ডায়াবেটিসে অন্ধত্ব ও করণীয় – ইউ এস বাংলা নিউজ




ডায়াবেটিসে অন্ধত্ব ও করণীয়

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৬ জুন, ২০২৫ | ৭:৫০ 60 ভিউ
ডায়াবেটিসের শুরুতেই রোগের লক্ষণ হিসেবে অনেকের ঝাপসা দৃষ্টি থাকতে পারে। টাইপ-২ ডায়াবেটিসের সিকিভাগের বেশি রোগীর রোগ নির্ণয়ের সময় জটিলতা থাকে। এসব জটিলতার মধ্যে চোখের জটিলতা তথা রেটিনোপ্যাথি সবচেয়ে বেশি। ডায়াবেটিস বেড়ে গেলেও ঝাপসা দৃষ্টি তৈরি হতে পারে। দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, সোজা রেখা বাঁকা দেখা, দৃষ্টিসীমানার ভেতরে কালো কালো দাগ দেখা, আকস্মিক অন্ধত্ব– এগুলো সব হতে পারে রেটিনার ব্যাধিতে। মাঝেমধ্যে দৃষ্টিশক্তির হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে রক্তে গ্লুকোজের তারতম্যের কারণে। চোখের সবচেয়ে সংবেদনশীল স্তর হচ্ছে রেটিনা। ডায়াবেটিসের কারণে রেটিনার রক্তনালিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কখনও রেটিনায় ঘটে রক্তক্ষরণ। এ ছাড়া অনেক ক্ষেত্রে রেটিনা বিচ্ছিন্ন পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় রেটিনা ও অক্ষিগোলকের জেলিসদৃশ পদার্থের ভেতর নতুন নতুন রক্তনালি

তৈরি হতে থাকে। এসব গজিয়ে ওঠা নবীন রক্তনালি থাকে ভঙ্গুর। এখান থেকে হতে পারে রক্তক্ষরণ। এমনটি ঘটলে দৃষ্টিশক্তি চিরদিনের জন্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ডায়াবেটিক রোগীদের অন্যদের তুলনায় দ্বিগুণ ছানি পড়ার প্রবণতা তৈরি হয়। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের গ্লুকোমা বা চোখের চাপ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় বেশি। ডায়াবেটিসের ধরন, সময়কাল, ব্যক্তির বয়স, গ্লুকোজের মাত্রা, উচ্চ রক্তচাপ এবং রক্তে কোলেস্টেরল বা চর্বির উপস্থিতি রেটিনার ব্যাধি সৃষ্টির জন্য নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। দীর্ঘদিনের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস সবচেয়ে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। চোখের জটিলতা কমাতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। শরীরচর্চা, ওষুধ এবং প্রয়োজন বোধে ইনসুলিনের চিকিৎসা নিতে হবে। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে হবে রক্তের

গ্লুকোজের মাত্রা কেমন। প্রতিবছর অন্তত একবার চক্ষু চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়ে চোখের জটিলতা নির্ণয় করে চিকিৎসা নিতে হবে। টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস নির্ণিত হওয়ার পর প্রতিবছর চক্ষু পরীক্ষা করা জরুরি। টাইপ-১ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয়ের পাঁচ বছর পর থেকে প্রতিবছর এমনটি করতে হবে। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তের চর্বি নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রেটিনার এসব রোগের জন্য বর্তমানে বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। একজন বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসক এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে পারবেন। কখনও এর জন্য প্রয়োজন হতে পারে লেজারথেরাপি কিংবা কখনও চোখের ভেতরে ইনজেকশন দেওয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে। এসব নির্ভর করে রেটিনার অবস্থার ওপর। কর্নেল ডা. নাসির উদ্দিন আহমদ লেখক

: মেডিসিন স্পেশালিস্ট ও এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট, সিএমএইচ, ঢাকা

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বাংলাদেশে নিজের বিচার নিয়ে টিউলিপের প্রতিক্রিয়া সেনাপ্রধানের নামে সামাজিক মাধ্যমে ভুয়া অ্যাকাউন্ট, আইএসপিআরের সতর্কবার্তা যে রিপোর্ট ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয় বিসিবি সভাপতি ফারুকের গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগের প্রতিবাদ সম্পাদক পরিষদের বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে উয়েফা সুপার কাপে ইসরায়েল পুড়ছে রেকর্ড তাপমাত্রায় নাটকীয় কামব্যাকের পর টাইব্রেকারে পিএসজির সুপার কাপ জয় ইতালি উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকা ডুবে ২৬ জনের মৃত্যু ‘স্টার লিংকের’ সমান শুল্ক সুবিধা পাচ্ছে বিএসসিএল জন্মাষ্টমী : সাংবাদিকদের সাথে পূজা পরিষদের মতবিনিময় বৃহস্পতিবার সাবেক ৩ গভর্নর ও ৬ ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব স্বর্ণ পাচারে জড়িত সেই কেবিন ক্রু রুদাবা সাসপেন্ড সাদা পাথর উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু গণপিটুনিতে নিহতের ঘটনায় দুই কর্মকর্তাসহ ৮ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত সন্ধ্যার মধ্যে যেসব জেলায় হতে পারে বজ্রবৃষ্টি সরকারকে এক মাসের আলটিমেটাম শিক্ষকদের ৩৩ ওষুধের দাম কমলো, ১১৬ কোটি টাকা সাশ্রয় যতীন সরকার মারা গেছেন ভারতকে পাক সেনাপ্রধানের পরমাণু যুদ্ধের হুমকি, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র এক সেঞ্চুরিতে ৮০ ধাপ উন্নতি ‘বেবি এবির’