চীনের তৈরি ইট যাবে চাঁদে – ইউ এস বাংলা নিউজ




চীনের তৈরি ইট যাবে চাঁদে

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৪ অক্টোবর, ২০২৪ | ৫:১৬ 39 ভিউ
ভবিষ্যতে চাঁদে ঘাঁটি নির্মাণের জন্য সম্প্রতি লুনার ব্রিকস বা চন্দ্র ইট তৈরি করলেন চীনা গবেষকরা। এটি এমন এক বিশেষ উপাদান থেকে তৈরি, যার গঠন চাঁদের মাটির মতোই বলে দাবি তাদের। ‘হুয়াজং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বা এইচইউএসটি’-এর সাম্প্রতিক এক ভিডিওতে দেখা গেছে, চন্দ্র ইট তৈরিতে চাঁদের মাটির সিমুলেশন ব্যবহার করেছেন চীনা গবেষক ও বিজ্ঞানী ডিং লিয়ুনের নেতৃত্বে গবেষকদের একটি দল, যা প্রচলিত লাল ইট বা কংক্রিটের ইটের চেয়েও তিনগুণ মজবুত। অ্যাডিটিভ ম্যানুফ্যাকচারিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে আরেকটি নির্মাণ বিকল্পও তৈরি করেছে গবেষণা দলটি, যেখানে চাঁদের মাটি ব্যবহার করে ঘর প্রিন্ট করার জন্য একটি থ্রিডি প্রিন্টিং রোবট বানিয়েছেন তারা। এইচইউএসটি-এর অধ্যাপক ঝো চেং

বলেছেন, এই চন্দ্র ইট বা চাঁদের মাটির গঠন তৈরিতে পাঁচটি আলাদা ধরনের সিমুলেটেড ও তিনটি ভিন্ন সিন্টারিং প্রক্রিয়া ব্যবহার করেছে গবেষণা দলটি, যা ভবিষ্যতে চাঁদে ঘাঁটি নির্মাণের জন্য উপযুক্ত উপাদান নির্বাচন করতে আরো বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য দেবে। সিন্টারিং হচ্ছে, পাউডার জাতীয় কোনো পদার্থকে এমনভাবে চাপ বা তাপ প্রয়োগ করা যাতে এটি গলে না গিয়ে আরো কঠিন রূপ ধারণ করে। ঝো বলেছেন, চাঁদের মাটির গঠন বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। চাঁদের যে স্থানে চ্যাং’ই-৫ মহাকাশযান অবতরণ করেছে ঠিক সেই স্থানের মাটিকে অনুকরণ করেই বানানো হয়েছে আমাদের এই চন্দ্র ইট, যা মূলত আগ্নেয়গিরিজাত শিলা বা ব্যাসল্ট। এক্ষেত্রে কিছু মাটির গঠন তৈরি হয়েছে চাঁদের অন্যান্য স্থানে

পাওয়া মাটির অনুকরণ করেও, যা আদতে অ্যানথোসাইট। ক্রমাগত তাপ ও চাপ বেড়ে যাওয়ার ফলে সাধারণত বিটুমিনাস বা লিগনাইট কয়লার পরিবর্তিত রূপ থেকে অ্যানথোসাইট তৈরি হয়। তবে চাঁদের পরিবেশে টিকে থাকতে পারবে কিনা তা দেখার জন্য নানা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে গবেষকদের তৈরি এসব ইটকে। ঝো বলেন, মহাজাগতিক বিকিরণসহ চাঁদে রয়েছে এক অদ্ভুত রকমের বায়ুশূন্য পরিবেশ। চাঁদে দিনের তাপমাত্রা ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায় ও রাতে মাইনাস ১৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। তাই তাদের বানানো এসব ইট ভালোভাবে তাপ নিরোধক ও চাঁদের বিকিরণ সহ্য করতে পারে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। তিয়ানঝু-৮ নামের কার্গো মহাকাশযানে করে গবেষকদের বানানো চাঁদের এসব

ইট পাঠানো হবে চীনের মহাকাশ স্টেশনে, যাতে এগুলোর যান্ত্রিক ও তাপ সহ্যক্ষমতা এবং চাঁদের মহাজাগতিক বিকিরণ সহ্য করার ক্ষমতা রয়েছে কিনা তা দেখতে হবে। গবেষকদের অনুমান, প্রথমবারের মতো পৃথিবীতে তৈরি এসব ইটকে চাঁদের মাটিতে পাঠানো সম্ভব হবে ২০২৫ সালের শেষনাগাদ। মঙ্গলবার মহাকাশ বিজ্ঞানের জন্য জাতীয় পর্যায় থেকে এক দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন কর্মসূচি প্রকাশ করেছে চীন, যেখানে ২০৫০ সালের মধ্যে মহাকাশ বিজ্ঞানে উন্নয়নের একটি রূপরেখাও দিয়েছে দেশটি। সূত্র: চীনের সংবাদ চ্যানেল সিজিটিএন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
উদিত নারায়ণের বিরুদ্ধে মামলা সুতা ডাম্পিং করছে ভারত হুমকিতে দেশীয় শিল্প জুনের মধ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নয়, ইঙ্গিত সিইসির জেল থেকে পালিয়েছেন আবরার হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শেষ সময়ে বই বিক্রি বাড়বে, আশা প্রকাশকদের আফগান শরণার্থীদের গ্রেফতার করছে পাকিস্তান, জাতিসংঘের উদ্বেগ এডিবির নতুন প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণ লন্ডনে শিশু কিশোরদের নিয়ে ‘এসো বাংলা শিখি’ প্রতিযোগিতা মালয়েশিয়ায় আগুনে ২ বাংলাদেশির মৃত্যু মুসলিম ‘গণহত্যার’ জন্য ক্ষমা চাইলেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ট্রাম্পের মস্কোঘেঁষা নীতি, উদ্বেগে ইউরোপ জার্মানিতে নির্বাচনে এগিয়ে ডানপন্থি সিডিইউ আজ থেকেই র‌্যাব, পুলিশ ও এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের যৌথ অভিযান: আইজিপি সংসদ নির্বাচন আয়োজনে ইসি পুরোনো পথে ‘সারাদিন কষ্ট করে যে টাকা পাই, তা নিয়ে বাড়ি ফিরতে ভয় হয়’ মধ্যরাতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ‘মেঘমল্লার’ সিনেমার নির্মাতা জাহিদুর রহিম অঞ্জন মারা গেছেন রাচিনের সেঞ্চুরিতে হেরে বাংলাদেশের সেমির আশা শেষ সাজেকে পুড়ে ছাই ৯৪ রিসোর্ট রেস্তোরাঁ দোকান সাজেক ভ্রমণে পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করল প্রশাসন