
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

নিম্নচাপে উত্তাল বঙ্গোপসাগর, ঘাটে ফিরছে শূন্য ট্রলার

নতুন পে স্কেলে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কবে থেকে, যা জানা গেল

১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ

রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন সহায়তা ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের

ইসলামাবাদে নিজস্ব ভবনে কার্যক্রম শুরু করলো বাংলাদেশ হাইকমিশন

রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান মিয়ানমারেই নিহিত: ইউএনএইচসিআর প্রধান

নতুন পে-স্কেল কার্যকর হলে বেতন বাড়বে যে হারে
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্যতম নির্বাচন দেবে ইউনূস

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তীব্র সমালোচনা ও উদ্বেগ প্রকাশ পেয়েছে। জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ, বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে আয়োজিত নির্বাচন দেশের ইতিহাসে “সবচেয়ে জঘন্যতম” হতে পারে। এই নির্বাচনকে একতরফা ও “আমি-ডামি” নির্বাচন হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে, যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অভাব রয়েছে।
মোস্তফা ফিরোজ, সালাহউদ্দিন আহমদের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “বিগত নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছিল। এতগুলো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে যে নির্বাচন হবে, সেটা কি গ্রহণযোগ্য হবে? তাহলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে কীভাবে? এটা তো আরেক অর্থে আমি-ডামি নির্বাচনের মতো হবে।” তিনি আরও যোগ করেন, “একটা
যুক্তি দেওয়া হচ্ছে ফ্যাসিবাদের দোসর। কিন্তু ভেতরের যুক্তিটা হলো, প্রতিদ্বন্দ্বী যতগুলো সরানো যায়, তাহলে নির্বাচনে সুবিধা হবে। তারা কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী রাখতে চায় না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “নিষিদ্ধ যদি চাইতেই হয়, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে ২৮টি দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বা দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তাহলে নির্বাচনটা কাদের নিয়ে হবে? যারা নিষিদ্ধ করার দাবি করছে, তারা যদি পরে বলে আমরাও নির্বাচন করব না, তাহলে এ দেশে নির্বাচন কী হবে? তাদের এই দাবির পেছনে ভিন্ন উদ্দেশ্য থাকতে পারে।” এই পরিস্থিতিতে, ফিরোজ সতর্ক করে বলেন, “রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার এই প্রক্রিয়া ভবিষ্যতে গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক নজির স্থাপন করবে। এটা ৫-১০ বছর
পরে রেফারেন্স হিসেবে কাজ করবে, যা গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত।” মোস্তফা ফিরোজ আরও বলেন, “দেশে যদি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত না হয়, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত না হয়, তাহলে দেশে একটা সাংবিধানিক শূন্যতা বিরাজ করবে। এই শূন্যতার মধ্যে জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হবে, আর তখন ফ্যাসিবাদ সুযোগ নেবে। এর ফলে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শক্তিগুলো জড়িত হতে পারে।” বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা এই নির্বাচনকে “একতরফা” ও “প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন” বলে সমালোচনা করেছেন। তারা দাবি করেন, “বিরোধী দলহীন এই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক দেখানোর অপচেষ্টা হিসেবে ‘আমি আর ডামি’ নির্বাচনী তামাশা দেশবাসী ধরে ফেলেছে। ফলে ভোটের মাঠে জনগণের কোনো অংশগ্রহণ নেই।” তারা আরও বলেন, “সরকার চালাকি করে জনগণকে ধোঁকা দিতে গিয়ে
নিজেরাই ফাঁদে পড়েছে।” নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীর বলেন, “এক ধরনের সংশয় তৈরি হয়েছে, যা প্রধানত সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর কারণে। নির্বাচন সরকার ব্যবস্থা করবে, রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নেবে, আর জনগণ ভোট দেবে। কিন্তু জনগণের নীতি প্রণয়নের কোনো সুযোগ নেই।” তিনি আরও বলেন, “গত বছরের আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের পতনের পর গণতান্ত্রিক রূপান্তরের যাত্রা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ও কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে ভুল হয়েছে।” কবীর আরও বলেন, “ইউনূস সরকারের তিনটি প্রধান কাজ ছিল: গত বছরের আগস্টে স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের হত্যাকাণ্ডের বিচার, সাংবিধানিক ও আইনি সংস্কার, এবং নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর। কিন্তু সরকারের ধীরগতি ও দায়িত্বহীনতার কারণে এই প্রক্রিয়া ব্যাহত
হচ্ছে।” মোস্তফা ফিরোজ গণমাধ্যমের বর্তমান অবস্থা নিয়ে বলেন, “গত এক বছরে গণমাধ্যম মুক্ত করার কোনো উদ্যোগ দেখিনি। মিডিয়া আরও ভীত-সন্ত্রস্ত হয়েছে। কিছু চ্যানেল মবের শিকার হয়েছে, ফলে সবাই সংকুচিত হয়ে গেছে।” তিনি আরও বলেন, “গণমাধ্যম এখন সেলফ-সেন্সরশিপে চলে গেছে। তারা ভয়ে কাউকে ডাকতে সাহস পায় না, কারণ উপদেষ্টার অফিস থেকে ফোন আসতে পারে।” তিনি আরও সমালোচনা করে বলেন, “চ্যানেলগুলো এখন জাতীয় পার্টির মতো হয়ে গেছে। তারা ক্ষমতা ছাড়া বাঁচতে পারে না। শেখ হাসিনার আমলে এই চ্যানেলগুলোর অবস্থা এমন হয়েছে যে, তারা শুধু ক্ষমতা খোঁজে।” আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ পাচ্ছে। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধকরণ, প্রতিদ্বন্দ্বিতার অভাব,
সহিংসতা, এবং গণমাধ্যমের সংকোচনের মতো বিষয়গুলো গণতন্ত্রের ভিত্তিকে দুর্বল করছে। জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া এই নির্বাচন কতটা গ্রহণযোগ্য হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বশীলতা ও সংস্কার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি এখন দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
যুক্তি দেওয়া হচ্ছে ফ্যাসিবাদের দোসর। কিন্তু ভেতরের যুক্তিটা হলো, প্রতিদ্বন্দ্বী যতগুলো সরানো যায়, তাহলে নির্বাচনে সুবিধা হবে। তারা কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী রাখতে চায় না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “নিষিদ্ধ যদি চাইতেই হয়, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে ২৮টি দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বা দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তাহলে নির্বাচনটা কাদের নিয়ে হবে? যারা নিষিদ্ধ করার দাবি করছে, তারা যদি পরে বলে আমরাও নির্বাচন করব না, তাহলে এ দেশে নির্বাচন কী হবে? তাদের এই দাবির পেছনে ভিন্ন উদ্দেশ্য থাকতে পারে।” এই পরিস্থিতিতে, ফিরোজ সতর্ক করে বলেন, “রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার এই প্রক্রিয়া ভবিষ্যতে গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক নজির স্থাপন করবে। এটা ৫-১০ বছর
পরে রেফারেন্স হিসেবে কাজ করবে, যা গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত।” মোস্তফা ফিরোজ আরও বলেন, “দেশে যদি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত না হয়, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত না হয়, তাহলে দেশে একটা সাংবিধানিক শূন্যতা বিরাজ করবে। এই শূন্যতার মধ্যে জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হবে, আর তখন ফ্যাসিবাদ সুযোগ নেবে। এর ফলে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শক্তিগুলো জড়িত হতে পারে।” বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা এই নির্বাচনকে “একতরফা” ও “প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন” বলে সমালোচনা করেছেন। তারা দাবি করেন, “বিরোধী দলহীন এই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক দেখানোর অপচেষ্টা হিসেবে ‘আমি আর ডামি’ নির্বাচনী তামাশা দেশবাসী ধরে ফেলেছে। ফলে ভোটের মাঠে জনগণের কোনো অংশগ্রহণ নেই।” তারা আরও বলেন, “সরকার চালাকি করে জনগণকে ধোঁকা দিতে গিয়ে
নিজেরাই ফাঁদে পড়েছে।” নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীর বলেন, “এক ধরনের সংশয় তৈরি হয়েছে, যা প্রধানত সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর কারণে। নির্বাচন সরকার ব্যবস্থা করবে, রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নেবে, আর জনগণ ভোট দেবে। কিন্তু জনগণের নীতি প্রণয়নের কোনো সুযোগ নেই।” তিনি আরও বলেন, “গত বছরের আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের পতনের পর গণতান্ত্রিক রূপান্তরের যাত্রা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ও কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে ভুল হয়েছে।” কবীর আরও বলেন, “ইউনূস সরকারের তিনটি প্রধান কাজ ছিল: গত বছরের আগস্টে স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের হত্যাকাণ্ডের বিচার, সাংবিধানিক ও আইনি সংস্কার, এবং নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর। কিন্তু সরকারের ধীরগতি ও দায়িত্বহীনতার কারণে এই প্রক্রিয়া ব্যাহত
হচ্ছে।” মোস্তফা ফিরোজ গণমাধ্যমের বর্তমান অবস্থা নিয়ে বলেন, “গত এক বছরে গণমাধ্যম মুক্ত করার কোনো উদ্যোগ দেখিনি। মিডিয়া আরও ভীত-সন্ত্রস্ত হয়েছে। কিছু চ্যানেল মবের শিকার হয়েছে, ফলে সবাই সংকুচিত হয়ে গেছে।” তিনি আরও বলেন, “গণমাধ্যম এখন সেলফ-সেন্সরশিপে চলে গেছে। তারা ভয়ে কাউকে ডাকতে সাহস পায় না, কারণ উপদেষ্টার অফিস থেকে ফোন আসতে পারে।” তিনি আরও সমালোচনা করে বলেন, “চ্যানেলগুলো এখন জাতীয় পার্টির মতো হয়ে গেছে। তারা ক্ষমতা ছাড়া বাঁচতে পারে না। শেখ হাসিনার আমলে এই চ্যানেলগুলোর অবস্থা এমন হয়েছে যে, তারা শুধু ক্ষমতা খোঁজে।” আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ পাচ্ছে। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধকরণ, প্রতিদ্বন্দ্বিতার অভাব,
সহিংসতা, এবং গণমাধ্যমের সংকোচনের মতো বিষয়গুলো গণতন্ত্রের ভিত্তিকে দুর্বল করছে। জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া এই নির্বাচন কতটা গ্রহণযোগ্য হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বশীলতা ও সংস্কার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি এখন দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।