
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

বাংলাদেশের জন্য দুঃসংবাদ: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বড় ছাঁটাই আসছে

রাজনৈতিক অস্থিরতায় রপ্তানিতে ধাক্কা, বিনিয়োগে স্থবিরতা, উচ্চ মূল্যস্ফীতি: ভয়াবহ সংকটে অর্থনীতি

পুলিশি বাধায় চারুকলার পর গেণ্ডারিয়াতেও পণ্ড ‘শরৎ উৎসব’: ১৯ বছরের ধারাবাহিকতায় ছেদ

দেশের সব বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি বেবিচকের

নৃশংস বর্বরতা আর নরকীয়তার ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হল – নূরুল মজিদ হুমায়ূনের নিথর দেহে হাতকড়া লাগিয়ে।

ন্যায়বিচারের পথে এক ধাপ এগোল বাংলাদেশ

শিশুদের ‘নোবেল’ শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত সাতক্ষীরার তরুণ সুদীপ্ত
এ কেমন সংস্কার! দুদকের মামলার একদিন পরই আসামী উল্টো পুরস্কৃত, পেলেন আরও বড় দায়িত্ব

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও গোপন করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার মাত্র একদিন পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরীকে কাস্টমস, এক্সাইজ ও মূসক ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদে বদলি করা হয়েছে। এই বদলিকে অনেকে ‘সংস্কারের’ নামে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পুরস্কৃত করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন।
আজ ৯ই অক্টোবর, বুধবার অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এক আদেশ জারি করে মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরীকে সদস্য (মূসক বাস্তবায়ন ও আইটি) পদ থেকে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিল ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদে বদলি করে।
আদেশে বলা হয়েছে, ‘জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।’
গত মঙ্গলবার দুদকের উপপরিচালক মো. সাইদুজ্জামান বাদী হয়ে ৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য
গোপনের অভিযোগে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকায় বেলাল হোসাইনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এই মামলার পরপরই তার এই বদলি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিল ট্রাইব্যুনাল এনবিআরের অধীনে একটি আধা-বিচারিক প্রতিষ্ঠান, যার প্রধান কাজ হলো আপিল শুনানি ও নিষ্পত্তি করা। এই ট্রাইব্যুনালে কমিশনার (আপিল) বা অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট করদাতা বা ব্যবসায়ীরা শুল্ক ও ভ্যাট সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আপিল করতে পারেন। ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট এই আপিল শুনানি পরিচালনা এবং রায় প্রদানের মাধ্যমে এসব বিরোধ নিষ্পত্তি করেন, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী পদ। দুদকের মামলা এবং এই বদলির মধ্যে কোনো সম্পর্ক আছে কি না—এমন প্রশ্নে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘বদলি একটি দপ্তরের নিয়মিত কাজের অংশ। তবে এখানে দুদকের মামলারও একটা ভূমিকা রয়েছে।’ এই মন্তব্য বদলির পেছনে রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দুদকের মামলা হওয়ার পর কাউকে এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে বদলি করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের বদলি মানে অভিযুক্ত ব্যক্তির অপকর্মের ক্ষেত্র পরিবর্তন করে তাকে নতুন করে সুযোগ দেওয়া। এটি সংস্কারের নামে দুর্নীতির প্রতি প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের উচিত ছিল দুদকের মামলার বিচারকার্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত
করা। ন্যায় ও সুশাসনের স্বার্থে এই বদলির আদেশ অবিলম্বে স্থগিত করে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা উচিত।’ এই ঘটনা বাংলাদেশের প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে। দুদকের মামলার আসামীকে এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে বদলিকে অনেকে সরকারের দুর্নীতি দমনের প্রতিশ্রুতির প্রতি অবহেলা হিসেবে দেখছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ জনগণের মধ্যে প্রশাসনের প্রতি আস্থার ঘাটতি সৃষ্টি করতে পারে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইকে দুর্বল করতে পারে।
গোপনের অভিযোগে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকায় বেলাল হোসাইনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এই মামলার পরপরই তার এই বদলি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিল ট্রাইব্যুনাল এনবিআরের অধীনে একটি আধা-বিচারিক প্রতিষ্ঠান, যার প্রধান কাজ হলো আপিল শুনানি ও নিষ্পত্তি করা। এই ট্রাইব্যুনালে কমিশনার (আপিল) বা অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট করদাতা বা ব্যবসায়ীরা শুল্ক ও ভ্যাট সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আপিল করতে পারেন। ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট এই আপিল শুনানি পরিচালনা এবং রায় প্রদানের মাধ্যমে এসব বিরোধ নিষ্পত্তি করেন, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী পদ। দুদকের মামলা এবং এই বদলির মধ্যে কোনো সম্পর্ক আছে কি না—এমন প্রশ্নে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘বদলি একটি দপ্তরের নিয়মিত কাজের অংশ। তবে এখানে দুদকের মামলারও একটা ভূমিকা রয়েছে।’ এই মন্তব্য বদলির পেছনে রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দুদকের মামলা হওয়ার পর কাউকে এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে বদলি করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের বদলি মানে অভিযুক্ত ব্যক্তির অপকর্মের ক্ষেত্র পরিবর্তন করে তাকে নতুন করে সুযোগ দেওয়া। এটি সংস্কারের নামে দুর্নীতির প্রতি প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের উচিত ছিল দুদকের মামলার বিচারকার্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত
করা। ন্যায় ও সুশাসনের স্বার্থে এই বদলির আদেশ অবিলম্বে স্থগিত করে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা উচিত।’ এই ঘটনা বাংলাদেশের প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে। দুদকের মামলার আসামীকে এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে বদলিকে অনেকে সরকারের দুর্নীতি দমনের প্রতিশ্রুতির প্রতি অবহেলা হিসেবে দেখছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ জনগণের মধ্যে প্রশাসনের প্রতি আস্থার ঘাটতি সৃষ্টি করতে পারে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইকে দুর্বল করতে পারে।