ছাত্রলীগ নেত্রীকে বেধড়ক পিটিয়ে পুলিশে দিলেন শিক্ষার্থীরা – ইউ এস বাংলা নিউজ




ছাত্রলীগ নেত্রীকে বেধড়ক পিটিয়ে পুলিশে দিলেন শিক্ষার্থীরা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৮ অক্টোবর, ২০২৪ | ৫:০২ 24 ভিউ
রাজশাহীতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেত্রীকে বেধড়ক পিটিয়ে পুলিশের সোপর্দ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রোববার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে এলে জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া নামে এ নেত্রীকে পুলিশে দেওয়া হয়। বোয়ালিয়া থানার ওসি মেহেদী মাসুদ জানান, গ্রেপ্তার হওয়া পিয়া ছাত্র-জনতার ওপর হামলা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। এদিকে ছাত্রলীগের নেত্রী পিয়াকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময়ের কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, ছাত্রলীগের এ নেত্রীকে মারতে মারতে পুলিশের গাড়ি পর্যন্ত নিয়ে যাচ্ছেন দুই নারী শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক ও রাজশাহী কলেজের ছাত্রী। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর ছাত্র-জনতার ওপর হামলার

অভিযোগে করা একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি তিনি। রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ড. জুবাইদা আয়েশা সিদ্দিকা জানান, জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা দিতে কলেজে এসেছিলেন। পরীক্ষা চলাকালেই একদল শিক্ষার্থী আসেন এবং তারা জানান, মামলার এজাহারভুক্ত এক আসামি পরীক্ষা দিচ্ছেন। তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে হবে। শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষকে একটি মামলার এজাহার দেখান, যেখানে আসামি হিসেবে পিয়ার নাম রয়েছে। এটি দেখার পর অধ্যক্ষ পুলিশে ফোন করতে চান। শিক্ষার্থীরা জানান, তারা নিজেরাই পুলিশ ডেকেছেন। অধ্যক্ষ জানান, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা চলা পর্যন্ত বাইরে অপেক্ষা করেন। পরীক্ষা শেষ হলে তারা পরীক্ষা কক্ষের ভেতরে যান। এরপর সেনাবাহিনীর সহায়তায় নারী পুলিশ সদস্যরা পিয়াকে ধরে নিয়ে যায়। এদিকে, ছাত্রলীগের

নেত্রী পিয়াকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময়ের কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য পরীক্ষার্থীরা বসে আছেন। সেখানেই পিয়াকে চড় মারছেন এক নারী। পিয়া জানতে চাইছেন, ‘আমার অপরাধ কী?’ একপর্যায়ে পরীক্ষার হলেই অসুস্থ হয়ে মেঝেতে পড়ে যান পিয়া। কিছুক্ষণ পর পুলিশ আসে। তারা যখন পিয়াকে পরীক্ষার হল থেকে বের করছিল, তখন ছাত্রলীগ নেত্রীকে মারধর করতে শুরু করেন দুই নারী। পুলিশের গাড়িতে তোলার সময় পিয়া ‘মুজিব তোমার স্মরণে, ভয় করি না মরণে’, ‘জয় বাংলা’ বলে স্লোগান দিতে শুরু করেন। পিয়াকে নিয়ে যখন পুলিশের গাড়ি কলেজ থেকে বের হচ্ছিল, তখন অনেকেই ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকেন। মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ

সিয়ামের ফোনে কল করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে এ বিষয়ে কারও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বোয়ালিয়া থানার ওসি মেহেদী মাসুদ বলেন, ‘জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া ছাত্র-জনতার ওপর হামলা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। কলেজ থেকে আনার পরই তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
তেলের ডিপোতে আগুন, পুড়ল ৪শ ব্যারেল মানুষ সংস্কার বোঝে না, তারা বোঝে ভোট: মির্জা ফখরুল বোর্নামাউথে বিধ্বস্ত আমোরিমের ম্যানইউ জবিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে নিজস্ব পদ্ধতিতে ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে এতো ব্যস্ত কেন’, প্রশ্ন সালাউদ্দিনের ব্যাংকের সম্পদ মূল্যায়নে বিদেশি পরামর্শক নিয়োগে নীতিমালা ২১ দিনে দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স যুদ্ধবিরতির দ্বারপ্রান্তে হামাস-ইসরায়েল যে কারণে শাশুড়ির প্রশংসায় পঞ্চমুখ ক্যাটরিনা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ ট্রেইনি চিকিৎসকদের সাদপন্থি নেতা মুয়াজ বিন নূর ৩ দিনের রিমান্ডে গাজা যুদ্ধবিরতির আলোচনা ৯০ শতাংশ সম্পন্ন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ‘কারকুমা’ ফাংশনাল ফুড দীর্ঘ ১২ বছর পর দামেস্কে কাজ শুরু করল তুরস্কের দূতাবাস মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে ইরানের ‘স্বপ্নভঙ্গ’, বিকল্প কী সিরিয়ার ক্ষমতা দখলকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করল যুক্তরাষ্ট্র সেই তাহেরীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা হামাসের সাথে শান্তি চুক্তি চায় ৭২ শতাংশ ইসরাইলি ‘অখণ্ড বাংলাদেশ’ গঠনের ডাক, তীব্র প্রতিক্রিয়া দিল্লির রাজপথে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি