
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

২৪ ঘণ্টা ব্যবধানে পঞ্চগড়-সিলেট সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে হত্যা

তিস্তা নিয়ে আলোচনা হয়নি নদী কমিশনের বৈঠকে

সমন্বয়কসহ ৭ জন কারাগারে সাত শিশু কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে

বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-মেঘালয় করিডোর চায় ভারত

যুক্তরাষ্ট্রের ১/১১ সময়ে ভূমিকা ছিল ভুল

আতঙ্কের নাম মোটরসাইকেল

বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-মেঘালয় করিডোর চান সাংমা
পুঠিয়া যেন প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শনের রাজধানী

রাজা-বাদশাহদের স্মৃতিবিজড়িত রাজশাহীর পুঠিয়ার রাজপরগনায় ১৪টি পুরাকীর্তির নিদর্শন রয়েছে। যা বাংলাদেশের আর কোথাও নেই। এই পরগনাটির গোড়াপত্তন করেন লস্কর খাঁ নামের একজন। এরপর বৎসরাচর্যের ছেলে পীতাম্বর প্রথম রাজবংশের গোড়াপত্তন করেন ১৫৫০ সালে। পীতাম্বরের অনুজ নীলাম্বর ওই রাজবংশের প্রথম রাজা হিসাবে অধিষ্ঠিত হন। চতুর্থ ধনপতি চাঁদ সওদাগর থেকে শুরু করে রাজা পরেশ নারায়ণ ও নরেশ নারায়ণ রায় বাহাদুর পর্যন্ত প্রায় ৪০০ বছর পুঠিয়া রাজপরগনা শাসন করেন তারা। ১৯৪৯ সালে রাজপ্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর এই রাজপরগনার উত্তরাধিকারীরা সপরিবারে ভারতে চলে যান। বর্তমানে এই পরগনায় কোনো রাজা নেই। পরগনাজুড়ে আছে তাদের অনেক স্মৃতিবিজড়িত পুরাকীর্তি। বিশেষ করে কারুকাজখচিত রাজপ্রাসাদসহ বিভিন্ন মন্দির দেশি ও বিদেশি
পর্যটকদের কাছে অনেক আকর্ষণীয়। কিন্তু এখানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পুরাকীর্তিগুলো দিন দিন বিলুপ্তির পথে বলে রাজপরগনার ইতিহাসবিদদের ভাষ্য। পাঁচআনি রাজপ্রাসাদটি বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের জাদুঘরে রূপান্তির করা হয়েছে। প্রাসাদটি পুরাকীর্তি কারুকার্য সমৃদ্ধ হওয়ায়, প্রতিদিন রাজপ্রাসাদসহ অন্যান্য পুরাকীর্তি স্থাপত্য নিদর্শনগুলো দেখার জন্য শত শত দেশি-বিদেশি পর্যটক এসে ভিড় জমাচ্ছেন। পুঠিয়া পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হলেও শুধু পুঠিয়ায় দীর্ঘক্ষণ থাকা ও খাওয়ার ভালো ব্যবস্থা না থাকায় পর্যটকরা বেশিক্ষণ না থেকে চলে যান। রাজপরগনায় ধনপতি রাজাদের অনেক স্মৃতি বর্তমানে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এর মধ্যে মন্দিরগুলোর পিরামিড, জোড়া মন্দির, পাঁচআনি বড় শিবমন্দির, একআনি, আড়াইআনি, তিনআনি, চারআনি রাজপ্রাসাদ, দোলমন্দির অতি জরাজীর্ণ হয়ে পড়লে কয়েক
বছর আগে কয়েকটি স্থানে নামমাত্র সংস্কার করা হয়েছে। পাঁচআনি রাজপ্রাসাদের কয়েকটি স্তম্ভ সংস্কার করা হলেও বাকি সব প্রাসাদ জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তাছাড়া রাণীরঘাট, আহ্নিক মন্দির, রথমন্দির, চারআনি রাজপ্রাসাদ, গোবিন্দ মন্দির, বনদুর্গারদ মন্দির, কৃষ্ণপুরের শিবমন্দির, গোপাল মন্দির, তারাপুর এলাকায় রাজার হাওয়াখানাসহ আশপাশে ছড়িয়ে থাকা অনেক মঠ ধ্বংসপ্রায় পুরাকীর্তি হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। সে সময় রাজা-বাদশাহরা বিভিন্ন ডিজাইনে চুন-সুড়কি ও হাজারো কারিগর দিয়ে বিশেষভাবে কারুকাজ সম্বলিত টেরাকোঠাগুলো তৈরি করেছিলেন। রাজপ্রথা বিলুপ্তির পর রাজপরগনা ও জমিগুলো সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। সরকার পরবর্তীতে এই পুরাকীর্তি ও জমিগুলো প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর থেকেই কিছু কিছু স্থান সংস্কারের নামে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর নানা অজুহাত দেখিয়ে
কারুকাজগুলো বিনষ্ট করছে বলেও স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছেন। এশিয়ার সর্ববৃহৎ কষ্টিপাথরের শিবশিলাটি এই উপজেলায় অবস্থিত। রাজপ্রাসাদের নিরাপত্তার বেষ্টনী হিসাবে খনন করা হয়েছে কয়েকটি বিশাল দীঘি। যা দেখার জন্য প্রতিদিন দেশি-বিদেশি পর্যটকরা পুঠিয়ায় আসেন। মন্দিরটি নির্মাণ করেন রাণী ভবনময়ী। নির্মাণকাজ শুরু করেন বাংলা ১২৩০ সনে। রাজশাহী বিভাগীয় শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার পূর্বে পুঠিয়া রাজবাড়িটি অবস্থিত। পুঠিয়া বাসস্ট্যান্ডে নেমে এক কিলোমিটার উত্তর দিকে গেলে প্রথমে পড়বে পাঁচআনি রাজার খনন করা শিবসাগর নামক বিশাল দীঘি। এই দীঘির সঙ্গে সুউচ্চ শিবমন্দিরটি চোখে পড়বে। সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠার পর মনে হবে এক অন্য ভুবনে ঢুকে পড়লাম। মন্দিরটি উঁচু হওয়ার কারণে এখানে সবসময় বাতাস বইতে থাকে। এখানে বসে
প্রাকৃতিক দৃশ্য অবলোকন করা যায়। মন্দিরের উত্তর দিকের দুই সিঁড়ি বেয়ে শিবসাগর দীঘিতে নামা যাবে। এরপর মন্দিরের উঁচু চূড়ায় তাকালে মনে হবে মন্দিরের সঙ্গে মেঘ কিংবা আকাশ ছুঁয়ে আছে। রাজকীয় অংশীদার হিসাবে ছয়টি রাজার রাজত্ব ছিল পুঠিয়ায়। এদের মধ্যে দুই রাজার রাজকীয় অংশীদার চারজনের তুলনায় বেশি ছিল। বেশি অংশীদার ছিল পাঁচআনি রাজা আর চারআনি রাজার। ভারতের তীর্থ স্থান পুরির আদর্শে পুঠিয়া চারআনি রাজা নরেশ নারায়ণ রথ উৎসব পালন করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় রাজারা জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা রাজপ্রাসাদ পুঠিয়া থেকে দুই কিলোমিটার দূরে তারাপুর নামক স্থানে চারদিকে বিশাল পুকুরের মাঝখানে পুরোহিত দ্বারা রথবাগিচায় মন্দিরে সাত দিন ধরে রথপুজা করতেন। পুঠিয়া সদর থেকে রিকশায়
কিংবা বাসে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক ধরে দুই কিলোমিটার পশ্চিম দিকে গেলে তারাপুর নামক একটি ছোট বাজার পাওয়া যাবে। এখানে নেমে একটু দক্ষিণ দিকে হেঁটে গেলেই রথবাগিচা মন্দিরটি দেখা যাবে। ৩০ বিঘা জলরাশির মাঝখানে মন্দিরটি ভাঙাচোরাভাবে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ১৯৭৫ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর প্রত্নতত্ত্ব নির্দশন হিসাবে তাদের আওতায় নেয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর অনেক দিন আগে পুঠিয়া সদরের পাঁচটি মন্দিরের সংস্কারকাজ করেছে। বাকি নয়টি প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন অবহেলা, অযত্ন আর সংস্কারের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নষ্ট হয়ে যাওয়া ৯টির মধ্যে তারাপুর রথবাগিচা মন্দিরটি অন্যতম। চিত্রশিল্পী নরুল আমিন মধু বলেন, পুঠিয়া রাজপরগনার সৌন্দর্য ও প্রত্নতত্ত্বগুলো বাংলাদেশের অহংকার। এরকম একই স্থানে একাধিক পুরাকীর্তি সংবলিত
রাজপ্রাসাদ দেশের আর কোথাও দেখা যায় না। টেরাকোটাগুলি সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া অতি জরুরি। তা না হলে কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে প্রায় সাড়ে চারশত বছরের পুরোনো ঐতিহ্য। রাজপরগনা এলাকাকে পর্যটন নগরী হিসাবে ঘোষণা করা হলে এলাকার উন্নয়ন ও সাধারণ মানুষের জীবিকা নির্বাহে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। পুঠিয়া রাজবাড়ি জাদুঘরের সহকারী কাস্টোডিয়ান মো. হাফিজুর রহমান বলেন, পুঠিয়া রাজবাড়ি হলো গ্রুপ অব মনুমেন্টস। রাজশাহী বিভাগের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এলাকা। এখানকার ঐতিহাসিক প্রত্ননিদর্শনগুলোকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে আধুনিক সুবিধা সংযোজন করতে পারলে তা বাংলাদেশের অন্যতম সেরা প্রত্নপর্যটন নগরী হিসাবে গড়ে উঠবে।
পর্যটকদের কাছে অনেক আকর্ষণীয়। কিন্তু এখানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পুরাকীর্তিগুলো দিন দিন বিলুপ্তির পথে বলে রাজপরগনার ইতিহাসবিদদের ভাষ্য। পাঁচআনি রাজপ্রাসাদটি বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের জাদুঘরে রূপান্তির করা হয়েছে। প্রাসাদটি পুরাকীর্তি কারুকার্য সমৃদ্ধ হওয়ায়, প্রতিদিন রাজপ্রাসাদসহ অন্যান্য পুরাকীর্তি স্থাপত্য নিদর্শনগুলো দেখার জন্য শত শত দেশি-বিদেশি পর্যটক এসে ভিড় জমাচ্ছেন। পুঠিয়া পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হলেও শুধু পুঠিয়ায় দীর্ঘক্ষণ থাকা ও খাওয়ার ভালো ব্যবস্থা না থাকায় পর্যটকরা বেশিক্ষণ না থেকে চলে যান। রাজপরগনায় ধনপতি রাজাদের অনেক স্মৃতি বর্তমানে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এর মধ্যে মন্দিরগুলোর পিরামিড, জোড়া মন্দির, পাঁচআনি বড় শিবমন্দির, একআনি, আড়াইআনি, তিনআনি, চারআনি রাজপ্রাসাদ, দোলমন্দির অতি জরাজীর্ণ হয়ে পড়লে কয়েক
বছর আগে কয়েকটি স্থানে নামমাত্র সংস্কার করা হয়েছে। পাঁচআনি রাজপ্রাসাদের কয়েকটি স্তম্ভ সংস্কার করা হলেও বাকি সব প্রাসাদ জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তাছাড়া রাণীরঘাট, আহ্নিক মন্দির, রথমন্দির, চারআনি রাজপ্রাসাদ, গোবিন্দ মন্দির, বনদুর্গারদ মন্দির, কৃষ্ণপুরের শিবমন্দির, গোপাল মন্দির, তারাপুর এলাকায় রাজার হাওয়াখানাসহ আশপাশে ছড়িয়ে থাকা অনেক মঠ ধ্বংসপ্রায় পুরাকীর্তি হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। সে সময় রাজা-বাদশাহরা বিভিন্ন ডিজাইনে চুন-সুড়কি ও হাজারো কারিগর দিয়ে বিশেষভাবে কারুকাজ সম্বলিত টেরাকোঠাগুলো তৈরি করেছিলেন। রাজপ্রথা বিলুপ্তির পর রাজপরগনা ও জমিগুলো সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। সরকার পরবর্তীতে এই পুরাকীর্তি ও জমিগুলো প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর থেকেই কিছু কিছু স্থান সংস্কারের নামে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর নানা অজুহাত দেখিয়ে
কারুকাজগুলো বিনষ্ট করছে বলেও স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছেন। এশিয়ার সর্ববৃহৎ কষ্টিপাথরের শিবশিলাটি এই উপজেলায় অবস্থিত। রাজপ্রাসাদের নিরাপত্তার বেষ্টনী হিসাবে খনন করা হয়েছে কয়েকটি বিশাল দীঘি। যা দেখার জন্য প্রতিদিন দেশি-বিদেশি পর্যটকরা পুঠিয়ায় আসেন। মন্দিরটি নির্মাণ করেন রাণী ভবনময়ী। নির্মাণকাজ শুরু করেন বাংলা ১২৩০ সনে। রাজশাহী বিভাগীয় শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার পূর্বে পুঠিয়া রাজবাড়িটি অবস্থিত। পুঠিয়া বাসস্ট্যান্ডে নেমে এক কিলোমিটার উত্তর দিকে গেলে প্রথমে পড়বে পাঁচআনি রাজার খনন করা শিবসাগর নামক বিশাল দীঘি। এই দীঘির সঙ্গে সুউচ্চ শিবমন্দিরটি চোখে পড়বে। সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠার পর মনে হবে এক অন্য ভুবনে ঢুকে পড়লাম। মন্দিরটি উঁচু হওয়ার কারণে এখানে সবসময় বাতাস বইতে থাকে। এখানে বসে
প্রাকৃতিক দৃশ্য অবলোকন করা যায়। মন্দিরের উত্তর দিকের দুই সিঁড়ি বেয়ে শিবসাগর দীঘিতে নামা যাবে। এরপর মন্দিরের উঁচু চূড়ায় তাকালে মনে হবে মন্দিরের সঙ্গে মেঘ কিংবা আকাশ ছুঁয়ে আছে। রাজকীয় অংশীদার হিসাবে ছয়টি রাজার রাজত্ব ছিল পুঠিয়ায়। এদের মধ্যে দুই রাজার রাজকীয় অংশীদার চারজনের তুলনায় বেশি ছিল। বেশি অংশীদার ছিল পাঁচআনি রাজা আর চারআনি রাজার। ভারতের তীর্থ স্থান পুরির আদর্শে পুঠিয়া চারআনি রাজা নরেশ নারায়ণ রথ উৎসব পালন করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় রাজারা জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা রাজপ্রাসাদ পুঠিয়া থেকে দুই কিলোমিটার দূরে তারাপুর নামক স্থানে চারদিকে বিশাল পুকুরের মাঝখানে পুরোহিত দ্বারা রথবাগিচায় মন্দিরে সাত দিন ধরে রথপুজা করতেন। পুঠিয়া সদর থেকে রিকশায়
কিংবা বাসে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক ধরে দুই কিলোমিটার পশ্চিম দিকে গেলে তারাপুর নামক একটি ছোট বাজার পাওয়া যাবে। এখানে নেমে একটু দক্ষিণ দিকে হেঁটে গেলেই রথবাগিচা মন্দিরটি দেখা যাবে। ৩০ বিঘা জলরাশির মাঝখানে মন্দিরটি ভাঙাচোরাভাবে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ১৯৭৫ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর প্রত্নতত্ত্ব নির্দশন হিসাবে তাদের আওতায় নেয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর অনেক দিন আগে পুঠিয়া সদরের পাঁচটি মন্দিরের সংস্কারকাজ করেছে। বাকি নয়টি প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন অবহেলা, অযত্ন আর সংস্কারের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নষ্ট হয়ে যাওয়া ৯টির মধ্যে তারাপুর রথবাগিচা মন্দিরটি অন্যতম। চিত্রশিল্পী নরুল আমিন মধু বলেন, পুঠিয়া রাজপরগনার সৌন্দর্য ও প্রত্নতত্ত্বগুলো বাংলাদেশের অহংকার। এরকম একই স্থানে একাধিক পুরাকীর্তি সংবলিত
রাজপ্রাসাদ দেশের আর কোথাও দেখা যায় না। টেরাকোটাগুলি সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া অতি জরুরি। তা না হলে কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে প্রায় সাড়ে চারশত বছরের পুরোনো ঐতিহ্য। রাজপরগনা এলাকাকে পর্যটন নগরী হিসাবে ঘোষণা করা হলে এলাকার উন্নয়ন ও সাধারণ মানুষের জীবিকা নির্বাহে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। পুঠিয়া রাজবাড়ি জাদুঘরের সহকারী কাস্টোডিয়ান মো. হাফিজুর রহমান বলেন, পুঠিয়া রাজবাড়ি হলো গ্রুপ অব মনুমেন্টস। রাজশাহী বিভাগের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এলাকা। এখানকার ঐতিহাসিক প্রত্ননিদর্শনগুলোকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে আধুনিক সুবিধা সংযোজন করতে পারলে তা বাংলাদেশের অন্যতম সেরা প্রত্নপর্যটন নগরী হিসাবে গড়ে উঠবে।