
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

মশা নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ

ইসির প্রস্তাবে একমত বিএনপি পরিবর্তন চায় টিআইবি

খুলনায় ইসলামী ব্যাংকের ভিতর গ্রাহক নির্যাতনে তোলপাড়

জলবায়ুজনিত অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ বছরে ২.৩ ট্রিলিয়ন ডলার

গভীর রাতে ফেনী সংলগ্ন ভারতের সীমানায় বিএসএফের গুলিতে নিহত ২, আহত ১

চিরনিদ্রায় শায়িত রাইসা মনি, এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে নিহত শিক্ষিকা মাসুকার কবরে বিমান বাহিনীর শ্রদ্ধা
দেশে বিনিয়োগে ধস: থমকে যাওয়া শিল্প খাতের উদ্যোক্তারা হতাশ

বাংলাদেশের শিল্প খাত এক কঠিন সন্ধিক্ষণের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নতুন শিল্প স্থাপন বা কারখানা সম্প্রসারণে উদ্যোক্তাদের আগ্রহ দ্রুত কমে যাচ্ছে। আগে যারা স্বপ্ন দেখতেন নতুন মেশিন আনার, রপ্তানির বাজার বাড়ানোর তারাই এখন ব্যাংকের কিস্তি মেটানো নিয়েই দুশ্চিন্তায়। ডলার সংকট, উচ্চ সুদের হার এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা এ অবস্থাকে আরও গভীর করছে। তাছাড়া রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণেও এই সমস্যা প্রকট হয়ে ওঠছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি প্রায় ২০ শতাংশ কমে গেছে, যা ভবিষ্যতের শিল্প উৎপাদন ও কর্মসংস্থানের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। একই সঙ্গে ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদের হার (১৩-১৬%) উদ্যোক্তাদের নতুন বিনিয়োগ থেকে দূরে রাখছে।
ফলে উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে, পণ্যের দাম বাড়ছে, আর ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছেন। অন্যদিকে রপ্তানি নির্ভর অর্থনীতিও যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধির কারণে ঝূঁকিতে আছে। যুক্তরাষ্ট্রমুখী পোশাক রপ্তানি বর্তমানে বড় ঝুঁকির মুখে দেশ। ট্রাম্প প্রশাসনের সম্ভাব্য ৩৫% শুল্ক আরোপের আশঙ্কায় ১ হাজার ৩২২টি কারখানা এবং প্রায় ১৪ লাখ শ্রমিক অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন। ওয়ালমার্টের মতো বড় ক্রেতা ইতিমধ্যে অর্ডার স্থগিত করেছে। বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ নেতারা বলছেন, আলোচনায় দেরি ও শুল্ক সুবিধা হারানোর কারণে বড় বিপদে পড়তে পারে গার্মেন্টস খাত। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া বিনিয়োগ সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাজনৈতিক অভিভাবকহীন দেশ। বর্তমান অন্তবর্তর্তী সরকার ব্যবসায়ীদের নানাভাবে হয়রানি করছে। মব
লেলিয়ে দিচ্ছে। কারখানা দখল, পোড়ানোসহ নানা ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়েছেন। অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের মতে, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং উদ্যোক্তাদের অর্থায়নের সুযোগ বাড়ানো এখন জরুরি হয়ে পড়লেও সরকার এসব বাদ দিয়ে নিজেদের টিকিয়ে রাখার ফন্দি ফিকির করছে। যার ফলে শিল্পোৎপাদন হ্রাস, বেকারত্ব বৃদ্ধি এবং সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিতে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। ঢাকার বাইরের জেলাগুলোর মধ্যে ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, নড়াইলে ক্ষুদ্র শিল্পের ধস স্পষ্ট হয়ে ওঠছে। নতুন উদ্যোক্তা আসছে না, বিসিকের তথ্য অনুযায়ী, প্লট বরাদ্দ কমেছে ৩৫%। সিএমএসএমই খাতও সংকটে পড়েছে মূলধন সংকট, জ্বালানি সমস্যা ও বাজার অনিশ্চয়তার কারণে। শুধু ছোট উদ্যোক্তা নয়,
বড় কর্পোরেট গ্রুপগুলোর অবস্থাও নাজুক। উৎপাদন খরচ বেড়েছে, রপ্তানি আদেশ কমেছে, ফলে তারা লোকবল ছাঁটাই, উৎপাদন কমানো এবং বিনিয়োগ স্থগিতের পথে হাঁটছে। প্রাণ গ্রুপ, ক্রাউন সিমেন্টসহ অনেক প্রতিষ্ঠানই ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, গত ৮ মাসে কোনো চীনা গার্মেন্টস কারখানা, স্পিনিং মিল বা বিদেশি পার্টনারশিপ হয়েছে এমন উদাহরণ নেই। গ্যাস, বিদ্যুৎ সংকট এবং ক্রমবর্ধমান ব্যবসায়িক ব্যয় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এছাড়াও দেশের বিশিষ্টজনদের বাদ দিয়ে ইউনূস সরকার বিদেশি নাগরিকদের নিয়ে এসে দায়িত্ব দেওয়ায় তারা কেবল বিদেশিদের তোষণেরই চেষ্টা করছে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা
খাতুন বলেছেন, বর্তমানে অন্তত ২০-২৫ শতাংশ উদ্যোক্তা ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছেন, যা দেশের জন্য মারাত্মক সংকেত। ব্যাংকিং খাতে সংস্কার, রাজনৈতিক ঐকমত্য, স্বচ্ছতা এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহায়তায় বাস্তবমুখী পদক্ষেপ জরুরি। নরসিংদী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি রাশিদুল হাসান বলেন, ‘শিল্পের স্বপ্ন বাঁচাতে হলে সুদের হার নিয়ন্ত্রণ, জ্বালানির স্থিতিশীল সরবরাহ এবং সাপ্লাই চেইনে গতি ফিরিয়ে আনতে হবে।’
ফলে উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে, পণ্যের দাম বাড়ছে, আর ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছেন। অন্যদিকে রপ্তানি নির্ভর অর্থনীতিও যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধির কারণে ঝূঁকিতে আছে। যুক্তরাষ্ট্রমুখী পোশাক রপ্তানি বর্তমানে বড় ঝুঁকির মুখে দেশ। ট্রাম্প প্রশাসনের সম্ভাব্য ৩৫% শুল্ক আরোপের আশঙ্কায় ১ হাজার ৩২২টি কারখানা এবং প্রায় ১৪ লাখ শ্রমিক অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন। ওয়ালমার্টের মতো বড় ক্রেতা ইতিমধ্যে অর্ডার স্থগিত করেছে। বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ নেতারা বলছেন, আলোচনায় দেরি ও শুল্ক সুবিধা হারানোর কারণে বড় বিপদে পড়তে পারে গার্মেন্টস খাত। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া বিনিয়োগ সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাজনৈতিক অভিভাবকহীন দেশ। বর্তমান অন্তবর্তর্তী সরকার ব্যবসায়ীদের নানাভাবে হয়রানি করছে। মব
লেলিয়ে দিচ্ছে। কারখানা দখল, পোড়ানোসহ নানা ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়েছেন। অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের মতে, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং উদ্যোক্তাদের অর্থায়নের সুযোগ বাড়ানো এখন জরুরি হয়ে পড়লেও সরকার এসব বাদ দিয়ে নিজেদের টিকিয়ে রাখার ফন্দি ফিকির করছে। যার ফলে শিল্পোৎপাদন হ্রাস, বেকারত্ব বৃদ্ধি এবং সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিতে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। ঢাকার বাইরের জেলাগুলোর মধ্যে ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, নড়াইলে ক্ষুদ্র শিল্পের ধস স্পষ্ট হয়ে ওঠছে। নতুন উদ্যোক্তা আসছে না, বিসিকের তথ্য অনুযায়ী, প্লট বরাদ্দ কমেছে ৩৫%। সিএমএসএমই খাতও সংকটে পড়েছে মূলধন সংকট, জ্বালানি সমস্যা ও বাজার অনিশ্চয়তার কারণে। শুধু ছোট উদ্যোক্তা নয়,
বড় কর্পোরেট গ্রুপগুলোর অবস্থাও নাজুক। উৎপাদন খরচ বেড়েছে, রপ্তানি আদেশ কমেছে, ফলে তারা লোকবল ছাঁটাই, উৎপাদন কমানো এবং বিনিয়োগ স্থগিতের পথে হাঁটছে। প্রাণ গ্রুপ, ক্রাউন সিমেন্টসহ অনেক প্রতিষ্ঠানই ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, গত ৮ মাসে কোনো চীনা গার্মেন্টস কারখানা, স্পিনিং মিল বা বিদেশি পার্টনারশিপ হয়েছে এমন উদাহরণ নেই। গ্যাস, বিদ্যুৎ সংকট এবং ক্রমবর্ধমান ব্যবসায়িক ব্যয় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এছাড়াও দেশের বিশিষ্টজনদের বাদ দিয়ে ইউনূস সরকার বিদেশি নাগরিকদের নিয়ে এসে দায়িত্ব দেওয়ায় তারা কেবল বিদেশিদের তোষণেরই চেষ্টা করছে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা
খাতুন বলেছেন, বর্তমানে অন্তত ২০-২৫ শতাংশ উদ্যোক্তা ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছেন, যা দেশের জন্য মারাত্মক সংকেত। ব্যাংকিং খাতে সংস্কার, রাজনৈতিক ঐকমত্য, স্বচ্ছতা এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহায়তায় বাস্তবমুখী পদক্ষেপ জরুরি। নরসিংদী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি রাশিদুল হাসান বলেন, ‘শিল্পের স্বপ্ন বাঁচাতে হলে সুদের হার নিয়ন্ত্রণ, জ্বালানির স্থিতিশীল সরবরাহ এবং সাপ্লাই চেইনে গতি ফিরিয়ে আনতে হবে।’