ডিম-মুরগির দাম বাড়িয়ে দৈনিক ১৪ কোটি টাকা লুট – ইউ এস বাংলা নিউজ




ডিম-মুরগির দাম বাড়িয়ে দৈনিক ১৪ কোটি টাকা লুট

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৫ অক্টোবর, ২০২৪ | ১০:৩২ 48 ভিউ
দেশের বাজারে ডিম এবং মুরগির বাচ্চার দাম বাড়িয়ে গত ২০ দিনে ২৮০ কোটি টাকা ভোক্তাদের পকেট থেকে হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। শনিবার (৫ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এমন অভিযোগ করেন সংগঠনটির সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার। সংগঠনটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়, বাজারে প্রতিটি ডিমে ২ টাকা করে বেশি নেওয়া হচ্ছে। ফলে প্রতিদিন ৪ কোটি ডিমে ৮ কোটি টাকা বেশি লাভ করা হচ্ছে। এভাবে গত ২০ দিনে ১৬০ কোটি টাকা ভোক্তাদের পকেট থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। আবার প্রতিটি মুরগির বাচ্চা গত ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দাম ছিল ৩০-৩৫ টাকা। কিন্ত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে একই বাচ্চা বিক্রয় হচ্ছে

৪০-৫৬ টাকায়। আর ডিমের মুরগির বাচ্চা বিক্রয় হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। প্রতিদিন সব ধরনের ৩০ লাখ মুরগির বাচ্চা উৎপাদন হয়। প্রতিটি বাচ্চায় যদি ২০ টাকা বেশি ধরা হয়, প্রতিদিন ৬ কোটি টাকা বেশি আয় হয়। ফলে গত ২০ দিনে প্রান্তিক খামারিদের সঙ্গে প্রতারণা করে কোম্পানিগুলো ১২০ কোটি টাকা অতিরিক্ত মুনাফা করছে। সব মিলিয়ে ২৮০ কোটি টাকা লুট করা হয়েছে গত ২০ দিনে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রান্তিক খামারি ডিম এবং মুরগি উৎপাদন করে, কিন্তু দাম নির্ধারণ করতে পারে না। দাম নির্ধারণ করে করপোরেট গ্রুপ ও তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতি। তাদের সুবিধামতো যে দাম নির্ধারণ করে সে দামে প্রান্তিক খামারিদের ডিম, মুরগি বিক্রয় করতে

হয়। যখন দাম বাড়িয়ে দেয় তখন খামারি ন্যায্য মূল্য পায়। যখন কমিয়ে দেয় তখন উৎপাদন খরচ থেকে কম দামে বিক্রয় করে লস হওয়ার কারণে উৎপাদন থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়। ডিম-মুরগির বাজারে অস্থিরতার কারণ করপোরেট গ্রুপ ও তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ীদের আধিপত্য বিস্তার করে। এ সিন্ডিকেট বারবার বাজারে সিন্ডিকেট করে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে নিলেও তাদের শাস্তি না হওয়ায় বাজারে অস্থিরতা বেড়েই চলছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, করপোরেট গ্রুপ ও অ্যাসোসিয়েশনগুলোর সিন্ডিকেট শক্তিশালী হওয়ার কারণে বারবার একই পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে। ফিড বাচ্চার দাম নির্ধারণ না করে, বিগত দিনের সিন্ডিকেটকারীদের সঙ্গে নিয়ে ডিম-মুরগির দাম নির্ধারণ করে দেওয়ায় করপোরেট গ্রুপদের সিন্ডিকেট করার

সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। যার কারণে পুরোনো সিন্ডিকেট মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এতে বাজারে অস্থিরতা হবে এটাই স্বাভাবিক বিষয়। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ডিম-মুরগির দাম নির্ধারণ করা হয়। যেখানে বলা হয়, উৎপাদক পর্যায়ে প্রতিটি ডিম ১০.৫৮ টাকায় বিক্রয় করতে পারবে, যা ভোক্তা পর্যায়ে ১২ টাকায় বিক্রয় হওয়ার কথা। কিন্তু যাদের সঙ্গে নিয়ে দাম নির্ধারণ করা হলো তারা কেউ সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রয় করেননি। প্রতিটি ডিম করপোরেট উৎপাদক পর্যায়ে ১১.০১ টাকায় বিক্রয়ের কথা স্বীকার করলেও তারা প্রতারণার মাধ্যমে প্রতিটি ডিম বিক্রয় করেছেন ১১.৮০ থেকে ১২.৫০ টাকা পর্যন্ত, যা খুচরা বাজারে বিক্রয় হচ্ছে ১৪-১৫ টাকায়।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
রিজিক বৃদ্ধি ও সচ্ছলতা লাভের ১০ আমল পদত্যাগে প্রস্তুত জেলেনস্কি ‘অহংকারী’ ভারতের পতনের আশায় পাকিস্তানে হিন্দুদের প্রার্থনা কয়েদিদের সঙ্গে বসে পাক-ভারত ম্যাচ দেখছেন ইমরান খান যুদ্ধ বন্ধের আলোচনার মধ্যেই রাশিয়ার হামলা যে কারণে বিয়ে স্থগিত করলেন অভিনেত্রী সিডনি এবার সোনার দাম কমল বাংলাদেশকেই ঠিক করতে হবে তারা কেমন সম্পর্ক চায়: জয়শংকর হাসান নাসরুল্লাহকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল খাওয়ার পরেই চা খাওয়া কি ঠিক? লুট করা মোবাইল সেটের বিনিময়ে গাঁজা নেন তারা: পুলিশ তাসকিন-রিয়াদের প্রশংসা, নাহিদ-জাকেরও আছেন স্যান্টনারের ভাবনায় নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী এস আলম পরিবারের আরও ৮ হাজার কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ ‘প্রেম করা আর বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের খেলা দেখা বন্ধ করে দিয়েছি’ উদ্যোগ অনেক, প্রকল্পের সুফল নিয়ে প্রশ্ন পরপর ফিরলেন শাকিল-রিজওয়ান হামাসের হাতে কত জিম্মি রয়ে গেছেন ফেডারেল কর্মীদের হুঁশিয়ারি মাস্কের, দ্বিমত এফবিআই-পররাষ্ট্র দপ্তরের পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘সঙ্কটাপন্ন’