গোপনে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইল! – ইউ এস বাংলা নিউজ




গোপনে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইল!

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৩০ জুন, ২০২৫ | ৬:২১ 24 ভিউ
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) একটি বড় ধরনের সামরিক ও প্রযুক্তিগত আধুনিকায়ন কর্মসূচি শুরু করেছে। এর মূল লক্ষ্য হলো ২ হাজার কিলোমিটার দূর পর্যন্ত ব্যাপক হামলা চালানোর সক্ষমতা অর্জন, যাতে ইরান, ইয়েমেন, ইরাক কিংবা অন্য দূরবর্তী দেশের শত্রুদের মোকাবিলা করা যায়। রোববার ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল তার প্রতিপক্ষ ইরানের বিরুদ্ধে গোপনে একটি বহুমুখী যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই যুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতিপক্ষ হতে পারে ইরানের আঞ্চলিক মিত্র লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরাসহ অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী। এদিকে ১২ দিনের যুদ্ধের পর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও ইরান আবারও ইসরায়েলকে ঘিরে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান

আবদুর রহিম মৌসাভি জানিয়েছেন, তেহরান এখনো বিশ্বাস করে না যে ইসরায়েল সত্যিকার অর্থে এই যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে। গতকাল রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে মৌসাভি বলেন, ‘আমরা এই যুদ্ধ শুরু করিনি, কিন্তু যারা আমাদের ওপর হামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা শক্তভাবে জবাব দিয়েছি। আর এখনো আমাদের গভীর সন্দেহ রয়েছে যে, শত্রুপক্ষ যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি মানবে কি না। তাই যদি আবার আক্রমণ হয়, তাহলে আমরা শক্তি দিয়ে জবাব দিতে প্রস্তুত আছি।’ ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সরাসরি সীমান্ত নেই। দুই দেশের রাজধানী (তেহরান থেকে তেল আবিব) প্রায় ১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরে। আর হিজবুল্লাহ ও হুতিসহ অন্য গোষ্ঠীগুলোর অবস্থান আরও কম দূরত্বের মধ্যে। তাই ২

হাজার কিলোমিটার দূর পর্যন্ত হামলা চালানোর আধুনিক সক্ষমতা অর্জন করতে পারলে সহজেই তারা সফল অভিযান চালাতে পারবে বলে মনে করে আইডিএফ। ইরানের বিরুদ্ধে নতুন অভিযানের এই পরিকল্পনার আওতায় আরও আছে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা, আকাশ ও স্থলভিত্তিক লেজার প্রযুক্তি, দূরপাল্লার ড্রোন এবং ভূগর্ভস্থ অভিযান পরিচালনার প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্তকরণ। প্রতিরক্ষা খাতে একটি মূল ফোকাস হচ্ছে উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা, যা ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে পারবে। সম্প্রতি ইরানের একটি হামলায় ইসরায়েলের বাত ইয়াম শহরের ১০২টি উঁচু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় অর্ধ বিলিয়ন শেকেল (ইসরায়েলি মুদ্রা), যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিটি ইন্টারসেপ্টর (আকাশ প্রতিরক্ষা)

মিসাইলের দাম ১৫ মিলিয়ন শেকেল (প্রায় ৫৪ কোটি টাকা), যা অনেক ব্যয়বহুল। তাই এখন সরকার আরও বেশি বাজেট দাবি করছে সামরিক খাতে। এ ছাড়া স্থল বাহিনীর আধুনিকায়নেও জোর দেওয়া হচ্ছে। নতুন ট্যাংক, সাঁজোয়া যান, উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা, প্রশিক্ষণ ঘাঁটি এবং সেনাদের জন্য উন্নত সরঞ্জাম সরবরাহে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। রিজার্ভ সেনাদের জন্যও ব্যক্তিগত সরঞ্জামের ঘাটতি পূরণ করার কথা বলা হয়েছে। ইসরায়েলের নৌবাহিনী, যেটি একসময় কেবল উপকূল রক্ষার দায়িত্বে ছিল, এখন ইয়েমেন পর্যন্ত দূরবর্তী অভিযানে অংশ নিচ্ছে। প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, নৌবাহিনীকেও দীর্ঘ পাল্লার হামলায় সক্ষম জাহাজ দিয়ে সজ্জিত করতে হবে, যেন দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করা যায়। এই সমগ্র প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে

কর্মকর্তারা মনে করিয়ে দিয়েছেন, এই সহায়তা সস্তা নয়। প্রতিটি ডিভাইস, প্রতিটি প্রযুক্তির পেছনে রয়েছে কোটি কোটি শেকেলের ব্যয়। ফলে এখন প্রতিরক্ষা বাজেট বৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে যুদ্ধকালীন খরচের জন্য তাৎক্ষণিক বাজেট চাওয়া হয়েছে। ইসরায়েল এখন মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিটি সম্ভাব্য যুদ্ধক্ষেত্র- গাজা, পশ্চিম তীর, লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেন, ইরাক, এমনকি জর্ডান সীমান্ত পর্যন্ত নজরে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ভবিষ্যতের যুদ্ধে জয়ী হতে হলে আরও গোপন, আরও ধ্বংসাত্মক এবং কৌশলগতভাবে চমকপ্রদ অস্ত্র ও প্রযুক্তি দরকার। এ ছাড়া স্পেস (মহাকাশ) প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বাড়ানো, সাইবার যুদ্ধের প্রস্তুতি, ভূগর্ভস্থ অভিযানে দক্ষতা অর্জন এবং জনগণের জন্য আরও বেশি সুরক্ষিত আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ- সবই এই নতুন কর্মপরিকল্পনার

অংশ। এই বিশাল প্রস্তুতি ইঙ্গিত দেয়, মধ্যপ্রাচ্যে এক নতুন অস্ত্র প্রতিযোগিতা ও সামরিক ভারসাম্যের যুগ শুরু হয়েছে, যার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা। ইসরায়েলের একজন শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্টকে বলেন, ‘পরবর্তী যুদ্ধে আমাদের শত্রুকে আরও চমকে দিতে হবে। ইসরায়েল যেন সব সময় যুদ্ধক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে পারে, সেটিই এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
মাইলফলক স্পর্শ করে মুগ্ধ সাগর-হিমেল সাইবার হামলার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি বাংলাদেশ ব্যাংকের জাপান পার হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সুনামির আঘাত ভারতের পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির আহ্বানে ১৫ দেশের যৌথ বিবৃতি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিচ্ছে মাল্টা ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে কর্মীদের সরিয়ে নিল জাপান ইসরাইলের দুই মন্ত্রীর নেদারল্যান্ডসে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হলো আমির খানের ‘সিতারে জামিন পার’ এবার দেখা যাবে ইউটিউব চ্যানেলে রংপুরে সনাতনী সম্প্রদায়ের উপর হামলার প্রতিবাদ করেছে ‘একাত্তরের প্রহরী ফাউন্ডেশন,যুক্তরাষ্ট্র’ আমেরিকার উপকূলেও সুনামি শুরু! এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য নতুন নির্দেশনা অন্তর্বর্তী সরকারের বিদায়ের সময় এসেছে: দেবপ্রিয় চট্টগ্রামে একযোগে চার ধরনের জ্বরের প্রকোপ সুনামি আতঙ্কে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে ৫২ দেশ-অঞ্চল এক নারীর সাথে দুই ভাইয়ের বিয়ে আজ মহাকাশে পাড়ি দেবে ‘নিসার’ ভুল করে অন্যের হীরা ভর্তি ব্যাগ বাংলাদেশে নিয়ে এলেন যাত্রী গাজার উপকূলে ভেসে আসা খাদ্য বোতল ! রহস্য কী? বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুলকে যেভাবে হত্যা করা হয়