
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ আজ, বাংলাদেশ সময় কখন শুরু

১৩ মাসেও শেষ হয়নি শেখ হাসিনার চালের মজুদ: বস্তা দেখে বিরক্ত হয়ে চলে গেলেন ইউএনও

বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করতে চায় স্টারলিংক

সড়কের কাজ কাগজে, বাস্তবে নেই

দুই মার্কিন জাহাজ কেনার চুক্তি আজ

ঋণ দিয়ে ২১৩ কোটি টাকা ঘুষ নেন সাইফুজ্জামান

সময় বদলে দেদার চলছে রাজধানীর সিসা বার
এডিপিভুক্ত ৪৫ প্রকল্পে নামমাত্র বরাদ্দ, ব্যয় বৃদ্ধির শঙ্কা

নামমাত্র বরাদ্দ দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হচ্ছে এডিপিভুক্ত দীর্ঘদিনের পুরোনো ৪৫টি প্রকল্প। আগামী অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেটের আওতায় এসব প্রকল্পে এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে ভবিষ্যতে কাজের মেয়াদ ও ব্যয় বৃদ্ধির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে জনগণের করের শত শত কোটি টাকার অপচয় হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, বরাদ্দের সামান্য অর্থে আগামী এডিপি সংশোধনের আগ পর্যন্ত কোনো কাজই করা যাবে না। এতে অর্থবছরের শুরুতেই কাজে দেরি হলে সেই ঘানি টানতে হবে শেষ পর্যন্ত। সময়মতো বাস্তবায়ন না হলে কাঙ্ক্ষিত সুফল পেতেও অপেক্ষা করতে হবে বছরের পর বছর।
জিইয়ে রাখা প্রকল্পগুলোর মধ্যে ১৩ বছর আগে কাজ শুরু হয়েছে
এমন প্রকল্প আছে একটি। ১১ বছরের দুটি, ১০ বছরের চারটি, সাত বছরের তিনটি, চার বছরের সাতটি প্রকল্প। এছাড়া ছয় বছরের তিনটি, তিন বছরের আটটি এবং বাকি প্রকল্পগুলো রয়েছে এক থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে। এসবের কাজ কবে শেষ হবে তা কেউ বলতে পারছে না। বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ও সরকারের শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্য ড. জাহিদ হোসেন বলেন, এটা একটা ব্যাড প্র্যাকটিস। এই ধারাবাহিকতা বন্ধ হলে ভালো হতো। ছোট ছোট বরাদ্দ দিয়ে প্রকল্প বাঁচিয়ে রাখা খারাপ। বরাদ্দ বন্ধ হলে প্রকল্প থেকে কোনো উপকার পাওয়া যায় না, সেটি তো প্রমাাণিত। সামান্য বরাদ্দ দিয়ে এগুলো বাঁচিয়ে রাখায় কারা উপকার পায়? আমরা জানি
জনগণ তো অন্তত কিছু পায় না। তাহলে এই কাজ কেন হচ্ছে। এবার ভেবেছিলাম অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যতিক্রমী কিছু করবে। এ ধরনের অপচেষ্টা আর থাকবে না। কিন্তু নতুনত্ব কোথায়? কোনো পরিবর্তন এলো না। অল্প বরাদ্দের নামে যা দেওয়া হলো সেটারও অপচয় এবং ভবিষ্যতে অর্থ ঢালার পথও থেকেই গেল। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিকল্পনা সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন বৃহস্পতিবার বলেন, বিষয়টি আমার মাথায় নেই। আমি তো এডিপির পুরো বই মুখস্থ রাখিনি। এছাড়া এটা একক কোনো কাজ নয়। যৌথভাবে টিমওয়ার্কের মাধ্যমে এডিপি তৈরি হয়েছে। তবে কেন এত কম বরাদ্দ রাখা হয়েছে সে বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে আপনাকে পরে জানাতে পারব। পরিকল্প্ননা কমিশন জানায়, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয়
লেভেলক্রসিং গেটগুলোর পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন প্রকল্পটির মোট ব্যয় ১৪৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। ইতোমধ্যেই চারবার সংশোধন করতে হয়েছে। এরপরও বাস্তবায়ন হচ্ছে না। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ আছে ১৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা। আগামী অর্থবছরের নতুন এডিপিতে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে মাত্র এক লাখ টাকা। গত জুন মাস পর্যন্ত প্রকল্পটির আওতায় খরচ হয়েছে ৯১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এত কম বরাদ্দের কারণ প্রসঙ্গে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রকল্পটি ১০ বছরের পুরোনো। ২০১৫ সাল থেকে শুরু হয়ে আগামী জুন পর্যন্ত মেয়াদ আছে। এতেও বাস্তবায়ন সম্ভব নাও হতে পারে। ফলে সামান্য বরাদ্দ দিয়ে কোনোরকমে বাঁচিয়ে রাখা হচ্ছে। যাতে পরে সংশোধন বা মেয়াদ
বাড়িয়ে নেওয়া যায়। একই অবস্থা রেলের পশ্চিমাঞ্চলীয় লেভেলক্রসিং গেটগুলোর পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন প্রকল্পেও। তবে এটি তিনবার সংশোধন করা হয়েছিল। আগামী অর্থবছরে জুটেছে এক লাখ টাকার বরাদ্দ। এটিও চলছে ১০ বছর ধরে। এদিকে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং ইআইবির ঋণে বাস্তবায়ন হচ্ছে আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ডাবল রেললাইন রেলপথ নির্মাণ এবং বিদ্যমান রেলপথকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর প্রকল্পটি। এটির মোট ব্যয় ৪ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা। সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ আছে ১৭৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা। আগামী অর্থবছরের জন্য দেওয়া হয়েছে এক লাখ টাকা। এটি চলছে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে। টেলিটক নেটওয়ার্ক বিটিএস সাইটের ডিসি পাওয়ার ব্যাকআপ সিস্টেমের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে
নেটওয়ার্ক সেবার মান উন্নয়ন প্রকল্পও পেয়েছে এক লাখ টাকার বরাদ্দ। এ বিষয়ে সাবেক পরিকল্পনা সচিব মামুন-আল-রশীদ বলেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে এমন বরাদ্দ দিয়ে কোনোরকমে প্রকল্প বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা হতে পারে। যাতে আগামীতে সুযোগ এলেই ব্যয় বৃদ্ধি বা মেয়াদ বাড়িয়ে আবারও বরাদ্দ নেওয়া যায়। এভাবে প্রকল্প চালু রাখলে সংশ্লিষ্টদের অনেক ধরনের লাভ হয়ে থাকে। তবে বিষয়টি ভালোভাবে খতিয়ে দেখা উচিত। প্রয়োজন না থাকলে প্রকল্পগুলো বন্ধ করে দিলে ভবিষ্যতে এগুলোর পেছনে বাড়তি খরচের আশঙ্কা থাকে না। নামমাত্র বরাদ্দ পাওয়া কয়েকটি প্রকল্প হলো, বারহাট্টা উপজেলায় শিশুপার্ক নির্মাণ। এতে বরাদ্দ তিন লাখ টাকা। কুষ্টিয়া জেলার গড়াই নদীর ওপর সেতু নির্মাণ প্রকল্পটিতে দেওয়া হচ্ছে এক লাখ টাকা। খুলনার ভৈরব
নদীর তীর সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প পাচ্ছে এক লাখ টাকা। আরও আছে, লেবুখালী-রামপুর-মির্জাগঞ্জ সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প পাচ্ছে আট লাখ টাকা। জামালপুর নকশিপল্লী প্রকল্পে পাচ্ছে এক লাখ টাকা। শেখ হাসিনা স্পেশালাইহজড জুট টেক্সটাইল মিলস এক লাখ টাকা। বিএমআর অব কেরু অ্যান্ড কোং বিডি লিমিটেড প্রকল্প পাচ্ছে এক লাখ টাকা। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়ন প্রকল্প পাচ্ছে এক লাখ টাকা। বৃহত্তর ফরিদপুরের চরাঞ্চলে গবাদিপশুর জাত উন্নয়ন প্রকল্পে পাচ্ছে এক লাখ টাকা এবং চর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট প্রজেক্টে দেওয়া হচ্ছে এক লাখ টাকা।
এমন প্রকল্প আছে একটি। ১১ বছরের দুটি, ১০ বছরের চারটি, সাত বছরের তিনটি, চার বছরের সাতটি প্রকল্প। এছাড়া ছয় বছরের তিনটি, তিন বছরের আটটি এবং বাকি প্রকল্পগুলো রয়েছে এক থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে। এসবের কাজ কবে শেষ হবে তা কেউ বলতে পারছে না। বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ও সরকারের শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্য ড. জাহিদ হোসেন বলেন, এটা একটা ব্যাড প্র্যাকটিস। এই ধারাবাহিকতা বন্ধ হলে ভালো হতো। ছোট ছোট বরাদ্দ দিয়ে প্রকল্প বাঁচিয়ে রাখা খারাপ। বরাদ্দ বন্ধ হলে প্রকল্প থেকে কোনো উপকার পাওয়া যায় না, সেটি তো প্রমাাণিত। সামান্য বরাদ্দ দিয়ে এগুলো বাঁচিয়ে রাখায় কারা উপকার পায়? আমরা জানি
জনগণ তো অন্তত কিছু পায় না। তাহলে এই কাজ কেন হচ্ছে। এবার ভেবেছিলাম অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যতিক্রমী কিছু করবে। এ ধরনের অপচেষ্টা আর থাকবে না। কিন্তু নতুনত্ব কোথায়? কোনো পরিবর্তন এলো না। অল্প বরাদ্দের নামে যা দেওয়া হলো সেটারও অপচয় এবং ভবিষ্যতে অর্থ ঢালার পথও থেকেই গেল। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিকল্পনা সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন বৃহস্পতিবার বলেন, বিষয়টি আমার মাথায় নেই। আমি তো এডিপির পুরো বই মুখস্থ রাখিনি। এছাড়া এটা একক কোনো কাজ নয়। যৌথভাবে টিমওয়ার্কের মাধ্যমে এডিপি তৈরি হয়েছে। তবে কেন এত কম বরাদ্দ রাখা হয়েছে সে বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে আপনাকে পরে জানাতে পারব। পরিকল্প্ননা কমিশন জানায়, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয়
লেভেলক্রসিং গেটগুলোর পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন প্রকল্পটির মোট ব্যয় ১৪৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। ইতোমধ্যেই চারবার সংশোধন করতে হয়েছে। এরপরও বাস্তবায়ন হচ্ছে না। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ আছে ১৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা। আগামী অর্থবছরের নতুন এডিপিতে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে মাত্র এক লাখ টাকা। গত জুন মাস পর্যন্ত প্রকল্পটির আওতায় খরচ হয়েছে ৯১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এত কম বরাদ্দের কারণ প্রসঙ্গে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রকল্পটি ১০ বছরের পুরোনো। ২০১৫ সাল থেকে শুরু হয়ে আগামী জুন পর্যন্ত মেয়াদ আছে। এতেও বাস্তবায়ন সম্ভব নাও হতে পারে। ফলে সামান্য বরাদ্দ দিয়ে কোনোরকমে বাঁচিয়ে রাখা হচ্ছে। যাতে পরে সংশোধন বা মেয়াদ
বাড়িয়ে নেওয়া যায়। একই অবস্থা রেলের পশ্চিমাঞ্চলীয় লেভেলক্রসিং গেটগুলোর পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন প্রকল্পেও। তবে এটি তিনবার সংশোধন করা হয়েছিল। আগামী অর্থবছরে জুটেছে এক লাখ টাকার বরাদ্দ। এটিও চলছে ১০ বছর ধরে। এদিকে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং ইআইবির ঋণে বাস্তবায়ন হচ্ছে আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ডাবল রেললাইন রেলপথ নির্মাণ এবং বিদ্যমান রেলপথকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর প্রকল্পটি। এটির মোট ব্যয় ৪ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা। সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ আছে ১৭৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা। আগামী অর্থবছরের জন্য দেওয়া হয়েছে এক লাখ টাকা। এটি চলছে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে। টেলিটক নেটওয়ার্ক বিটিএস সাইটের ডিসি পাওয়ার ব্যাকআপ সিস্টেমের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে
নেটওয়ার্ক সেবার মান উন্নয়ন প্রকল্পও পেয়েছে এক লাখ টাকার বরাদ্দ। এ বিষয়ে সাবেক পরিকল্পনা সচিব মামুন-আল-রশীদ বলেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে এমন বরাদ্দ দিয়ে কোনোরকমে প্রকল্প বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা হতে পারে। যাতে আগামীতে সুযোগ এলেই ব্যয় বৃদ্ধি বা মেয়াদ বাড়িয়ে আবারও বরাদ্দ নেওয়া যায়। এভাবে প্রকল্প চালু রাখলে সংশ্লিষ্টদের অনেক ধরনের লাভ হয়ে থাকে। তবে বিষয়টি ভালোভাবে খতিয়ে দেখা উচিত। প্রয়োজন না থাকলে প্রকল্পগুলো বন্ধ করে দিলে ভবিষ্যতে এগুলোর পেছনে বাড়তি খরচের আশঙ্কা থাকে না। নামমাত্র বরাদ্দ পাওয়া কয়েকটি প্রকল্প হলো, বারহাট্টা উপজেলায় শিশুপার্ক নির্মাণ। এতে বরাদ্দ তিন লাখ টাকা। কুষ্টিয়া জেলার গড়াই নদীর ওপর সেতু নির্মাণ প্রকল্পটিতে দেওয়া হচ্ছে এক লাখ টাকা। খুলনার ভৈরব
নদীর তীর সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প পাচ্ছে এক লাখ টাকা। আরও আছে, লেবুখালী-রামপুর-মির্জাগঞ্জ সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প পাচ্ছে আট লাখ টাকা। জামালপুর নকশিপল্লী প্রকল্পে পাচ্ছে এক লাখ টাকা। শেখ হাসিনা স্পেশালাইহজড জুট টেক্সটাইল মিলস এক লাখ টাকা। বিএমআর অব কেরু অ্যান্ড কোং বিডি লিমিটেড প্রকল্প পাচ্ছে এক লাখ টাকা। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়ন প্রকল্প পাচ্ছে এক লাখ টাকা। বৃহত্তর ফরিদপুরের চরাঞ্চলে গবাদিপশুর জাত উন্নয়ন প্রকল্পে পাচ্ছে এক লাখ টাকা এবং চর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট প্রজেক্টে দেওয়া হচ্ছে এক লাখ টাকা।