station মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ক্যাঙ্গারু কোর্টের রায় প্রত্যাখ্যান ও দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের পদত্যাগ অবধি দুর্বার আন্দোলনের ঘোষণা স্বেচ্ছাসেবক লীগের। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও প্রহসনমূলক মামলার সাজানো রায় প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০১ প্রগতিশীল শিক্ষকবৃন্দ আইসিটির দেওয়া রায় প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিবৃতি অবৈধ ট্রাইব্যুনালকে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ঘৃণাভরে তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যালয় দখলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিবৃতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দের বিবৃতি তথাকথিত বেআইনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) কর্তৃক প্রদত্ত রায় প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিবৃতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘প্রহসনমূলক’ বিচার : বিদেশে অবস্থানরত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের চিকিৎসকদের তীব্র নিন্দা ১০২ জন সাংবাদিকের যৌথ বিবৃতি প্রেস বিজ্ঞপ্তি বাংলাদেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চলমান প্রহসনমূলক বিচার এর প্রেক্ষিতে দেশে বিদেশে অবস্থানরত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ১০০ জন চিকিৎসকের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ ইউনুসের পুলিশের হাতে খুন হলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নতুন বাংলাদেশের অসহায় বাস্তবতা রাতেও ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বিক্ষোভ ধানমন্ডি ২৭-এ পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণ শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়: মিষ্টি বিতরণ নিয়ে বরিশালে ছাত্রদলের দুপক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১ শেখ হাসিনার প্রহসনমূলক বিচারের প্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ১০১ প্রকৌশলীর প্রতিবাদ রায় প্রত্যাখ্যান করল আওয়ামী লীগ, সারা দেশে শাটডাউনের ডাক শেখ হাসিনার প্রহসনমূলক বিচারের প্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ১০০ জন চিকিৎসকের প্রতিবাদ