ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (FDI) নিয়ে ড. ইউনূসের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক: তথ্য বিকৃতি ও বিভ্রান্তির অভিযোগ
ইউনূসকে রেফারির ভূমিকায় চায় ধর্মভিত্তিক ৮ দল
নতুন পে স্কেলে গ্রেড কমানোর প্রস্তাব, সর্বনিম্ন বেতন কত হতে পারে
মেট্রোরেলের রক্ষণাবেক্ষণে নেই বরাদ্দ, দুর্ঘটনার দায় ঠিকাদারদের ঘাড়ে চাপালেন এমডি
নিরাপত্তাহীনতার কারণে একে একে বাতিল হচ্ছে ক্রয়াদেশ, আরও অসংখ্য কারখানা বন্ধের শঙ্কা
প্রধান উপদেষ্টার তত্ত্বাবধানে পদোন্নতির নামে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কোরামপ্রীতি: বঞ্চিত ৮৭৯ চিকিৎসক
বিএনপির নয়নকে ‘বুড়িগঙ্গার পানি’ দিয়ে ধোয়ার মন্তব্যে ঝড়, এনসিপির পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা
দুবাইয়ে যাওয়ার ৪ মাস পরই ৩ কোটির লটারি জিতলেন প্রবাসী
প্রবাস জীবনের শুরুতে সাধারণত অনেকেই নতুন পরিবেশ, চাকরির চাপ আর পরিবার থেকে দূরে থাকার কষ্ট নিয়ে দিন কাটান। কেউ কেউ বছরের পর বছর পরিশ্রম করে সামান্য কিছু সঞ্চয় করতে পারেন। কিন্তু ভারতের কেরালার তরুণ শ্রীরাজ এমআর-এর ভাগ্য যেন অন্য সবার থেকে একেবারেই আলাদা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে পাড়ি জমিয়েছেন মাত্র চার মাস হলো। এর মধ্যেই ভাগ্য সাড়া দিল শ্রীরাজের। লটারিতে তিনি জিতলেন কোটি টাকার পুরস্কার। খবর গালফ নিউজের।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, চলতি বছরের এপ্রিলে দুবাইয়ে গিয়ে একটি প্রতিষ্ঠানে হিসাব সহকারীর চাকরি শুরু করেন শ্রীরাজ। এখনো পুরোপুরি প্রবাস জীবনে মানিয়ে উঠতে না উঠতেই বুধবার (২১ আগস্ট) অনুষ্ঠিত হয় দুবাই ডিউটি ফ্রি (ডিডিএফ) মিলেনিয়াম মিলিয়নিয়ারের
লটারির ড্র। সেখানে ঘোষণা করা হয়, টিকিটধারী শ্রীরাজ জিতে গেছেন ১০ লাখ দিরহাম, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এই টিকিট তিনি একা কেনেননি, সঙ্গে ছিলেন সহকর্মী প্রদীপ। পুরস্কারের অর্থ ভাগাভাগি হবে তাদের মধ্যে—শ্রীরাজ পাবেন ২৫ শতাংশ আর বাকি ৭৫ শতাংশ যাবে প্রদীপের হাতে। প্রদীপের জন্যও এ জয়টা কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ গত এক দশকের বেশি সময় ধরে নিয়মিত লটারির টিকিট কিনেও কখনো জয় পাননি তিনি। অবশেষে এবার শ্রীরাজকে সঙ্গী করে ভাগ্য খুলে গেল তারও। গালফ নিউজকে প্রদীপ জানান, ‘আমরা ভাবতেই পারিনি এভাবে জয় আসবে। প্রথমে মনে হয়েছিল কেউ মজা করছে বা ফেক কল দিয়েছে। কিন্তু পরে নিশ্চিত হওয়ার পর
আনন্দে চিৎকার করে উঠি।’ অন্যদিকে শ্রীরাজের বিস্ময় ও আনন্দের সীমা নেই। তিনি বলেন, ‘দুবাই আসলেই আমার জন্য সৌভাগ্য বয়ে এনেছে। দেশে থাকতে লটারিতে টিকিট কাটার অভ্যাস ছিল না, কারণ কখনো জিতিনি। প্রদীপ যখন বলল, চল ভাগ্য পরীক্ষা করি, আমি ভেবেছিলাম ক্ষতি কী? কিন্তু এত দ্রুত এভাবে জিতব, তা কখনো ভাবিনি।’ প্রবাসীদের জন্য এক অনুপ্রেরণা প্রবাস জীবনের কঠোর পরিশ্রম আর সংগ্রামের গল্প আমরা প্রতিদিনই শুনি। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার লাখো শ্রমিক ও কর্মজীবী মানুষ জীবিকার তাগিদে মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে ঘাম ঝরান। তাদের মধ্যে এমন হঠাৎ ভাগ্য বদলের ঘটনা কেবল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জীবনই পাল্টে দেয় না; বরং অনেক প্রবাসীর মনে নতুন স্বপ্ন ও আশার আলো জাগিয়ে
তোলে। শ্রীরাজ ও প্রদীপ এখন কীভাবে এই অর্থ ব্যবহার করবেন তা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। তবে তাদের সহকর্মীরা মনে করছেন, এই পুরস্কার তাদের দুজনের জীবনযাত্রা যেমন পাল্টে দেবে, তেমনি ভবিষ্যতের জন্যও নিরাপত্তা তৈরি করবে। দুবাই ডিউটি ফ্রি মিলেনিয়াম মিলিয়নিয়ারের এই লটারি প্রবাসীদের কাছে দীর্ঘদিন ধরেই একটি জনপ্রিয় আকর্ষণ। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার বহু প্রবাসী নিয়মিত এই লটারিতে অংশ নেন। তবে সবাই ভাগ্যবান হন এমন নয়। সেই দিক থেকে শ্রীরাজকে অনেকেই এখন সত্যিকারের ‘লাকি প্রবাসী’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
লটারির ড্র। সেখানে ঘোষণা করা হয়, টিকিটধারী শ্রীরাজ জিতে গেছেন ১০ লাখ দিরহাম, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এই টিকিট তিনি একা কেনেননি, সঙ্গে ছিলেন সহকর্মী প্রদীপ। পুরস্কারের অর্থ ভাগাভাগি হবে তাদের মধ্যে—শ্রীরাজ পাবেন ২৫ শতাংশ আর বাকি ৭৫ শতাংশ যাবে প্রদীপের হাতে। প্রদীপের জন্যও এ জয়টা কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ গত এক দশকের বেশি সময় ধরে নিয়মিত লটারির টিকিট কিনেও কখনো জয় পাননি তিনি। অবশেষে এবার শ্রীরাজকে সঙ্গী করে ভাগ্য খুলে গেল তারও। গালফ নিউজকে প্রদীপ জানান, ‘আমরা ভাবতেই পারিনি এভাবে জয় আসবে। প্রথমে মনে হয়েছিল কেউ মজা করছে বা ফেক কল দিয়েছে। কিন্তু পরে নিশ্চিত হওয়ার পর
আনন্দে চিৎকার করে উঠি।’ অন্যদিকে শ্রীরাজের বিস্ময় ও আনন্দের সীমা নেই। তিনি বলেন, ‘দুবাই আসলেই আমার জন্য সৌভাগ্য বয়ে এনেছে। দেশে থাকতে লটারিতে টিকিট কাটার অভ্যাস ছিল না, কারণ কখনো জিতিনি। প্রদীপ যখন বলল, চল ভাগ্য পরীক্ষা করি, আমি ভেবেছিলাম ক্ষতি কী? কিন্তু এত দ্রুত এভাবে জিতব, তা কখনো ভাবিনি।’ প্রবাসীদের জন্য এক অনুপ্রেরণা প্রবাস জীবনের কঠোর পরিশ্রম আর সংগ্রামের গল্প আমরা প্রতিদিনই শুনি। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার লাখো শ্রমিক ও কর্মজীবী মানুষ জীবিকার তাগিদে মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে ঘাম ঝরান। তাদের মধ্যে এমন হঠাৎ ভাগ্য বদলের ঘটনা কেবল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জীবনই পাল্টে দেয় না; বরং অনেক প্রবাসীর মনে নতুন স্বপ্ন ও আশার আলো জাগিয়ে
তোলে। শ্রীরাজ ও প্রদীপ এখন কীভাবে এই অর্থ ব্যবহার করবেন তা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। তবে তাদের সহকর্মীরা মনে করছেন, এই পুরস্কার তাদের দুজনের জীবনযাত্রা যেমন পাল্টে দেবে, তেমনি ভবিষ্যতের জন্যও নিরাপত্তা তৈরি করবে। দুবাই ডিউটি ফ্রি মিলেনিয়াম মিলিয়নিয়ারের এই লটারি প্রবাসীদের কাছে দীর্ঘদিন ধরেই একটি জনপ্রিয় আকর্ষণ। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার বহু প্রবাসী নিয়মিত এই লটারিতে অংশ নেন। তবে সবাই ভাগ্যবান হন এমন নয়। সেই দিক থেকে শ্রীরাজকে অনেকেই এখন সত্যিকারের ‘লাকি প্রবাসী’ হিসেবে অভিহিত করছেন।



