আসছে নিষেধাজ্ঞা, উপকূলজুড়ে বিষাদের ছায়া – ইউ এস বাংলা নিউজ




আসছে নিষেধাজ্ঞা, উপকূলজুড়ে বিষাদের ছায়া

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৫:৫৯ 15 ভিউ
ভরা মৌসুমে মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরে আশানুরূপ দেখা মিলছে না ইলিশের। প্রতিবছর এ সময় নদী-সাগরজুড়ে ইলিশের ছড়াছড়ি থাকলেও এবার জেলেদের জালে কাঙ্ক্ষিত মাছ ধরা পড়ছে না। এতে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন জেলে ও মাছ ব্যবসায়ী হাজারো পরিবার। ইতোমধ্যে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। গত বছর ১২ অক্টোবর থেকে অভিযান শুরু হলেও এ বছর ৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২৫ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত সময় নিষেধাজ্ঞার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিদিন হাতিয়ার বিভিন্ন ঘাট থেকে হাজারো জেলে মাছ ধরতে গেলেও প্রায়ই খালি জাল টেনে ফিরছেন। যেসব নৌকায় অল্প ইলিশ ধরা পড়ছে, তা দিয়ে শ্রমিকের মজুরি ও জ্বালানির খরচও মেটানো যাচ্ছে না।

বাজারেও সরবরাহ কম থাকায় ইলিশের দাম হু-হু করে বেড়ে গেছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে শুধু জেলেরাই নয়, ক্ষতির মুখে পড়বেন আড়তদার, ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাজারের মাছ বিক্রেতারাও। অনেকেই পেশা পরিবর্তনের কথাও ভাবছেন। স্থানীয় জেলেদের অভিযোগ, সাগর ও নদীতে ইলিশ থাকলেও আগের মতো আর জালে ধরা পড়ছে না। কিছু দিন সামান্য মাছ পেলেও নতুন করে ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা তাদের আবারও হতাশ করেছে। গত বছর নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছিল ১২ অক্টোবর থেকে, তবে এবার তা এগিয়ে আনা হয়েছে ৩ অক্টোবর থেকে। ফলে অনেকে তারিখ পুনর্বিবেচনার দাবি তুলেছেন। মৎস্য ব্যবসায়ী হাসান মাঝি জানান, পরিবার চালানো ভীষণ কষ্টকর হয়ে পড়েছে। শুধু জেলেরাই নয়, কর্মহীন হয়ে পড়েছেন শ্রমিকরাও। ইলিশের সরবরাহ কমে

যাওয়ায় ব্যবসায়ী, আড়তদার এবং বাজারের বিক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অনেকেই ঋণ করে নৌকা ও জাল কিনেছিলেন, এখন ঋণ শোধ করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। সূর্যমুখী মাছ ঘাটের সভাপতি মো. আলাউদ্দিন বলেন, ভরা মৌসুমেও ইলিশের আকাল জেলেদের জীবনে বড় কষ্ট ডেকে এনেছে। জেলে, ব্যবসায়ী, আড়তদার ও শ্রমিক সবাই ঋণের বোঝায় জর্জরিত। কিছু ইলিশ যখন ধরা পড়া শুরু হয়, তখনই সরকার নিষেধাজ্ঞা দেয়। আমরা চাই তারিখ পুনর্নির্ধারণ করা হোক এবং ভারত-বাংলাদেশ একই সময়ে নিষেধাজ্ঞা দিক। নইলে তারা আমাদের এলাকায় মাছ ধরে নিয়ে যায়, এতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হই। হাতিয়া উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফাহাদ হাসান জানান, ডুবোচর, প্রতিকূল আবহাওয়া, অতিরিক্ত মাছ শিকার ও পরিবেশগত পরিবর্তনের কারণে ইলিশের

প্রজনন ও মজুতে প্রভাব পড়তে পারে। সরকার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই মা ইলিশ রক্ষায় এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে। এটি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে ভবিষ্যতে নদী ও সাগরে বড় ইলিশের সংখ্যা বাড়বে। তখন জেলেরা আরও বেশি মাছ ধরতে পারবেন এবং অনেক বেশি যা তাদের জীবনে স্বস্তি আনবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
হজের তিন প্যাকেজ ঘোষণা, কমছে খরচ বাগরাম দখলে পাঁয়তারা ট্রাম্পের, বাগড়া দিচ্ছে রাশিয়া-চীন-ইরান-পাকিস্তান হাজি সেলিমের বাড়ি থেকে ৬টি বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৮৪৫ ফাইনাল পরিত্যক্ত হলে কোন দলের হাতে উঠবে ট্রফি, কী আছে নিয়মে ১ অক্টোবর খুলছে না কেওক্রাডং পর্যটন কেন্দ্র গাজা যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েলে রাস্তায় নেমেছে হাজার হাজার মানুষ আসছে নিষেধাজ্ঞা, উপকূলজুড়ে বিষাদের ছায়া চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে দুদকের অভিযান Under Donald Trump direction America on Wrong Direction বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে আওয়ামী লীগের দুই নেতার ওপর হামলা : বিএনপির একজন গ্রেফতার নিউইয়র্কের বাসিন্দারা দ্রব্যমূল্যের ‘ভর্তুকি চেক’ পাবেন বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ? চার মাসের জন্য খুলছে সেন্টমার্টিন ১১ অক্টোবর ওয়াশিংটন ডিসিতে ‘প্রজেক্ট ১৯৭১’ প্রদর্শনী ও আলোচনা নেতানিয়াহুর ভাষণ, যেসব দেশ ওয়াকআউট করল নেতানিয়াহুর ভাষণে জাতিসংঘে প্রতিক্রিয়া দেখালেন ইসরায়েলি সেনার বাবা নাইজেরিয়ায় স্বর্ণখনিতে ভয়াবহ ধস, বহু প্রাণহানির শঙ্কা দেশে ফের ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল যশোর