
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, সব আরোহীর মৃত্যু

সোমবার ফের আলোচনায় বসছে রাশিয়া–ইউক্রেন

স্পেনের এক ধমকেই ইসরাইলে আতঙ্ক

ইসরাইলকে ‘পুড়িয়ে দেওয়ার’ হুঁশিয়ারি ইয়েমেনের

ট্রাম্পের গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে ইসরাইল: হোয়াইট হাউস

ট্রাম্পের গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে ইসরাইল: হোয়াইট হাউস

ইসরাইলকে ‘পুড়িয়ে দেওয়ার’ হুঁশিয়ারি ইয়েমেনের
‘দাসত্ব মেনে নেব না’ জেল থেকে হুংকার ইমরান খানের

কখনোই ‘দাসত্ব মেনে নেব না’ বলে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগার থেকে হুংকার দিয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
মঙ্গলবার এক বার্তায় জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি কোনো রকম ‘দাসত্ব’ মেনে নেবেন না।
তার ভাষায়, তিনি ‘আজীবন জেলে পচে মরতে প্রস্তুত, তবুও ফিরাউন ও ইয়াজিদিয়াতের এই শাসনব্যবস্থার সামনে নত হবেন না’। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।
এদিকে ইমরান খানের বোন আলিমা খান জানান, ইমরান তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পাঠিয়েছেন। যার মধ্যে প্রধানতম হচ্ছে—দেশজুড়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান।
আদিয়ালা জেল থেকে বোন আলিমা খানের মাধ্যমে পাঠানো বার্তায় ইমরান খান বলেন, ‘তারা যতই নির্যাতন করুক না কেন, আমি কখনোই দাসত্ব মেনে নেব না।একই সঙ্গে তার দল
যেন ইসলামাবাদকেন্দ্রিক রাজনীতি নয়, বরং দেশব্যাপী একটি বৃহৎ আন্দোলনের প্রস্তুতি নেয়। আলিমা খানের ভাষ্যে, তিনটি মূল বার্তা দিয়েছেন ইমরান খান। সেগুলো হলো- কারাগারে মানবাধিকার লঙ্ঘন: গত ৮ মাসে কেবল একবার সন্তানদের সঙ্গে কথা বলতে পেরেছেন। বোনদের সাক্ষাৎের অনুমতি নেই। পাঠানো বই জেল কর্তৃপক্ষ আটকে রাখছে। ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের সাক্ষাৎ বন্ধ, আদালতের আদেশও মানা হচ্ছে না। ইমরানকে চাপে রাখতেই তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে কৌশলে জেলে পাঠানো হয়েছে। ‘চুক্তির গুজব’ ভিত্তিহীন: কিছু ইউটিউবার ও ব্লগার ‘মুক্তির চুক্তি’র কথা বললেও তা ভিত্তিহীন। ‘আমেরিকানরা এসেছে, ডিল হয়ে গেছে’—এসব গুজব মূলত জনমত ঠাণ্ডা করার কৌশল। দলীয় আদর্শে অবিচল থাকার আহ্বান: ইমরান বলেছেন, পিটিআই একটি আদর্শভিত্তিক দল। কেবল নির্বাচনে জেতার জন্য তৈরি হওয়া ‘সিলেক্টেবেল’ রাজনীতিবিদদের জন্য নয়।একইসঙ্গে, যারা দ্বৈত
ভূমিকা পালন করছেন বা আদর্শে অটল নন, তাদের জন্য দলে কোনো জায়গা নেই বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এছাড়া আদালত ও বিচার ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে ইমরান খান বলেন, ‘আল-কাদির মামলার শুনানি তিন মাসেও হয়নি। ৯ মে সংক্রান্ত অন্যান্য মামলার শুনানিও ঝুলে আছে। বিচারপতিরা প্রতিশ্রুতি দিলেও শুনানি এখনো হয়নি’। এদিকে ‘ঈদের আগেই ইমরান মুক্ত হতে পারেন’ বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পিটিআই চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গোহর আলি খান। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, ঈদুল আজহার আগেই ইমরান খান মুক্ত হবেন’। তার ভাষায়, ‘দলীয় কর্মীরা হতাশ হলেও আমাদের ধৈর্য রাখতে হবে। আদালত, পার্লামেন্ট এবং রাজপথে আমরা লড়াই করে যাচ্ছি’। ব্যারিস্টার গোহর জানান, ইমরান খান এখনো ঈমান
ও দৃঢ় বিশ্বাসে অটল। ‘তিনি বলেন, দুঃসময়ে আমরা আল্লাহর দিকেই ফিরে যাই এবং তিনি পথ দেখাবেন’। এটাই ছিল ইমরান খানের জেল থেকে পাঠানো সর্বশেষ বার্তা ও পিটিআই নেতাদের প্রতিক্রিয়া। ইমরান খানের বার্তায় যে সুরটি স্পষ্ট—তিনি আপসহীন, নিজেকে আন্দোলনের প্রতীক করে তোলার পথে চলেছেন। আদিয়ালা জেলে বন্দিত্বের মধ্যেও তিনি চাইছেন, পিটিআই যেন আদর্শগত অবস্থানে অটল থাকে এবং জনগণের মনোবল যেন চুক্তির গুজবে ভেঙে না পড়ে। পরিস্থিতি যা তাতে পাকিস্তানের রাজনীতিতে বড় ধরনের বাঁক আনতে পারে—বিশেষ করে যদি ঈদের আগে সত্যিই কোনো নাটকীয় ঘটনা ঘটে।
যেন ইসলামাবাদকেন্দ্রিক রাজনীতি নয়, বরং দেশব্যাপী একটি বৃহৎ আন্দোলনের প্রস্তুতি নেয়। আলিমা খানের ভাষ্যে, তিনটি মূল বার্তা দিয়েছেন ইমরান খান। সেগুলো হলো- কারাগারে মানবাধিকার লঙ্ঘন: গত ৮ মাসে কেবল একবার সন্তানদের সঙ্গে কথা বলতে পেরেছেন। বোনদের সাক্ষাৎের অনুমতি নেই। পাঠানো বই জেল কর্তৃপক্ষ আটকে রাখছে। ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের সাক্ষাৎ বন্ধ, আদালতের আদেশও মানা হচ্ছে না। ইমরানকে চাপে রাখতেই তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে কৌশলে জেলে পাঠানো হয়েছে। ‘চুক্তির গুজব’ ভিত্তিহীন: কিছু ইউটিউবার ও ব্লগার ‘মুক্তির চুক্তি’র কথা বললেও তা ভিত্তিহীন। ‘আমেরিকানরা এসেছে, ডিল হয়ে গেছে’—এসব গুজব মূলত জনমত ঠাণ্ডা করার কৌশল। দলীয় আদর্শে অবিচল থাকার আহ্বান: ইমরান বলেছেন, পিটিআই একটি আদর্শভিত্তিক দল। কেবল নির্বাচনে জেতার জন্য তৈরি হওয়া ‘সিলেক্টেবেল’ রাজনীতিবিদদের জন্য নয়।একইসঙ্গে, যারা দ্বৈত
ভূমিকা পালন করছেন বা আদর্শে অটল নন, তাদের জন্য দলে কোনো জায়গা নেই বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এছাড়া আদালত ও বিচার ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে ইমরান খান বলেন, ‘আল-কাদির মামলার শুনানি তিন মাসেও হয়নি। ৯ মে সংক্রান্ত অন্যান্য মামলার শুনানিও ঝুলে আছে। বিচারপতিরা প্রতিশ্রুতি দিলেও শুনানি এখনো হয়নি’। এদিকে ‘ঈদের আগেই ইমরান মুক্ত হতে পারেন’ বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পিটিআই চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গোহর আলি খান। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, ঈদুল আজহার আগেই ইমরান খান মুক্ত হবেন’। তার ভাষায়, ‘দলীয় কর্মীরা হতাশ হলেও আমাদের ধৈর্য রাখতে হবে। আদালত, পার্লামেন্ট এবং রাজপথে আমরা লড়াই করে যাচ্ছি’। ব্যারিস্টার গোহর জানান, ইমরান খান এখনো ঈমান
ও দৃঢ় বিশ্বাসে অটল। ‘তিনি বলেন, দুঃসময়ে আমরা আল্লাহর দিকেই ফিরে যাই এবং তিনি পথ দেখাবেন’। এটাই ছিল ইমরান খানের জেল থেকে পাঠানো সর্বশেষ বার্তা ও পিটিআই নেতাদের প্রতিক্রিয়া। ইমরান খানের বার্তায় যে সুরটি স্পষ্ট—তিনি আপসহীন, নিজেকে আন্দোলনের প্রতীক করে তোলার পথে চলেছেন। আদিয়ালা জেলে বন্দিত্বের মধ্যেও তিনি চাইছেন, পিটিআই যেন আদর্শগত অবস্থানে অটল থাকে এবং জনগণের মনোবল যেন চুক্তির গুজবে ভেঙে না পড়ে। পরিস্থিতি যা তাতে পাকিস্তানের রাজনীতিতে বড় ধরনের বাঁক আনতে পারে—বিশেষ করে যদি ঈদের আগে সত্যিই কোনো নাটকীয় ঘটনা ঘটে।