
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি গ্রেপ্তার

সোমবার ঢাকায় বসছে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সম্মেলন

গণপিটুনিতে মৃত্যু ঘিরে দেশজুড়ে উৎকণ্ঠা

ঘুষকাণ্ডে জামায়াতের আইনজীবীর সনদ স্থগিত

লাশ হয়ে ফেরা সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের বাসায় শোকের মাতম

আমাকেও বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে: অমর্ত্য সেন

আঘাতের চিহ্ন নেই সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহে, স্বজনের কাছে হস্তান্তর
দেশজুড়ে দখল–চাঁদাবাজি নতুন বন্দোবস্তের জন্য অশনি সংকেত: টিআইবি

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলেছে, দেশের কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর একাংশের ক্ষমতার অপব্যবহার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। তাদের এমন আচরণ কর্তৃত্ববাদের পতনে সৃষ্ট নতুন বন্দোবস্তের জন্য অশনিসংকেত। রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করেছে সংস্থাটি।
বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘কর্তৃত্ববাদ পতনের পরিপ্রেক্ষিতে গত এক বছরে সবচেয়ে প্রভাবশালী বলে বিবেচিত রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর একাংশের কার্যক্রম আগের আমলের সরকারি দলের বহুমুখী ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বার্থসিদ্ধিমূলক অসুস্থ চর্চার প্রতিচ্ছবি।’
বিবৃতিতে সই করেন টিআইবির পরিচালক (আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, কর্তৃত্ববাদের পতনের পর থেকেই দেশজুড়ে বহুমাত্রিক দলবাজি, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট,
মামলা বাণিজ্য, গ্রেপ্তার বাণিজ্য, জামিন বাণিজ্য, ট্যাগ বাণিজ্য ও দলীয় আধিপত্যকেন্দ্রিক সহিংসতা শুরু হয়েছে, যা ‘নতুন বাংলাদেশে’ বা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য অশনিসংকেত। এতে বলা হয়, রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরে গণতান্ত্রিক চর্চা, নৈতিকতা ও জবাবদিহিমূলক চর্চা প্রতিষ্ঠায় করণীয় নিয়ে আত্মজিজ্ঞাসার এখনই সময়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মুখে সংস্কারের কথা বললেও আধিপত্য, দখল ও চাঁদাবাজির সংস্কৃতি অব্যাহত থাকায় ‘নতুন বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার গণআকাঙ্ক্ষা পদদলিত হচ্ছে। কর্তৃত্ববাদের পতনে মৌলিক পরিবর্তনের সুযোগ সৃষ্টি হলেও ‘এবার আমাদের পালা’– এমন মানসিকতা সুস্থ রাজনৈতিক বিকাশের সম্ভাবনার পথে আত্মঘাতী প্রতিরোধ সৃষ্টি করছে। নির্বাহী পরিচালক বলেন, ক্ষমতাপ্রত্যাশী ও প্রভাবশালী দলগুলোর নেতাকর্মীর একাংশের সরাসরি এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে পারস্পরিক যোগসাজশে
দুর্বৃত্তায়িত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড আবারও স্বাভাবিকতায় পরিণত হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে পতিত রাজনৈতিক শক্তিও যুক্ত থাকছে। প্রথাগত দলবাজি, দখলবাজি ও পদবাণিজ্যের কারণে সহিংস দলীয় কোন্দল স্থানীয় পর্যায়ে হরতাল ঘোষণার মতো বিরল দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে দেখা গেছে। টিআইবির ভাষ্য, দাবি আদায়ে বলপ্রয়োগের পাশাপাশি কোনো কোনো ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ও বিচ্ছিন্নভাবে অতিক্ষমতায়িত শক্তির সম্পৃক্ততায় তথাকথিত ‘মবতন্ত্রের’ মুখোশে সংখ্যালঘু, জেন্ডারভিত্তিক, আদিবাসী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার হরণ, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রয়াসের বিরুদ্ধে বীভৎস আঘাত, ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের ওপর নির্মম আক্রমণের অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে হয়েছে দেশবাসীকে। সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীর একাংশের দায়িত্বহীনতা, স্বার্থসিদ্ধির জন্য উঠেপড়ে লাগা, অভ্যন্তরীণ জবাবদিহি ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উদ্বেগজনক ঘাটতির কথা উল্লেখ করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন,
যদিও সংশ্লিষ্ট দলগুলোর উচ্চ পর্যায় থেকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাবধান করা থেকে শুরু করে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাংগঠনিক পদক্ষেপও গৃহীত হচ্ছে। কিন্তু এসবের কার্যকর প্রতিকারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রশাসন বরাবরের মতো ব্যর্থতার পাশাপাশি অনেক ক্ষেত্রে সহায়কের ভূমিকা পালন করছে। আবার রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রতিরোধ ও সংশোধনমূলক কৌশল নিতে দেখা যাচ্ছে না। টিআইবি বলেছে, কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনের সঙ্গে সঙ্গেই জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে স্থানীয় নেতাকর্মীর অনেকেই দখলদারি, চাঁদাবাজি, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারে লিপ্ত হয়েছেন, প্রতিনিয়ত এর মাত্রা বাড়ছে। ‘এবার আমাদের পালা’– এই সংস্কৃতিতে লিপ্ত হয়ে দলগুলোর পাশাপাশি সরকার, প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অংশীদারিত্বের দৃষ্টান্ত পুনরুজ্জীবিত করেছেন। পরিবহন টার্মিনাল, খনিজ
সম্পদ, সেতু, বাজার, জলমহাল দখল ও চাঁদাবাজির চক্রের পুনরুত্থানও রাজনৈতিক অঙ্গনে অতীতের কর্তৃত্ববাদী শাসনের দুঃশাসনের ধারাবাহিকতাকে জিইয়ে রাখছে। টিআইবি বলছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে সৃষ্ট নতুন দল সুশাসন, স্বচ্ছতা ও দুর্নীতিমুক্ত রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্বের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বাস্তবে তাদের নেতাকর্মীর একাংশও চাঁদাবাজিসহ নানাবিধ অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে স্বার্থান্বেষী ও দুর্বৃত্তায়িত রাজনৈতিক চর্চাকেই রোল মডেল গ্রহণের আত্মঘাতী পথ বেছে নিয়েছে। ড. ইফতেখারুজ্জামান হুঁশিয়ার করে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি নিজেদের অভ্যন্তরীণ জবাবদিহি, নৈতিক চর্চা ও গণতান্ত্রিক পরিচালন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে ঐতিহাসিক জুলাই আন্দোলনে শহীদ, আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের তথা আপামর জনগণের হতাশা বাড়বে।
মামলা বাণিজ্য, গ্রেপ্তার বাণিজ্য, জামিন বাণিজ্য, ট্যাগ বাণিজ্য ও দলীয় আধিপত্যকেন্দ্রিক সহিংসতা শুরু হয়েছে, যা ‘নতুন বাংলাদেশে’ বা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য অশনিসংকেত। এতে বলা হয়, রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরে গণতান্ত্রিক চর্চা, নৈতিকতা ও জবাবদিহিমূলক চর্চা প্রতিষ্ঠায় করণীয় নিয়ে আত্মজিজ্ঞাসার এখনই সময়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মুখে সংস্কারের কথা বললেও আধিপত্য, দখল ও চাঁদাবাজির সংস্কৃতি অব্যাহত থাকায় ‘নতুন বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার গণআকাঙ্ক্ষা পদদলিত হচ্ছে। কর্তৃত্ববাদের পতনে মৌলিক পরিবর্তনের সুযোগ সৃষ্টি হলেও ‘এবার আমাদের পালা’– এমন মানসিকতা সুস্থ রাজনৈতিক বিকাশের সম্ভাবনার পথে আত্মঘাতী প্রতিরোধ সৃষ্টি করছে। নির্বাহী পরিচালক বলেন, ক্ষমতাপ্রত্যাশী ও প্রভাবশালী দলগুলোর নেতাকর্মীর একাংশের সরাসরি এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে পারস্পরিক যোগসাজশে
দুর্বৃত্তায়িত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড আবারও স্বাভাবিকতায় পরিণত হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে পতিত রাজনৈতিক শক্তিও যুক্ত থাকছে। প্রথাগত দলবাজি, দখলবাজি ও পদবাণিজ্যের কারণে সহিংস দলীয় কোন্দল স্থানীয় পর্যায়ে হরতাল ঘোষণার মতো বিরল দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে দেখা গেছে। টিআইবির ভাষ্য, দাবি আদায়ে বলপ্রয়োগের পাশাপাশি কোনো কোনো ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ও বিচ্ছিন্নভাবে অতিক্ষমতায়িত শক্তির সম্পৃক্ততায় তথাকথিত ‘মবতন্ত্রের’ মুখোশে সংখ্যালঘু, জেন্ডারভিত্তিক, আদিবাসী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার হরণ, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রয়াসের বিরুদ্ধে বীভৎস আঘাত, ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের ওপর নির্মম আক্রমণের অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে হয়েছে দেশবাসীকে। সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীর একাংশের দায়িত্বহীনতা, স্বার্থসিদ্ধির জন্য উঠেপড়ে লাগা, অভ্যন্তরীণ জবাবদিহি ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উদ্বেগজনক ঘাটতির কথা উল্লেখ করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন,
যদিও সংশ্লিষ্ট দলগুলোর উচ্চ পর্যায় থেকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাবধান করা থেকে শুরু করে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাংগঠনিক পদক্ষেপও গৃহীত হচ্ছে। কিন্তু এসবের কার্যকর প্রতিকারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রশাসন বরাবরের মতো ব্যর্থতার পাশাপাশি অনেক ক্ষেত্রে সহায়কের ভূমিকা পালন করছে। আবার রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রতিরোধ ও সংশোধনমূলক কৌশল নিতে দেখা যাচ্ছে না। টিআইবি বলেছে, কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনের সঙ্গে সঙ্গেই জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে স্থানীয় নেতাকর্মীর অনেকেই দখলদারি, চাঁদাবাজি, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারে লিপ্ত হয়েছেন, প্রতিনিয়ত এর মাত্রা বাড়ছে। ‘এবার আমাদের পালা’– এই সংস্কৃতিতে লিপ্ত হয়ে দলগুলোর পাশাপাশি সরকার, প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অংশীদারিত্বের দৃষ্টান্ত পুনরুজ্জীবিত করেছেন। পরিবহন টার্মিনাল, খনিজ
সম্পদ, সেতু, বাজার, জলমহাল দখল ও চাঁদাবাজির চক্রের পুনরুত্থানও রাজনৈতিক অঙ্গনে অতীতের কর্তৃত্ববাদী শাসনের দুঃশাসনের ধারাবাহিকতাকে জিইয়ে রাখছে। টিআইবি বলছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে সৃষ্ট নতুন দল সুশাসন, স্বচ্ছতা ও দুর্নীতিমুক্ত রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্বের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বাস্তবে তাদের নেতাকর্মীর একাংশও চাঁদাবাজিসহ নানাবিধ অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে স্বার্থান্বেষী ও দুর্বৃত্তায়িত রাজনৈতিক চর্চাকেই রোল মডেল গ্রহণের আত্মঘাতী পথ বেছে নিয়েছে। ড. ইফতেখারুজ্জামান হুঁশিয়ার করে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি নিজেদের অভ্যন্তরীণ জবাবদিহি, নৈতিক চর্চা ও গণতান্ত্রিক পরিচালন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে ঐতিহাসিক জুলাই আন্দোলনে শহীদ, আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের তথা আপামর জনগণের হতাশা বাড়বে।