এশিয়ায় বাড়ছে উত্তাপ, হুমকির মুখে জীববৈচিত্র্য – ইউ এস বাংলা নিউজ




এশিয়ায় বাড়ছে উত্তাপ, হুমকির মুখে জীববৈচিত্র্য

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৭ জুন, ২০২৫ | ১০:০৬ 9 ভিউ
বৈশ্বিক গড় উষ্ণতার তুলনায় এশিয়া মহাদেশ প্রায় দ্বিগুণ হারে উষ্ণ হচ্ছে। এ তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে চরম আবহাওয়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পরিবেশগত বিপর্যয় দিন দিন বাড়ছে। ২০২৪ সালের জলবায়ু পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) ‘স্টেট অব দ্য ক্লাইমেট ইন এশিয়া ২০২৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সাল ছিল এশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ অথবা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উষ্ণ বছর। এ সময়ে দীর্ঘমেয়াদি তাপপ্রবাহ এবং ভয়াবহ সমুদ্র তাপমাত্রার কারণে এ অঞ্চলের অর্থনীতি, বাস্তুতন্ত্র ও সমাজে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। এশিয়ায় ভূমির পরিমাণ বিশাল এবং তা আর্কটিক পর্যন্ত বিস্তৃত হওয়ায় উষ্ণতা বৃদ্ধির হারও বেশি। স্থলভাগে তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার সাধারণত সমুদ্রের চেয়ে

বেশি হয়, ফলে মহাদেশটি দ্বিগুণ হারে উত্তপ্ত হচ্ছে। ২০২৪ সালে এশিয়ার সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা ছিল রেকর্ড পরিমাণ। এ সময় সমুদ্রপৃষ্ঠ প্রতি দশকে ০.২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হারে বেড়েছে, যা বৈশ্বিক গড়ের প্রায় দ্বিগুণ। বিশেষ করে উত্তর ভারত মহাসাগর ও পূর্ব চীন সাগরসহ সমুদ্রের বিস্তীর্ণ অংশে এই উষ্ণতা লক্ষ করা গেছে। এতে উপকূলীয় নিচু এলাকাগুলো ভয়াবহ ঝুঁকির মুখে পড়েছে। হিমালয় ও তিব্বত মালভূমি ঘিরে থাকা হাই-মাউন্টেন এশিয়া অঞ্চলে ২০২৩-২৪ সালে ২৪টির মধ্যে ২৩টি হিমবাহে বরফ কমেছে। শীতকালে তুষারপাত কম হওয়া এবং গ্রীষ্মে চরম গরমের কারণে বরফ গলার হার বেড়েছে। এই অঞ্চলকে ‘বিশ্বের তৃতীয় মেরু’ বলা হয়, যেখানে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম মিঠা পানির হিমবাহ (পোলার অঞ্চল বাদে)। হিমবাহ

গলা শুধু সমুদ্রপৃষ্ঠ বাড়ায় না, বরং তা আঞ্চলিক জলচক্র, কৃষি ও গ্লেসিয়াল লেক বিস্ফোরণের মতো বিপদও ডেকে আনে। ২০২৪ সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে সমুদ্রের প্রায় ১৫ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার অংশ চরম সামুদ্রিক তাপপ্রবাহে আক্রান্ত হয়। এই পরিমাণ পুরো পৃথিবীর সমুদ্রপৃষ্ঠের এক দশমাংশের সমান। এই সময় উত্তর মেরু মহাসাগরের বড় অংশে বরফ গলে গিয়ে বরফ রেখা উত্তর দিকে সরে গেছে। খরা ও অতিবৃষ্টির মধ্য দিয়ে চলে গেছে এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল। রাশিয়ার লাপতেভ সাগর, লেনা নদীর আশেপাশে এবং আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের পশ্চিম হিমালয় অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। অন্যদিকে, কাজাখস্তান ও দক্ষিণ রাশিয়ায় ৭০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। এতে অন্তত ১ লাখ ১৮ হাজার

মানুষকে সরিয়ে নিতে হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২৪ ঘণ্টায় ২৫৯.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়, যা ১৯৪৯ সালের পর সর্বোচ্চ। চরম বৃষ্টিপাত ও ঘূর্ণিঝড় অনেক দেশে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবেদনে নেপালের একটি উদাহরণ তুলে ধরা হয়, যেখানে আগাম সতর্কতা ও প্রস্তুতির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি থেকে সাধারণ মানুষ নিজেদের রক্ষা করতে পেরেছে। এটি প্রমাণ করে, সময়মতো ব্যবস্থা নিলে বিপর্যয়ের প্রভাব অনেকটাই কমানো সম্ভব।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ইরানকে আলোচনায় ফেরাতে যেসব ‘টোপ’ যুক্তরাষ্ট্রের তিন দিনে গাজায় ১৫ ইসরাইলি সেনা নিহত কলম্বোয় ইনিংস হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ খামেনিকে ‘হত্যার পরিকল্পনা’র কথা স্বীকার ইসরাইলের ইউসুফ (আ.)-এর কবরে ইহুদিরা, ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংঘর্ষ ‘মার্চ টু এনবিআর’ প্রত্যাহারের আহ্বান মন্ত্রণালয়ের আলোচনার কেন্দ্রে জোহরানের স্ত্রীর পরিচয়… রাজধানীতে বর্ণিল রথযাত্রায় ভক্তের ঢল এশিয়ায় বাড়ছে উত্তাপ, হুমকির মুখে জীববৈচিত্র্য হিরো আলম প্রসঙ্গে রিয়া মনি, সম্পর্ক ভাঙে তৃতীয় পক্ষের কারণে ওয়াকফ মামলা শুনানির জন্য হাইকোর্টে পৃথক বেঞ্চ গঠিত ডেঙ্গুতে ফের ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৫৯ বাংলাদেশের ম্যাচ থেকেই আইসিসির নতুন নিয়ম প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় হিন্দু মহাজোটের বিক্ষোভ সমাবেশ ইরানে ইসরাইলি আগ্রাসনে আইএইএকে দুষলেন ল্যাভরভ বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে ইইউকে অনুরোধ করবে ইউক্রেন হামাসের টানেল গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবি ইসরাইলের গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে নিহত ৫৪৯ ফিলিস্তিনি খামেনির প্রতি আনুগত্য পুনর্ব্যক্ত করল হিজবুল্লাহ একসঙ্গে হলিউডের ৪ সিনেমা বাংলাদেশে