
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

চট্টগ্রাম বন্দরে ঈদের ছুটিতে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ধস

ব্যর্থ সকল দেন-দরবার: ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে অস্বীকৃতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে ঘিরে মিথ্যাচার-বিভ্রান্তি ছড়ানোর দায়ে প্রশ্নবিদ্ধ প্রেস সচিব

স্টারমারের সাথে সাক্ষাতের ব্যর্থতা ঢাকতেই কি ‘পাচারকৃত অর্থের খোঁজ’ গল্পের প্রচার প্রেস উইংয়ের?

“সরকারকে শত্রু মনে করে মানুষ”, লন্ডনে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস

দেশে ফিরেছেন ৮৬০৬ জন হাজি

করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১১ নির্দেশনা জারি
দশ মাস পর মা-ছেলের আবেগঘন পুনর্মিলন

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। ভারতের বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা এবং সেখানে অবস্থানরত একাধিক আওয়ামী লীগ নেতার সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, ৬ই জুন, শুক্রবার জয় ভারতে পৌঁছান। পরদিনই ছিল কোরবানির ঈদ, যা তিনি মায়ের সঙ্গেই উদ্যাপন করেছেন। এই সফর রাজনৈতিক কম, বরং পারিবারিক উদ্দেশ্যে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জুলাই-আগস্টের সহিংস রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সরকারের পটপরিবর্তনের পর এটাই শেখ হাসিনা ও তাঁর পুত্রের প্রথম সাক্ষাৎ। বর্তমানে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড অসাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় কার্যত বন্ধ করে রেখেছে ক্ষমতাসীন ইউনূস সরকার।
দলের নেতারা জানিয়েছেন, জয় আগে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করতেন, কিন্তু ড.
ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেই পাসপোর্ট প্রতিহিংসাবশত বাতিল করে। পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট গ্রহণ করেন, তার আগে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ডও গ্রহণ করেছিলেন। ভারতীয় নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, আরও কয়েক পর জয়ের ভারতে আসার কথা ছিল। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও সে বিষয়ে সম্মতি দিয়েছিল। তবে সেই সময় এগিয়ে এনে তিনি ৬ই জুনেই দিল্লিতে পৌঁছান। বিমানবন্দর থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাঁকে শেখ হাসিনার গোপন ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া হয়, যেখানে তাঁর খালা শেখ রেহানাও অবস্থান করছেন। রাষ্ট্রীয় ভিভিআইপিদের যেভাবে পাইলট কারসহ সামরিক পোশাকের নিরাপত্তারক্ষী বলয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, ঠিক সেভাবে না হলেও সজীব ওয়াজেদ জয়কে বিমানবন্দর থেকে অত্যন্ত কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গোপনে শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছে
দেওয়া হয়েছে। এমনকি তার আগমনের খবরটি নিরাপত্তা সংস্থার বিশ্বস্ত কর্মকর্তা ছাড়া কাউকে জানানো হয়নি। এদিকে শেখ হাসিনার কন্যা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুলও দিল্লিতে আছেন। তবে তাঁর সঙ্গে জয়ের দেখা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ভারতে থাকা একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা জানিয়েছেন, জয়ের এই সফর মূলত পারিবারিক। এক নেতা বলেন, “মায়ের সঙ্গে প্রায় দশ মাস পরে ছেলের দেখা। তাঁরা ঈদ কাটিয়েছেন একসঙ্গে, গত কয়েকদিন একসঙ্গেই আছেন। নিশ্চই রাজনৈতিক আলোচনাও হয়েছে কিছু। তবে জয়ের এই সফর মূলত পারিবারিক। এই কদিনের মধ্যে নেত্রীর সঙ্গে কথা হয়নি। কিন্তু যখন কথা হবে, নিশ্চই জানা যাবে, তাঁদের মধ্যে রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে
কিনা। কিন্তু এখন তাঁরা পারিবারিক সময় কাটাচ্ছেন। তাঁদের এ মুহূর্তে আমরা বিরক্ত করতে চাই না।” গত বছরের ৫ই অগাস্ট ঢাকা থেকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি বিমানে ভারতে যাওয়ার পর থেকে দিল্লিতেই শেখ হাসিনার থাকার ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদির ভারত সরকার। যাতে সম্মতি জানান ক্ষমতাসীন বিজেপি ছাড়াও বিরোধী সব রাজনৈতিক দলই। শেখ হাসিনাকে ভারতে পরিপূর্ণ নিরাপত্তা দিয়ে রাখার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর সভাসদ, সকল নিরাপত্তা বাহিনী ও সংস্থার প্রধান এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করেন। সবাই শেখ হাসিনার প্রশ্নে সমঝোতায় পৌঁছান। ৫ই আগস্টে ভারতে যাওয়ার পরবর্তী কয়েকদিন শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা ছিলেন দিল্লির
উপকণ্ঠে গাজিয়াবাদের হিন্ডন বিমানঘাঁটির টার্মিনাল বিল্ডিংয়ে, যা নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে বিমান বাহিনী। এরপর ভারত সরকার তাঁকে হিন্ডন থেকে সরিয়ে নেয় দিল্লির একটি গোপন ঠিকানায়। অনেকের ধারণা, পরবর্তীতে তাঁকে দিল্লির কাছাকাছি অন্য কোনো সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে– যদিও এ ব্যাপারে ভারত সরকার কোনো তথ্যই প্রকাশ করেনি। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বিবিসিকে জানান, শেখ হাসিনার চলাচল এবং সাক্ষাৎ সীমিত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। অর্থাৎ, তাঁর সঙ্গে কেবল নির্দিষ্ট কিছু লোকই দেখা করার সুযোগ পাচ্ছেন। ভারতে অবস্থানরত এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “আমাদের সঙ্গে নেত্রীর নিয়মিত কথা হয়, তবে সাক্ষাৎ করেছেন এমন তথ্য আমাদের জানা নেই। জয়ের সঙ্গেও শীর্ষ নেতৃত্বের এখনও
দেখা হয়নি।” আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, জয় এই সফরে পারিবারিক সময় কাটাচ্ছেন ঠিকই, তবে ভারতে থেকেই দলের কোনও দায়িত্ব নেওয়ার পরিকল্পনা তাঁর নেই। কলকাতায় অবস্থানরত আওয়ামী লীগের অপর নেতৃবৃন্দের সাথে সাক্ষাতের গুঞ্জন থাকলেও নিরাপত্তা সূত্র জানাচ্ছে, এবারে কলকাতা সফরের কোনও পরিকল্পনা নেই জয়ের। দলের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, জয় দীর্ঘ সময় ভারতে থাকার চিন্তা করছেন না। খুব শিগগিরই তিনি আবার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যেতে পারেন।
ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেই পাসপোর্ট প্রতিহিংসাবশত বাতিল করে। পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট গ্রহণ করেন, তার আগে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ডও গ্রহণ করেছিলেন। ভারতীয় নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, আরও কয়েক পর জয়ের ভারতে আসার কথা ছিল। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও সে বিষয়ে সম্মতি দিয়েছিল। তবে সেই সময় এগিয়ে এনে তিনি ৬ই জুনেই দিল্লিতে পৌঁছান। বিমানবন্দর থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাঁকে শেখ হাসিনার গোপন ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া হয়, যেখানে তাঁর খালা শেখ রেহানাও অবস্থান করছেন। রাষ্ট্রীয় ভিভিআইপিদের যেভাবে পাইলট কারসহ সামরিক পোশাকের নিরাপত্তারক্ষী বলয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, ঠিক সেভাবে না হলেও সজীব ওয়াজেদ জয়কে বিমানবন্দর থেকে অত্যন্ত কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গোপনে শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছে
দেওয়া হয়েছে। এমনকি তার আগমনের খবরটি নিরাপত্তা সংস্থার বিশ্বস্ত কর্মকর্তা ছাড়া কাউকে জানানো হয়নি। এদিকে শেখ হাসিনার কন্যা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুলও দিল্লিতে আছেন। তবে তাঁর সঙ্গে জয়ের দেখা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ভারতে থাকা একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা জানিয়েছেন, জয়ের এই সফর মূলত পারিবারিক। এক নেতা বলেন, “মায়ের সঙ্গে প্রায় দশ মাস পরে ছেলের দেখা। তাঁরা ঈদ কাটিয়েছেন একসঙ্গে, গত কয়েকদিন একসঙ্গেই আছেন। নিশ্চই রাজনৈতিক আলোচনাও হয়েছে কিছু। তবে জয়ের এই সফর মূলত পারিবারিক। এই কদিনের মধ্যে নেত্রীর সঙ্গে কথা হয়নি। কিন্তু যখন কথা হবে, নিশ্চই জানা যাবে, তাঁদের মধ্যে রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে
কিনা। কিন্তু এখন তাঁরা পারিবারিক সময় কাটাচ্ছেন। তাঁদের এ মুহূর্তে আমরা বিরক্ত করতে চাই না।” গত বছরের ৫ই অগাস্ট ঢাকা থেকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি বিমানে ভারতে যাওয়ার পর থেকে দিল্লিতেই শেখ হাসিনার থাকার ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদির ভারত সরকার। যাতে সম্মতি জানান ক্ষমতাসীন বিজেপি ছাড়াও বিরোধী সব রাজনৈতিক দলই। শেখ হাসিনাকে ভারতে পরিপূর্ণ নিরাপত্তা দিয়ে রাখার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর সভাসদ, সকল নিরাপত্তা বাহিনী ও সংস্থার প্রধান এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করেন। সবাই শেখ হাসিনার প্রশ্নে সমঝোতায় পৌঁছান। ৫ই আগস্টে ভারতে যাওয়ার পরবর্তী কয়েকদিন শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা ছিলেন দিল্লির
উপকণ্ঠে গাজিয়াবাদের হিন্ডন বিমানঘাঁটির টার্মিনাল বিল্ডিংয়ে, যা নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে বিমান বাহিনী। এরপর ভারত সরকার তাঁকে হিন্ডন থেকে সরিয়ে নেয় দিল্লির একটি গোপন ঠিকানায়। অনেকের ধারণা, পরবর্তীতে তাঁকে দিল্লির কাছাকাছি অন্য কোনো সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে– যদিও এ ব্যাপারে ভারত সরকার কোনো তথ্যই প্রকাশ করেনি। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বিবিসিকে জানান, শেখ হাসিনার চলাচল এবং সাক্ষাৎ সীমিত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। অর্থাৎ, তাঁর সঙ্গে কেবল নির্দিষ্ট কিছু লোকই দেখা করার সুযোগ পাচ্ছেন। ভারতে অবস্থানরত এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “আমাদের সঙ্গে নেত্রীর নিয়মিত কথা হয়, তবে সাক্ষাৎ করেছেন এমন তথ্য আমাদের জানা নেই। জয়ের সঙ্গেও শীর্ষ নেতৃত্বের এখনও
দেখা হয়নি।” আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, জয় এই সফরে পারিবারিক সময় কাটাচ্ছেন ঠিকই, তবে ভারতে থেকেই দলের কোনও দায়িত্ব নেওয়ার পরিকল্পনা তাঁর নেই। কলকাতায় অবস্থানরত আওয়ামী লীগের অপর নেতৃবৃন্দের সাথে সাক্ষাতের গুঞ্জন থাকলেও নিরাপত্তা সূত্র জানাচ্ছে, এবারে কলকাতা সফরের কোনও পরিকল্পনা নেই জয়ের। দলের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, জয় দীর্ঘ সময় ভারতে থাকার চিন্তা করছেন না। খুব শিগগিরই তিনি আবার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যেতে পারেন।