
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধে ভাঙন, আতঙ্কে এলাকাবাসী

তাহলে এত গ্যাস যাচ্ছে কোথায়?

মানচিত্র অক্ষুণ্ন রাখবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, কারও ভয়ে ভীত হয়ে নয়

হেঁটে চলা নগরবাসীর সংখ্যা বাড়লেও ঢাকার ফুটপাত পথচারীবান্ধব হয়নি

ট্রেনে ঈদযাত্রা: কাল শুক্রবার মিলবে ২ জুনের টিকিট

সবজির দাম কিছুটা কমলেও বেড়েছে ডিমের দাম

শত বছর ধরে জেগে আছে সদরঘাট
ইবাদতের ভরা মৌসুম শুরু হলো

রমজানুল মোবারক বান্দার জন্য আল্লাহতায়ালার অনেক বড় নেয়ামত। এ মাসের দিবস-রজনিকে আল্লাহতায়ালা খায়ের ও বরকত দিয়ে পূর্ণ করে রেখেছেন। তাকওয়া অর্জনের অনুশীলনে এবং ইবাদত-বন্দেগি ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের সব আমলের জন্য ভরা বসন্ত বানিয়েছেন। এ মাস শুধু একটি মাসই নয়; বরং গোটা বছরের জন্য এটা তাপকেন্দ্র। এ মাস থেকেই মুমিন গোটা বছরের তাকওয়া-তাহারাতের সঞ্চয় গ্রহণ করে। গোটা বছরের ইমানি প্রস্তুতি এ মাস থেকেই গ্রহণ করে। হাদিস শরিফের ভাষায়- ‘আল্লাহতায়ালার কসম! মুসলমানদের জন্য এরচেয়ে উত্তম মাস আর নেই এবং মুনাফিকদের জন্য এর চেয়ে ক্ষতির মাসও আর নেই। মুসলমান এ মাসে (গোটা বছরের জন্য) ইবাদতের শক্তি ও পাথেয় সঞ্চয় করে।’ আরও বলেছেন,
এ মাস মুমিনের জন্য গনিমত এবং মুনাফিকের জন্য ক্ষতির কারণ। (মুসনাদে আহমদ ২/৩৩০; মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৩/১৪০)। আল্লাহতায়ালা যেমন রমজানকে খায়ের ও বরকত এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জনের মৌসুম বানিয়েছেন তেমনই গোটা বছরের ইমানি কুওয়ত হাসিলের কেন্দ্র বানিয়েছেন। এরই সঙ্গে আরও অনুগ্রহ করেছেন যে, এ মাসে সৃষ্টিজগতে এমন অনেক অবস্থা ও পরিবর্তনের সূচনা করেন, যা গোটা পরিবেশকেই খায়ের ও বরকত দিয়ে ভরপুর করে দেন। হাদিস শরিফে এসেছে, এ মাসে আল্লাহর হুকুমে জান্নাতের সব দরজা খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের সব দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বড় বড় জিন ও শয়তানকে বন্দি করা হয় এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে এক ঘোষক ঘোষণা করতে
থাকেন-‘হে কল্যাণ-অন্বেষী, অগ্রসর হও, হে অকল্যাণের পথিক, থেমে যাও।’ এসবের প্রভাবে রমজান মাসে চেতনে বা অবচেতনে বান্দা ভালো কাজের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। সৌভাগ্যশালী ওইসব ব্যক্তি, যারা এ আসমানি প্রেরণাকে মূল্য দেয় এবং হিম্মতের সঙ্গে কর্মের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মনে রাখা উচিত, প্রকৃতপক্ষে রমজান হলো, আখিরাতের তিজারতের মৌসুম। এ মাসের সময়গুলো খুব বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগিতে অতিবাহিত করা উচিত। অন্তত ফরজ রোজা এবং সুন্নতে মুয়াক্কাদা তারাবি, সেহরির সময় তাহাজ্জুদ, কিছু পরিমাণে হলেও জিকির ও তেলাওয়াত প্রত্যেকেরই করা উচিত। বাজারের ব্যবসা-বাণিজ্যে এতখানি মগ্ন হওয়া উচিত নয় যে, ফরজ নামাজের জামাত ও তারাবি ছুটে যায়। এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যে ধোঁকাবাজি ও প্রতারণা এবং সুদ ও জুয়াসহ অন্য
সব হারাম কার্যকলাপ থেকে তো সারা বছরই বেঁচে থাকা ফরজ, রমজান মাসে এর অপরিহার্যতা আরও বেড়ে যায়। কেননা, বরকতপূর্ণ সময়ের গুনাহও অত্যন্ত কঠিন ও ধ্বংসাত্মক হয়ে থাকে। লেখক : খতিব, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম
এ মাস মুমিনের জন্য গনিমত এবং মুনাফিকের জন্য ক্ষতির কারণ। (মুসনাদে আহমদ ২/৩৩০; মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৩/১৪০)। আল্লাহতায়ালা যেমন রমজানকে খায়ের ও বরকত এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জনের মৌসুম বানিয়েছেন তেমনই গোটা বছরের ইমানি কুওয়ত হাসিলের কেন্দ্র বানিয়েছেন। এরই সঙ্গে আরও অনুগ্রহ করেছেন যে, এ মাসে সৃষ্টিজগতে এমন অনেক অবস্থা ও পরিবর্তনের সূচনা করেন, যা গোটা পরিবেশকেই খায়ের ও বরকত দিয়ে ভরপুর করে দেন। হাদিস শরিফে এসেছে, এ মাসে আল্লাহর হুকুমে জান্নাতের সব দরজা খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের সব দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বড় বড় জিন ও শয়তানকে বন্দি করা হয় এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে এক ঘোষক ঘোষণা করতে
থাকেন-‘হে কল্যাণ-অন্বেষী, অগ্রসর হও, হে অকল্যাণের পথিক, থেমে যাও।’ এসবের প্রভাবে রমজান মাসে চেতনে বা অবচেতনে বান্দা ভালো কাজের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। সৌভাগ্যশালী ওইসব ব্যক্তি, যারা এ আসমানি প্রেরণাকে মূল্য দেয় এবং হিম্মতের সঙ্গে কর্মের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মনে রাখা উচিত, প্রকৃতপক্ষে রমজান হলো, আখিরাতের তিজারতের মৌসুম। এ মাসের সময়গুলো খুব বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগিতে অতিবাহিত করা উচিত। অন্তত ফরজ রোজা এবং সুন্নতে মুয়াক্কাদা তারাবি, সেহরির সময় তাহাজ্জুদ, কিছু পরিমাণে হলেও জিকির ও তেলাওয়াত প্রত্যেকেরই করা উচিত। বাজারের ব্যবসা-বাণিজ্যে এতখানি মগ্ন হওয়া উচিত নয় যে, ফরজ নামাজের জামাত ও তারাবি ছুটে যায়। এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যে ধোঁকাবাজি ও প্রতারণা এবং সুদ ও জুয়াসহ অন্য
সব হারাম কার্যকলাপ থেকে তো সারা বছরই বেঁচে থাকা ফরজ, রমজান মাসে এর অপরিহার্যতা আরও বেড়ে যায়। কেননা, বরকতপূর্ণ সময়ের গুনাহও অত্যন্ত কঠিন ও ধ্বংসাত্মক হয়ে থাকে। লেখক : খতিব, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম