ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
নিবিড় হচ্ছে ঢাকা-ইসলামাবাদ সামরিক বন্ধন: অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেলের নেতৃত্বে ৩ নভেম্বর রাওয়ালপিন্ডি যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
বর্তমান বাস্তবতায় অন্তবর্তী সরকার গঠনকল্পে সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগে পাঠানো মহামান্য রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সটি রি-কল (Recall) হওয়া উচিত
ঢাকায় স্বতঃস্ফূর্ত মিছিল: অবৈধ ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে আওয়ামী লীগ, ১০ মাসে গ্রেপ্তার ৩ হাজার
ইউনূস সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ঢাকার ৪০ স্থানে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিল
রাউজান-গাজীপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত অস্ত্র থানা লুটের
প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য বিভিন্ন পশ্চিমা কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।
অক্টোবরে হেফাজতে মৃত্যু ও অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার বৃদ্ধি, মানবাধিকার পরিস্থিতি ‘উদ্বেগজনক’
জুলাই আন্দোলন বিপ্লব নয়, এটি ছিল বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলা: শেখ হাসিনা
বই প্রকাশের আগে ফাঁস হওয়া কথোপকথনে আমেরিকা ও পাকিস্তানকে সরাসরি দায়ী করলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী; বললেন, ‘ইউনূস আমেরিকার হয়ে হামলার পরিকল্পনা ও অর্থায়ন করেছেন’ গত বছর আগস্টে ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ছাত্র বিক্ষোভ কোনো ‘বিপ্লব’ ছিল না; বরং এটি ছিল বাংলাদেশকে লক্ষ্য করে চালানো একটি ‘সন্ত্রাসী হামলা’, যা আমেরিকা পরিকল্পনা করেছিল এবং পাকিস্তান তা কার্যকর করেছিল।
লেখক দীপ হালদার, জয়দীপ মজুমদার এবং শহিদুল হাসান খোকন রচিত আসন্ন বই ‘ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ: দ্য স্টোরি অফ অ্যান আনফিনিশড রেভোলিউশন’-এর একটি অংশ থেকে এই তথ্য জানা গেছে। বইটিতে ২০২৪ সালের রাজনৈতিক অস্থিরতার পূর্ণ বিবরণ দেওয়া
হয়েছে। দ্য প্রিন্ট (ThePrint) এ প্রকাশিত বইয়ের ওই অংশে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ৭ জুন (ঈদুল আজহার দিন) লেখকরা ফোন মারফত শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান। ভারত থেকে কথা বলতে গিয়ে হাসিনা তার অপসারণের ঘটনা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। “আমেরিকা ও পাকিস্তানের চক্রান্ত” লেখকরা কথোপকথনের সময় যখন ঘটনাটিকে ‘জুলাই বিপ্লব’ হিসেবে উল্লেখ করেন, তখন হাসিনার মেজাজ হঠাৎ পাল্টে যায়। তিনি কঠোর স্বরে বলেন: "একে বিপ্লব বলবেন না! এটি ছিল বাংলাদেশের উপর একটি সন্ত্রাসী হামলা, যা ছাত্রদের বিদ্রোহের ছদ্মবেশে আমেরিকা কর্তৃক পরিকল্পিত এবং পাকিস্তান কর্তৃক কার্যকর করা হয়েছিল। এটি আমাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে করা হয়েছিল।" সাবেক প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়ভাবে দাবি করেন যে ছাত্রদের মৃত্যু
পুলিশের গুলিতে হয়নি, বরং "সন্ত্রাসীরা" তাদের হত্যা করে এবং এই হত্যাকাণ্ডকে পুলিশের বর্বরতা বলে চালিয়ে দেওয়া হয়, যাতে সাধারণ মানুষ তার সরকারের বিরুদ্ধে চলে যায়। সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ও ইউনূসের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ শেখ হাসিনা সরাসরি অভিযোগ করেন যে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার অপসারণের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন। তিনি দাবি করেন, এর পেছনে আমেরিকান স্বার্থ জড়িত ছিল। তিনি বলেন, "আমেরিকানরা আমার কাছ থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ চেয়েছিল। আমি রাজি হলে তারা আমাকে ক্ষমতা থেকে সরাতো না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী থাকার জন্য আমি আমার দেশ বিক্রি করতে রাজি হইনি। আমেরিকানরাই ইউনূসকে ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে।" হাসিনার দাবি, ইউনূস গত বছরের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে "সন্ত্রাসী হামলার"
পরিকল্পনা, অর্থায়ন এবং কার্যকরের মূল হোতা ছিলেন। "তিনি একজন প্রতারক, যিনি তার উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য তার দেশকে ধ্বংস করেছেন। এখন তিনি এবং তার দল দেশকে লুট করছে। বিশ্বকে এটা জানাতে হবে," বলেন হাসিনা। পদত্যাগ অস্বীকার, ফেরার অঙ্গীকার শেখ হাসিনা আরও উল্লেখ করেন যে তিনি কখনো পদত্যাগ করেননি এবং বর্তমান মুহাম্মদ ইউনূস প্রশাসনকে তিনি 'অসাংবিধানিক' ও 'অবৈধ' বলে মনে করেন। তিনি বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং সুশাসনের অভাবের অভিযোগ আনেন। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর ৫ আগস্টের পর হামলা ও নির্যাতনের বিষয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, 'ইনশাআল্লাহ আমি ফিরে আসব। আমি আমার জনগণের কাছে ন্যায়বিচার পৌঁছে দেব এবং যারা আমার জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা
করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনব।' হাসিনা আরও আশা প্রকাশ করেন যে খুব শিগগিরই জনগণ 'প্রতারকদের' খপ্পর থেকে মুক্তি পাবে। বইয়ের প্রসঙ্গ: ‘ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ: দ্য স্টোরি অফ অ্যান আনফিনিশড রেভোলিউশন’ বইটি শিগগিরই প্রকাশ করছে জগারনট (Juggernaut)। বইয়ের এই অংশটি শেখ হাসিনার ১৩ মিনিটের একটি মনোলগের ওপর ভিত্তি করে লেখা, যেখানে তিনি তার বর্তমান অবস্থান থেকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে নিজের ক্ষুব্ধ ও দৃঢ় মতামত তুলে ধরেন।
হয়েছে। দ্য প্রিন্ট (ThePrint) এ প্রকাশিত বইয়ের ওই অংশে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ৭ জুন (ঈদুল আজহার দিন) লেখকরা ফোন মারফত শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান। ভারত থেকে কথা বলতে গিয়ে হাসিনা তার অপসারণের ঘটনা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। “আমেরিকা ও পাকিস্তানের চক্রান্ত” লেখকরা কথোপকথনের সময় যখন ঘটনাটিকে ‘জুলাই বিপ্লব’ হিসেবে উল্লেখ করেন, তখন হাসিনার মেজাজ হঠাৎ পাল্টে যায়। তিনি কঠোর স্বরে বলেন: "একে বিপ্লব বলবেন না! এটি ছিল বাংলাদেশের উপর একটি সন্ত্রাসী হামলা, যা ছাত্রদের বিদ্রোহের ছদ্মবেশে আমেরিকা কর্তৃক পরিকল্পিত এবং পাকিস্তান কর্তৃক কার্যকর করা হয়েছিল। এটি আমাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে করা হয়েছিল।" সাবেক প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়ভাবে দাবি করেন যে ছাত্রদের মৃত্যু
পুলিশের গুলিতে হয়নি, বরং "সন্ত্রাসীরা" তাদের হত্যা করে এবং এই হত্যাকাণ্ডকে পুলিশের বর্বরতা বলে চালিয়ে দেওয়া হয়, যাতে সাধারণ মানুষ তার সরকারের বিরুদ্ধে চলে যায়। সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ও ইউনূসের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ শেখ হাসিনা সরাসরি অভিযোগ করেন যে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার অপসারণের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন। তিনি দাবি করেন, এর পেছনে আমেরিকান স্বার্থ জড়িত ছিল। তিনি বলেন, "আমেরিকানরা আমার কাছ থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ চেয়েছিল। আমি রাজি হলে তারা আমাকে ক্ষমতা থেকে সরাতো না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী থাকার জন্য আমি আমার দেশ বিক্রি করতে রাজি হইনি। আমেরিকানরাই ইউনূসকে ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে।" হাসিনার দাবি, ইউনূস গত বছরের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে "সন্ত্রাসী হামলার"
পরিকল্পনা, অর্থায়ন এবং কার্যকরের মূল হোতা ছিলেন। "তিনি একজন প্রতারক, যিনি তার উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য তার দেশকে ধ্বংস করেছেন। এখন তিনি এবং তার দল দেশকে লুট করছে। বিশ্বকে এটা জানাতে হবে," বলেন হাসিনা। পদত্যাগ অস্বীকার, ফেরার অঙ্গীকার শেখ হাসিনা আরও উল্লেখ করেন যে তিনি কখনো পদত্যাগ করেননি এবং বর্তমান মুহাম্মদ ইউনূস প্রশাসনকে তিনি 'অসাংবিধানিক' ও 'অবৈধ' বলে মনে করেন। তিনি বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং সুশাসনের অভাবের অভিযোগ আনেন। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর ৫ আগস্টের পর হামলা ও নির্যাতনের বিষয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, 'ইনশাআল্লাহ আমি ফিরে আসব। আমি আমার জনগণের কাছে ন্যায়বিচার পৌঁছে দেব এবং যারা আমার জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা
করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনব।' হাসিনা আরও আশা প্রকাশ করেন যে খুব শিগগিরই জনগণ 'প্রতারকদের' খপ্পর থেকে মুক্তি পাবে। বইয়ের প্রসঙ্গ: ‘ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ: দ্য স্টোরি অফ অ্যান আনফিনিশড রেভোলিউশন’ বইটি শিগগিরই প্রকাশ করছে জগারনট (Juggernaut)। বইয়ের এই অংশটি শেখ হাসিনার ১৩ মিনিটের একটি মনোলগের ওপর ভিত্তি করে লেখা, যেখানে তিনি তার বর্তমান অবস্থান থেকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে নিজের ক্ষুব্ধ ও দৃঢ় মতামত তুলে ধরেন।



