ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
জাবিতে গাঁজা সেবনকালে নেপালি শিক্ষার্থী আটক
সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী নদী গ্রেফতার
‘বিয়ে করে ইন্টারন্যাশনাল হলে থাকার স্বপ্ন’ পূরণ হচ্ছে না ঢাবি শিক্ষার্থীদের
বয়ফ্রেন্ডকে ভিডিও কলে রেখে জাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
নেকাব না খোলায় ছাত্রীকে পরীক্ষার হল থেকে বের করে দিলেন অধ্যক্ষ!
প্রবেশ সীমিত করল ঢাবি কর্তৃপক্ষ, খুশি শিক্ষার্থীরা-ভোগান্তি দর্শনার্থীদের
পবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু হলের নতুন নাম ‘বিজয় ২৪ হল’
ঢাকা কলেজের ‘দেড়শ’ শিক্ষার্থী আহত, সিটি কলেজ সরিয়ে নেওয়ার দাবি
ঢাকা কলেজের ১৮৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন বুধবার দুপুরে কলেজের দুটি বাস সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা ভাঙচুর করেন। এ ঘটনার জেরে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ঢাকা কলেজের ‘দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী’ আহত হয়েছে জানিয়ে তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীরা।
সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ঢাকা কলেজের স্থাপনায় ‘সরাসরি হামলা ও ভাঙচুরের’ অভিযোগ তুলে তারা এ হামলার ‘নির্দেশদাতা’ পুলিশ কর্মকর্তাদের ‘ক্ষমা চেয়ে’ পদত্যাগের দাবি করেছেন।
একইসঙ্গে পরবর্তীতে সংঘর্ষ এড়াতে সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকা থেকে সিটি কলেজ সরিয়ে নেওয়ারও দাবি তুলেছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজের ১৮৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন বুধবার দুপুরে কলেজের দুটি বাস সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা ভাঙচুর করেন। এ
ঘটনার জেরে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত সেই মারামারি চলে। পরে সন্ধ্যা পৌনে ৭টা ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে কলেজ কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে। কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস সেখানে বলেন, “এইখানে (ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে) যখন সেনাবাহিনী এসে ভেতরে ঢুকে পরে, তখন পুলিশ ও সেনাবাহিনী একসঙ্গে এসেছিল। আমাদের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক ইকবাল হোসেন আহত হন, দুই দিকে ঢিলের মাঝখানে উনার হাতে এসে ঢিল লাগে। “আমাদের ছাত্ররা উনাকে উদ্ধার করে আমাদের রুমে নিয়ে আসে। টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেডের (ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে) ভেতরে পিটুনির ফলে আমাদের কতজন ছাত্র আহত হয়েছেন এর হিসাব এখনও বলা যাচ্ছে না। “আশা করি ঊর্ধ্বতন
কর্তৃপক্ষ ত্বরিৎ ব্যবস্থা নিয়ে এর একটা সুষ্ঠু সমাধান করবেন, যাতে আমাদের ছাত্ররা শান্ত থাকে ও আমাদের কার্যক্রম সচল রাখা যায়।” পরে লিখিত বক্তব্যে দাবিগুলো তুলে ধরেন শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক আ ক ম রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, “সংঘর্ষে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী ও এক শিক্ষক আহত হয়েছেন। আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। “ঢাকা কলেজের স্থাপনায় সেনাবাহিনী সরাসরি হামলা ও ভাঙচুর করেছে, যা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। এ হামলায় জড়িত প্রশাসনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষ করে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা, যারা এই হামলার নির্দেশ দিয়েছেন, তাদের পদত্যাগ করতে হবে।” রফিকুল ইসলাম বলেন, “ইতোপূর্বে সকল বিশৃঙ্খলার সাথে সিটি কলেজের কতিপয় সন্ত্রাসী শিক্ষার্থী দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এবং
পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে সিটি কলেজকে এখান থেকে স্থানান্তর করতে হবে। সিটি কলেজের যে সকল শিক্ষক এই নিন্দনীয় ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত ও নির্দেশ দাতা, তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।” তিনি বলেন, “এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে সশরীরে ক্যাম্পাসে এসে পরিদর্শন করতে হবে। এই হামলায় জড়িত সেনা ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে।” এ সময় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা ‘ভুয়া, ভুয়া, সেনাবাহিনী ভুয়া’স্লোগন দেন। আ ক ম রফিকুল ইসলাম বলেন, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সাত শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন এবং শত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন, তাই পরিকল্পিতভাবে ঢাকা কলেজের ১৮৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে হামলা করে বর্তমান সরকারতে ব্যর্থ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাতে সরাসরি সিটি কলেজ ও পুলিশ
জড়িত ছিল।” ঢাকা কলেজের ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব পূরণ এবং কলেজে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি। ঢাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ের কাছে আধা কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের ক্যাম্পাস। দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা প্রতি বছরই কয়েকবার করে সংঘর্ষে জড়ায় নানা কারণে। গত অক্টোবরের শেষ দিকে সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষকে অপসারণের দাবি জানিয়েছিলেন কলেজটি শিক্ষার্থীরা। ওই ঘটনা নিয়ে জটিলতার মধ্যে কলেজটি দীর্ঘ ২০ দিন বন্ধ রাখার পর মঙ্গলবার থেকে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চালু হয়। এর একদিন না যেতেই শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের সঙ্গে সংঘাতে জড়ালেন।
ঘটনার জেরে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত সেই মারামারি চলে। পরে সন্ধ্যা পৌনে ৭টা ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে কলেজ কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে। কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস সেখানে বলেন, “এইখানে (ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে) যখন সেনাবাহিনী এসে ভেতরে ঢুকে পরে, তখন পুলিশ ও সেনাবাহিনী একসঙ্গে এসেছিল। আমাদের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক ইকবাল হোসেন আহত হন, দুই দিকে ঢিলের মাঝখানে উনার হাতে এসে ঢিল লাগে। “আমাদের ছাত্ররা উনাকে উদ্ধার করে আমাদের রুমে নিয়ে আসে। টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেডের (ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে) ভেতরে পিটুনির ফলে আমাদের কতজন ছাত্র আহত হয়েছেন এর হিসাব এখনও বলা যাচ্ছে না। “আশা করি ঊর্ধ্বতন
কর্তৃপক্ষ ত্বরিৎ ব্যবস্থা নিয়ে এর একটা সুষ্ঠু সমাধান করবেন, যাতে আমাদের ছাত্ররা শান্ত থাকে ও আমাদের কার্যক্রম সচল রাখা যায়।” পরে লিখিত বক্তব্যে দাবিগুলো তুলে ধরেন শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক আ ক ম রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, “সংঘর্ষে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী ও এক শিক্ষক আহত হয়েছেন। আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। “ঢাকা কলেজের স্থাপনায় সেনাবাহিনী সরাসরি হামলা ও ভাঙচুর করেছে, যা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। এ হামলায় জড়িত প্রশাসনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষ করে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা, যারা এই হামলার নির্দেশ দিয়েছেন, তাদের পদত্যাগ করতে হবে।” রফিকুল ইসলাম বলেন, “ইতোপূর্বে সকল বিশৃঙ্খলার সাথে সিটি কলেজের কতিপয় সন্ত্রাসী শিক্ষার্থী দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এবং
পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে সিটি কলেজকে এখান থেকে স্থানান্তর করতে হবে। সিটি কলেজের যে সকল শিক্ষক এই নিন্দনীয় ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত ও নির্দেশ দাতা, তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।” তিনি বলেন, “এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে সশরীরে ক্যাম্পাসে এসে পরিদর্শন করতে হবে। এই হামলায় জড়িত সেনা ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে।” এ সময় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা ‘ভুয়া, ভুয়া, সেনাবাহিনী ভুয়া’স্লোগন দেন। আ ক ম রফিকুল ইসলাম বলেন, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সাত শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন এবং শত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন, তাই পরিকল্পিতভাবে ঢাকা কলেজের ১৮৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে হামলা করে বর্তমান সরকারতে ব্যর্থ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাতে সরাসরি সিটি কলেজ ও পুলিশ
জড়িত ছিল।” ঢাকা কলেজের ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব পূরণ এবং কলেজে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি। ঢাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ের কাছে আধা কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের ক্যাম্পাস। দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা প্রতি বছরই কয়েকবার করে সংঘর্ষে জড়ায় নানা কারণে। গত অক্টোবরের শেষ দিকে সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষকে অপসারণের দাবি জানিয়েছিলেন কলেজটি শিক্ষার্থীরা। ওই ঘটনা নিয়ে জটিলতার মধ্যে কলেজটি দীর্ঘ ২০ দিন বন্ধ রাখার পর মঙ্গলবার থেকে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চালু হয়। এর একদিন না যেতেই শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের সঙ্গে সংঘাতে জড়ালেন।