
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

আজ সকালেও লাহোরে বিস্ফোরণের শব্দ, ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত: আল-জাজিরা

ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে সর্বাত্মক যুদ্ধ

বিভেদ সৃষ্টিকারী শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হোন

ভারত ও পাকিস্তানের সংঘাত খুবই ভয়াবহ, তারা থামুক: ট্রাম্প

প্রথম দফায় নির্বাচিত হয়নি পোপ, ফের ভোট বৃহস্পতিবার

ভারতের ৫টি ফাইটার জেট ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের, অবশেষে যা জানা গেল

ইসরাইলকে ছাড়াই সৌদির সঙ্গে এককভাবে চুক্তির ইঙ্গিত যুক্তরাষ্ট্রের
পাকিস্তানে হামলা: ব্রিফিংয়ে আসা ভারতের দুই নারী সম্পর্কে যা জানা গেল

কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর বন্দুক হামলার জবাবে মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানে বিমান হামলা চালিয়েছে ভারত। এতে ৮ জন নিহত ও কমপক্ষে ৩৫ জন বেসামরিক মানুষ আহত হয়েছেন। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’।
‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে ভারতের সরকারি ব্রিফিংয়ে প্রতিরক্ষা বাহিনীর যে দুই নারী অংশ নেন, সোফিয়া কুরেশি তাদের একজন। অন্যজন উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং।
কীভাবে কখন পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ও পাকিস্তানে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’র ঘাঁটি ভারতীয় বাহিনী গুঁড়িয়ে দেয়, সোফিয়া ও ব্যোমিকা তার বিবরণ দেন। সেই থেকে দুই নারীর পরিচয় নিয়ে কৌতূহল সৃষ্টি হয়।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর বিশ্লেষণে বলা হয়, ভারত এর মাধ্যমে পেহেলগাম হামলায় স্বামী হারানো নারীদের প্রতি সহমর্মিতার
বার্তা দিতে চেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এনডিটিভির খবরে বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় স্বামীহারা নারীদের প্রতি সম্মান জানাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নাম এবং ব্রিফিংয়ের নেতৃত্বে নারী কর্মকর্তাদের নির্বাচন করা হয়েছে। এটিকে শক্তিশালী পদক্ষেপ হিসেবে প্রশংসা করেছে ভারতের জনসাধারণ। ব্রিফিংয়ে দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রীর পর বক্তব্য দেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। তিনি বলেন, ‘নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসে তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ সাপেক্ষে সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তু নির্বাচন করা হয়েছিল। এ সময় পাকিস্তানে কোনো সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি। এই অভিযানে ৯টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে।’ উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং বলেন, ‘ভারত তার প্রতিক্রিয়ায় যথেষ্ট সংযম দেখিয়েছে। তবে পরিস্থিতি আরও বাড়ানোর জন্য পাকিস্তানের
যেকোনো দুঃসাহসিক পদক্ষেপের জবাব দিতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত।’ ৩৫ বছর বয়সী কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ভারতের সেনাবাহিনীর অন্যতম শীর্ষ নারী কর্মকর্তা। বর্তমানে তিনি কর্মরত সিগন্যাল কর্পসে, যা সেনাবাহিনীর সামরিক যোগাযোগ ও ইলেকট্রনিক্স সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে। তিনি সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ একাধিক অভিযানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেনা জীবনের শুরুতেই তিনি ইতিহাস গড়েছেন। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ২০২০ সালে এক বার্তায় সোফিয়া সম্পর্কে জানিয়েছিল, ২০১৬ সালে তিনি ১৮টি দেশের উপস্থিতিতে সামরিক মহড়া ‘এক্সারসাইজ ফোর্স ১৮’–এ ৪০ সদস্যের ভারতীয় বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তখন তিনি ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার সেনা কর্মকর্তা। বহুজাতিক মহড়ার ভারতীয় দলের নেতৃত্ব দেওয়া প্রথম নারী কর্মকর্তা তিনিই। সোফিয়া কুরেশির শান্তিরক্ষা সংক্রান্ত অভিজ্ঞতাও বিস্তৃত। ২০০৬
সালে তিনি কঙ্গোয় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে সামরিক পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই অভিজ্ঞতাই পরবর্তীকালে তাকে আন্তর্জাতিক মহড়ায় নেতৃত্বের জন্য নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়। একজন সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দেশের একাধিক শান্তিরক্ষী প্রশিক্ষকের মধ্যে থেকে সোফিয়াকে বাছাই করা হয়েছিল তার দক্ষতার ভিত্তিতে। তার পারিবারিক ইতিহাসেও সেনাবাহিনীর দৃঢ় উপস্থিতি রয়েছে। তার দাদা ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্য, এবং তার বিয়েও হয়েছে এক সেনা পরিবারে। উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একজন হেলিকপ্টার পাইলট। তিনি ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরে (এনসিসি) যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে প্রকৌশল বিষয়ে পড়াশোনা সম্পন্ন করেন। ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর তিনি ফ্লাইং ব্রাঞ্চে স্থায়ী কমিশন লাভ করেন। উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং ‘চেতক’
ও ‘চিতার’ মতো হেলিকপ্টার ভারতের দুর্গম এলাকা, যেমন জম্মু ও কাশ্মীর এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অত্যাধিক উচ্চতায় পরিচালনা করেছেন। তিনি বহু উদ্ধার অভিযানেও অংশ নিয়েছেন।
বার্তা দিতে চেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এনডিটিভির খবরে বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় স্বামীহারা নারীদের প্রতি সম্মান জানাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নাম এবং ব্রিফিংয়ের নেতৃত্বে নারী কর্মকর্তাদের নির্বাচন করা হয়েছে। এটিকে শক্তিশালী পদক্ষেপ হিসেবে প্রশংসা করেছে ভারতের জনসাধারণ। ব্রিফিংয়ে দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রীর পর বক্তব্য দেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। তিনি বলেন, ‘নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসে তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ সাপেক্ষে সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তু নির্বাচন করা হয়েছিল। এ সময় পাকিস্তানে কোনো সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি। এই অভিযানে ৯টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে।’ উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং বলেন, ‘ভারত তার প্রতিক্রিয়ায় যথেষ্ট সংযম দেখিয়েছে। তবে পরিস্থিতি আরও বাড়ানোর জন্য পাকিস্তানের
যেকোনো দুঃসাহসিক পদক্ষেপের জবাব দিতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত।’ ৩৫ বছর বয়সী কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ভারতের সেনাবাহিনীর অন্যতম শীর্ষ নারী কর্মকর্তা। বর্তমানে তিনি কর্মরত সিগন্যাল কর্পসে, যা সেনাবাহিনীর সামরিক যোগাযোগ ও ইলেকট্রনিক্স সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে। তিনি সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ একাধিক অভিযানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেনা জীবনের শুরুতেই তিনি ইতিহাস গড়েছেন। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ২০২০ সালে এক বার্তায় সোফিয়া সম্পর্কে জানিয়েছিল, ২০১৬ সালে তিনি ১৮টি দেশের উপস্থিতিতে সামরিক মহড়া ‘এক্সারসাইজ ফোর্স ১৮’–এ ৪০ সদস্যের ভারতীয় বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তখন তিনি ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার সেনা কর্মকর্তা। বহুজাতিক মহড়ার ভারতীয় দলের নেতৃত্ব দেওয়া প্রথম নারী কর্মকর্তা তিনিই। সোফিয়া কুরেশির শান্তিরক্ষা সংক্রান্ত অভিজ্ঞতাও বিস্তৃত। ২০০৬
সালে তিনি কঙ্গোয় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে সামরিক পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই অভিজ্ঞতাই পরবর্তীকালে তাকে আন্তর্জাতিক মহড়ায় নেতৃত্বের জন্য নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়। একজন সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দেশের একাধিক শান্তিরক্ষী প্রশিক্ষকের মধ্যে থেকে সোফিয়াকে বাছাই করা হয়েছিল তার দক্ষতার ভিত্তিতে। তার পারিবারিক ইতিহাসেও সেনাবাহিনীর দৃঢ় উপস্থিতি রয়েছে। তার দাদা ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্য, এবং তার বিয়েও হয়েছে এক সেনা পরিবারে। উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একজন হেলিকপ্টার পাইলট। তিনি ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরে (এনসিসি) যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে প্রকৌশল বিষয়ে পড়াশোনা সম্পন্ন করেন। ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর তিনি ফ্লাইং ব্রাঞ্চে স্থায়ী কমিশন লাভ করেন। উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং ‘চেতক’
ও ‘চিতার’ মতো হেলিকপ্টার ভারতের দুর্গম এলাকা, যেমন জম্মু ও কাশ্মীর এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অত্যাধিক উচ্চতায় পরিচালনা করেছেন। তিনি বহু উদ্ধার অভিযানেও অংশ নিয়েছেন।