
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

শতাধিক গাড়ির বহরের কী ব্যাখ্যা দিলেন সারজিস

দুর্নীতি-দখলে শত কোটি টাকার মালিক মাকসুদ

সড়ক-নৌ-রেলপথে ভোগান্তি নেই

‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’য় থাকবে আবু সাঈদের ২০ ফুট দীর্ঘ ভাস্কর্য

মুঘল আমলের নিদর্শন ৪৫০ বছরের গোয়ালবাথান মসজিদ

উসকানিদাতাদের গ্রেফতার করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বেতন বোনাস না দেওয়ায় ১২ কারখানা মালিকের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
দেশে বেড়েছে দারিদ্র্য ও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা

দেশে বেড়েছে দারিদ্র্যের হার। একইসঙ্গে বেড়েছে অতিদারিদ্র্যের হারও। এমনকি মানুষেরা খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) পার্সেপশন সার্ভের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে দেশে বেড়েছে দারিদ্র্য ও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা। গত বছর দেশের মানুষের অবস্থা ২০২২ সালের তুলনায় খারাপ ছিল। দেশের সবখানে দারিদ্র্যের হার সবখানে বাড়লেও রংপুরে কমেছে। তবে অতিদারিদ্র্যের হারা গোটা দেশেই বেড়েছে।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সংস্থাটির কার্যালের সম্মেলন কক্ষে এক সেমিনারে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. এ কে এনামুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে সার্ভের প্রতিবেদন তুলে ধরেন বিআইডিসের গবেষণা পরিচালক ড. মোহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস)
২০২২ সালের হাইজহোল্ড ইনকাসম অ্যান্ড এক্সপেনডিচার সার্ভের সঙ্গে বিআইডিএসের এ পার্সেপসন সার্ভের তুলনা হবে না। তবে বর্তমান মানুষের অবস্থা যে খারাপ সেটি আমরা পেয়েছি। যেটি বাস্তবতার সঙ্গে মিল রয়েছে। বিআইডিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে দেশে গরিব ছিল ২৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ২০২৪ সালে সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৪৩ শতাংশে। একইসঙ্গে অতিদারিদ্র্য মানুষের সংখ্যা ছয় দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৬৩ শতাংশে। ২০২২ সালে গ্রামে দরিদ্র মানুষের হার ছিল ২২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। ২০২৪ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২৪ দশমিক ১০ শতাংশ। একইভাবে অতিদরিদ্র মানুষের হার চার দশমিক ৯৪ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ দশমিক ৭৫ শতাংশে। শহরে দারিদ্র
মানুষের হার ২৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এছাড়া অতি দারিদ্র্যের হার ৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। বিআইডিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে ঢাকায় দারিদ্র্য হার ছিল ১৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। ২০২৪ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। খুলনায় দারিদ্র্য হার ২২ দশমিক ৩৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৬ দশমিক ৫০ শতাংশ হয়েছে। অতিদারিদ্র্যের হার তিন দশমিক ৮৩ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। সবখানে বাড়লেও রংপুরে কমেছে দারিদ্র্যের হার। ২০২২ সালে বিভাগটিতে দারিদ্র্যের হার ছিল ২৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। ২০২৪ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক
৮৩ শতাংশ। রংপুরে দারিদ্র্যের হার কমলেও বেড়েছে অতিদারিদ্র্য হার। ২০২৪ সালে অতিদারিদ্র্য হার বেড়ে হয়েছে ২৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ। সিলেটে দারিদ্র্য হার ২৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ। অতিদারিদ্র্যের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সার্ভেতে অংশ নেওয়া পরিবারগুলোর মধ্যে ২০২২ সালে খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় ভুগতো ৩৮ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। তা বেড়ে ২০২৪ সালে দাঁড়িয়েছে ৪৬ দশমিক তিন শতাংশ।
২০২২ সালের হাইজহোল্ড ইনকাসম অ্যান্ড এক্সপেনডিচার সার্ভের সঙ্গে বিআইডিএসের এ পার্সেপসন সার্ভের তুলনা হবে না। তবে বর্তমান মানুষের অবস্থা যে খারাপ সেটি আমরা পেয়েছি। যেটি বাস্তবতার সঙ্গে মিল রয়েছে। বিআইডিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে দেশে গরিব ছিল ২৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ২০২৪ সালে সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৪৩ শতাংশে। একইসঙ্গে অতিদারিদ্র্য মানুষের সংখ্যা ছয় দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৬৩ শতাংশে। ২০২২ সালে গ্রামে দরিদ্র মানুষের হার ছিল ২২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। ২০২৪ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২৪ দশমিক ১০ শতাংশ। একইভাবে অতিদরিদ্র মানুষের হার চার দশমিক ৯৪ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ দশমিক ৭৫ শতাংশে। শহরে দারিদ্র
মানুষের হার ২৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এছাড়া অতি দারিদ্র্যের হার ৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। বিআইডিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে ঢাকায় দারিদ্র্য হার ছিল ১৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। ২০২৪ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। খুলনায় দারিদ্র্য হার ২২ দশমিক ৩৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৬ দশমিক ৫০ শতাংশ হয়েছে। অতিদারিদ্র্যের হার তিন দশমিক ৮৩ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। সবখানে বাড়লেও রংপুরে কমেছে দারিদ্র্যের হার। ২০২২ সালে বিভাগটিতে দারিদ্র্যের হার ছিল ২৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। ২০২৪ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক
৮৩ শতাংশ। রংপুরে দারিদ্র্যের হার কমলেও বেড়েছে অতিদারিদ্র্য হার। ২০২৪ সালে অতিদারিদ্র্য হার বেড়ে হয়েছে ২৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ। সিলেটে দারিদ্র্য হার ২৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ। অতিদারিদ্র্যের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সার্ভেতে অংশ নেওয়া পরিবারগুলোর মধ্যে ২০২২ সালে খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় ভুগতো ৩৮ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। তা বেড়ে ২০২৪ সালে দাঁড়িয়েছে ৪৬ দশমিক তিন শতাংশ।