ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
ইতালিতে চার্চে যৌন নির্যাতনের শিকার অন্তত ৪,৪০০ জন
চীনের সহায়তায় মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের ওপর ক্রমাগত বিমান হামলা: দখলকৃত এলাকা ফিরে পাচ্ছে জান্তা
চীনের সহায়তায় মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের ওপর ক্রমাগত বিমান হামলা: দখলকৃত এলাকা ফিরে পাচ্ছে জান্তা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্যে ভারত শুল্ক কমাতে সক্ষম, বাংলাদেশ কেন পিছিয়ে?
সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলা হবে হোয়াইট হাউজের ইস্ট উইং
নির্যাতনে ক্ষতবিক্ষত আরও ৩০ ফিলিস্তিনির দেহ ফেরত দিলো ইসরায়েল
সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলা হবে হোয়াইট হাউজের ইস্ট উইং
‘গুরু মার’ মুম্বাইয়ে ২০টিরও বেশি সম্পত্তি
ভারতের মুম্বাইয়ে কথিত ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে বাবু অয়ন খান ওরফে ‘গুরু মা’ নামে এক ট্রান্সজেন্ডার নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে ১৭ অক্টোবর গ্রেফতার করে মুম্বাই পুলিশ। খবর বিবিসি বাংলার।
পুলিশের অভিযোগ, গোভান্দি অঞ্চলে ‘গুরু মা’ নামে পরিচিত ওই ট্রান্সজেন্ডার নারী বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে ভুয়া আধার কার্ড ও প্যান কার্ড তৈরি করে কয়েক দশক ধরে অবৈধভাবে মুম্বাইয়ে বসবাস করছেন। এর আগে তার বিরুদ্ধে ভুয়া নথি তৈরি করা এবং মানবপাচারের মতো অভিযোগ তোলা হয়েছিল।
পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মুম্বাইয়ের বিভিন্ন অঞ্চলে ২০টিরও বেশি সম্পত্তির মালিক গুরু মা। তার বিরুদ্ধে মুম্বাইয়ের একাধিক থানায় পাঁচটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মুম্বাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় গুরু মায়ের অনুসারী
২০০জনেরও বেশি ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করেন। এ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানার জন্য ‘গুরু মা’ এবং তার আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল বিবিসি মারাঠি। কিন্তু তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে অবৈধভাবে মুম্বাইয়ে বসবাস করা ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন কৃষ্ণা আদেলকার নামে এক সমাজকর্মী। তার দাবি, সে সময় দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতেই সম্প্রতি গুরু মায়ের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই সমাজকর্মীর অভিযোগ, মুম্বাইয়ে অবৈধভাবে বসবাসকারী ট্রান্সজেন্ডারদের একটি বড়সড় র্যাকেট বা চক্র চলে। সেগুলোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে ‘কিন্নর মা’ নামক এমনই এক সংগঠন সম্পর্কে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
কৃষ্ণা আদেলকারের অভিযোগ, অবৈধভাবে ভারতে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের ঠাঁই দেয় ‘কিন্নর মা’ নামক ওই সংগঠনটি। শুধু তাই নয়, ওই ব্যক্তিদের কাছ থেকে অর্থও আদায় করা হয়। এ জাতীয় অভিযোগের প্রকাশ্যে আসার পর, ‘কিন্নর মা’ সংগঠনের ১২জন সদস্য ভিখরোলিতে গণআত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। ওই সদস্যদের চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। কৃষ্ণা আদেলকারের বিরুদ্ধে সম্প্রদায়ের মানহানির অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন সংগঠনটির সদস্যরা। মুম্বাই পুলিশ এ ব্যাপারে তদন্ত করছে। ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের সদস্যদের মধ্যে কয়েকজন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় কৃষ্ণা আদেলকারের বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগ তোলেন। তাদের অভিযোগ, বদনাম করার জন্যই এমনটি করেছেন ওই সমাজকর্মী।
পাশাপাশি কৃষ্ণা আদেলকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার কথাও জানিয়েছেন তারা। কোন অভিযোগে গ্রেফতার এক বছর ধরে ভারতে অবৈধভাবে বসবাস সন্দেহে অভিযান চালাচ্ছে দেশটির নিরাপত্তা সংস্থাগুলো। মুম্বাই পুলিশের দাবি, শহরে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করা হয়েছে। মুম্বাইয়ের গোভান্দির রফিক নগর এলাকা থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বাবু খান ওরফে গুরু মাসহ একাধিক ব্যক্তির নথিপত্র খতিয়ে দেখছিল পুলিশ। সেই নথিপত্র যাচাইয়ের সময় গুরু মায়ের নথিতে বেশ কিছু অসঙ্গতি পাওয়া যায় বলে অভিযোগ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্তের সময় দেখা যায় ওই নথিগুলো ভুয়া ছিল। মুম্বাই পুলিশের দাবি, গুরু মা আসলে বাংলাদেশি, এখানে অবৈধভাবে বাস করছিলেন তিনি। এরপর, গোভান্দি শিবাজিনগর পুলিশ বাবু অয়ন খান ওরফে গুরু
মায়ের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে বাস করা এবং অন্যান্য ধারায় মামলা দায়ের করে। তাকে গ্রেফতারও করা হয়। বাবু অয়ন খানের বয়স ৩৬ বছর। এ ট্রান্সজেন্ডার নারী তার কমিউনিটিতে ‘গুরু মা’ বলেই পরিচিত। বেশ কয়েক বছর ধরে মুম্বাইয়ের গোভান্ডি এলাকায় বসবাস করছেন। মুম্বাইতে ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের অনেক সদস্যকেই ঠাঁই দেন তিনি। মুম্বাই শহরের বিভিন্ন এলাকায় তার ২০০ জনেরও বেশি ট্রান্সজেন্ডার অনুসারী রয়েছেন। পুলিশ কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, রফিক নগর এবং গোভান্ডিসহ মুম্বাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় তার ২০টিরও বেশি সম্পত্তি রয়েছে। অভিযোগ, প্রতিদিন ট্রান্সজেন্ডারদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন তিনি। তাদের জন্য জাল নথিও তৈরি করিয়ে দিতেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে দেখানোর জন্য তার জন্মের সার্টিফিকেট, আধার
কার্ড এবং প্যান কার্ডের মতো বেশ কয়েকটি জাল নথি তৈরি করেছিলেন বাবু অয়ন খান। এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য ব্যক্তিদের খোঁজ করছে পুলিশ। মুম্বাইয়ের শিবাজি নগর, নারপোলি, দেওনার, ট্রম্বে এবং কুরলা থানায় মানব পাচার এবং জালিয়াতিসহ বিভিন্ন ধারায় তার বিরুদ্ধে এর আগেও মামলা দায়ের করা হয়েছিল। শিবাজিনগর থানার সিনিয়র পুলিশ ইন্সপেক্টর অনঘা সাতভসে বলেন, এ মামলায় অভিযুক্তকে এখন বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। আমরা তদন্ত চালাচ্ছি। অভিযোগ পালটা অভিযোগ মুম্বাইসহ সে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিকদের বাস রয়েছে বলে মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক কর্মীদের অনেকেই অভিযোগ তুলেছেন। এই ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তারা। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে মুম্বাই
পুলিশের সাহায্যে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে ইতিমধ্যে অভিযান চালিয়েছে ভারতের নিরাপত্তারক্ষাকারী সংস্থা। সমাজকর্মী কৃষ্ণা আদেলকার ২০২৫ সালের এপ্রিলে মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মুম্বাই পুলিশকে একটি চিঠি লিখে ভারতে অনুপ্রবেশ, যৌনবৃত্তি ও মাদক সঙ্ক্রান্ত ব্যবসা পরিচালনাকারী চক্র, তাদের সমর্থন করেন এমন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি এবং ‘গুরুদের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। বাবু অয়ন খান ওরফে গুরু মা নামে পরিচিত ওই ট্রান্সজেন্ডার নারীর গ্রেফতার হওয়ার পর কৃষ্ণা আদেলকার দাবি জানিয়েছেন যে একজন নয় এই জাতীয় অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত এবং এদের পুরো চক্রকে উন্মোচিত করা উচিত। কৃষ্ণা আদেলকার বলেন, গুরু মায়ের মতো, মুম্বাই শহরতলির কিন্নর মা সংগঠন এবং এর প্রধান সালমা খানের বিরুদ্ধেও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তিনি বলেন, তারা এত সম্পদ কোথা থেকে পেয়েছে? তারা কি মানুষকে লুট করছে, অবৈধ ব্যবসা করছে? গুরু মা এর একটি লিঙ্ক মাত্র। অন্যান্য অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে? অন্যদিকে, ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটির অনেকেই কৃষ্ণা আদেলকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কিন্নর মা’ নামক যে সংগঠনের বিরুদ্ধে কৃষ্ণা আদেলকার অভিযোগ তুলেছেন, সেই সংগঠনের প্রধান সালমা খান বলেন, ওই ব্যক্তির অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই, এগুলো মিথ্যা অভিযোগ। তিনি আরও বলেন, (আমাদের) সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্রতিশোধের বশবর্তী হয়ে তিনি (কৃষ্ণা আদেলকার) এই কাজ করছেন। গুরু মায়ের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। পুলিশ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের মানুষ এই বদনামের কারণে আহত বোধ করছে। আমাদের কয়েকজন সদস্য এই কারণে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন। এর জন্য দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। মুম্বাইয়ের পার্কসাইট পুলিশ এই বিষয়ে ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের বক্তব্য শুনেছে, তবে এখনো পর্যন্ত কোনো ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়নি।
২০০জনেরও বেশি ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করেন। এ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানার জন্য ‘গুরু মা’ এবং তার আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল বিবিসি মারাঠি। কিন্তু তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে অবৈধভাবে মুম্বাইয়ে বসবাস করা ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন কৃষ্ণা আদেলকার নামে এক সমাজকর্মী। তার দাবি, সে সময় দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতেই সম্প্রতি গুরু মায়ের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই সমাজকর্মীর অভিযোগ, মুম্বাইয়ে অবৈধভাবে বসবাসকারী ট্রান্সজেন্ডারদের একটি বড়সড় র্যাকেট বা চক্র চলে। সেগুলোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে ‘কিন্নর মা’ নামক এমনই এক সংগঠন সম্পর্কে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
কৃষ্ণা আদেলকারের অভিযোগ, অবৈধভাবে ভারতে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের ঠাঁই দেয় ‘কিন্নর মা’ নামক ওই সংগঠনটি। শুধু তাই নয়, ওই ব্যক্তিদের কাছ থেকে অর্থও আদায় করা হয়। এ জাতীয় অভিযোগের প্রকাশ্যে আসার পর, ‘কিন্নর মা’ সংগঠনের ১২জন সদস্য ভিখরোলিতে গণআত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। ওই সদস্যদের চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। কৃষ্ণা আদেলকারের বিরুদ্ধে সম্প্রদায়ের মানহানির অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন সংগঠনটির সদস্যরা। মুম্বাই পুলিশ এ ব্যাপারে তদন্ত করছে। ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের সদস্যদের মধ্যে কয়েকজন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় কৃষ্ণা আদেলকারের বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগ তোলেন। তাদের অভিযোগ, বদনাম করার জন্যই এমনটি করেছেন ওই সমাজকর্মী।
পাশাপাশি কৃষ্ণা আদেলকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার কথাও জানিয়েছেন তারা। কোন অভিযোগে গ্রেফতার এক বছর ধরে ভারতে অবৈধভাবে বসবাস সন্দেহে অভিযান চালাচ্ছে দেশটির নিরাপত্তা সংস্থাগুলো। মুম্বাই পুলিশের দাবি, শহরে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করা হয়েছে। মুম্বাইয়ের গোভান্দির রফিক নগর এলাকা থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বাবু খান ওরফে গুরু মাসহ একাধিক ব্যক্তির নথিপত্র খতিয়ে দেখছিল পুলিশ। সেই নথিপত্র যাচাইয়ের সময় গুরু মায়ের নথিতে বেশ কিছু অসঙ্গতি পাওয়া যায় বলে অভিযোগ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্তের সময় দেখা যায় ওই নথিগুলো ভুয়া ছিল। মুম্বাই পুলিশের দাবি, গুরু মা আসলে বাংলাদেশি, এখানে অবৈধভাবে বাস করছিলেন তিনি। এরপর, গোভান্দি শিবাজিনগর পুলিশ বাবু অয়ন খান ওরফে গুরু
মায়ের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে বাস করা এবং অন্যান্য ধারায় মামলা দায়ের করে। তাকে গ্রেফতারও করা হয়। বাবু অয়ন খানের বয়স ৩৬ বছর। এ ট্রান্সজেন্ডার নারী তার কমিউনিটিতে ‘গুরু মা’ বলেই পরিচিত। বেশ কয়েক বছর ধরে মুম্বাইয়ের গোভান্ডি এলাকায় বসবাস করছেন। মুম্বাইতে ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের অনেক সদস্যকেই ঠাঁই দেন তিনি। মুম্বাই শহরের বিভিন্ন এলাকায় তার ২০০ জনেরও বেশি ট্রান্সজেন্ডার অনুসারী রয়েছেন। পুলিশ কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, রফিক নগর এবং গোভান্ডিসহ মুম্বাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় তার ২০টিরও বেশি সম্পত্তি রয়েছে। অভিযোগ, প্রতিদিন ট্রান্সজেন্ডারদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন তিনি। তাদের জন্য জাল নথিও তৈরি করিয়ে দিতেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে দেখানোর জন্য তার জন্মের সার্টিফিকেট, আধার
কার্ড এবং প্যান কার্ডের মতো বেশ কয়েকটি জাল নথি তৈরি করেছিলেন বাবু অয়ন খান। এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য ব্যক্তিদের খোঁজ করছে পুলিশ। মুম্বাইয়ের শিবাজি নগর, নারপোলি, দেওনার, ট্রম্বে এবং কুরলা থানায় মানব পাচার এবং জালিয়াতিসহ বিভিন্ন ধারায় তার বিরুদ্ধে এর আগেও মামলা দায়ের করা হয়েছিল। শিবাজিনগর থানার সিনিয়র পুলিশ ইন্সপেক্টর অনঘা সাতভসে বলেন, এ মামলায় অভিযুক্তকে এখন বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। আমরা তদন্ত চালাচ্ছি। অভিযোগ পালটা অভিযোগ মুম্বাইসহ সে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিকদের বাস রয়েছে বলে মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক কর্মীদের অনেকেই অভিযোগ তুলেছেন। এই ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তারা। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে মুম্বাই
পুলিশের সাহায্যে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে ইতিমধ্যে অভিযান চালিয়েছে ভারতের নিরাপত্তারক্ষাকারী সংস্থা। সমাজকর্মী কৃষ্ণা আদেলকার ২০২৫ সালের এপ্রিলে মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মুম্বাই পুলিশকে একটি চিঠি লিখে ভারতে অনুপ্রবেশ, যৌনবৃত্তি ও মাদক সঙ্ক্রান্ত ব্যবসা পরিচালনাকারী চক্র, তাদের সমর্থন করেন এমন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি এবং ‘গুরুদের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। বাবু অয়ন খান ওরফে গুরু মা নামে পরিচিত ওই ট্রান্সজেন্ডার নারীর গ্রেফতার হওয়ার পর কৃষ্ণা আদেলকার দাবি জানিয়েছেন যে একজন নয় এই জাতীয় অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত এবং এদের পুরো চক্রকে উন্মোচিত করা উচিত। কৃষ্ণা আদেলকার বলেন, গুরু মায়ের মতো, মুম্বাই শহরতলির কিন্নর মা সংগঠন এবং এর প্রধান সালমা খানের বিরুদ্ধেও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তিনি বলেন, তারা এত সম্পদ কোথা থেকে পেয়েছে? তারা কি মানুষকে লুট করছে, অবৈধ ব্যবসা করছে? গুরু মা এর একটি লিঙ্ক মাত্র। অন্যান্য অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে? অন্যদিকে, ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটির অনেকেই কৃষ্ণা আদেলকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কিন্নর মা’ নামক যে সংগঠনের বিরুদ্ধে কৃষ্ণা আদেলকার অভিযোগ তুলেছেন, সেই সংগঠনের প্রধান সালমা খান বলেন, ওই ব্যক্তির অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই, এগুলো মিথ্যা অভিযোগ। তিনি আরও বলেন, (আমাদের) সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্রতিশোধের বশবর্তী হয়ে তিনি (কৃষ্ণা আদেলকার) এই কাজ করছেন। গুরু মায়ের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। পুলিশ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের মানুষ এই বদনামের কারণে আহত বোধ করছে। আমাদের কয়েকজন সদস্য এই কারণে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন। এর জন্য দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। মুম্বাইয়ের পার্কসাইট পুলিশ এই বিষয়ে ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের বক্তব্য শুনেছে, তবে এখনো পর্যন্ত কোনো ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়নি।



