
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

সিডনি শহরজুড়ে ইউনূস সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল ডিসপ্লে ক্যাম্পেইন

সেদিন দিল্লিতে যা যা ঘটেছিল

স্বামীকে খুন করিয়ে নতুন সংসার, প্রেমিকের ছোট্ট ভুলে সব ফাঁস !

ট্রাম্পের শরীরে ‘হালাল’ রক্ত! তাই দ্রুত দুনিয়া থেকেই সরিয়ে দিতে হবে তাঁকে: ২০০০ মুসলিম ধর্মগুরুর হুঙ্কার

পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুন, পরে তাকে ফাঁসাতেই ধর্ষণের গল্প ফাঁদলেন স্ত্রী

ভারতীয় পণ্যে আরও শুল্ক চাপানো হবে: ট্রাম্পের কড়া হুঁশিয়ারি

‘তার ঠোঁট দুটো যেন মেশিনগানের মতো’
চীন, ভারত ও ব্রাজিলের অবস্থান এবং ট্রাম্পের সেকেন্ডারি স্যাংশন: বিশ্ব তেল বাজারে নতুন গতিশীলতা

সম্প্রতি চীন ঘোষণা করেছে যে তারা রাশিয়া এবং ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধ করবে না। এই ঘোষণার প্রেক্ষিতে ব্রাজিল এবং ভারতও তাদের অবস্থানে অটল থাকবে বলে ব্যাক চ্যানেলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৮ আগস্টের পর রুশ তেল ক্রেতা দেশগুলির ওপর সেকেন্ডারি স্যাংশনের মাধ্যমে উচ্চ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। তবে এই স্যাংশনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই নিষেধাজ্ঞা মার্কিন শুল্ক নীতির প্রভাবকে আরও দুর্বল করতে পারে এবং বিশ্ব তেল বাজারে নতুন গতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে।
চীন, ভারত এবং ব্রাজিলের মতো দেশগুলি রাশিয়া ও ইরানের তেলের উপর নির্ভরশীল। চীন ২০২৪ সালে ইরানের রপ্তানিকৃত তেলের ৮০-৯০% আমদানি করেছে, যা
প্রতিদিন ১০ লাখ ব্যারেলেরও বেশি। এছাড়া, রাশিয়া থেকে প্রতিদিন ১.৩ লাখ ব্যারেলের বেশি তেল আমদানি করছে চীন, যা গত কয়েক মাসের তুলনায় ২০% বেশি। ভারতও রাশিয়ার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা, যেখানে ২০২৪ সালে রাশিয়ার ৭০% অপরিশোধিত তেল রপ্তানি হয়েছে। ব্রাজিলের ক্ষেত্রেও রুশ তেল আমদানি অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক। এই দেশগুলির জ্বালানি নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় রাশিয়া ও ইরানের তেলের উপর নির্ভরতা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ট্রাম্পের সেকেন্ডারি স্যাংশনের হুমকি, যার মাধ্যমে রুশ তেল ক্রেতা দেশগুলির উপর ১০০% পর্যন্ত শুল্ক আরোপের কথা বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলিকে প্রভাবিত করেছে। জুলাই মাসে রুশ তেলের ছাড় কমে যাওয়া এবং ট্রাম্পের হুমকির পর ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত রিফাইনারিগুলো
কিছুটা তেল কেনা স্থগিত করেছে। তবে ভারতীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির কারণে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করা সম্ভব নয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল স্পষ্ট করেছেন, তাদের জ্বালানি ক্রয় নীতি বাজারের পরিস্থিতি এবং জাতীয় স্বার্থের ওপর নির্ভর করে, তৃতীয় কোনো দেশের চাপের ওপর নয়। ট্রাম্পের এই স্যাংশন নীতির কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। প্রথমত, চীন, ভারত ও ব্রাজিলের মতো দেশগুলো তাদের জ্বালানি নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। চীন স্পষ্টভাবে মার্কিন চাপ প্রত্যাখ্যান করেছে, এবং ভারত ও ব্রাজিলও তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দ্বিতীয়ত, রাশিয়া ও ইরানের তেল বাজারে স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ভারতের
জ্বালানি মন্ত্রী হার্দীপ সিং পুরী জানিয়েছেন, রুশ তেল ক্রয় বিশ্ববাজারে দাম স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করেছে। যদি এই সরবরাহ বন্ধ হয়, তাহলে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১৩০ ডলারে পৌঁছাতে পারে, যা পশ্চিমা দেশগুলোর জন্যও জ্বালানি সংকট সৃষ্টি করবে। তৃতীয়ত, ট্রাম্পের শুল্ক নীতি মার্কিন অর্থনীতির জন্যও বুমেরাং হতে পারে। ভারত ও চীনের মতো দেশগুলো মার্কিন পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করতে পারে, যা যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতিকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি ৪৫.৭ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া, রাশিয়া প্রতিশোধ হিসেবে কাজাখস্তান থেকে আসা সিপিসি পাইপলাইন বন্ধ করে দিতে পারে, যেখানে মার্কিন কোম্পানি শেভরন ও এক্সনের বড় অংশীদারিত্ব রয়েছে। এটি মার্কিন তেল
কোম্পানিগুলোর জন্য ক্ষতিকর হবে। বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের স্যাংশন কৌশল বৈশ্বিক তেল বাজারে মার্কিন প্রভাব কমাতে পারে। চীন, ভারত ও ব্রাজিলের মতো দেশগুলো বিকল্প বাণিজ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে, যেমন ব্রিকস-ভিত্তিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা। এছাড়া, রাশিয়া ও ইরানের তেলের বিকল্প উৎস খুঁজে পাওয়া এই দেশগুলির জন্য কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। ভারত ইতিমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পশ্চিম আফ্রিকার তেলের দিকে ঝুঁকছে। তবে দীর্ঘমেয়াদে রুশ তেলের প্রতিযোগিতামূলক দাম এবং সরবরাহের নির্ভরযোগ্যতা এই দেশগুলোকে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য অব্যাহত রাখতে উৎসাহিত করবে। উপসংহারে, ট্রাম্পের সেকেন্ডারি স্যাংশনের হুমকি সত্ত্বেও চীন, ভারত ও ব্রাজিল তাদের জাতীয় স্বার্থ এবং জ্বালানি নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এই নিষেধাজ্ঞা বৈশ্বিক তেল বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি
করতে পারে, কিন্তু এর কার্যকারিতা সীমিত থাকবে। মার্কিন শুল্ক নীতি বরং পাল্টা প্রভাব সৃষ্টি করে মার্কিন অর্থনীতি ও বৈশ্বিক প্রভাবকে দুর্বল করতে পারে। এই পরিস্থিতি বিশ্ব তেল বাজারে নতুন শক্তির ভারসাম্য তৈরি করতে পারে, যেখানে ব্রিকস দেশগুলোর কৌশলগত সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
প্রতিদিন ১০ লাখ ব্যারেলেরও বেশি। এছাড়া, রাশিয়া থেকে প্রতিদিন ১.৩ লাখ ব্যারেলের বেশি তেল আমদানি করছে চীন, যা গত কয়েক মাসের তুলনায় ২০% বেশি। ভারতও রাশিয়ার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা, যেখানে ২০২৪ সালে রাশিয়ার ৭০% অপরিশোধিত তেল রপ্তানি হয়েছে। ব্রাজিলের ক্ষেত্রেও রুশ তেল আমদানি অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক। এই দেশগুলির জ্বালানি নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় রাশিয়া ও ইরানের তেলের উপর নির্ভরতা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ট্রাম্পের সেকেন্ডারি স্যাংশনের হুমকি, যার মাধ্যমে রুশ তেল ক্রেতা দেশগুলির উপর ১০০% পর্যন্ত শুল্ক আরোপের কথা বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলিকে প্রভাবিত করেছে। জুলাই মাসে রুশ তেলের ছাড় কমে যাওয়া এবং ট্রাম্পের হুমকির পর ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত রিফাইনারিগুলো
কিছুটা তেল কেনা স্থগিত করেছে। তবে ভারতীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির কারণে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করা সম্ভব নয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল স্পষ্ট করেছেন, তাদের জ্বালানি ক্রয় নীতি বাজারের পরিস্থিতি এবং জাতীয় স্বার্থের ওপর নির্ভর করে, তৃতীয় কোনো দেশের চাপের ওপর নয়। ট্রাম্পের এই স্যাংশন নীতির কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। প্রথমত, চীন, ভারত ও ব্রাজিলের মতো দেশগুলো তাদের জ্বালানি নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। চীন স্পষ্টভাবে মার্কিন চাপ প্রত্যাখ্যান করেছে, এবং ভারত ও ব্রাজিলও তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দ্বিতীয়ত, রাশিয়া ও ইরানের তেল বাজারে স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ভারতের
জ্বালানি মন্ত্রী হার্দীপ সিং পুরী জানিয়েছেন, রুশ তেল ক্রয় বিশ্ববাজারে দাম স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করেছে। যদি এই সরবরাহ বন্ধ হয়, তাহলে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১৩০ ডলারে পৌঁছাতে পারে, যা পশ্চিমা দেশগুলোর জন্যও জ্বালানি সংকট সৃষ্টি করবে। তৃতীয়ত, ট্রাম্পের শুল্ক নীতি মার্কিন অর্থনীতির জন্যও বুমেরাং হতে পারে। ভারত ও চীনের মতো দেশগুলো মার্কিন পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করতে পারে, যা যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতিকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি ৪৫.৭ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া, রাশিয়া প্রতিশোধ হিসেবে কাজাখস্তান থেকে আসা সিপিসি পাইপলাইন বন্ধ করে দিতে পারে, যেখানে মার্কিন কোম্পানি শেভরন ও এক্সনের বড় অংশীদারিত্ব রয়েছে। এটি মার্কিন তেল
কোম্পানিগুলোর জন্য ক্ষতিকর হবে। বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের স্যাংশন কৌশল বৈশ্বিক তেল বাজারে মার্কিন প্রভাব কমাতে পারে। চীন, ভারত ও ব্রাজিলের মতো দেশগুলো বিকল্প বাণিজ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে, যেমন ব্রিকস-ভিত্তিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা। এছাড়া, রাশিয়া ও ইরানের তেলের বিকল্প উৎস খুঁজে পাওয়া এই দেশগুলির জন্য কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। ভারত ইতিমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পশ্চিম আফ্রিকার তেলের দিকে ঝুঁকছে। তবে দীর্ঘমেয়াদে রুশ তেলের প্রতিযোগিতামূলক দাম এবং সরবরাহের নির্ভরযোগ্যতা এই দেশগুলোকে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য অব্যাহত রাখতে উৎসাহিত করবে। উপসংহারে, ট্রাম্পের সেকেন্ডারি স্যাংশনের হুমকি সত্ত্বেও চীন, ভারত ও ব্রাজিল তাদের জাতীয় স্বার্থ এবং জ্বালানি নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এই নিষেধাজ্ঞা বৈশ্বিক তেল বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি
করতে পারে, কিন্তু এর কার্যকারিতা সীমিত থাকবে। মার্কিন শুল্ক নীতি বরং পাল্টা প্রভাব সৃষ্টি করে মার্কিন অর্থনীতি ও বৈশ্বিক প্রভাবকে দুর্বল করতে পারে। এই পরিস্থিতি বিশ্ব তেল বাজারে নতুন শক্তির ভারসাম্য তৈরি করতে পারে, যেখানে ব্রিকস দেশগুলোর কৌশলগত সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।