
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

সারোয়ার তুষারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ এনসিপির

বিএনপিসহ ৩০ দলের সঙ্গে আবারও বসছে ঐকমত্য কমিশন

লন্ডনে ‘একান্ত বৈঠকের’ আলোচনা জাতির সামনে পরিষ্কার করতে হবে

গণফোরামের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু মারা গেছেন

পটুয়াখালীর ডিসিকে রাজনীতির মাঠে আসতে বললেন নুর

সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি আর লিজ দেওয়া হবে না: রিজওয়ানা

সংসদ নির্বাচন এগিয়ে আনার বার্তা গণতন্ত্রের জন্য সুসংবাদ: মির্জা ফখরুল
ক্রাউড ফান্ডিংয়ের অর্থে এনসিপির ৬ নেতার সমুদ্রবিলাস: ক্ষোভ কর্মী-সমর্থকদের

কর্মী-সমর্থকদের দেওয়া অনুদানের অর্থে থাকে আস্থা ও স্বপ্ন— একটি সুন্দর দেশ গড়ার প্রত্যাশা। কিন্তু সেই স্বপ্নে যেন চপেটাঘাত করলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতৃত্ব। কক্সবাজারের বিলাসবহুল রিসোর্টে দলটির ছয় শীর্ষ নেতার ‘রিল্যাক্স ট্রিপ’—সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের চোখে এখন এক নির্মম প্রতারণার প্রতিচ্ছবি।
১৪ই জুন, শুক্রবার দুপুরে এনসিপির ছয় কেন্দ্রীয় নেতা— হাসনাত আব্দুল্লাহ, তাসনিম জারা, সারজিস আলম, নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, সামান্তা শারমিন ও নাহিদা সারওয়ার নিভা—উখিয়া উপজেলার সী পার্ল বিচ রিসোর্টে দুই দিনের ভ্রমণে যান। রিসোর্টের বিলাসী কক্ষে অবস্থান ও রাত্রিযাপন করেন তারা। সেইসাথে একাধিক বিদেশি এনজিও কর্মকর্তার সঙ্গে গোপন বৈঠকও করেন তারা, যা জনমনে বাড়িয়ে দিয়েছে উদ্বেগ।
এর চেয়েও বেশি বিতর্ক তৈরি হয়েছে, যখন
জানা গেল—এই বিলাসিতার পেছনে ব্যবহার করা হয়েছে সাধারণ মানুষের দেওয়া অনুদানের অর্থ। এনসিপি সম্প্রতি ‘আপনার অনুদানে আগামীর বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি ক্রাউডফান্ডিং প্রচারণা চালায়, যেখানে ৩ হাজারের বেশি কর্মী-সমর্থক ১৩ লাখ টাকার বেশি অনুদান দিয়েছেন। এই অর্থ মূলত ব্যবহৃত হওয়ার কথা ছিল দলীয় কর্মসূচি, জনসংযোগ ও সাংগঠনিক কাজের জন্য। অথচ এরইমধ্যে দেখা যাচ্ছে, সেই অর্থের ব্যবহার হচ্ছে রিসোর্টে বিলাসিতা ও নারী নেতৃত্বের সাথে গোপন ‘রিল্যাক্স ট্রিপ’-এ। সমর্থকদের অর্থে এনসিপি নেতাদের এমন ভোগবিলাসে লিপ্ত হওয়ায় দলের ভেতরেই সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক অসন্তোষ। অনেক কর্মীই অভিযোগ তুলেছেন, একদিকে তারা মাঠে কষ্ট করে কাজ করছেন, অন্যদিকে কেন্দ্রীয় নেতারা ঢাকায় ও কক্সবাজারে বিলাসী জীবনযাপন করছেন। আমরা কি এজন্য টাকা
দিয়েছি তাদের? কেন তাদের এমন বিলাসিতা? আমাদের সাথে এমন বৈষম্য করবেন বলেই কি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছিলাম আমরা? এসবের বাইরেও আরেকটি তথ্য জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে—গত ১৫ই জুন রাতে ঢাকায় ফিরে কর্নেল (অব.) মিয়া মশিহুজ্জামানের বাসায় এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও আখতার হোসেনের সঙ্গে পাকিস্তান দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা কামরান দাঙ্গাল গোপন বৈঠক করেন। কামরান দীর্ঘদিন ধরে আইএসআই এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরোধিতাকারী পাকিস্তানিদের সঙ্গে এনসিপির গোপন যোগাযোগ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের কার্যকলাপ শুধু রাজনৈতিক অস্থিরতাই নয়, রাষ্ট্রবিরোধী চক্রান্তেরও ইঙ্গিত দেয়। এনসিপি নেতারা এর আগেও রাজনৈতিক সহিংসতায় সরাসরি নেতৃত্ব দিয়েছেন, জুলাই আন্দোলনের পর সশস্ত্র হামলার হুমকিও
দিয়েছেন। তাই তাদের এমন কার্যকলাপকে হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। বিভিন্ন মহল থেকে এখন জোরালোভাবে বলা হচ্ছে, এই ঘটনা তদন্তের আওতায় আনা হোক। যারা সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ভেঙে তাদের টাকা অপব্যবহার করেছে, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। কর্মী-সমর্থকরা চায় না, তাদের কষ্টার্জিত অর্থে নেতারা বিলাসবহুল রিসোর্টে রিল্যাক্স ট্রিপ কাটাক, গোপনে রাষ্ট্রবিরোধীদের সঙ্গে আঁতাত করুক। আমাদের অনুদান কি তবে বিশ্বাসঘাতকদের হাতে পড়েছে? প্রশ্ন করেছেন দলের কর্মীরাই।
জানা গেল—এই বিলাসিতার পেছনে ব্যবহার করা হয়েছে সাধারণ মানুষের দেওয়া অনুদানের অর্থ। এনসিপি সম্প্রতি ‘আপনার অনুদানে আগামীর বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি ক্রাউডফান্ডিং প্রচারণা চালায়, যেখানে ৩ হাজারের বেশি কর্মী-সমর্থক ১৩ লাখ টাকার বেশি অনুদান দিয়েছেন। এই অর্থ মূলত ব্যবহৃত হওয়ার কথা ছিল দলীয় কর্মসূচি, জনসংযোগ ও সাংগঠনিক কাজের জন্য। অথচ এরইমধ্যে দেখা যাচ্ছে, সেই অর্থের ব্যবহার হচ্ছে রিসোর্টে বিলাসিতা ও নারী নেতৃত্বের সাথে গোপন ‘রিল্যাক্স ট্রিপ’-এ। সমর্থকদের অর্থে এনসিপি নেতাদের এমন ভোগবিলাসে লিপ্ত হওয়ায় দলের ভেতরেই সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক অসন্তোষ। অনেক কর্মীই অভিযোগ তুলেছেন, একদিকে তারা মাঠে কষ্ট করে কাজ করছেন, অন্যদিকে কেন্দ্রীয় নেতারা ঢাকায় ও কক্সবাজারে বিলাসী জীবনযাপন করছেন। আমরা কি এজন্য টাকা
দিয়েছি তাদের? কেন তাদের এমন বিলাসিতা? আমাদের সাথে এমন বৈষম্য করবেন বলেই কি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছিলাম আমরা? এসবের বাইরেও আরেকটি তথ্য জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে—গত ১৫ই জুন রাতে ঢাকায় ফিরে কর্নেল (অব.) মিয়া মশিহুজ্জামানের বাসায় এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও আখতার হোসেনের সঙ্গে পাকিস্তান দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা কামরান দাঙ্গাল গোপন বৈঠক করেন। কামরান দীর্ঘদিন ধরে আইএসআই এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরোধিতাকারী পাকিস্তানিদের সঙ্গে এনসিপির গোপন যোগাযোগ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের কার্যকলাপ শুধু রাজনৈতিক অস্থিরতাই নয়, রাষ্ট্রবিরোধী চক্রান্তেরও ইঙ্গিত দেয়। এনসিপি নেতারা এর আগেও রাজনৈতিক সহিংসতায় সরাসরি নেতৃত্ব দিয়েছেন, জুলাই আন্দোলনের পর সশস্ত্র হামলার হুমকিও
দিয়েছেন। তাই তাদের এমন কার্যকলাপকে হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। বিভিন্ন মহল থেকে এখন জোরালোভাবে বলা হচ্ছে, এই ঘটনা তদন্তের আওতায় আনা হোক। যারা সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ভেঙে তাদের টাকা অপব্যবহার করেছে, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। কর্মী-সমর্থকরা চায় না, তাদের কষ্টার্জিত অর্থে নেতারা বিলাসবহুল রিসোর্টে রিল্যাক্স ট্রিপ কাটাক, গোপনে রাষ্ট্রবিরোধীদের সঙ্গে আঁতাত করুক। আমাদের অনুদান কি তবে বিশ্বাসঘাতকদের হাতে পড়েছে? প্রশ্ন করেছেন দলের কর্মীরাই।