পাবনায় শাড়ি পরে হৈ-হুল্লোড়ে মেতে ওঠলেন রাশিয়ান তরুণী

বাংলাদেশের ঐতিহ্যগত বিয়ে এবং বিয়ের অনুষ্ঠান দেখে মুগ্ধ হলেন সুদূর রাশিয়ান তরুণী ভিক্টোরিয়া ডেগতারেভা (৩৫)। শুধু তাই নয়, রাশিয়ান এই তরুণী তিন দিনের বিয়ের অনুষ্ঠানে বাঙালি কায়দায় শাড়ি পরে হৈ-হুল্লোড়ে মেতে ওঠেন সবার সঙ্গে।
বর-কনের গায়েহলুদ, বিয়েবাড়ির নাচ-গান, বর বরণসহ সব আনুষ্ঠানিকতায় তিনি আনন্দচিত্তে যোগ দেন এবং মজা করেন। এসব অনুষ্ঠানে তিনি খেয়েছেন বাঙালিয়ানা সব খাবার। বিয়েবাড়িতে সবার সঙ্গে মিলেমিশে সবার বন্ধু হয়ে যান। এ সময় সবার দৃষ্টিও কাড়েন সুন্দরী এই ভিনদেশী তরুণী।
ভিক্টোরিয়া ডেগতারেভার সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, তিনি জন্মসূত্রে রাশিয়ান। পেশায় রূপ বিশারিদ (বিউটিশিয়ান)। কর্মসূত্রে থাকেন আমেরিকায়। তার প্রিয় এবং শখ বিভিন্ন দেশের ঐতিহ্য দেখা এবং সেসব দেশের খাবারের
স্বাদ নেওয়া। এজন্য তিনি সময়-সুযোগ হলেই বেড়তে যান এক দেশ থেকে আরেক দেশে। এমনই এক শখের বশে তিনি বাঙালি বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে সম্প্রতি আসেন পাবনায়। শনিবার দুপুরে শাড়ি পরে বাঙালি মেয়ের সাজে পাবনা শহরতলীর একটি রিসোর্টে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সবার নজর কাড়েন। ওই তরুণী একশ ভাগ বাঙালিয়ানা কায়দায় যেভাবে সবার সঙ্গে মিশে যান তাতে শুধু গায়ের রং ছাড়া এবং ভাষা ছাড়া তাকে আলাদা করা মুশকিল। তরুণী জানান, তার বাবা ও মা রাশিয়াতেই থাকেন। কাজের জন্য তিনি ১২ বছর ধরে থাকেন আমেরিকাতে। তার এক সহকর্মী তনিমা ইসলামের ভাইয়ের বিয়ে হচ্ছে পাবনায়। এ বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য গত ৭ এপ্রিল বাংলাদেশে আসেন।
এরপরই বিয়েতে আসেন পাবনায়। এ বিয়েতে বর-কনের গায়েহলুদ, শুক্রবার বিয়ের অনুষ্ঠান এবং শেষ দিন শনিবার বৌভাত অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। তরুণী আরও জানান, গ্রিসসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তিনি গেছেন। তবে বাঙালি বা ইন্ডিয়ান কালচার সম্পর্কে তার কোনো ধারণা ছিল না। তাই তিনি বাংলাদেশে আসেন এবং বাংলাদেশের এ বিয়ে দেখে তিনি মুগ্ধ হন। এই ভালোলাগা থেকেই তিনি বাংলাদেশি মেয়েদের মতো সাজসজ্জা করেন। এর মধ্যে বাঙালি মেয়েদের শাড়ি পরা তার খুবই ভালো লাগে। তাই তিনি বিয়ের অনুষ্ঠানের প্রতিদিনই শাড়ি পরেছেন। ভিক্টোরিয়া আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অনেক ভালো। তারা মিলেমিশে থাকেন। অনেক মানুষ একসঙ্গে আনন্দ করেন। এই আনন্দে যোগ দিতে পেরে তিনিও বেশ আনন্দিত। বিয়েবাড়ির আয়োজকরা
জানান, দেখতে অন্যদের চাইতে ভিক্টোরিয়া আলাদা। কনের গায়েহলুদ অনুষ্ঠানে তিনি নীল রঙের শাড়ি পরেছিলেন। বরণডালা হাতে অনুষ্ঠানে গিয়েছেন। বিয়ের প্রতিটি পর্বেই তিনি শাড়ি পরেছেন। সবার সঙ্গে মিশে ছিলেন। প্রচুর ছবি তুলেছেন ভিডিও করেছেন। ছোট-বড় সবার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছেন। বরের বোন ও ভিক্টোরিয়ার সহকর্মী তনিমা ইসলাম জানান, ভিক্টোরিয়া তাদের চমকে দিয়েছেন। একাই বাংলাদেশে চলে এসেছেন। এরপর পাবনায় এসে তাদের সঙ্গে মিশে গেছেন। বাড়িতে যা রান্না হচ্ছে তাই খাচ্ছেন। সবার সঙ্গে মিলে আছেন। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে তার দেশে যাওয়ার কথা ছিল। এরপর বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের কথা শুনে বলছে কয়েক দিন পরে যাবে।
স্বাদ নেওয়া। এজন্য তিনি সময়-সুযোগ হলেই বেড়তে যান এক দেশ থেকে আরেক দেশে। এমনই এক শখের বশে তিনি বাঙালি বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে সম্প্রতি আসেন পাবনায়। শনিবার দুপুরে শাড়ি পরে বাঙালি মেয়ের সাজে পাবনা শহরতলীর একটি রিসোর্টে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সবার নজর কাড়েন। ওই তরুণী একশ ভাগ বাঙালিয়ানা কায়দায় যেভাবে সবার সঙ্গে মিশে যান তাতে শুধু গায়ের রং ছাড়া এবং ভাষা ছাড়া তাকে আলাদা করা মুশকিল। তরুণী জানান, তার বাবা ও মা রাশিয়াতেই থাকেন। কাজের জন্য তিনি ১২ বছর ধরে থাকেন আমেরিকাতে। তার এক সহকর্মী তনিমা ইসলামের ভাইয়ের বিয়ে হচ্ছে পাবনায়। এ বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য গত ৭ এপ্রিল বাংলাদেশে আসেন।
এরপরই বিয়েতে আসেন পাবনায়। এ বিয়েতে বর-কনের গায়েহলুদ, শুক্রবার বিয়ের অনুষ্ঠান এবং শেষ দিন শনিবার বৌভাত অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। তরুণী আরও জানান, গ্রিসসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তিনি গেছেন। তবে বাঙালি বা ইন্ডিয়ান কালচার সম্পর্কে তার কোনো ধারণা ছিল না। তাই তিনি বাংলাদেশে আসেন এবং বাংলাদেশের এ বিয়ে দেখে তিনি মুগ্ধ হন। এই ভালোলাগা থেকেই তিনি বাংলাদেশি মেয়েদের মতো সাজসজ্জা করেন। এর মধ্যে বাঙালি মেয়েদের শাড়ি পরা তার খুবই ভালো লাগে। তাই তিনি বিয়ের অনুষ্ঠানের প্রতিদিনই শাড়ি পরেছেন। ভিক্টোরিয়া আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অনেক ভালো। তারা মিলেমিশে থাকেন। অনেক মানুষ একসঙ্গে আনন্দ করেন। এই আনন্দে যোগ দিতে পেরে তিনিও বেশ আনন্দিত। বিয়েবাড়ির আয়োজকরা
জানান, দেখতে অন্যদের চাইতে ভিক্টোরিয়া আলাদা। কনের গায়েহলুদ অনুষ্ঠানে তিনি নীল রঙের শাড়ি পরেছিলেন। বরণডালা হাতে অনুষ্ঠানে গিয়েছেন। বিয়ের প্রতিটি পর্বেই তিনি শাড়ি পরেছেন। সবার সঙ্গে মিশে ছিলেন। প্রচুর ছবি তুলেছেন ভিডিও করেছেন। ছোট-বড় সবার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছেন। বরের বোন ও ভিক্টোরিয়ার সহকর্মী তনিমা ইসলাম জানান, ভিক্টোরিয়া তাদের চমকে দিয়েছেন। একাই বাংলাদেশে চলে এসেছেন। এরপর পাবনায় এসে তাদের সঙ্গে মিশে গেছেন। বাড়িতে যা রান্না হচ্ছে তাই খাচ্ছেন। সবার সঙ্গে মিলে আছেন। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে তার দেশে যাওয়ার কথা ছিল। এরপর বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের কথা শুনে বলছে কয়েক দিন পরে যাবে।