
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

নয়া মেরুকরণের পথে রাজনীতি

প্রথমে ধোলাই, তারপর সেই নেতাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা

রাজধানীর যে এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন মমতাজ

আইভীর জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে ডিভিশন মঞ্জুর

আওয়ামী লীগ কচু পাতার পানি না: কাদের সিদ্দিকী

ছাত্রদল-যুবদলের ১০ নেতাকর্মী আটক, কোমড়ে দড়ি বেঁধে নেওয়া হলো থানায়

স্বচ্ছ-জবাবদিহিমূলক বিজিএমইএ গড়তে কাজ করবে ফোরাম জোট
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে রমরমা মামলা বাণিজ্য

গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস জিয়াউল হক স্বপন। তিনি জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর সংঘটিত বিভিন্ন সহিংস ঘটনায় আক্রন্তদের খুঁজে বের করতেন। পরে তাদের পরিবারের সদস্যদের দিয়ে থানায় কিংবা আদালতে মামলা করার জন্য আবেদন তৈরি করেন। ওই আবেদনের খসড়া তালিকায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পাশাপাশি টার্গেট করা হয় স্থানীয় ব্যবসায়ী, শিক্ষক ও বাড়ির মালিকদের। পরে ওই মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার কথা বলে তিনি মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। যারা টাকা দিয়েছেন, তাদের নাম বাদ দিয়ে অন্যদের নামে মামলা করিয়েছেন। আর এসব মামলার বাদীরা আসামিদের চিনেন না। এভাবে তিনি সাধারণ মানুষ তো আছেই,
বিএনপি নেতাদেরও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের আমলে মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে স্বপনের বিরুদ্ধে। জুলাই অভ্যুত্থানের পর ভোল পালটে তিনি নতুনভাবে জেগে উঠেন। বর্তমানে দলীয় পদ না থাকলেও বিএনপির সাবেক নেতার পরিচয় দিয়েই করে যাচ্ছেন চাঁদাবাজি। স্থানীয় সূত্র বলেছে, জিয়াউল হক ওরফে জিএস স্বপন টঙ্গীর লেদু মোল্লা রোডের কফিল উদ্দিন দেওয়ানের ছেলে। তিনি আইনজীবী হওয়ার সুবাদে বিভিন্নভাবে জিম্মি করে মামলা বাণিজ্য করেন। স্বপনের চাঁদা দাবি, মামলা বাণিজ্য ও হুমকি-ধমকির ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানায় তার বিরুদ্ধেও দুটি মামলা এবং একাধিক লিখিত অভিযোগ রয়েছে। রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় শিলা আক্তার নামের এক নারী
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ২৭১ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলার ১৬৫ নম্বর আসামি গাজীপুর মহানগরীর ৫০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সহসভাপতি এবং বর্তমান সদস্য মুরাদ হোসেন বকুল। তিনি অভিযোগ করেন, স্বপন চাঁদা না পেয়ে তাকে মামলায় ফাঁসিয়েছেন। মামলার আসামিদের চেনেন কি না-এমন প্রশ্নে শিলা বলেন, ‘এ বিষয়ে স্বপন ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন।’ স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগ শাসনামলে স্বপন পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতেন। বেনজীরের সঙ্গে তার একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া যায়। এছাড়া তাকে প্রায়ই দেখা যেত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের বাসায়। টঙ্গী পূর্ব থানা
বিএনপির সভাপতি সরকার জাবেদ আহম্মেদ সুমন বলেন, শুধু মুরাদই নন, চাঁদা না দেওয়ায় স্বাপন অনেককেই মামলায় ফাঁসিয়েছেন। তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। কিন্তু এখন কার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এসব করছেন, তা তদন্ত হওয়া উচিত। আইফোন না পাওয়ায় আসামি ঠিকাদার : টঙ্গীর দত্তপাড়া হাসান লেনের বাসিন্দা ঠিকাদার কবির হোসেন অভিযোগ করেন, ৫ জুলাই স্থানীয় এক ব্যক্তির মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে কৌশলে তার আইফোন ও নগদ ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন স্বপন। এ ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানায় লিখিত অভিযোগ করেন কবির। পরে বাধ্য হয়ে শুধু আইফোন ফেরত দেন স্বপন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে কবিরকে ফোন করেন স্বপন। আগের ঘটনার জেরে হুমকি দিয়ে নতুন একটি আইফোন কিনে
দিতে বলেন। এতে রাজি না হওয়ায় তাকে মামলায় আসামি করা হয়। এ ঘটনায় মোবাইল ফোনের কথোপকথনের অডিও রেকর্ডেও স্বপনকে হুমকি দিতে শোনা গেছে। কবির হোসেন বলেন, বাদী তাকে চেনেন না। স্বপনকে আইফোন কিনে না দেওয়ায় তিনি কৌশলে মামলায় নাম দিয়েছেন। ১১ বছরের শিশুও আসামি : কবিরের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও টাকা নেওয়ার পর স্থানীয়ভাবে মীমাংসা বৈঠক হয়েছিল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দত্তপাড়ার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. হামিদ মোল্লা ওই বৈঠকে স্বপনকে ‘চোর’ আখ্যা দেন। এর জেরে গত ১০ আগস্ট স্বপন লোকজন নিয়ে হামিদের বাড়িতে হামলা চালান। ৩০ আগস্ট টঙ্গী পূর্ব থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন হামিদের মেয়ে তাবাসসুম। হামিদ জানান, বিচারে
চোর বলায় এবং চাহিদামাফিক চাঁদা না দেওয়ায় স্বপন তাদের ওপর অত্যাচার শুরু করেন। পরে থানায় জিডি করলে তিনি, তার সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া ১১ বছরের ছেলে সাদ মোল্লা ও জামাতার নাম মামলার তালিকায় ঢুকিয়ে দিয়েছেন স্বপন। চাঁদা না দেওয়ায় আসামি স্কুল-কলেজ শিক্ষকরা : টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজের প্রভাষক হানিফ উদ্দিন, প্রদর্শক আবু জাফর আহম্মেদ, টঙ্গীর সিরাজউদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান, সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান, সহকারী প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম, ক্রীড়া শিক্ষক মোস্তফা কামাল, গাছা বঙ্গবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষ মনির হোসেন অভিযোগ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধেও মামলা করিয়েছেন স্বপন। এসব শিক্ষকের অভিযোগ, ৫ আগস্টের
পর তাদের ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে বিভিন্নভাবে চাঁদা দাবি করেন স্বপন। না দেওয়ায় তাদের আসামি করা হয়। টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজের প্রভাষক মো. হানিফ উদ্দিন বলেন, ‘১৭ অক্টোবর স্বপন ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চেয়ে একজনকে পাঠান। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অন্য শিক্ষকের সঙ্গে আমাকেও মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছেন।’ টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকার রড ব্যবসায়ী মো. কামাল ও তার ছেলে মাসুদ রানা এবং জাপান স্টিল নামের অপর একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. নূরানীও অভিযোগ করেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হওয়া মামলায় আসামি করে তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছেন স্বপন। জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা করে নিয়ে ‘মামলার বাদী আসামিদের চেনেন না’ উল্লেখ করে হলফনামা করে আদালতে পেশ করেন তিনি। এছাড়া হবি মল্লিক ও হাজি বিল্লালও অভিযোগ করেছেন, স্বপন তাদের কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছেন। মামলার বাদী চেনেন না আসামিদের : গত ৪ আগস্ট রাজধানীর উত্তরায় বিএনএস সেন্টারের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চোখে গুলিবিদ্ধ হন টঙ্গীর সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন। এ ঘটনায় ১৩ নভেম্বর ২০৩ জনের নামে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেন তার বাবা আসান উল্লাহ। আসামিদের নামগুলো কে দিয়েছেন, জানতে চাইলে বাদী মো. আসান উল্লাহ বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাই না।’ তবে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আসান উল্লাহ বলেছিলেন, পুরো মামলাটি স্বপন ভাই (জিয়াউল হাসান) করিয়েছেন। আর মামলায় এত নাম দেওয়া হবে, তা তিনি জানতেন না। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জিয়াউল হাসান স্বপন মোবাইল ফোনে বলেন, আমি কারও বিরুদ্ধে মামলা করিনি। যারা বিগত দিনে আওয়ামী লীগ করেছে বা ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ছিল, কেবল তাদের বিরুদ্ধেই মামলা হয়েছে। আর এসব মামলার বাদী বা আইনজীবী আমি না। প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দিচ্ছে। টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম বলেন, স্বপনের নামে থানায় চাঁদা দাবি ও হুমকি-ধমকির ঘটনায় মামলা রয়েছে। গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকার বলেন, ‘স্বপনের এসব অনিয়মের বিষয়ে অনেকে অভিযোগ করেছেন। সে এখন দলীয় কোনো পদে নেই।’ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক সংসদ-সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, বিএনপিতে কোনো চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও লুটেরাদের স্থান নেই।
বিএনপি নেতাদেরও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের আমলে মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে স্বপনের বিরুদ্ধে। জুলাই অভ্যুত্থানের পর ভোল পালটে তিনি নতুনভাবে জেগে উঠেন। বর্তমানে দলীয় পদ না থাকলেও বিএনপির সাবেক নেতার পরিচয় দিয়েই করে যাচ্ছেন চাঁদাবাজি। স্থানীয় সূত্র বলেছে, জিয়াউল হক ওরফে জিএস স্বপন টঙ্গীর লেদু মোল্লা রোডের কফিল উদ্দিন দেওয়ানের ছেলে। তিনি আইনজীবী হওয়ার সুবাদে বিভিন্নভাবে জিম্মি করে মামলা বাণিজ্য করেন। স্বপনের চাঁদা দাবি, মামলা বাণিজ্য ও হুমকি-ধমকির ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানায় তার বিরুদ্ধেও দুটি মামলা এবং একাধিক লিখিত অভিযোগ রয়েছে। রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় শিলা আক্তার নামের এক নারী
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ২৭১ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলার ১৬৫ নম্বর আসামি গাজীপুর মহানগরীর ৫০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সহসভাপতি এবং বর্তমান সদস্য মুরাদ হোসেন বকুল। তিনি অভিযোগ করেন, স্বপন চাঁদা না পেয়ে তাকে মামলায় ফাঁসিয়েছেন। মামলার আসামিদের চেনেন কি না-এমন প্রশ্নে শিলা বলেন, ‘এ বিষয়ে স্বপন ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন।’ স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগ শাসনামলে স্বপন পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতেন। বেনজীরের সঙ্গে তার একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া যায়। এছাড়া তাকে প্রায়ই দেখা যেত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের বাসায়। টঙ্গী পূর্ব থানা
বিএনপির সভাপতি সরকার জাবেদ আহম্মেদ সুমন বলেন, শুধু মুরাদই নন, চাঁদা না দেওয়ায় স্বাপন অনেককেই মামলায় ফাঁসিয়েছেন। তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। কিন্তু এখন কার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এসব করছেন, তা তদন্ত হওয়া উচিত। আইফোন না পাওয়ায় আসামি ঠিকাদার : টঙ্গীর দত্তপাড়া হাসান লেনের বাসিন্দা ঠিকাদার কবির হোসেন অভিযোগ করেন, ৫ জুলাই স্থানীয় এক ব্যক্তির মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে কৌশলে তার আইফোন ও নগদ ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন স্বপন। এ ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানায় লিখিত অভিযোগ করেন কবির। পরে বাধ্য হয়ে শুধু আইফোন ফেরত দেন স্বপন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে কবিরকে ফোন করেন স্বপন। আগের ঘটনার জেরে হুমকি দিয়ে নতুন একটি আইফোন কিনে
দিতে বলেন। এতে রাজি না হওয়ায় তাকে মামলায় আসামি করা হয়। এ ঘটনায় মোবাইল ফোনের কথোপকথনের অডিও রেকর্ডেও স্বপনকে হুমকি দিতে শোনা গেছে। কবির হোসেন বলেন, বাদী তাকে চেনেন না। স্বপনকে আইফোন কিনে না দেওয়ায় তিনি কৌশলে মামলায় নাম দিয়েছেন। ১১ বছরের শিশুও আসামি : কবিরের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও টাকা নেওয়ার পর স্থানীয়ভাবে মীমাংসা বৈঠক হয়েছিল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দত্তপাড়ার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. হামিদ মোল্লা ওই বৈঠকে স্বপনকে ‘চোর’ আখ্যা দেন। এর জেরে গত ১০ আগস্ট স্বপন লোকজন নিয়ে হামিদের বাড়িতে হামলা চালান। ৩০ আগস্ট টঙ্গী পূর্ব থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন হামিদের মেয়ে তাবাসসুম। হামিদ জানান, বিচারে
চোর বলায় এবং চাহিদামাফিক চাঁদা না দেওয়ায় স্বপন তাদের ওপর অত্যাচার শুরু করেন। পরে থানায় জিডি করলে তিনি, তার সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া ১১ বছরের ছেলে সাদ মোল্লা ও জামাতার নাম মামলার তালিকায় ঢুকিয়ে দিয়েছেন স্বপন। চাঁদা না দেওয়ায় আসামি স্কুল-কলেজ শিক্ষকরা : টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজের প্রভাষক হানিফ উদ্দিন, প্রদর্শক আবু জাফর আহম্মেদ, টঙ্গীর সিরাজউদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান, সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান, সহকারী প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম, ক্রীড়া শিক্ষক মোস্তফা কামাল, গাছা বঙ্গবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষ মনির হোসেন অভিযোগ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধেও মামলা করিয়েছেন স্বপন। এসব শিক্ষকের অভিযোগ, ৫ আগস্টের
পর তাদের ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে বিভিন্নভাবে চাঁদা দাবি করেন স্বপন। না দেওয়ায় তাদের আসামি করা হয়। টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজের প্রভাষক মো. হানিফ উদ্দিন বলেন, ‘১৭ অক্টোবর স্বপন ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চেয়ে একজনকে পাঠান। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অন্য শিক্ষকের সঙ্গে আমাকেও মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছেন।’ টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকার রড ব্যবসায়ী মো. কামাল ও তার ছেলে মাসুদ রানা এবং জাপান স্টিল নামের অপর একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. নূরানীও অভিযোগ করেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হওয়া মামলায় আসামি করে তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছেন স্বপন। জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা করে নিয়ে ‘মামলার বাদী আসামিদের চেনেন না’ উল্লেখ করে হলফনামা করে আদালতে পেশ করেন তিনি। এছাড়া হবি মল্লিক ও হাজি বিল্লালও অভিযোগ করেছেন, স্বপন তাদের কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছেন। মামলার বাদী চেনেন না আসামিদের : গত ৪ আগস্ট রাজধানীর উত্তরায় বিএনএস সেন্টারের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চোখে গুলিবিদ্ধ হন টঙ্গীর সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন। এ ঘটনায় ১৩ নভেম্বর ২০৩ জনের নামে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেন তার বাবা আসান উল্লাহ। আসামিদের নামগুলো কে দিয়েছেন, জানতে চাইলে বাদী মো. আসান উল্লাহ বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাই না।’ তবে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আসান উল্লাহ বলেছিলেন, পুরো মামলাটি স্বপন ভাই (জিয়াউল হাসান) করিয়েছেন। আর মামলায় এত নাম দেওয়া হবে, তা তিনি জানতেন না। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জিয়াউল হাসান স্বপন মোবাইল ফোনে বলেন, আমি কারও বিরুদ্ধে মামলা করিনি। যারা বিগত দিনে আওয়ামী লীগ করেছে বা ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ছিল, কেবল তাদের বিরুদ্ধেই মামলা হয়েছে। আর এসব মামলার বাদী বা আইনজীবী আমি না। প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দিচ্ছে। টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম বলেন, স্বপনের নামে থানায় চাঁদা দাবি ও হুমকি-ধমকির ঘটনায় মামলা রয়েছে। গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকার বলেন, ‘স্বপনের এসব অনিয়মের বিষয়ে অনেকে অভিযোগ করেছেন। সে এখন দলীয় কোনো পদে নেই।’ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক সংসদ-সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, বিএনপিতে কোনো চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও লুটেরাদের স্থান নেই।