ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
আইডিএমসি ও আইওএম: আন্দোলনের নামে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর সহিংসতা, বাড়িছাড়া লাখো নেতাকর্মী
আওয়ামী লীগ নেতা লিটনের ব্যবসা-টেন্ডারে ভাগ চান এনসিপি নেত্রী মিশমা, ফোনালাপ ফাঁস
অর্থনীতিতে স্থবিরতা, বাড়ছে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা
অর্থনীতিতে বহুমাত্রিক চাপ: ভেঙে পড়ছে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা, চোখে অন্ধকার সাধারণ মানুষের
বাংলাদেশে গণতন্ত্র আজ অবরুদ্ধ
ইউনূস শাসনামল: গুমের পরে লাশ হয়ে ফিরলেন আরও এক মুক্তিযোদ্ধা
ড. ইউনূসের সৌদি আরব সফর বাতিলের নেপথ্যে শেখ হাসিনার ছায়া?
ডিপি ওয়ার্ল্ড দায়িত্ব নেয়ার আগেই বন্দরে কন্টেইনারের হ্যান্ডলিং চার্জ বাড়লো প্রায় ২৩ হাজার টাকা
ইউনূস সরকারের আমলে চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিং খরচের অভূতপূর্ব বৃদ্ধি আমদানি-রপ্তানিকারকদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। ডিপি ওয়ার্ল্ডের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের আগেই এই চার্জ ২২,৮০০ টাকা বেড়েছে, যা ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষের সৃষ্টি করেছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক) গত ১৪ই অক্টোবর থেকে কার্যকর করা ৪১ শতাংশের গড় ট্যারিফ বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে, যার ফলে কন্টেইনার প্রতি হ্যান্ডলিং খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর দাবি, এই বৃদ্ধি ডিপি ওয়ার্ল্ডের দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা বন্দরের দক্ষতা বাড়ানোর নামে ব্যবসায়ীদের উপর অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে।
বাংলাদেশ কন্টেইনার শিপিং অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ফয়েজ খন্দকার বলেন, “বন্দর কর্তৃপক্ষ খরচ বাড়িয়েছে আগেই। এখন এই
ট্যারিফ বৃদ্ধি আমদানি-রপ্তানির খরচকে আরও ৩০-৪০ শতাংশ বাড়িয়ে দেবে।” বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড চট্টগ্রাম বন্দর ৯২ শতাংশ আমদানি-রপ্তানি বহন করে এবং ৯৮ শতাংশ কন্টেইনার ট্রাফিক এনসিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এই বৃদ্ধির ফলে গার্মেন্টসসহ রপ্তানি খাতের খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বাংলাদেশের অবস্থানকে দুর্বল করতে পারে। আন্তর্জাতিক অর্থ ও আর্থিক কর্পোরেশনের (আইএফসি) ২০২৪ সালের একটি জরিপে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের খরচ এখন এশিয়ার অনেক প্রতিযোগী বন্দরের চেয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে, যেমন ভিয়েতনাম বা মালয়েশিয়ার বন্দরগুলো। অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থনৈতিক সংস্কারের অংশ হিসেবে এই ট্যারিফ বৃদ্ধি ঘোষণা করা হলেও, ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো এর বিরোধিতা করছে। বাংলাদেশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের একজন নেতা বলেন, “ইউনূস সরকারের আমলে এই ধরনের সিদ্ধান্ত
আমদানি-রপ্তানিকারকদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ডিপি ওয়ার্ল্ডের আগমনের আগেই এমন বৃদ্ধি করলে ব্যবসায়ের খরচ নিয়ন্ত্রণের সম্ভাবনা কমে যায়।” সিপিএ-র সাম্প্রতিক ঘোষণা অনুসারে, এই বৃদ্ধি বন্দরের আধুনিকীকরণ এবং দক্ষতা বাড়ানোর জন্য, কিন্তু ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন যে এটি স্বচ্ছতার অভাবে নেওয়া হয়েছে। ডিপি ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে চুক্তির প্রসঙ্গে সরকারী কর্মকর্তারা বলছেন, এটি বন্দরের জটিলতা কমাবে এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস মে মাসে বন্দর সফরের সময় বলেছিলেন, “চট্টগ্রাম বন্দরকে বিশ্বমানের করে তোলার জন্য বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি।” তবে সমালোচকরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন যে, বিদেশি অপারেটরের হাতে টার্মিনালের পরিচালনা দেওয়া জাতীয় নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্বের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। ব্যবসায়ী নেতারা এখন সরকারের কাছে
চার্জ বৃদ্ধি পুনর্বিবেচনার দাবি জানাচ্ছেন এবং দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের পুনরুদ্ধারকে আরও জটিল করে তুলেছে, যা অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
ট্যারিফ বৃদ্ধি আমদানি-রপ্তানির খরচকে আরও ৩০-৪০ শতাংশ বাড়িয়ে দেবে।” বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড চট্টগ্রাম বন্দর ৯২ শতাংশ আমদানি-রপ্তানি বহন করে এবং ৯৮ শতাংশ কন্টেইনার ট্রাফিক এনসিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এই বৃদ্ধির ফলে গার্মেন্টসসহ রপ্তানি খাতের খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বাংলাদেশের অবস্থানকে দুর্বল করতে পারে। আন্তর্জাতিক অর্থ ও আর্থিক কর্পোরেশনের (আইএফসি) ২০২৪ সালের একটি জরিপে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের খরচ এখন এশিয়ার অনেক প্রতিযোগী বন্দরের চেয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে, যেমন ভিয়েতনাম বা মালয়েশিয়ার বন্দরগুলো। অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থনৈতিক সংস্কারের অংশ হিসেবে এই ট্যারিফ বৃদ্ধি ঘোষণা করা হলেও, ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো এর বিরোধিতা করছে। বাংলাদেশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের একজন নেতা বলেন, “ইউনূস সরকারের আমলে এই ধরনের সিদ্ধান্ত
আমদানি-রপ্তানিকারকদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ডিপি ওয়ার্ল্ডের আগমনের আগেই এমন বৃদ্ধি করলে ব্যবসায়ের খরচ নিয়ন্ত্রণের সম্ভাবনা কমে যায়।” সিপিএ-র সাম্প্রতিক ঘোষণা অনুসারে, এই বৃদ্ধি বন্দরের আধুনিকীকরণ এবং দক্ষতা বাড়ানোর জন্য, কিন্তু ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন যে এটি স্বচ্ছতার অভাবে নেওয়া হয়েছে। ডিপি ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে চুক্তির প্রসঙ্গে সরকারী কর্মকর্তারা বলছেন, এটি বন্দরের জটিলতা কমাবে এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস মে মাসে বন্দর সফরের সময় বলেছিলেন, “চট্টগ্রাম বন্দরকে বিশ্বমানের করে তোলার জন্য বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি।” তবে সমালোচকরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন যে, বিদেশি অপারেটরের হাতে টার্মিনালের পরিচালনা দেওয়া জাতীয় নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্বের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। ব্যবসায়ী নেতারা এখন সরকারের কাছে
চার্জ বৃদ্ধি পুনর্বিবেচনার দাবি জানাচ্ছেন এবং দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের পুনরুদ্ধারকে আরও জটিল করে তুলেছে, যা অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।



