
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

চাঁদাবাজি করার সময় জনতার হাতে আটক বৈছার দুই কেন্দ্রীয় নেতা

চরম সংকটে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, আশার আলো দেখছেন না শিল্পোদ্যাক্তারা

জাতিসংঘের ঢাকা রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর গুইন লুইসের ইয়াঙ্গুন স্থানান্তর: বাংলাদেশে বিতর্কিত ভূমিকার পর নতুন দায়িত্ব

গ্রেফতারের ৪৮ ঘণ্টা পরও আদালতে তোলা হয়নি মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ১৪ সেনা কর্মকর্তাকে

প্রধানমন্ত্রী মেলোনির সাক্ষাৎ না পেয়ে রোমের মেয়রের অফিসে হাজির ড. ইউনূস: ক্ষুণ্ন দেশের ভাবমূর্তি, সমালোচনা

গাড়ির হর্ন ব্যবহারে বিআরটিএ’র নির্দেশনা

ময়মনসিংহের ১১ পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল
ইউনূস শাসনে জাকার্তা মেথডে আওয়ামী লীগ নেতাদের হত্যাযজ্ঞ: স্বাধীনতাপরবর্তী বাংলাদেশে নয়া বিভীষিকা

স্বাধীনতার ইতিহাসে ১৯৭১-এ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নৃশংসতা ছাড়া এমন কোনো সময় আসেনি যখন রাষ্ট্রীয় হেফাজতে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের এভাবে পদ্ধতিগতভাবে নিহত করা হয়েছে। কিন্তু আজকের বাংলাদেশে, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে, আওয়ামী লীগের ৩১ জন নেতাকর্মীর কারাগারে মৃত্যুর ঘটনা সেই কালো অধ্যায়ের স্মৃতি ফিরিয়ে দিয়েছে।
নিহতদের পরিবারগুলোর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্য এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের বিশ্লেষণে এই হত্যাযজ্ঞকে ‘জাকার্তা পদ্ধতি’র সাথে তুলনা করা হচ্ছে— যা ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৬৫-৬৬ সালে ডানপন্থী বাহিনীর দ্বারা বামপন্থীদের গোপনে নির্মূলের কৌশল হিসেবে পরিচিত।
এই পদ্ধতিতে হেফাজতের নামে নির্যাতন, মৃত্যু এবং অস্বীকারের ঘটনা বর্তমান প্রশাসনের অধীনে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে পুনরাবৃত্তি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
তালিকায় নথিভুক্ত ৩১টি মৃত্যু: নির্যাতনের ছাপ
আওয়ামী
লীগের পক্ষ থেকে প্রকাশিত নথিতে ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ৩১ জন নেতাকর্মী ও সমর্থকের কারাগারে মৃত্যুর বিবরণ রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশের কারণ উল্লেখ করা হয়েছে ‘হার্ট অ্যাটাক’, ‘স্ট্রোক’ বা ‘অসুস্থতা’। পরিবারগুলো সব ক্ষেত্রেই অভিযোগ করেছে কারা হেফাজতে নির্মম নির্যাতন এবং চিকিৎসায় অবহেলার। উদাহরণস্বরূপ: এলাহি সিকদার (১৯), গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার নিজামকান্দি ইউনিয়নের ফলশী গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী গ্রেপ্তার- ৩রা সেপ্টেম্বর ২০২৪, মৃত্যু- ৭ই সেপ্টেম্বর কারণ: হৃদরোগ পরিবারের অভিযোগ: পুলিশি হেফাজতে নির্যাতন শফিকুল ইসলাম (৪৫) এবং সোহরাব হোসেন আপেল (৩৫), গাইবান্ধার শাহতলা ইউনিয়নের গোবিন্দী গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার- ৯ই সেপ্টেম্বর, মৃত্যু- ১০ই সেপ্টেম্বর কারণ: অসুস্থতা উভয়ের পরিবারের অভিযোগ: নির্যাতনে মৃত্যু আলিমুজ্জামান চৌধুরী (৫৮), গোপালগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম
কল্যাণী সভার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার- ১৫ই সেপ্টেম্বর, মৃত্যু- ১৪ই অক্টোবর কারণ: স্ট্রোক পরিবারের অভিযোগ: অপমানজনক আচরণ, কারাগারে লাঞ্ছিত করা সাম্প্রতিকতম: নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন (৭৫), এমপি ও মন্ত্রী। গ্রেপ্তার- ২৫শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, মৃত্যু- ২৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৫। কারণ: অসুস্থতাজনিত মৃত্যু পরিবারের অভিযোগ: নির্যাতন এছাড়া, আবু বকর সিদ্দিকী মুন্না (গাইবান্ধা জেলার কাঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান), সাইদুর রহমান সুজন (সাভার উপজেলার বিরুল ইউনিয়নের সদস্য) এবং সোয়ায়েব দেয় (৪০) (কিশোরগঞ্জের মিথামইন উপজেলার আওয়ামী লীগ কর্মী) সহ আরও অনেকের মৃত্যু সন্দেহজনক বলে চিহ্নিত। তালিকায় উল্লেখিত মৃত্যুর মধ্যে ১৫টির কারণ নির্যাতন, ৮টি হার্ট অ্যাটাক, ৪টি জেলে মৃত্যু (সন্দেহজনক বা চিকিৎসা অবহেলা) এবং বাকিগুলো অসুস্থতা। মানবাধিকার সংস্থা জাস্টিস মেকার্স বাংলাদেশ ইন ফ্রান্স (জেএমবিএফ)-এর একটি প্রতিবেদনে
বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত ইউনূস প্রশাসনের অধীনে ৬১টি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)-এর মতে, এগুলো সরকারি বাহিনীর নির্যাতন এবং চিকিৎসা অবহেলার ফল। আওয়ামী লীগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “অবৈধ অধিকারী, হত্যাকারী, ফ্যাসিস্ট ইউনূস এবং তার সহযোগীরা পদ্ধতিগতভাবে আমাদের নেতাদের হত্যা করছে।” জাকার্তা পদ্ধতি: ইতিহাসের ছায়া জাকার্তা পদ্ধতি—এই শব্দটি উঠে এসেছে ভিনসেন্ট বেভিন্সের বই দ্য জাকার্তা মেথড থেকে, যা ১৯৬৫-৬৬ সালে ইন্দোনেশিয়ায় বামপন্থীদের গণহত্যার ঘটনা বর্ণনা করে। সেখানে সামরিক বাহিনী এবং ডানপন্থী গ্রুপগুলো হাজার হাজার নেতাদের গ্রেপ্তার করে, নির্যাতন করে মারধর করে এবং মৃত্যুকে ‘স্বাভাবিক’ (হার্ট
অ্যাটাক, আত্মহত্যা) বলে চাপিয়ে দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন এই পদ্ধতিকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়, যার ফলে লাতিন আমেরিকা থেকে এশিয়া পর্যন্ত লক্ষাধিকের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশের বর্তমান ঘটনায় এই পদ্ধতির ছাপ স্পষ্ট। গ্রেপ্তারের পর দ্রুত মৃত্যু, পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার এবং স্বাধীন তদন্তের অভাব। আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, “এটি প্রতিশোধের কৌশল—আমাদের শীর্ষ নেতাদের নির্মূল করে দলকে দুর্বল করা।” এইচআরডব্লিউ-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ, ইউনূস সরকার ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’-এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে, যা ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’র সাথে যুক্ত। স্বাধীনতার পর অভূতপূর্ব স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে— যেমন ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের পর ১৬ জনের মৃত্যু (যার মধ্যে নির্যাতনের অভিযোগ), বা ২০২৩-২৪ সালে রাজনৈতিক সহিংসতায় ৪১
জনের হত্যা। কিন্তু এগুলো বিচ্ছিন্ন এবং অ-পদ্ধতিগত। ২০২৪-২৫ সালে ৩১টি মৃত্যু—একই দলের শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে—এটি অভূতপূর্ব। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)-এর তথ্য অনুসারে, ২০২৪-এর প্রথমার্ধে হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা দ্বিগুণ হয়েছে, কিন্তু ইউনূস প্রশাসনের পর এটি ‘প্রতিশোধমূলক’ হয়ে উঠেছে। ১৯৭১-এ পাকিস্তানি সেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের গণহত্যা করেছে, কিন্তু স্বাধীনতার পর কোনো সরকার এভাবে বিরোধী দলের নেতাদের ‘হেফাজতে’ নির্মূল করেনি। জেএমবিএফ-এর প্রতিবেদন বলছে, “এটি ১৯৫০-এর খাপড়া ওয়ার্ড গণহত্যা বা ১৯৭৫-এর ৩রা নভেম্বরের জাতীয় নেতাদের জেল হত্যার সাথে তুলনীয়—কিন্তু আজকের এটি রাষ্ট্রীয়। আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ: আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের আহ্বান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, “ইউনূস সরকারের এই হত্যাকাণ্ড বন্ধ করুন। আমরা জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কাছে অভিযোগ
করব।” শেখ হাসিনাও বলেছেন, “এটি ফ্যাসিবাদের নতুন রূপ—আমাদের দলকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা।” বিএনপি এবং অন্যান্য দলগুলো চুপ, কিন্তু মানবাধিকার সংস্থাগুলো স্বাধীন তদন্তের দাবি জানিয়েছে। এইচআরডব্লিউ-এর এশিয়া পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, “বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার মানবাধিকারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কিন্তু এই মৃত্যুগুলো তার বিরোধিতা করে। স্বাধীন কমিশন গঠন না করলে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়বে।” বাংলাদেশের রাজনীতি আজ অন্ধকারে—কোথায় যাবে এই পথ? পরিবারগুলোর কান্না এবং ইতিহাসের সাক্ষ্য বলছে, এটি শুধু হত্যা নয়, একটি পদ্ধতির শুরু হতে পারে।
লীগের পক্ষ থেকে প্রকাশিত নথিতে ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ৩১ জন নেতাকর্মী ও সমর্থকের কারাগারে মৃত্যুর বিবরণ রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশের কারণ উল্লেখ করা হয়েছে ‘হার্ট অ্যাটাক’, ‘স্ট্রোক’ বা ‘অসুস্থতা’। পরিবারগুলো সব ক্ষেত্রেই অভিযোগ করেছে কারা হেফাজতে নির্মম নির্যাতন এবং চিকিৎসায় অবহেলার। উদাহরণস্বরূপ: এলাহি সিকদার (১৯), গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার নিজামকান্দি ইউনিয়নের ফলশী গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী গ্রেপ্তার- ৩রা সেপ্টেম্বর ২০২৪, মৃত্যু- ৭ই সেপ্টেম্বর কারণ: হৃদরোগ পরিবারের অভিযোগ: পুলিশি হেফাজতে নির্যাতন শফিকুল ইসলাম (৪৫) এবং সোহরাব হোসেন আপেল (৩৫), গাইবান্ধার শাহতলা ইউনিয়নের গোবিন্দী গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার- ৯ই সেপ্টেম্বর, মৃত্যু- ১০ই সেপ্টেম্বর কারণ: অসুস্থতা উভয়ের পরিবারের অভিযোগ: নির্যাতনে মৃত্যু আলিমুজ্জামান চৌধুরী (৫৮), গোপালগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম
কল্যাণী সভার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার- ১৫ই সেপ্টেম্বর, মৃত্যু- ১৪ই অক্টোবর কারণ: স্ট্রোক পরিবারের অভিযোগ: অপমানজনক আচরণ, কারাগারে লাঞ্ছিত করা সাম্প্রতিকতম: নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন (৭৫), এমপি ও মন্ত্রী। গ্রেপ্তার- ২৫শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, মৃত্যু- ২৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৫। কারণ: অসুস্থতাজনিত মৃত্যু পরিবারের অভিযোগ: নির্যাতন এছাড়া, আবু বকর সিদ্দিকী মুন্না (গাইবান্ধা জেলার কাঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান), সাইদুর রহমান সুজন (সাভার উপজেলার বিরুল ইউনিয়নের সদস্য) এবং সোয়ায়েব দেয় (৪০) (কিশোরগঞ্জের মিথামইন উপজেলার আওয়ামী লীগ কর্মী) সহ আরও অনেকের মৃত্যু সন্দেহজনক বলে চিহ্নিত। তালিকায় উল্লেখিত মৃত্যুর মধ্যে ১৫টির কারণ নির্যাতন, ৮টি হার্ট অ্যাটাক, ৪টি জেলে মৃত্যু (সন্দেহজনক বা চিকিৎসা অবহেলা) এবং বাকিগুলো অসুস্থতা। মানবাধিকার সংস্থা জাস্টিস মেকার্স বাংলাদেশ ইন ফ্রান্স (জেএমবিএফ)-এর একটি প্রতিবেদনে
বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত ইউনূস প্রশাসনের অধীনে ৬১টি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)-এর মতে, এগুলো সরকারি বাহিনীর নির্যাতন এবং চিকিৎসা অবহেলার ফল। আওয়ামী লীগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “অবৈধ অধিকারী, হত্যাকারী, ফ্যাসিস্ট ইউনূস এবং তার সহযোগীরা পদ্ধতিগতভাবে আমাদের নেতাদের হত্যা করছে।” জাকার্তা পদ্ধতি: ইতিহাসের ছায়া জাকার্তা পদ্ধতি—এই শব্দটি উঠে এসেছে ভিনসেন্ট বেভিন্সের বই দ্য জাকার্তা মেথড থেকে, যা ১৯৬৫-৬৬ সালে ইন্দোনেশিয়ায় বামপন্থীদের গণহত্যার ঘটনা বর্ণনা করে। সেখানে সামরিক বাহিনী এবং ডানপন্থী গ্রুপগুলো হাজার হাজার নেতাদের গ্রেপ্তার করে, নির্যাতন করে মারধর করে এবং মৃত্যুকে ‘স্বাভাবিক’ (হার্ট
অ্যাটাক, আত্মহত্যা) বলে চাপিয়ে দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন এই পদ্ধতিকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়, যার ফলে লাতিন আমেরিকা থেকে এশিয়া পর্যন্ত লক্ষাধিকের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশের বর্তমান ঘটনায় এই পদ্ধতির ছাপ স্পষ্ট। গ্রেপ্তারের পর দ্রুত মৃত্যু, পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার এবং স্বাধীন তদন্তের অভাব। আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, “এটি প্রতিশোধের কৌশল—আমাদের শীর্ষ নেতাদের নির্মূল করে দলকে দুর্বল করা।” এইচআরডব্লিউ-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ, ইউনূস সরকার ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’-এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে, যা ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’র সাথে যুক্ত। স্বাধীনতার পর অভূতপূর্ব স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে— যেমন ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের পর ১৬ জনের মৃত্যু (যার মধ্যে নির্যাতনের অভিযোগ), বা ২০২৩-২৪ সালে রাজনৈতিক সহিংসতায় ৪১
জনের হত্যা। কিন্তু এগুলো বিচ্ছিন্ন এবং অ-পদ্ধতিগত। ২০২৪-২৫ সালে ৩১টি মৃত্যু—একই দলের শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে—এটি অভূতপূর্ব। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)-এর তথ্য অনুসারে, ২০২৪-এর প্রথমার্ধে হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা দ্বিগুণ হয়েছে, কিন্তু ইউনূস প্রশাসনের পর এটি ‘প্রতিশোধমূলক’ হয়ে উঠেছে। ১৯৭১-এ পাকিস্তানি সেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের গণহত্যা করেছে, কিন্তু স্বাধীনতার পর কোনো সরকার এভাবে বিরোধী দলের নেতাদের ‘হেফাজতে’ নির্মূল করেনি। জেএমবিএফ-এর প্রতিবেদন বলছে, “এটি ১৯৫০-এর খাপড়া ওয়ার্ড গণহত্যা বা ১৯৭৫-এর ৩রা নভেম্বরের জাতীয় নেতাদের জেল হত্যার সাথে তুলনীয়—কিন্তু আজকের এটি রাষ্ট্রীয়। আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ: আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের আহ্বান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, “ইউনূস সরকারের এই হত্যাকাণ্ড বন্ধ করুন। আমরা জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কাছে অভিযোগ
করব।” শেখ হাসিনাও বলেছেন, “এটি ফ্যাসিবাদের নতুন রূপ—আমাদের দলকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা।” বিএনপি এবং অন্যান্য দলগুলো চুপ, কিন্তু মানবাধিকার সংস্থাগুলো স্বাধীন তদন্তের দাবি জানিয়েছে। এইচআরডব্লিউ-এর এশিয়া পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, “বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার মানবাধিকারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কিন্তু এই মৃত্যুগুলো তার বিরোধিতা করে। স্বাধীন কমিশন গঠন না করলে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়বে।” বাংলাদেশের রাজনীতি আজ অন্ধকারে—কোথায় যাবে এই পথ? পরিবারগুলোর কান্না এবং ইতিহাসের সাক্ষ্য বলছে, এটি শুধু হত্যা নয়, একটি পদ্ধতির শুরু হতে পারে।