ট্রাম্পের শরীরে ‘হালাল’ রক্ত! তাই দ্রুত দুনিয়া থেকেই সরিয়ে দিতে হবে তাঁকে: ২০০০ মুসলিম ধর্মগুরুর হুঙ্কার – ইউ এস বাংলা নিউজ




ট্রাম্পের শরীরে ‘হালাল’ রক্ত! তাই দ্রুত দুনিয়া থেকেই সরিয়ে দিতে হবে তাঁকে: ২০০০ মুসলিম ধর্মগুরুর হুঙ্কার

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৫ আগস্ট, ২০২৫ | ১০:২৮ 47 ভিউ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শরীরে বইছে ‘হালাল’ রক্ত! সেই কারণে দ্রুত দুনিয়া থেকেই সরিয়ে দিতে হবে তাঁকে। এ বার প্রকাশ্যে এই আহ্বান জানালেন পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকার ‘বড় শত্রু’ ইরানের দু’হাজারের বেশি ইসলামীয় ধর্মগুরু। তাঁদের দেওয়া এ-হেন হুমকিতে ঘুম উড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বর্ষীয়ান প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ইউএস সিক্রেট সার্ভিসের কর্তাব্যক্তিদের। ট্রাম্পের সুরক্ষাকে আরও জোরদার করার দিকে নজর দিয়েছেন তাঁরা। চলতি বছরের পহেলা আগস্ট পারস্য উপসাগরের কোলের শিয়া মুলুকটির সর্ববৃহৎ মাদ্রাসা ‘কোম’-এ জড়ো হন দু’হাজারের বেশি ধর্মগুরু। সেখানে দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত আলোচনার পর মার্কিন প্রেসিডেন্টকে হত্যার ফরমান জারি করেন তাঁরা। এই নিয়ে দেওয়া হয় একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিও, যাতে ট্রাম্পের ধমনীতে ‘হালাল’ রক্ত বইছে

বলে উল্লেখ রয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইরান ইন্টারন্যাশনাল’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, দু’হাজার ধর্মগুরুর ফরমানে বলা হয়েছে, ‘‘বিপ্লবী সংযম এবং ধৈর্যের যুগের পরিসমাপ্তি ঘটেছে। ট্রাম্পের রক্ত ও সম্পত্তি ‘হালাল’। আর তাই কাসেম সুলেমানির হত্যার প্রতিশোধ নেওয়া প্রতিটা মুসলিম এবং স্বাধীনতাকামী নারী-পুরুষের কর্তব্য।’’ ২০২০ সালে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে ট্রাম্পের নির্দেশেই মার্কিন ড্রোন হামলায় মৃত্যু হয় তেহরানের ওই সেনা কমান্ডারের। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, সংশ্লিষ্ট ফরমানে বিশিষ্ট ধর্মগুরুদের পাশাপাশি সই করেন ইরানের জুনিয়ার মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও। আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ট্রাম্পকে ‘বর্বর’ বলে উল্লেখ করেছেন তাঁরা। পাশাপাশি সেখানে আরও বলা হয়, ‘‘এই ধরনের ঘটনার পর কোনও জাতির পক্ষে চুপ করে থাকা সম্ভব নয়। আমরা এর জবাব দেবই। সময় বুঝে জোরদার প্রতিশোধ

নেওয়া হবে।’’ ইরানের শিয়া ধর্মগুরু তথা ‘সর্বোচ্চ নেতা’ আয়াতুল্লাহ আলী খামিনির নিযুক্ত অন্তত তিন জন শীর্ষনেতা ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। তাঁরা হলেন শুক্রবারের জুম্মার নমাজ়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইমাম আহমেদ খাতামি, এক্সপিডিয়েন্সি কাউন্সিলের সদস্য মহসেন আরাকি এবং গার্ডিয়ান কাউন্সিলের সদস্য মেহেদি শাবজ়েনদার। এই তিন জনও ট্রাম্পের মৃত্যু পরোয়ানায় সই করেন বলে জানা গিয়েছে। আয়াতুল্লাহ আলী খামিনির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ইরানের সুদক্ষ আধা সেনা ‘ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কোর’ বা আইআরজিসি। দূরপাল্লার ব্যালেস্টিক এবং হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের বহর নিয়ন্ত্রণ করেন এর ফৌজি জেনারেলরা। খামিনির নির্দেশে দেশ ও জাতির স্বার্থে যে কোনও রকমের ঝুঁকি নিতে সর্বদাই প্রস্তুত থাকেন তাঁরা। তেহরানের এই শিয়া ধর্মগুরুর কাছে আমেরিকা ‘বড় শয়তান’। ইহুদিভূমি ইজ়রায়েলকে

‘ছোট শয়তান’ বলে ডেকে থাকেন তিনি। ২০২০ সালে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত কাসেম সুলেমানি ছিলেন আইআরজিসির কমান্ডার। আয়াতুল্লাহ খামিনির ঘনিষ্ঠ এই সেনা অফিসার কুর্দ বাহিনীকে নেতৃত্ব দিতেন। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধেও অংশ নেন তিনি। পরবর্তী কালে একের পর এক গুপ্ত অভিযান চালিয়ে ইজ়রায়েলকে নাস্তানাবুদ করে তোলেন সুলেমানি। তাঁর রণকৌশলের সঙ্গে এঁটে ওঠা ইহুদিদের পক্ষে বেশ মুশকিল হচ্ছিল। সূত্রের খবর, এ-হেন সুলেমানিকে সরিয়ে দিতে ছক কষে ইজ়রায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ। তাঁর গতিবিধির উপর কড়া নজর ছিল ইহুদি গোয়েন্দাদের। সেই খবর মার্কিন ফৌজের কাছে পৌঁছে দেয় তারা। এর পরেই বাগদাদ বিমানবন্দরের বাইরে গাড়িতে ওঠার পর সুলেমানির উপরে ড্রোন হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই

ঘটনার পর প্রতিশোধ নিতে পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকার একাধিক সেনাঘাঁটিকে নিশানা করে তেহরান। যদিও এতে আমেরিকার তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সুলেমানির মৃত্যুর পর ওই বছরের ১০ অগস্ট মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবন এবং দফতর হোয়াইট হাউসের বাইরে গুলি চালায় সন্দেহভাজনক এক ব্যক্তি। সে সময়ে সাংবাদিক বৈঠকে গণমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন ট্রাম্প। তড়িঘড়ি তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যান ইউএস সিক্রেট সার্ভিসের অফিসারেরা। সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক বৈঠকটিকেও বাতিল করা হয়। ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর প্যাস্কেল সেসিল ভেরোনিক ফেরিয়ার নামের এক মহিলাকে গ্রেফতার করে নিউ ইয়র্কের গোয়েন্দা বিভাগ। তাঁর কাছে মেলে ট্রাম্পকে লেখা বিষমাখানো একটি চিঠি। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ‘কুৎসিত অত্যাচারী জোকার’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। সংশ্লিষ্ট চিঠিটিকে

জৈব হাতিয়ার মেনে নিয়ে ভেরোনিক ফেরিয়ারকে ২২ বছরের জন্য জেলে পাঠায় আমেরিকার আদালত। গত বছর অন্তত দু’বার নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত থাকাকালীন ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় আততায়ী। প্রথম ঘটনাটি ঘটে ২০২৪ সালের ১৩ জুলাই পেনসিলভ্যানিয়ায়। ওই সময়ে একটি জনসভায় বক্তৃতা দিচ্ছিলেন তিনি। তার মাঝেই থমাস ম্যাথিউ ক্রুকস নামের এক ব্যক্তি এআর-১৫ রাইফেল দিয়ে ট্রাম্পের উপরে অন্তত আটটি গুলি চালান। এর মধ্যে একটি বুলেট তাঁর কান ছুঁয়ে চলে যায়। থমাস লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান ট্রাম্প।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
নিউজিল্যান্ডের ক্যাফে থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল কোহলি-আনুশকাকে! লঘুচাপের পূর্বাভাস, ৫ দিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে যেসব জায়গায় ওয়াশিং মেশিন নিয়ে তর্ক করায় যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় ব্যক্তির শিরশ্ছেদ জাকসু নির্বাচনের দায়িত্বপালনকালে পোলিং অফিসারের মৃত্যু অপহরণ লিবিয়ায়, মুক্তিপণের লেনদেন বাংলাদেশে সবজির বাজারে উত্তাপ, চড়া মাছের বাজারও ‘কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হবে না, এ জায়গা আমাদের’ শনিবার বাংলাদেশে আসছেন আম্পায়ার সাইমন টাফেল কাতারের পর এবার কার পালা? স্বর্ণের দাম এখনো রেকর্ডের কাছাকাছি দাম কমলো জেট ফুয়েলের সুন্দরবনে দস্যুদের কবল থেকে ৯ জেলে উদ্ধার, আটক ২ কটাক্ষের শিকার সোহিনী সরকার ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত কারিশমা এশিয়া কাপে রাতে মাঠে নামছে পাকিস্তান, খেলা দেখবেন যেভাবে বিশ্বের শীর্ষ দশ ধনীর স্ত্রীরা কী করেন? উদ্যোক্তাদের সব শেয়ার বাজেয়াপ্ত করা হবে হংকংকে হারিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের ঝটিকা মিছিলের প্রস্তুতিকালে আ.লীগের ১২ নেতাকর্মী গ্রেফতার পুলিশের স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত