
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

নির্বাচনে বড় ধাক্কা খেলেও পদত্যাগে রাজি নন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

গাজায় ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ৬৭ জনকে গুলি করে মারল ইসরায়েল

ইউক্রেনের ড্রোন হামলা, বন্ধ মস্কোর বিমানবন্দর

দক্ষিণ কোরিয়ায় বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু

ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় মস্কোজুড়ে বিমানবন্দর বন্ধ

রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব জেলেনস্কির, প্রস্তুত পুতিন

পর্যটন খাতে অবহেলা, ক্ষুব্ধ কাশ্মীর ও গিলগিট-বালতিস্তানের বাসিন্দারা
ঘুমের মধ্যেই ধর্ষণ- সাবেক এমপির স্ত্রীর বিস্ফোরক অভিযোগ

ব্রিটেনের সাবেক সংসদ সদস্য কেট নিভেটন এক দশকের বৈবাহিক জীবনে চরম পারিবারিক সহিংসতা ও যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। তার অভিযোগ, সেই সময় নিয়মিতভাবে ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে তাকে, যার পেছনে ছিলেন তার প্রাক্তন স্বামী এবং সাবেক কনজারভেটিভ এমপি এন্ড্রু গ্রিফিথস। ‘ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স: কেটস স্টোরি’ নামের এক ডকুমেন্টারিতে কেট নিভেটন নিজের সেই বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ্যে এনেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেট্রো-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেট নিভেটন জানিয়েছেন—শুধু বৈবাহিক জীবনের সেই ১০ বছরই নয়, বরং এরপরের আরও পাঁচ বছর ধরে নানা আইনি জটিলতা ও হয়রানির মাধ্যমে তার জীবন দুর্বিষহ করে তোলেন এন্ড্রু গ্রিফিথস।
নিজের বৈবাহিক জীবনের বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে কেট নিভেটন বলেন,
‘ওর নির্যাতনে ঘুম ভেঙে যেত প্রায়ই। চোখ খুলেই দেখতাম, সে আমার শরীরের ওপর চড়াও। অনেক সময় দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করতাম, কখনো পারতাম না—ডুকরে কেঁদে উঠতাম। বেশিরভাগ সময় তাতেও সে থামত না। যদিও কখনও কখনও থামত, তবে তখন তার রাগ ভয়াবহ হয়ে উঠত। এমনকি, আমাকে বিছানা থেকে ফেলে না দেওয়া পর্যন্ত লাথি মারতে থাকত। তখন বাধ্য হয়ে অন্য ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে রাখতাম, কিংবা বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যেতাম।’ কেট নিভেটন বলেন, ‘বাইরে থেকে আমাদের সংসারকে নিখুঁত ও সুখী বলে মনে হতো। কিন্তু বাস্তবতা ছিল ভিন্ন—আমার জন্য সেই সংসার ছিল নিছক এক দুঃস্বপ্ন। শুরুতে অনেক কিছুই চোখে পড়েছিল, কিন্তু আমি ভেবেছিলাম,
ওর উপর কাজের চাপ বেশি, মানসিকভাবে ক্লান্ত—তাই এমন আচরণ করে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বুঝতে পেরেছি, আমি কত বড় একটা ভুল করেছিলাম।’ তিনি জানান, সন্তানের নিরাপত্তাই ছিল সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। কেট বলেন, ‘‘একদিন বাড়ির বাইরে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিল গ্রিফিথস। আমাদের দুই সপ্তাহের মেয়েটা তখন ক্ষুধায় কান্না করছিল। হঠাৎ গ্রিফিথস চিৎকার করে ওঠে—‘শাট দ্য ফাক আপ’। তখনই আমি বুঝে যাই এখানে আসলে আর সময় নষ্ট করা ঠিক হবে না। কারণ, আমার সন্তানের ভবিষ্যৎও ঝুঁকির মুখে।’’ কেট আরও জানান, ‘অনেক সময় রাগে-ক্ষোভে আমি ওকে বলতাম—পুলিশে গিয়ে অভিযোগ করব। তখন সে হুমকির সুরে বলত, ‘আমি এই এলাকার এমপি, সবার সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক। কেউ তোমার
কথা বিশ্বাস করবে না।’ ২০১৩ সালে কেট নিভেটনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এন্ড্রু গ্রিফিথস। তবে সেই সম্পর্কের ইতি ঘটে ২০১৮ সালে। এরপর ২০২১ সালের ডিসেম্বরে এক পারিবারিক আদালত রায়ে জানান, গ্রিফিথস একাধিকবার কেটকে ধর্ষণ ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন। সাবেক এমপি কেট নিভেটন জানান, বিচ্ছেদের পরও সাবেক স্বামী অ্যান্ড্রু গ্রিফিথস টানা পাঁচ বছর ধরে তাঁকে বিভিন্ন আইনি প্রক্রিয়ার ভেতর ফেলে মানসিকভাবে নিপীড়ন করে গেছেন। আইনের অপব্যবহার করে তাঁকে হয়রানি করা হয়েছে। কেট এই ধরনের ‘লিগ্যাল অ্যাবিউজ’ বা আইনগত নির্যাতনকে সহিংসতারই একটি ধারাবাহিক রূপ হিসেবে দেখছেন। ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বার্টনের এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এই কেট। একজন পেশাদার, মধ্যবিত্ত নারী হয়েও দীর্ঘ
সময় পারিবারিক সহিংসতার শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে কেট নিভেটন বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন, পারিবারিক সহিংসতা কেবল নিম্নবিত্ত পরিবারে ঘটে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এটি সমাজের যেকোনো শ্রেণি বা পেশার মানুষের সঙ্গে হতে পারে। এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর আমি প্রতিজ্ঞা করেছি—নির্যাতনের শিকার নারীদের হয়ে কাজ করব।’ ‘ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স: কেটস স্টোরি’ ডকুমেন্টারিতে যুক্তরাজ্যের পারিবারিক আদালতব্যবস্থার কাঠামোগত দুর্বলতা এবং শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতাও উঠে এসেছে। প্রতিবছর দেশটির পারিবারিক আদালতে প্রায় ৩০ হাজার মামলা পারিবারিক সহিংসতাসংশ্লিষ্ট অভিযোগ গৃহীত হয়। উল্লেখ্য, অ্যান্ড্রু গ্রিফিথস একসময় নারী অধিকার নিয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছেন এবং ২০০৬ সালে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের চিফ অব স্টাফ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
‘ওর নির্যাতনে ঘুম ভেঙে যেত প্রায়ই। চোখ খুলেই দেখতাম, সে আমার শরীরের ওপর চড়াও। অনেক সময় দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করতাম, কখনো পারতাম না—ডুকরে কেঁদে উঠতাম। বেশিরভাগ সময় তাতেও সে থামত না। যদিও কখনও কখনও থামত, তবে তখন তার রাগ ভয়াবহ হয়ে উঠত। এমনকি, আমাকে বিছানা থেকে ফেলে না দেওয়া পর্যন্ত লাথি মারতে থাকত। তখন বাধ্য হয়ে অন্য ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে রাখতাম, কিংবা বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যেতাম।’ কেট নিভেটন বলেন, ‘বাইরে থেকে আমাদের সংসারকে নিখুঁত ও সুখী বলে মনে হতো। কিন্তু বাস্তবতা ছিল ভিন্ন—আমার জন্য সেই সংসার ছিল নিছক এক দুঃস্বপ্ন। শুরুতে অনেক কিছুই চোখে পড়েছিল, কিন্তু আমি ভেবেছিলাম,
ওর উপর কাজের চাপ বেশি, মানসিকভাবে ক্লান্ত—তাই এমন আচরণ করে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বুঝতে পেরেছি, আমি কত বড় একটা ভুল করেছিলাম।’ তিনি জানান, সন্তানের নিরাপত্তাই ছিল সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। কেট বলেন, ‘‘একদিন বাড়ির বাইরে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিল গ্রিফিথস। আমাদের দুই সপ্তাহের মেয়েটা তখন ক্ষুধায় কান্না করছিল। হঠাৎ গ্রিফিথস চিৎকার করে ওঠে—‘শাট দ্য ফাক আপ’। তখনই আমি বুঝে যাই এখানে আসলে আর সময় নষ্ট করা ঠিক হবে না। কারণ, আমার সন্তানের ভবিষ্যৎও ঝুঁকির মুখে।’’ কেট আরও জানান, ‘অনেক সময় রাগে-ক্ষোভে আমি ওকে বলতাম—পুলিশে গিয়ে অভিযোগ করব। তখন সে হুমকির সুরে বলত, ‘আমি এই এলাকার এমপি, সবার সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক। কেউ তোমার
কথা বিশ্বাস করবে না।’ ২০১৩ সালে কেট নিভেটনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এন্ড্রু গ্রিফিথস। তবে সেই সম্পর্কের ইতি ঘটে ২০১৮ সালে। এরপর ২০২১ সালের ডিসেম্বরে এক পারিবারিক আদালত রায়ে জানান, গ্রিফিথস একাধিকবার কেটকে ধর্ষণ ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন। সাবেক এমপি কেট নিভেটন জানান, বিচ্ছেদের পরও সাবেক স্বামী অ্যান্ড্রু গ্রিফিথস টানা পাঁচ বছর ধরে তাঁকে বিভিন্ন আইনি প্রক্রিয়ার ভেতর ফেলে মানসিকভাবে নিপীড়ন করে গেছেন। আইনের অপব্যবহার করে তাঁকে হয়রানি করা হয়েছে। কেট এই ধরনের ‘লিগ্যাল অ্যাবিউজ’ বা আইনগত নির্যাতনকে সহিংসতারই একটি ধারাবাহিক রূপ হিসেবে দেখছেন। ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বার্টনের এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এই কেট। একজন পেশাদার, মধ্যবিত্ত নারী হয়েও দীর্ঘ
সময় পারিবারিক সহিংসতার শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে কেট নিভেটন বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন, পারিবারিক সহিংসতা কেবল নিম্নবিত্ত পরিবারে ঘটে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এটি সমাজের যেকোনো শ্রেণি বা পেশার মানুষের সঙ্গে হতে পারে। এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর আমি প্রতিজ্ঞা করেছি—নির্যাতনের শিকার নারীদের হয়ে কাজ করব।’ ‘ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স: কেটস স্টোরি’ ডকুমেন্টারিতে যুক্তরাজ্যের পারিবারিক আদালতব্যবস্থার কাঠামোগত দুর্বলতা এবং শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতাও উঠে এসেছে। প্রতিবছর দেশটির পারিবারিক আদালতে প্রায় ৩০ হাজার মামলা পারিবারিক সহিংসতাসংশ্লিষ্ট অভিযোগ গৃহীত হয়। উল্লেখ্য, অ্যান্ড্রু গ্রিফিথস একসময় নারী অধিকার নিয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছেন এবং ২০০৬ সালে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের চিফ অব স্টাফ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।