
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

আজ সকালেও লাহোরে বিস্ফোরণের শব্দ, ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত: আল-জাজিরা

ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে সর্বাত্মক যুদ্ধ

বিভেদ সৃষ্টিকারী শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হোন

ভারত ও পাকিস্তানের সংঘাত খুবই ভয়াবহ, তারা থামুক: ট্রাম্প

প্রথম দফায় নির্বাচিত হয়নি পোপ, ফের ভোট বৃহস্পতিবার

ভারতের ৫টি ফাইটার জেট ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের, অবশেষে যা জানা গেল

ইসরাইলকে ছাড়াই সৌদির সঙ্গে এককভাবে চুক্তির ইঙ্গিত যুক্তরাষ্ট্রের
এবার পশ্চিম তীরকে ‘গাজায়’ পরিণত করতে মরিয়া ইসরাইল

দখলদার ইসরাইল গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে যে কৌশল প্রয়োগ করেছে, ঠিক একই কৌশলে এবার ফিলিস্তিনের আরেক শহর পশ্চিম তীরে সামরিক আগ্রাসন বৃদ্ধি করেছে।
সম্প্রতি ব্রিটিশ পত্রিকা ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে এমনই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিম তীরে আক্রমণের প্রকৃতি ও মাত্রা বাড়ানো হয়েছে। সেখানে ড্রোন হামলা করা হচ্ছে, ট্যাঙ্ক মোতায়েন করা হয়েছে এবং সেনাবাহিনীর আক্রমণও বেড়েছে।
ইরানী বার্তা সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে দখলদার ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা এবং আক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কারণে পশ্চিম তীর এখন গাজায় পরিণত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমস বলছে, গত ১৮ মাস ধরে ইসরাইলি সেনাবাহিনী পশ্চিম তীরের বিরুদ্ধে এমন সব
কৌশল ও অস্ত্র ব্যবহার করে আসছে, যা গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে বারবার ব্যবহৃত হয়েছে। তবে বছরের পর বছর ধরে পশ্চিম তীরে কখনো সেই কৌশল ও অস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি। এই পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, পশ্চিম তীর আরেকটি গাজায় পরিণত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। জাতিসংঘের মানবিকতা বিষয়ক সমন্বয় অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি বাহিনী পশ্চিম তীরে ৯০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনীর অভিযানের ফলে ফিলিস্তিনি শহিদের সংখ্যা রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি ব্যাপক মাত্রায় ধ্বংস হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং চলাচলের ওপর ব্যাপক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। যা ৩৩ লাখেরও
বেশি ফিলিস্তিনির জীবনকে দুর্বিসহ করে তুলেছে। এ নিয়ে ফিলিস্তিনি বিষয়ক বিশ্লেষক ইব্রাহিম দেলালশে বলেছেন, ইসরাইলি মন্ত্রিসভার নীতি এই ধ্বংসযজ্ঞের পক্ষে। ইসরাইলি নেতারা পশ্চিম তীরে আরও আগ্রাসন চালানোর ওপর জোর দিচ্ছেন। এদিকে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বৃদ্ধির নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর স্পষ্টভাবে বলেছে, যুদ্ধাঞ্চল না হওয়া সত্ত্বেও পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনীর কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক আইনের বিরোধী। এদিকে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরাইলের অব্যাহত হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৮ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ১৪৫ জন। এ নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৫২,৬৫৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে বুধবার জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়,
এছাড়া মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,১৮,৮৯৭ জনে। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ‘এছাড়া অসংখ্য লাশ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে বা রাস্তায় পড়ে আছে। কিন্তু উদ্ধারকর্মীরা সেগুলোতে পৌঁছাতে পারছেন না’। নিখোঁজ থাকা এসব ফিলিস্তিনিদের মৃত হিসেব করে গাজার তথ্য অফিস জানিয়েছে, গত ১৯ মাসের ইসরাইলি হামলায় গাজায় মোট ৬২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
কৌশল ও অস্ত্র ব্যবহার করে আসছে, যা গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে বারবার ব্যবহৃত হয়েছে। তবে বছরের পর বছর ধরে পশ্চিম তীরে কখনো সেই কৌশল ও অস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি। এই পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, পশ্চিম তীর আরেকটি গাজায় পরিণত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। জাতিসংঘের মানবিকতা বিষয়ক সমন্বয় অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি বাহিনী পশ্চিম তীরে ৯০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনীর অভিযানের ফলে ফিলিস্তিনি শহিদের সংখ্যা রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি ব্যাপক মাত্রায় ধ্বংস হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং চলাচলের ওপর ব্যাপক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। যা ৩৩ লাখেরও
বেশি ফিলিস্তিনির জীবনকে দুর্বিসহ করে তুলেছে। এ নিয়ে ফিলিস্তিনি বিষয়ক বিশ্লেষক ইব্রাহিম দেলালশে বলেছেন, ইসরাইলি মন্ত্রিসভার নীতি এই ধ্বংসযজ্ঞের পক্ষে। ইসরাইলি নেতারা পশ্চিম তীরে আরও আগ্রাসন চালানোর ওপর জোর দিচ্ছেন। এদিকে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বৃদ্ধির নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর স্পষ্টভাবে বলেছে, যুদ্ধাঞ্চল না হওয়া সত্ত্বেও পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনীর কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক আইনের বিরোধী। এদিকে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরাইলের অব্যাহত হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৮ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ১৪৫ জন। এ নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৫২,৬৫৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে বুধবার জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়,
এছাড়া মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,১৮,৮৯৭ জনে। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ‘এছাড়া অসংখ্য লাশ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে বা রাস্তায় পড়ে আছে। কিন্তু উদ্ধারকর্মীরা সেগুলোতে পৌঁছাতে পারছেন না’। নিখোঁজ থাকা এসব ফিলিস্তিনিদের মৃত হিসেব করে গাজার তথ্য অফিস জানিয়েছে, গত ১৯ মাসের ইসরাইলি হামলায় গাজায় মোট ৬২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।