তালিকার বাইরে অধিকাংশ চিকুনগুনিয়ার রোগী

চট্টগ্রামে জ্বরে আক্রান্তদের বেশির ভাগের শরীরেই শনাক্ত হচ্ছে চিকুনগুনিয়া। তবে আক্রান্ত প্রায় ৬০ শতাংশ রোগীই স্বাস্থ্য প্রশাসনের তালিকায় আসছে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্টরা। সরকারিভাবে প্রধান দুটি চিকিৎসাকেন্দ্র চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালে নেই চিকুনগুনিয়া পরীক্ষার কোনো সুযোগ। অথচ এই দুই হাসপাতালের ওপরেই নির্ভর করে এই অঞ্চলের প্রায় চার কোটি মানুষ। পরীক্ষার সুযোগ না থাকায় সরকারিভাবে আক্রান্ত রোগীর সঠিক পরিসংখ্যান সংরক্ষণে নেই।
সরকারি-বেসরকারি চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসক, স্বাস্থ্য প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, বর্তমানে নগরের যেসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রতিদিন শনাক্ত রোগীর তথ্য দিচ্ছে তা মোট আক্রান্ত রোগীর প্রায় ৪০ শতাংশ। চিকুনগুনিয়ার উপসর্গ নিয়ে ও অনেকে ভাইরাসটি শনাক্ত হওয়ার পর
চমেক ও জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে আসেন– এমন রোগীর সংখ্যা ৪০ শতাংশ। এ ছাড়া নগরের বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় পর্যায়ের ল্যাব-ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও উপজেলা পর্যায়েও চিকুনগুনিয়া শনাক্ত হয় বাকি ২০ শতাংশের। তবে তাদের শনাক্তের এসব তথ্য আসে না স্বাস্থ্য প্রশাসনের কাছে। চিকিৎসকরা বলছেন, চিকুনগুনিয়া শনাক্তে ইমিউনো-কম্ব টেস্ট (আইসিটি) ও আরটি-পিসিআর পরীক্ষার প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার জন্য বিশেষায়িত যন্ত্রপাতি ও ল্যাবের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আইসিটি পরীক্ষার ক্ষেত্রে তার প্রয়োজন নেই। মাঝারি মানের ল্যাব-ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এই পরীক্ষা করা যায়। এ পরীক্ষাটি কম সময়ের মধ্যে করে চিকুনগুনিয়া শনাক্ত ও চিকিৎসা পদ্ধতি ঠিক করতে পারেন চিকিৎসকরা। চমেক ও জেনারেল হাসপাতালের তথ্য বলছে, প্রতিদিন জ্বর নিয়ে
ডাক্তার দেখাতে আসেন তিন থেকে সাড়ে তিনশ রোগী। যাদের মধ্যে উপসর্গ ও শারীরিক জটিলতা থাকা অর্ধেকের বেশি রোগীকে পরীক্ষার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সরকারিভাবে সুযোগ না থাকায় পরীক্ষা না করেই ফিরতে হয় অনেককে। এ কারণে প্রকৃত রোগীর কোনো তথ্য সংগ্রহে নেই দুই হাসপাতালে। প্রধান দুই হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে একাধিকবার গিয়েও এ-সংক্রান্ত কোনো তথ্য পায়নি । এ অবস্থায় চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পরও আক্রান্তদের অর্ধেকের বেশি রোগী তালিকার বাইরে থাকছে। চট্টগ্রাম নগরের অন্যতম বৃহৎত্তম প্রতিষ্ঠান পার্কভিউ হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার সেন্টার, মেট্রোপলিটন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, এভারকেয়ার, শেভরন, সিএসসিআর, আগ্রাবাদ ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানই কেবল রোগী শনাক্তের তথ্য পাঠায় জেলা সিভিল সার্জন
কার্যালয়ে। সরেজমিন চমেক হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতালসহ কয়েকটিতে গিয়ে চিকিৎসক দেখাতে আসা এমন অনেক রোগী পাওয়া গেছে, যারা স্থানীয়ভাবে চিকুনগুনিয়া শনাক্তের পর উন্নত চিকিৎসা করাতে ছুটে এসেছেন চট্টগ্রাম নগরে। পাঁচ দিন আগে চিকুনগুনিয়া পজিটিভ শনাক্ত হয় নগরের উত্তর কাট্টলী এলাকার বাসিন্দা আমিনুল ইসলামের (৬২)। ক্রমশ তাঁর শারীরিক অবস্থা জটিল হওয়ায় গত রোববার তিনি ডাক্তার দেখাতে আসেন চমেক হাসপাতালে। সেখানে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। আমিনুল ইসলাম বলেন, চার দিন জ্বরে ভোগার পর স্থানীয় একটি ল্যাবে পরীক্ষা করালে চিকুনগুনিয়া পজিটিভ আসে। এখনও তীব্র জ্বর ও গিঁটে ব্যথায় কাতর। মুখে কিছু খেতে পারছি না। শরীরটা একেবারে দুর্বল। অনেক কষ্টে ছেলেকে নিয়ে এখানে ডাক্তার দেখাতে এসেছি। জেনারেল
হাসপাতালে কথা হয় গৃহিণী আকলিমা জান্নাতের (৩৬) সঙ্গে। তিনি বলেন, এক সপ্তাহ ধরে কয়েক প্রকার ওষুধ খাওয়ার পরও জ্বর কমছে না। উল্টো নতুন করে দেখা দিয়েছে নানা শারীরিক জটিলতা। একটি ল্যাবে চিকুনগুনিয়া শনাক্তের পর স্থানীয় ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খেলেও শরীর ভালো হচ্ছে না। তাই এখানকার একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ দেখাতে এসেছি। আমিনুল ইসলাম ও আকলিমা জান্নাতের মতোই প্রতিদিন আরও অনেকেই স্থানীয়ভাবে চিকুনগুনিয়ার পরীক্ষা করালেও তার হিসাব আসে না সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তালিকায়। এ বিষয়ে চমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রব বলেন, এটি হলো বৃহত্তর চট্টগ্রামের একমাত্র সদর হাসপাতাল। অথচ এখানে চিকুনগুনিয়া পরীক্ষার সুযোগ নেই। বিষয়টি নিয়ে আমরাও বিব্রত। কেননা
প্রতিদিন হাসপাতালে কয়েকশ রোগী চিকিৎসক দেখাতে ছুটে আসেন। যাদের মধ্যে বেশির ভাগই নিম্ন আয়ের মানুষ। চিকুনগুনিয়ার প্রায় সব উপসর্গ থাকার পরও তারা অর্থের অভাবে পরীক্ষা করাতে পারছেন না। কারণ বেসরকারিতে পরীক্ষাটি করতে গুনতে হবে সাড়ে চার হাজারের ওপরে। জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এএসএম লুৎফুল কবির শিমুল বলেন, এখনও চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত অনেক রোগী পাচ্ছি। প্রধান দুই সরকারি হাসপাতালে পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় আক্রান্তদের ব্যাপারে কোনো রেকর্ড থাকছে না। এতে অজানা থাকছে আক্রান্ত রোগীর প্রকৃত তথ্য। এ ছাড়া অনেকে স্থানীয়ভাবে পরীক্ষা করালেও তাদের তথ্যও নিয়মিত পাচ্ছে না স্বাস্থ্য প্রশাসন। হাসপাতাল ও চেম্বারে আমরা প্রতিনিয়ত এমন অনেক রোগী পাচ্ছি, যারা ডাক্তার দেখান এক
জায়গায়, আর পরীক্ষা করান আরেক জায়গায়। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চট্টগ্রামে এবারের মতো এত বেশি চিকুনগুনিয়ার রোগী আর শনাক্ত হয়নি। তবে সরকারিভাবে পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা না থাকায় তাদের সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। বৈঠক করে বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানকে রোগী শনাক্তের প্রতিদিনের তথ্য দেওয়ার নির্দেশনা দিলেও সেটিও মানছে না তারা। চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দীন বলেন, কিট না থাকায় চিকুনগুনিয়া পরীক্ষা করাতে পারছি না। কিটসহ যাবতীয় যন্ত্রপাতি চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দিলেও সাড়া পায়নি। জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ একরাম হোসেন বলেন, চিকুনগুনিয়া পরীক্ষার জন্য নেই কোনো পিসিআর মেশিন, ল্যাব ও কিট। নেই দক্ষ জনবলও।
চমেক ও জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে আসেন– এমন রোগীর সংখ্যা ৪০ শতাংশ। এ ছাড়া নগরের বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় পর্যায়ের ল্যাব-ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও উপজেলা পর্যায়েও চিকুনগুনিয়া শনাক্ত হয় বাকি ২০ শতাংশের। তবে তাদের শনাক্তের এসব তথ্য আসে না স্বাস্থ্য প্রশাসনের কাছে। চিকিৎসকরা বলছেন, চিকুনগুনিয়া শনাক্তে ইমিউনো-কম্ব টেস্ট (আইসিটি) ও আরটি-পিসিআর পরীক্ষার প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার জন্য বিশেষায়িত যন্ত্রপাতি ও ল্যাবের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আইসিটি পরীক্ষার ক্ষেত্রে তার প্রয়োজন নেই। মাঝারি মানের ল্যাব-ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এই পরীক্ষা করা যায়। এ পরীক্ষাটি কম সময়ের মধ্যে করে চিকুনগুনিয়া শনাক্ত ও চিকিৎসা পদ্ধতি ঠিক করতে পারেন চিকিৎসকরা। চমেক ও জেনারেল হাসপাতালের তথ্য বলছে, প্রতিদিন জ্বর নিয়ে
ডাক্তার দেখাতে আসেন তিন থেকে সাড়ে তিনশ রোগী। যাদের মধ্যে উপসর্গ ও শারীরিক জটিলতা থাকা অর্ধেকের বেশি রোগীকে পরীক্ষার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সরকারিভাবে সুযোগ না থাকায় পরীক্ষা না করেই ফিরতে হয় অনেককে। এ কারণে প্রকৃত রোগীর কোনো তথ্য সংগ্রহে নেই দুই হাসপাতালে। প্রধান দুই হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে একাধিকবার গিয়েও এ-সংক্রান্ত কোনো তথ্য পায়নি । এ অবস্থায় চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পরও আক্রান্তদের অর্ধেকের বেশি রোগী তালিকার বাইরে থাকছে। চট্টগ্রাম নগরের অন্যতম বৃহৎত্তম প্রতিষ্ঠান পার্কভিউ হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার সেন্টার, মেট্রোপলিটন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, এভারকেয়ার, শেভরন, সিএসসিআর, আগ্রাবাদ ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানই কেবল রোগী শনাক্তের তথ্য পাঠায় জেলা সিভিল সার্জন
কার্যালয়ে। সরেজমিন চমেক হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতালসহ কয়েকটিতে গিয়ে চিকিৎসক দেখাতে আসা এমন অনেক রোগী পাওয়া গেছে, যারা স্থানীয়ভাবে চিকুনগুনিয়া শনাক্তের পর উন্নত চিকিৎসা করাতে ছুটে এসেছেন চট্টগ্রাম নগরে। পাঁচ দিন আগে চিকুনগুনিয়া পজিটিভ শনাক্ত হয় নগরের উত্তর কাট্টলী এলাকার বাসিন্দা আমিনুল ইসলামের (৬২)। ক্রমশ তাঁর শারীরিক অবস্থা জটিল হওয়ায় গত রোববার তিনি ডাক্তার দেখাতে আসেন চমেক হাসপাতালে। সেখানে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। আমিনুল ইসলাম বলেন, চার দিন জ্বরে ভোগার পর স্থানীয় একটি ল্যাবে পরীক্ষা করালে চিকুনগুনিয়া পজিটিভ আসে। এখনও তীব্র জ্বর ও গিঁটে ব্যথায় কাতর। মুখে কিছু খেতে পারছি না। শরীরটা একেবারে দুর্বল। অনেক কষ্টে ছেলেকে নিয়ে এখানে ডাক্তার দেখাতে এসেছি। জেনারেল
হাসপাতালে কথা হয় গৃহিণী আকলিমা জান্নাতের (৩৬) সঙ্গে। তিনি বলেন, এক সপ্তাহ ধরে কয়েক প্রকার ওষুধ খাওয়ার পরও জ্বর কমছে না। উল্টো নতুন করে দেখা দিয়েছে নানা শারীরিক জটিলতা। একটি ল্যাবে চিকুনগুনিয়া শনাক্তের পর স্থানীয় ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খেলেও শরীর ভালো হচ্ছে না। তাই এখানকার একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ দেখাতে এসেছি। আমিনুল ইসলাম ও আকলিমা জান্নাতের মতোই প্রতিদিন আরও অনেকেই স্থানীয়ভাবে চিকুনগুনিয়ার পরীক্ষা করালেও তার হিসাব আসে না সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তালিকায়। এ বিষয়ে চমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রব বলেন, এটি হলো বৃহত্তর চট্টগ্রামের একমাত্র সদর হাসপাতাল। অথচ এখানে চিকুনগুনিয়া পরীক্ষার সুযোগ নেই। বিষয়টি নিয়ে আমরাও বিব্রত। কেননা
প্রতিদিন হাসপাতালে কয়েকশ রোগী চিকিৎসক দেখাতে ছুটে আসেন। যাদের মধ্যে বেশির ভাগই নিম্ন আয়ের মানুষ। চিকুনগুনিয়ার প্রায় সব উপসর্গ থাকার পরও তারা অর্থের অভাবে পরীক্ষা করাতে পারছেন না। কারণ বেসরকারিতে পরীক্ষাটি করতে গুনতে হবে সাড়ে চার হাজারের ওপরে। জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এএসএম লুৎফুল কবির শিমুল বলেন, এখনও চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত অনেক রোগী পাচ্ছি। প্রধান দুই সরকারি হাসপাতালে পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় আক্রান্তদের ব্যাপারে কোনো রেকর্ড থাকছে না। এতে অজানা থাকছে আক্রান্ত রোগীর প্রকৃত তথ্য। এ ছাড়া অনেকে স্থানীয়ভাবে পরীক্ষা করালেও তাদের তথ্যও নিয়মিত পাচ্ছে না স্বাস্থ্য প্রশাসন। হাসপাতাল ও চেম্বারে আমরা প্রতিনিয়ত এমন অনেক রোগী পাচ্ছি, যারা ডাক্তার দেখান এক
জায়গায়, আর পরীক্ষা করান আরেক জায়গায়। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চট্টগ্রামে এবারের মতো এত বেশি চিকুনগুনিয়ার রোগী আর শনাক্ত হয়নি। তবে সরকারিভাবে পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা না থাকায় তাদের সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। বৈঠক করে বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানকে রোগী শনাক্তের প্রতিদিনের তথ্য দেওয়ার নির্দেশনা দিলেও সেটিও মানছে না তারা। চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দীন বলেন, কিট না থাকায় চিকুনগুনিয়া পরীক্ষা করাতে পারছি না। কিটসহ যাবতীয় যন্ত্রপাতি চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দিলেও সাড়া পায়নি। জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ একরাম হোসেন বলেন, চিকুনগুনিয়া পরীক্ষার জন্য নেই কোনো পিসিআর মেশিন, ল্যাব ও কিট। নেই দক্ষ জনবলও।