ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
সর্বদলীয় নির্বাচন ছাড়া সেনা মোতায়েন নয়, আসছে ‘অপারেশন ক্লিনহার্ট ২.০’
আরাকান আর্মির অনুপ্রবেশের চেষ্টা, সীমান্তে বিজিবির সাথে গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে
বাংলাদেশে একতরফা নির্বাচনের ঝুঁকি, মার্কিন হস্তক্ষেপ চাইলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ ঘিরে ঢাকায় কঠোর নিরাপত্তা: পুলিশি পোশাকে নামছে ব্যক্তিগত মিলিশিয়া, মোতায়েন প্রায় ৭ হাজার সদস্য
ইউনুসের পদত্যাগ ও ‘ক্যাঙ্গারু কোর্ট’ বন্ধের দাবিতে ঢাকা লকডাউনের ডাক, কঠোর হুঁশিয়ারি পঙ্কজ দেবনাথের
বাংলাদেশ সীমান্তের পাশে ভারতের ৩ সেনা ঘাঁটি স্থাপন
দুই দিনের সফরে আজ পাবনা যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি
‘আমি মুফতি ইব্রাহিমের ছাত্র নই, এটি ডাহা মিথ্যাচার’ – ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে বিতর্কিত ইসলামী বক্তা মুফতি কাজী ইব্রাহিম তাকে নিজের ছাত্র হিসেবে দাবি করেছেন—এমন প্রচারণার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এই দাবিকে ‘আজগুবি ডাহামিথ্যে’ বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং এর পেছনের সত্যতা তুলে ধরেছেন।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে এস এম জাকির হোসাইন লিখেছেন, “মুফতি কাজী ইব্রাহিম দাবি করেছেন যে, আমি উনার ছাত্র, ভিডিওটা উনার নিজের, না AI Generated আমি জানি না! প্রথমত আমি উনার ছাত্র না।”
তিনি তার শিক্ষাগত পটভূমি উল্লেখ করে বলেন, “আমি নবম ও দশম শ্রেণিতে সায়েন্স/বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়েছি এবং তিনি (কাজী
ইব্রাহিম) নবম-দশম এমনকি একাদশ/আলিমেও ক্লাস নেন না। তিনি ক্লাস নেন ফাজিল/অনার্স ও কামিল/মাস্টার্সে। উনার সাথে আমার আজ পর্যন্ত সরাসরি অথবা কোনো মাধ্যমে কখনো কথাও হয় নাই।” জাকির হোসাইন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়ের সূত্র ধরে ছাত্র দাবির যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, “প্রতিষ্ঠানের ছাত্র হিসেবে যদি তিনি আমাকে তার ছাত্র দাবি করেন তাহলে তো আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে পড়েছি কিন্তু আইন বিভাগের আসিফ নজরুলও আমাকে তার ছাত্র দাবি করে বসতে পারেন! এমনকি ঢাবির ছাত্রই না ভিসি নিয়াজ মোর্শেদও আমাকে তার ছাত্র দাবি করে ফেলবেন।” ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা তার পোস্টে বর্তমান সময়ের ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক সংগ্রামের কথাও তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ
করেন, ২৪'র আগস্টের পর থেকে সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় থাকায় তার পরিবার ও ব্যবসা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তিনি বলেন, “কাজের বিল অন্য সবাই পাইলেও আমারটা এখনও পাইনি... নিজের ব্যবসা হয়েছে দখল, ৫ আগস্টেও যাদের কাছে ব্যবসায়িক টাকা পাইতাম তারা এখন আর ফোনই ধরে না। ব্যবসায়িক লোন, হোম লোন পরিশোধ করতে না পারার কারণে ঋণ খেলাপি হয়ে এখন অনেকটাই দেউলিয়ার পথে প্রায়।” এতসব প্রতিকূলতার মাঝেও পিতা মুজিবের আদর্শ বুকে ধারণ করে পথ চলছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “এসবকিছু রক্ষার জন্য কারো সাথে আঁতাত করার চিন্তাও করি নাই।” দলের অভ্যন্তরীণ প্রতিপক্ষের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি লেখেন, “আপনি/আপনারা এমপি/মন্ত্রী হবেন দলের বড় নেতা হবেন ভালো
কথা হোন... সুতরাং আমাকে অন্তত দলের জন্য কাজ করতে দেন। আমার ভুল থাকলে ধরিয়ে দেন, পরামর্শ দেন।” তিনি আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে দলের অভিভাবক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমা দেওয়ার জন্য, যিনি এখন সকল নেতাকর্মীর কথা শোনেন। পোস্টের শেষে তিনি আওয়ামী লীগের আদর্শ ও নীতির প্রতি তার অবিচল থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং তার বিরুদ্ধে চলমান অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ভালোবাসা জানান। তিনি লিখেছেন, “আমি কোনোদিনই আওয়ামী লীগের আদর্শ নীতি নৈতিকতার সাথে আপোষ করি নাই, আজীবন যেন দলের আদর্শ নীতি নৈতিকতার উপর থাকতে পারি দোয়া করবেন। পাশাপাশি আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য রইলো একরাশ ভালোবাসা।”
ইব্রাহিম) নবম-দশম এমনকি একাদশ/আলিমেও ক্লাস নেন না। তিনি ক্লাস নেন ফাজিল/অনার্স ও কামিল/মাস্টার্সে। উনার সাথে আমার আজ পর্যন্ত সরাসরি অথবা কোনো মাধ্যমে কখনো কথাও হয় নাই।” জাকির হোসাইন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়ের সূত্র ধরে ছাত্র দাবির যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, “প্রতিষ্ঠানের ছাত্র হিসেবে যদি তিনি আমাকে তার ছাত্র দাবি করেন তাহলে তো আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে পড়েছি কিন্তু আইন বিভাগের আসিফ নজরুলও আমাকে তার ছাত্র দাবি করে বসতে পারেন! এমনকি ঢাবির ছাত্রই না ভিসি নিয়াজ মোর্শেদও আমাকে তার ছাত্র দাবি করে ফেলবেন।” ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা তার পোস্টে বর্তমান সময়ের ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক সংগ্রামের কথাও তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ
করেন, ২৪'র আগস্টের পর থেকে সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় থাকায় তার পরিবার ও ব্যবসা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তিনি বলেন, “কাজের বিল অন্য সবাই পাইলেও আমারটা এখনও পাইনি... নিজের ব্যবসা হয়েছে দখল, ৫ আগস্টেও যাদের কাছে ব্যবসায়িক টাকা পাইতাম তারা এখন আর ফোনই ধরে না। ব্যবসায়িক লোন, হোম লোন পরিশোধ করতে না পারার কারণে ঋণ খেলাপি হয়ে এখন অনেকটাই দেউলিয়ার পথে প্রায়।” এতসব প্রতিকূলতার মাঝেও পিতা মুজিবের আদর্শ বুকে ধারণ করে পথ চলছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “এসবকিছু রক্ষার জন্য কারো সাথে আঁতাত করার চিন্তাও করি নাই।” দলের অভ্যন্তরীণ প্রতিপক্ষের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি লেখেন, “আপনি/আপনারা এমপি/মন্ত্রী হবেন দলের বড় নেতা হবেন ভালো
কথা হোন... সুতরাং আমাকে অন্তত দলের জন্য কাজ করতে দেন। আমার ভুল থাকলে ধরিয়ে দেন, পরামর্শ দেন।” তিনি আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে দলের অভিভাবক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমা দেওয়ার জন্য, যিনি এখন সকল নেতাকর্মীর কথা শোনেন। পোস্টের শেষে তিনি আওয়ামী লীগের আদর্শ ও নীতির প্রতি তার অবিচল থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং তার বিরুদ্ধে চলমান অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ভালোবাসা জানান। তিনি লিখেছেন, “আমি কোনোদিনই আওয়ামী লীগের আদর্শ নীতি নৈতিকতার সাথে আপোষ করি নাই, আজীবন যেন দলের আদর্শ নীতি নৈতিকতার উপর থাকতে পারি দোয়া করবেন। পাশাপাশি আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য রইলো একরাশ ভালোবাসা।”



