
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

‘মালয়েশিয়ায় আটক ৩৬ বাংলাদেশি আইএসের সঙ্গে যুক্ত’

গ্রেনেড বিস্ফোরণে রুশ বিমান কমান্ডার নিহত

‘বোতল নিক্ষেপের ঘটনাটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত ছিল না’

শিল্পের গ্যাস দিয়ে চলছে বিদ্যুৎ ও সার উৎপাদন, দিশেহারা কারখানা মালিকরা

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কোন দিকে মোড় নিতে পারে?

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কারখানাতেই শ্রমিকের ‘আত্মহত্যা’

ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ চেয়ে ছাত্ররাই কেন সংগঠন করছে?
নিউইয়র্কে জাহানারা ইমামের মৃত্যুবার্ষিকী এবং শাহরিয়ার কবিরের মুক্তির দাবি

সাংবাদিক, লেখক, নির্মাতা এবং মানবাধিকার কর্মী শাহরিয়ার কবিরকে জেলে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হবে বলে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে তার নি:শর্ত মুক্তির দাবী জানানো হয়েছে ।
শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী এবং শাহরিয়ার কবিরের মুক্তির দাবিতে ২৭ জুন শুক্রবার সন্ধ্যা ৬:৩০টায় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারে এই সমাবেশ হয়। এটি আয়োজন করে ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম ফর সেক্যুলার বাংলাদেশ এন্ড ট্রায়াল অব ওয়ার ক্রিমিন্যালস অব ১৯৭১ নিউইয়র্ক চ্যাপ্টার,ইউএসএ।
মানবাধিকার কর্মী শাহরিয়ার কবিরের গ্রেফতারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ এবং অবিলম্বে রাজনৈতিকভাবে ভিত্তিহীন সব মামলা থেকে মুক্তির দাবি জানিয়ে বক্তব্য দেন বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ড. নুরন নবীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রবীন
সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদউল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত বিশ্বাস,কবি হাসান আল আব্দুল্লাহ , লেখক ও কলামিষ্ট শিতাংসু গুহ ,যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা প্রদীপ রঞ্জন কর,ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসের সাবেক প্রেস মিনিষ্টার সাজ্জাদ হোসেন, শাহরিয়ার কবীরের বন্ধু শফিকুল ইসলাম, একুশের চেতনা পরিষদ যুক্তরাষ্ট্র সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মামুন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, সাবেক ছাত্র নেতা মুজাহিদ আনসারি , সাংস্কৃতিক কর্মী মিনহাজ আহম্মেদ শাম্মু , কবি নাজনিন সিমন ,৭১ এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যুক্তরাষ্ট্র শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল স্যানাল, সাংবাদিক পিনাকী তালুকদার ,লেখক স্মৃতি ভদ্র,প্রজন্ম একাত্তুর নেতা শিবলী সাদিক, এক্টিভিষ্ট জয় তুর্য চৌধুরী প্রমূখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ৭১ এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি
যুক্তরাষ্ট্র শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বীকৃতি বড়ুয়া। অনুষ্ঠানের শুরুতে উপস্থিত সুধীজনরা শহীদ জননী জাহানারা ইমামের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক দিয়ে এবং কিছুক্ষণ নিরবতার পালনের মধ্য দিয়ে তাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তারা বলেন, শহীদ জননী জাহানারা ইমাম মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি প্রথমবারের মত বাংলাদেশে উত্থাপন করেন। ১৯৭১ এ আলবদর, আলশামস, রাজাকার বাহিনী গঠন করা গনহত্যাকারী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামি তাদের আমির হিসেবে গোলাম আজমের নাম ঘোষণা করেন- তখনই সারা দেশ আন্দোলনে ফেটে পড়ে। ১৯৯২ সালে গঠন করা হয় ৭১ এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি,তৈরি হয় গণআদালত যার নেতৃত্বে ছিলেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম। ১৯৯৪ সাথে ২৬ জুন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তার
জীবনের সমাপ্তি ঘটে। অন্য দিকে শাহরিয়ার কবিরের মুক্তি চেয়ে বক্তরা বলেন,তিনি বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য সাংবাদিক, লেখক, নির্মাতা এবং সর্বোপরি একজন আপসহীন ব্যক্তি। জেলের অভ্যন্তরে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বক্তারা মুক্তির আগ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের নিয়ম অনুযায়ী শাহরিয়ার কবিরের সাথে আচরণ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। বক্তারা আরও বলেন,তার চলাচলের জন্য হুইল চেয়ারসহ সকল চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া আইনি সহায়তার পাশাপাশি পরিবারের সদস্য এবং সহকর্মীদের সাথে শাহরিয়ার কবিরের যোগাযোগ নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়। প্রসঙ্গত, গত ১৬ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে একটি হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উল্লেখ্য, শাহরিয়ার কবির বাংলাদেশের একজন লেখক।
লেখক হিসেবে তার প্রধান পরিচয় তিনি একজন শিশুসাহিত্যিক। মানবাধিকার, সাম্যবাদ, মৌলবাদ, ইতিহাস ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ৭০টিরও বেশি বই লিখেছেন তিনি। ১৯৯৫ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন কবির। ১৯৯২ সালে শাহরিয়ার কবির একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৯৪ সালে জাহানারা ইমামের মৃত্যুর পর কমিটির সভাপতি হন তিনি।
সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদউল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত বিশ্বাস,কবি হাসান আল আব্দুল্লাহ , লেখক ও কলামিষ্ট শিতাংসু গুহ ,যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা প্রদীপ রঞ্জন কর,ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসের সাবেক প্রেস মিনিষ্টার সাজ্জাদ হোসেন, শাহরিয়ার কবীরের বন্ধু শফিকুল ইসলাম, একুশের চেতনা পরিষদ যুক্তরাষ্ট্র সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মামুন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, সাবেক ছাত্র নেতা মুজাহিদ আনসারি , সাংস্কৃতিক কর্মী মিনহাজ আহম্মেদ শাম্মু , কবি নাজনিন সিমন ,৭১ এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যুক্তরাষ্ট্র শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল স্যানাল, সাংবাদিক পিনাকী তালুকদার ,লেখক স্মৃতি ভদ্র,প্রজন্ম একাত্তুর নেতা শিবলী সাদিক, এক্টিভিষ্ট জয় তুর্য চৌধুরী প্রমূখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ৭১ এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি
যুক্তরাষ্ট্র শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বীকৃতি বড়ুয়া। অনুষ্ঠানের শুরুতে উপস্থিত সুধীজনরা শহীদ জননী জাহানারা ইমামের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক দিয়ে এবং কিছুক্ষণ নিরবতার পালনের মধ্য দিয়ে তাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তারা বলেন, শহীদ জননী জাহানারা ইমাম মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি প্রথমবারের মত বাংলাদেশে উত্থাপন করেন। ১৯৭১ এ আলবদর, আলশামস, রাজাকার বাহিনী গঠন করা গনহত্যাকারী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামি তাদের আমির হিসেবে গোলাম আজমের নাম ঘোষণা করেন- তখনই সারা দেশ আন্দোলনে ফেটে পড়ে। ১৯৯২ সালে গঠন করা হয় ৭১ এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি,তৈরি হয় গণআদালত যার নেতৃত্বে ছিলেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম। ১৯৯৪ সাথে ২৬ জুন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তার
জীবনের সমাপ্তি ঘটে। অন্য দিকে শাহরিয়ার কবিরের মুক্তি চেয়ে বক্তরা বলেন,তিনি বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য সাংবাদিক, লেখক, নির্মাতা এবং সর্বোপরি একজন আপসহীন ব্যক্তি। জেলের অভ্যন্তরে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বক্তারা মুক্তির আগ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের নিয়ম অনুযায়ী শাহরিয়ার কবিরের সাথে আচরণ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। বক্তারা আরও বলেন,তার চলাচলের জন্য হুইল চেয়ারসহ সকল চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া আইনি সহায়তার পাশাপাশি পরিবারের সদস্য এবং সহকর্মীদের সাথে শাহরিয়ার কবিরের যোগাযোগ নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়। প্রসঙ্গত, গত ১৬ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে একটি হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উল্লেখ্য, শাহরিয়ার কবির বাংলাদেশের একজন লেখক।
লেখক হিসেবে তার প্রধান পরিচয় তিনি একজন শিশুসাহিত্যিক। মানবাধিকার, সাম্যবাদ, মৌলবাদ, ইতিহাস ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ৭০টিরও বেশি বই লিখেছেন তিনি। ১৯৯৫ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন কবির। ১৯৯২ সালে শাহরিয়ার কবির একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৯৪ সালে জাহানারা ইমামের মৃত্যুর পর কমিটির সভাপতি হন তিনি।