
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

অবিচলতার সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আপসহীন প্রতিরোধ সংগ্রামের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিবৃতি

‘কোটা না মেধা? মেধা মেধা’ স্লোগানদাতারা কেন চাকরিতে নারী কোটার পক্ষে ফিরতে চায় এখন?

ভারতের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের দাবি অস্বীকার করলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন

বিমানবন্দরে আগুনে ওষুধ শিল্পে বিপর্যয়: ভ্যাট-ট্যাক্স ফেরত চান ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা

জুলাই আন্দোলনের “পাওয়ার হাউজ” মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৩২টি তাজা ককটেল উদ্ধার

ইউনূস সরকারের অর্থ ব্যবস্থাপনায় অনাস্থা: নির্বাচিত সরকার ছাড়া ষষ্ঠ কিস্তির ৮০ কোটি ডলার ছাড়বে না আইএমএফ

রূপপুরে রহস্যজনক মৃত্যুর তালিকায় আরও একটি নাম: দোভাষীর মরদেহ উদ্ধার
নেত্রকোণায় “মুক্তিযোদ্ধা হত্যা” মামলার সাক্ষী-উকিলদের গ্রেপ্তার: রাজাকারের ভাই জিপির নির্দেশে নির্যাতনের অভিযোগ

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউজ্জামান মুক্তার হত্যাকারী রাজাকারদের বিরুদ্ধে দায়ের মামলায় সাক্ষী ও উকিলদের উপর অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
২০২৪ সালের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর রাজাকার কমান্ডার আবু তাহেরের ছোট ভাই এডভোকেট মাহফুজ জেলা জজ কোর্টের জিপি (জেনারেল প্রসিকিউটর) হিসেবে মনোনীত হওয়ার পর থেকে এই মামলার সাক্ষী আলী রেজা কাঞ্চনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। এছাড়া, তাঁর পক্ষে দাঁড়ানো চেষ্টা করা দুই উকিলকেও মারধর করে মামলায় অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে জেলে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মানবাধিকার সংগঠনসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
১৯৭১ সালে নেত্রকোণার বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউজ্জামান মুক্তাকে স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তুলে নেয়। দুই
দিন ধরে অমানবিক নির্যাতনের পর তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। শহীদের ভাতিজা আলী রেজা কাঞ্চন ২০১০ সালে ওই রাজাকারদের বিরুদ্ধে নেত্রকোণা আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে (আইসিটি)-তে স্থানান্তরিত হয়। ২০১৬ সালে ট্রাইবুনালের রায়ে মামলার প্রথম আসামি রাজাকার কমান্ডার আবু তাহের এবং দ্বিতীয় আসামি রাজাকার আতাউর রহমান ননীর ফাঁসির সাজা হয়। এই রায় মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ২০২৪ সালের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও পট পরিবর্তনের পর আবু তাহেরের ছোট ভাই এডভোকেট মাহফুজ নেত্রকোণা জেলা জজ কোর্টের জিপি হিসেবে মনোনীত হন। এর পর থেকে মামলার সাক্ষী আলী রেজা কাঞ্চনের উপর চাপ সৃষ্টি শুরু হয়। ২০২৫ সালের
১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে পুলিশ তাঁকে কোনো মামলা ছাড়াই গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। দুটি মামলায় অজ্ঞাত আসামির তালিকায় নাম যোগ করে তাঁকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। আজ পর্যন্ত কোনো উকিলকে আলী রেজা কাঞ্চনের পক্ষে দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। উকিলরা দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেই হুমকি দেওয়া হয় এবং তাদের বসিয়ে দেওয়া হয়। সাহস করে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন নেত্রকোণা উকিল বারের সদস্য সনজিত কুমার পন্ডিত। কিন্তু উকিল বারে ডেকে নেয়া হয়ে জোরপূর্বক তাঁকে ফাইল উইথড্র করিয়ে নেওয়া হয়। দুই দিন পর তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মারধর করা হয় এবং থানায় দিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তাঁকেও একটি মামলায় অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়। আলী রেজা
কাঞ্চন জেল থেকে জানান, “এটি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার চক্রান্ত। আমরা ন্যায়বিচার চাই, কিন্তু রাজাকারের ভাই জিপির নির্দেশে পুলিশ আমাদের দমন করছে।” সনজিত কুমার পন্ডিত বলেন, “আইনের রক্ষকরাই আইন ভঙ্গ করছে। আমাকে মারধর করে জেলে পাঠানো হয়েছে শুধু মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য।” বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন (বিএমচি) ও আইন ও সালিশ কেন্দ্রের মতো সংগঠনগুলো এ ঘটনার নিন্দা করে জানিয়েছে, “এটি বিচার ব্যবস্থার উপর হামলা। অবিলম্বে গ্রেপ্তারগুলো বাতিল করতে হবে এবং দোষীদের শাস্তি দিতে হবে।” নেত্রকোণা মুক্তিযুদ্ধ সংস্থা জেলা সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল কাদির বলেন, “শহীদ মুক্তার রক্ত বৃথা যাবে না। আমরা আদালত ও সরকারের কাছে ন্যায়বিচার দাবি করছি।” মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনগুলো হাইকোর্টে রিট দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিচারকার্যক্রমে বাধা দেওয়া ও উকিলদের উপর হামলা বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৫ ও ৩৯ নং অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। সরকারের তৎক্ষণাৎ হস্তক্ষেপ না করলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
দিন ধরে অমানবিক নির্যাতনের পর তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। শহীদের ভাতিজা আলী রেজা কাঞ্চন ২০১০ সালে ওই রাজাকারদের বিরুদ্ধে নেত্রকোণা আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে (আইসিটি)-তে স্থানান্তরিত হয়। ২০১৬ সালে ট্রাইবুনালের রায়ে মামলার প্রথম আসামি রাজাকার কমান্ডার আবু তাহের এবং দ্বিতীয় আসামি রাজাকার আতাউর রহমান ননীর ফাঁসির সাজা হয়। এই রায় মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ২০২৪ সালের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও পট পরিবর্তনের পর আবু তাহেরের ছোট ভাই এডভোকেট মাহফুজ নেত্রকোণা জেলা জজ কোর্টের জিপি হিসেবে মনোনীত হন। এর পর থেকে মামলার সাক্ষী আলী রেজা কাঞ্চনের উপর চাপ সৃষ্টি শুরু হয়। ২০২৫ সালের
১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে পুলিশ তাঁকে কোনো মামলা ছাড়াই গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। দুটি মামলায় অজ্ঞাত আসামির তালিকায় নাম যোগ করে তাঁকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। আজ পর্যন্ত কোনো উকিলকে আলী রেজা কাঞ্চনের পক্ষে দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। উকিলরা দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেই হুমকি দেওয়া হয় এবং তাদের বসিয়ে দেওয়া হয়। সাহস করে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন নেত্রকোণা উকিল বারের সদস্য সনজিত কুমার পন্ডিত। কিন্তু উকিল বারে ডেকে নেয়া হয়ে জোরপূর্বক তাঁকে ফাইল উইথড্র করিয়ে নেওয়া হয়। দুই দিন পর তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মারধর করা হয় এবং থানায় দিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তাঁকেও একটি মামলায় অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়। আলী রেজা
কাঞ্চন জেল থেকে জানান, “এটি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার চক্রান্ত। আমরা ন্যায়বিচার চাই, কিন্তু রাজাকারের ভাই জিপির নির্দেশে পুলিশ আমাদের দমন করছে।” সনজিত কুমার পন্ডিত বলেন, “আইনের রক্ষকরাই আইন ভঙ্গ করছে। আমাকে মারধর করে জেলে পাঠানো হয়েছে শুধু মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য।” বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন (বিএমচি) ও আইন ও সালিশ কেন্দ্রের মতো সংগঠনগুলো এ ঘটনার নিন্দা করে জানিয়েছে, “এটি বিচার ব্যবস্থার উপর হামলা। অবিলম্বে গ্রেপ্তারগুলো বাতিল করতে হবে এবং দোষীদের শাস্তি দিতে হবে।” নেত্রকোণা মুক্তিযুদ্ধ সংস্থা জেলা সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল কাদির বলেন, “শহীদ মুক্তার রক্ত বৃথা যাবে না। আমরা আদালত ও সরকারের কাছে ন্যায়বিচার দাবি করছি।” মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনগুলো হাইকোর্টে রিট দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিচারকার্যক্রমে বাধা দেওয়া ও উকিলদের উপর হামলা বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৫ ও ৩৯ নং অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। সরকারের তৎক্ষণাৎ হস্তক্ষেপ না করলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।