দেশের ৫১২ রেলস্টেশনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল: মাদক-অস্ত্র পাচারের সহজ পথ – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ৩ নভেম্বর, ২০২৫
     ৭:১৭ পূর্বাহ্ণ

দেশের ৫১২ রেলস্টেশনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল: মাদক-অস্ত্র পাচারের সহজ পথ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৩ নভেম্বর, ২০২৫ | ৭:১৭ 16 ভিউ
বাংলাদেশের ৫১২টি রেলস্টেশনে এখনো কার্যকর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। লাগেজ স্ক্যানার, মেটাল ডিটেক্টর গেট এবং পর্যাপ্ত রেল পুলিশের অভাবে এসব স্টেশন মাদক, অস্ত্র ও নিষিদ্ধ পণ্য পাচারের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। চিহ্নিত অপরাধী চক্রগুলো সহজেই এ পথ ব্যবহার করছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের সর্বশেষ তথ্যমতে, পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলে মোট ৫১৫টি স্টেশন রয়েছে। এর মধ্যে ৫১২টিতে কোনো স্ক্যানার বা গেট স্থাপন করা হয়নি। বর্তমানে চার শতাধিক স্টেশন সক্রিয়। কমলাপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে স্ক্যানার থাকলেও সেগুলো নিয়মিত চালু থাকে না। কক্সবাজার আইকনিক স্টেশনে গত ৪ আগস্ট স্ক্যানার বসানোর মাত্র দুই ঘণ্টা পরই তা অচল হয়ে যায়। রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, জনবল ও কারিগরি ত্রুটির

কারণে যন্ত্রটি বন্ধ। স্টেশনমাস্টার গোলাম রব্বানী বলেন, ঢাকা থেকে প্রকৌশলী দল এলে মঙ্গলবারের মধ্যে চালু হতে পারে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম বলেন, “উন্মুক্ত স্টেশনগুলোতে শুধু যন্ত্র বসালেই নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় না। একসেস কন্ট্রোল সিস্টেম চালু করে ধাপে ধাপে ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে।” সূত্র জানায়, অধিকাংশ স্টেশনে সীমানা প্রাচীর নেই, নিয়মিত তল্লাশি হয় না। ফলে ট্রেন ও প্ল্যাটফর্মে নজরদারির অভাবে মাদক, অস্ত্র ও বিস্ফোরক পরিবহন সহজ হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি বিমানবন্দর রেলস্টেশনে বনলতা এক্সপ্রেস থেকে ৮টি বিদেশি পিস্তল, ১৬টি ম্যাগাজিন, ২৬ রাউন্ড গুলি, ২ কেজি গানপাউডার ও ২ কেজি প্লাস্টিক বিস্ফোরক উদ্ধার করে সেনাবাহিনী-গোয়েন্দা যৌথ দল। এ ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার। এর আগে

ভৈরব ও কমলাপুরেও একাধিকবার অস্ত্রসহ আটকের ঘটনা ঘটেছে। রেলওয়ে পুলিশ জানায়, জনবল সংকটে তারা হিমশিম খাচ্ছে। ঢাকা রেলওয়ে জোনের পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, “৪৫০ জনের ফোর্স নিয়ে ১০ জেলার দায়িত্ব পালন কঠিন। অতিরিক্ত ৭০০ জনবলের প্রস্তাব এক বছর ধরে ঝুলছে।” ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: জেলায় ৭০ কিলোমিটার রেলপথে ১৫টি স্টেশন রয়েছে, দুটি বন্ধ। আখাউড়া জংশনসহ কয়েকটি আধুনিকায়ন হলেও নিরাপত্তায় কোনো উন্নতি নেই। পুলিশের লোকবল কম থাকায় ছিনতাই-চুরি বেড়েছে। সম্প্রতি মেঘনা সেতু এলাকায় স্থানীয় সংগঠন ‘ঐক্যবদ্ধ আখাউড়া’ ও ‘ঐক্যবদ্ধ আশুগঞ্জ’ কয়েকজন ছিনতাইকারী আটক করে। আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, “ফোর্স সীমিত, দায়িত্ব বিশাল। ফোর্স বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। কসবা ও আজমপুরে

নতুন ফাঁড়ি স্থাপনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।”

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
জাতীয় চার নেতার অবদান ও জেলহত্যা দিবস নিয়ে স্মৃতিচারণ বিটিএমএ সভাপতি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল উন্মাদের মতো কথা বলেন গয়েশ্বরের হুঁশিয়ারি: বিএনপি মাঠে নামলে ইউনূস সরকার টিকবে কিনা সন্দেহ ঘরের কাজ করতে হলে যুবদলকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে দেশের ৫১২ রেলস্টেশনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল: মাদক-অস্ত্র পাচারের সহজ পথ ঝিনাইদহে জামায়াত কার্যালয়ে সরকারি প্রণোদনার সার ও বীজের গোপন মজুদ! ইউএনডিপি-কে নির্বাচন সহায়তা স্থগিতের আহ্বান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিরপেক্ষতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ শীত কবে আসছে, জানাল আবহাওয়া অফিস নানা সংকটে রিক্রুটিং এজেন্সি, হুমকির মুখে শ্রম রপ্তানি খুলনায় বিএনপি অফিসে গুলি-বোমা হামলা, নিহত ১ প্রোটিয়াদের হারিয়ে বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলল ভারত সৌদিতে ব্যাপক ধরপাকড়, এক সপ্তাহেই ২১ হাজারের বেশি গ্রেপ্তার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ ভিউ বাড়াতে রাম দা হাতে ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট শিক্ষকের আ.লীগ ও জাপার ৯ নেতা কারাগারে ভারতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ১৫ হলিউডে নতুন প্রেমের গুঞ্জন নৌকা উপহার পেলেন সড়ক উপদেষ্টা, কী করবেন পরামর্শ চাইলেন মধ্যপ্রাচ্যে হস্তক্ষেপমূলক নীতি থেকে সরছে যুক্তরাষ্ট্র: তুলসি গ্যাবার্ড; ট্রাম্পের ফোকাস অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ৯ হাজার তরুণকে ‘প্যারামিলিটারী’ ধাঁচের প্রশিক্ষণ: আশঙ্কা ‘গোপনে রিজার্ভ বাহিনী’ গড়ার চেষ্টা!