ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
বন্দর রক্ষার আন্দোলন ক্রমশ তীব্রতর, বিদেশি ইজারা চুক্তির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ মানুষ
আলিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের পর শিবিরের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বহিরাগত ক্যাডার হলে আনার অভিযোগ
খ্রিস্টানদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বিগ্ন পোপ, তালিকায় সর্বাগ্রে ইউনুসের বাংলাদেশ
শাহরিয়ার কবিরের অপরাধ : মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দাঁড়ানো
আবারও কারাগারে আ.লীগ নেতার মৃত্যু: চিকিৎসার অভাবে ‘হত্যা’র অভিযোগ পরিবারের
জাতিসংঘের নিয়ম লঙ্ঘন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড: গুতেরেসকে ড. মোমেনের জরুরি চিঠি
ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের আস্ফালন, রক্তাক্ত মানিকগঞ্জ
ট্রাইব্যুনালের হালচাল: আসামিপক্ষের আইনজীবীকেই উল্টো ‘আসামি বানানোর’ হুমকি তাজুলের
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আজ রোববার উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার নাজনীন নাহারকে খোলা আদালতে হুমকি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “চুপ করে থাকেন। কথা বলবেন না। আপনাকেও আসামি করা যাবে। আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাচ্ছি।”
এই ঘটনা ঘটে যখন আইনজীবী নাজনীন নাহার ট্রাইব্যুনালকে জানান, তার মক্কেলের সেফ হাউসে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাকে উপস্থিত থাকতে দেওয়া হয়নি, অথচ আইন অনুযায়ী আইনজীবীর উপস্থিত থাকার অধিকার আছে।
তিনি বলেন, “আমাকে কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি, ভেতরে ঢুকতেও দেওয়া হয়নি।”
এর জবাবে প্রধান কৌঁসুলি তাজুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং উপরোক্ত হুমকি দেন। আদালতকক্ষে উপস্থিত
সাংবাদিক ও আইনজীবীরা জানান, এ ধরনের সরাসরি হুমকি আগে খুব কমই শোনা গেছে। আইনজীবী মহলের প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জে আর খান রবিন বলেন, “এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ও বিপজ্জনক প্রবণতা। প্রধান কৌঁসুলি নিজেই যদি খোলা আদালতে ডিফেন্সের আইনজীবীকে আসামি বানানোর হুমকি দেন, তাহলে আসামিদের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার কীভাবে সুরক্ষিত থাকবে? এটা স্পষ্টভাবে আইনজীবীর পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি এবং বিচার ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা নষ্ট করা।” আরেক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বলেন, “এ ধরনের হুমকি দিয়ে আসামী পক্ষকে নীরব করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা শুধু নাজনীন নাহারের বিরুদ্ধে নয়, গোটা আইনজীবী সমাজের বিরুদ্ধে হুমকি।” আইসিটি’র কার্যক্রমে ক্রমাগত সমালোচনা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের
কার্যক্রম নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা উঠেছে। প্রতিরক্ষা আইনজীবীদের বারবার হয়রানি, মক্কেলের সঙ্গে সাক্ষাৎে বাধা, জিজ্ঞাসাবাদে উপস্থিত থাকতে না দেওয়া এবং এখন সরাসরি হুমকি—এসবের মধ্য দিয়ে ট্রাইব্যুনালকে অনেকে ‘একপেশে প্রতিহিংসার হাতিয়ার’ বলে মনে করছেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ন্যায়বিচারের জন্য আসামি পক্ষের আইনজীবীদের স্বাধীনভাবে কাজ করার অধিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যখন প্রধান কৌঁসুলি নিজেই আইনজীবীকে ‘আসামি করার’ হুমকি দিচ্ছেন, তখন এই ট্রাইব্যুনালে কোনো আসামি ন্যায়বিচার পাবেন—এই প্রশ্ন এখন সবচেয়ে জোরালোভাবে উঠেছে। আজকের এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করল, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এখন ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রতিহিংসার একটি হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে—যেখানে সত্য বলার সাহস দেখালেই হুমকির মুখে পড়তে হয়।
সাংবাদিক ও আইনজীবীরা জানান, এ ধরনের সরাসরি হুমকি আগে খুব কমই শোনা গেছে। আইনজীবী মহলের প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জে আর খান রবিন বলেন, “এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ও বিপজ্জনক প্রবণতা। প্রধান কৌঁসুলি নিজেই যদি খোলা আদালতে ডিফেন্সের আইনজীবীকে আসামি বানানোর হুমকি দেন, তাহলে আসামিদের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার কীভাবে সুরক্ষিত থাকবে? এটা স্পষ্টভাবে আইনজীবীর পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি এবং বিচার ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা নষ্ট করা।” আরেক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বলেন, “এ ধরনের হুমকি দিয়ে আসামী পক্ষকে নীরব করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা শুধু নাজনীন নাহারের বিরুদ্ধে নয়, গোটা আইনজীবী সমাজের বিরুদ্ধে হুমকি।” আইসিটি’র কার্যক্রমে ক্রমাগত সমালোচনা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের
কার্যক্রম নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা উঠেছে। প্রতিরক্ষা আইনজীবীদের বারবার হয়রানি, মক্কেলের সঙ্গে সাক্ষাৎে বাধা, জিজ্ঞাসাবাদে উপস্থিত থাকতে না দেওয়া এবং এখন সরাসরি হুমকি—এসবের মধ্য দিয়ে ট্রাইব্যুনালকে অনেকে ‘একপেশে প্রতিহিংসার হাতিয়ার’ বলে মনে করছেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ন্যায়বিচারের জন্য আসামি পক্ষের আইনজীবীদের স্বাধীনভাবে কাজ করার অধিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যখন প্রধান কৌঁসুলি নিজেই আইনজীবীকে ‘আসামি করার’ হুমকি দিচ্ছেন, তখন এই ট্রাইব্যুনালে কোনো আসামি ন্যায়বিচার পাবেন—এই প্রশ্ন এখন সবচেয়ে জোরালোভাবে উঠেছে। আজকের এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করল, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এখন ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রতিহিংসার একটি হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে—যেখানে সত্য বলার সাহস দেখালেই হুমকির মুখে পড়তে হয়।



