
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

নারীকে লাথি মারা বহিষ্কৃত জামায়াত নেতাকে ফুলেল শুভেচ্ছা কী বার্তা দেয়

গণতান্ত্রিক রূপান্তর ও সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে এনসিপি ও চীনা রাষ্ট্রদূতের মধ্যে সংলাপ

ঈদকে ‘নির্বাচন প্রস্তুতি’ হিসেবে কাজে লাগাতে নির্দেশনা বিএনপির

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই বাজেট দিয়েছে সরকার: বিএনপি

কালোটাকা সাদা করার সুযোগ কাদের জন্য, প্রশ্ন রাশেদ প্রধানের

সাবেক এমপি সেলিম-কামারুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সাবেক মন্ত্রী ফরহাদসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
‘প্রবৃত্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপই ঈদুল আজহার প্রকৃত শিক্ষা’

পবিত্র ঈদুল আজহার প্রকৃত শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ মুক্ত ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক গণতান্ত্রিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নগরবাসীর উদ্দেশে দেওয়া এক শুভেচ্ছা বাণীতে তারা বুধবার (০৪ জুন) এসব কথা বলেন।
মহানগরী নেতৃদ্বয় বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা মুসলিম উম্মাহর এক অতি তাৎপর্যপূর্ণ ও ঐতিহাসিক দিন। বস্তুত, আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নির্দেশ পালনার্থে মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইব্রাহীম (আ.) স্বীয় পুত্র হযরত ঈসমাইলকে (আ.)
কুরবানি করতে প্রয়াসী হয়েছিলেন। সে আদর্শ অনুসরণেই মুসলিম উম্মাহ দিবসটিকে পবিত্র ঈদুল আজহা হিসেবে পালন করে আসছে। মূলত, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রতি একনিষ্ঠ আনুগত্য, তার প্রকৃত সন্তুষ্টি ও মানবকল্যাণে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগই ঈদুল আজহার প্রকৃত শিক্ষা। আর নিজের প্রবৃত্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপই পশু কুরবানির প্রকৃত উদ্দেশ্য। এ প্রসঙ্গে কালামে হাকিমে বলা হয়েছে, ‘কোরবানির পশুর রক্ত; গোশত কোনো কিছুই আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, পৌঁছে কেবল তোমাদের তাক্বওয়া বা আল্লাহভীতি’ (সুরা হজ্জ, আয়াত-৩৭)। তাই কুরবানির শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আত্মগঠন ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে আর্ত- মানবতার মুক্তির জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তারা বলেন, জাগতিক লোভ-লালসা ও কামনা-বাসনার উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে পশুপ্রবৃত্তির উপর
পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ ও বিজয় অর্জনই ঈদুল আজহার প্রকৃত শিক্ষা। অন্যায়- অসত্য, অনাচার- পাপাচার, হিংসা-বিদ্বেষ, জুলুম- নির্যাতন, বিভেদ-বিসংবাদ বন্ধ করে সমাজ-রাষ্ট্রে সার্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানবজাতির প্রকৃত কল্যাণ সাধন করা পবিত্র ঈদুল আজহার উদ্দেশ্য। কোরবানি হচ্ছে আল্লাহর পক্ষ থেকে কল্যাণময় নিদর্শন। সে কল্যাণকে যথাযথভাবে কাজে লাগানোই মোমিন জীবনের প্রকৃত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। তারা আরও বলেন, আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে দেশে স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী শক্তির পতন হলেও পরিপূর্ণ বিজয় এখনো আসেনি বরং পতিতদের প্রতিভূরা দেশকে অস্থিতিশীল করে অর্জিত বিজয় বিতর্কিত, নস্যাৎ ও অন্তর্বতীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য নানাবিধ চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। সঙ্গত কারণেই দেশে এখনো লাগামহীন চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি আগের
তুলনায় ইতিবাচক হলেও পুরোপুরি স্বস্তিদায়ক নয়। স্বৈরাচারের পতনের পর অর্থনীতিতে গতি ফিরে আসলেও এখনো তা মজবুত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়নি। মূলত, অতীতে অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়া ও সুশাসনের অভাবেই এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাই জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে এজন্য কঠোর ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মহানগরী নেতৃদ্বয় বলেন, আওয়ামী বাকশালী শাসনামলে রাষ্ট্রের সকল অবকাঠামোকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। কথিত বিচারের নামে প্রহসন করে জামায়াতের শীর্ষনেতাদের সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে শহীদ করা হয়েছে। সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে দীর্ঘ পরিসরে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। আজ্ঞাবাহী বিচার বিভাগ দিয়ে বাতিল করা হয়েছিল জামায়াতের নিবন্ধন। তাই
রাষ্ট্রের সকল কাঠামোতে স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনার জন্য ব্যাপকভিত্তিক সংস্কার করা দরকার। একই সাথে জুলাইয়ের গণহত্যাকারীদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনা জরুরি। বিদ্যমান কাঠামোতে নির্বাচন হলে তা কোনো অবস্থাতেই অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে না বরং পূর্বের অবস্থার পুনরুত্থান ঘটবে। তাই রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার, গণহত্যাকারীদের বিচার দৃশ্যমান হওয়ার পর দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। নেতৃদ্বয় উচ্চ আদালতের রায়ে এটিএম আজহারের বেকসুর খালাস ও দলীয় নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন এবং পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নগরবাসীর প্রতি আন্তরিক মোবারকবাদ ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
কুরবানি করতে প্রয়াসী হয়েছিলেন। সে আদর্শ অনুসরণেই মুসলিম উম্মাহ দিবসটিকে পবিত্র ঈদুল আজহা হিসেবে পালন করে আসছে। মূলত, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রতি একনিষ্ঠ আনুগত্য, তার প্রকৃত সন্তুষ্টি ও মানবকল্যাণে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগই ঈদুল আজহার প্রকৃত শিক্ষা। আর নিজের প্রবৃত্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপই পশু কুরবানির প্রকৃত উদ্দেশ্য। এ প্রসঙ্গে কালামে হাকিমে বলা হয়েছে, ‘কোরবানির পশুর রক্ত; গোশত কোনো কিছুই আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, পৌঁছে কেবল তোমাদের তাক্বওয়া বা আল্লাহভীতি’ (সুরা হজ্জ, আয়াত-৩৭)। তাই কুরবানির শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আত্মগঠন ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে আর্ত- মানবতার মুক্তির জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তারা বলেন, জাগতিক লোভ-লালসা ও কামনা-বাসনার উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে পশুপ্রবৃত্তির উপর
পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ ও বিজয় অর্জনই ঈদুল আজহার প্রকৃত শিক্ষা। অন্যায়- অসত্য, অনাচার- পাপাচার, হিংসা-বিদ্বেষ, জুলুম- নির্যাতন, বিভেদ-বিসংবাদ বন্ধ করে সমাজ-রাষ্ট্রে সার্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানবজাতির প্রকৃত কল্যাণ সাধন করা পবিত্র ঈদুল আজহার উদ্দেশ্য। কোরবানি হচ্ছে আল্লাহর পক্ষ থেকে কল্যাণময় নিদর্শন। সে কল্যাণকে যথাযথভাবে কাজে লাগানোই মোমিন জীবনের প্রকৃত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। তারা আরও বলেন, আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে দেশে স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী শক্তির পতন হলেও পরিপূর্ণ বিজয় এখনো আসেনি বরং পতিতদের প্রতিভূরা দেশকে অস্থিতিশীল করে অর্জিত বিজয় বিতর্কিত, নস্যাৎ ও অন্তর্বতীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য নানাবিধ চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। সঙ্গত কারণেই দেশে এখনো লাগামহীন চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি আগের
তুলনায় ইতিবাচক হলেও পুরোপুরি স্বস্তিদায়ক নয়। স্বৈরাচারের পতনের পর অর্থনীতিতে গতি ফিরে আসলেও এখনো তা মজবুত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়নি। মূলত, অতীতে অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়া ও সুশাসনের অভাবেই এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাই জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে এজন্য কঠোর ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মহানগরী নেতৃদ্বয় বলেন, আওয়ামী বাকশালী শাসনামলে রাষ্ট্রের সকল অবকাঠামোকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। কথিত বিচারের নামে প্রহসন করে জামায়াতের শীর্ষনেতাদের সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে শহীদ করা হয়েছে। সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে দীর্ঘ পরিসরে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। আজ্ঞাবাহী বিচার বিভাগ দিয়ে বাতিল করা হয়েছিল জামায়াতের নিবন্ধন। তাই
রাষ্ট্রের সকল কাঠামোতে স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনার জন্য ব্যাপকভিত্তিক সংস্কার করা দরকার। একই সাথে জুলাইয়ের গণহত্যাকারীদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনা জরুরি। বিদ্যমান কাঠামোতে নির্বাচন হলে তা কোনো অবস্থাতেই অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে না বরং পূর্বের অবস্থার পুনরুত্থান ঘটবে। তাই রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার, গণহত্যাকারীদের বিচার দৃশ্যমান হওয়ার পর দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। নেতৃদ্বয় উচ্চ আদালতের রায়ে এটিএম আজহারের বেকসুর খালাস ও দলীয় নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন এবং পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নগরবাসীর প্রতি আন্তরিক মোবারকবাদ ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।