ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
পূর্বাভাস: জানুয়ারির শুরুতেই শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র: সজীব ওয়াজেদ জয়ের দাবি
উত্থাপিত দুর্নীতির অভিযোগ এবং সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রতিক্রিয়া
শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ অনুরোধের প্রতিবাদে বিবৃতি
দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় সতর্ক অবস্থানে সেনাবাহিনী
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিটি
নসরুল হামিদের ৩৬ কোটি টাকার সম্পদ, অস্বাভাবিক লেনদেন ৩১৮১ কোটি
আবারও রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান আর্মি ও সেনাবাহিনীর মধ্যে তুমুল যুদ্ধের কারণে আবারও রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা বাড়ছে। গত কয়েক মাসে যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধির ফলে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা সাড়ে ১৩ লাখে পৌঁছেছে, এবং আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আরও বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার প্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে।
মিয়ানমারের মংডু টাউনশিপ পুরোপুরি আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার পর, রাখাইনের পশ্চিমাঞ্চলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। স্থানীয় জনগণ এবং বিশেষ করে রোহিঙ্গারা নিরাপত্তার খোঁজে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে, যার ফলে সীমান্তের কাছাকাছি এলাকা এক নতুন অভিবাসনের মুখোমুখি হচ্ছে। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী উখিয়া এবং টেকনাফ এলাকায় কয়েক হাজার রোহিঙ্গা ইতোমধ্যেই প্রবেশ করেছে।
আরাকান আর্মির সঙ্গে সেনাবাহিনীর তুমুল লড়াই
বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা
বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, যদি মিয়ানমারের সেনাবাহিনী আরাকান আর্মির কাছে পরাস্ত হয়, তবে প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে এক বড় অংশ বাংলাদেশে প্রবাহিত হবে। চলতি বছরের জুন-জুলাই মাসে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর, হাজার হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে। আগস্টের মধ্যে ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এখন, ডিসেম্বরের ৮ তারিখে মংডু শহর পুরোপুরি আরাকান আর্মির দখলে চলে যাওয়ার পর, এক নতুন উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্যসংকটের শঙ্কা এদিকে, জাতিসংঘের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৪ সালের মার্চ-এপ্রিল মাসে রাখাইনে ভয়াবহ খাদ্যসংকট দেখা দিতে পারে। ইউএনডিপির একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, বীজ ও সার সংকটের কারণে ৮০ শতাংশ খাদ্য উৎপাদন
কমে যেতে পারে, যার ফলে অন্তত ২০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের শিকার হতে পারে। বাংলাদেশের সীমান্তে বিজিবি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাংলাদেশ সরকার শরণার্থী অনুপ্রবেশ প্রতিরোধের জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেছেন, "নতুন রোহিঙ্গাকে শরণার্থী হিসেবে গ্রহণ করা হবে না," এবং সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। বিজিবি-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাহেল আহমেদ নোবেল জানিয়েছেন, “বিজিবি সবসময় সতর্ক রয়েছে এবং যে কোনো অপরাধ দমনে প্রস্তুত রয়েছে।” রোহিঙ্গা প্রবাহের ইতিহাস বাংলাদেশে রোহিঙ্গা প্রবাহের ইতিহাস দীর্ঘ। প্রথমবার ১৯৭৮ সালে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিল। পরবর্তী সময়ে ১৯৯১-৯২ এবং ২০১৬ সালে আরও প্রবাহ দেখা যায়। তবে, ২০১৭ সালের আগস্টে
রোহিঙ্গাদের সবচেয়ে বড় ঢল আসে, যখন দুই মাসে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বর্তমানে, বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ১৩ লাখ ছাড়িয়ে গেছে, যার মধ্যে দেড় থেকে দুই লাখ শিশু রয়েছে। অপরিকল্পিত অভিবাসনের প্রভাব এই বিরাট পরিমাণে রোহিঙ্গা জনগণের আগমন বাংলাদেশের জন্য নানা ধরনের সামাজিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় জীবনযাত্রার ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে, এবং নতুন করে আরও রোহিঙ্গা প্রবাহ বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় ব্যাপক জনসংখ্যার চাপ সৃষ্টি করতে পারে। স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য এটি একটি বড় উদ্বেগের বিষয়। মিয়ানমারের পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে চলে গেলে, বাংলাদেশের জন্য নতুন এক শরণার্থী সঙ্কট তৈরি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের
সহায়তা ও বাংলাদেশের সীমান্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে, যাতে করে আগত রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার রক্ষার পাশাপাশি দেশের নিরাপত্তাও বজায় রাখা সম্ভব হয়।
বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, যদি মিয়ানমারের সেনাবাহিনী আরাকান আর্মির কাছে পরাস্ত হয়, তবে প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে এক বড় অংশ বাংলাদেশে প্রবাহিত হবে। চলতি বছরের জুন-জুলাই মাসে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর, হাজার হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে। আগস্টের মধ্যে ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এখন, ডিসেম্বরের ৮ তারিখে মংডু শহর পুরোপুরি আরাকান আর্মির দখলে চলে যাওয়ার পর, এক নতুন উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্যসংকটের শঙ্কা এদিকে, জাতিসংঘের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৪ সালের মার্চ-এপ্রিল মাসে রাখাইনে ভয়াবহ খাদ্যসংকট দেখা দিতে পারে। ইউএনডিপির একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, বীজ ও সার সংকটের কারণে ৮০ শতাংশ খাদ্য উৎপাদন
কমে যেতে পারে, যার ফলে অন্তত ২০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের শিকার হতে পারে। বাংলাদেশের সীমান্তে বিজিবি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাংলাদেশ সরকার শরণার্থী অনুপ্রবেশ প্রতিরোধের জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেছেন, "নতুন রোহিঙ্গাকে শরণার্থী হিসেবে গ্রহণ করা হবে না," এবং সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। বিজিবি-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাহেল আহমেদ নোবেল জানিয়েছেন, “বিজিবি সবসময় সতর্ক রয়েছে এবং যে কোনো অপরাধ দমনে প্রস্তুত রয়েছে।” রোহিঙ্গা প্রবাহের ইতিহাস বাংলাদেশে রোহিঙ্গা প্রবাহের ইতিহাস দীর্ঘ। প্রথমবার ১৯৭৮ সালে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিল। পরবর্তী সময়ে ১৯৯১-৯২ এবং ২০১৬ সালে আরও প্রবাহ দেখা যায়। তবে, ২০১৭ সালের আগস্টে
রোহিঙ্গাদের সবচেয়ে বড় ঢল আসে, যখন দুই মাসে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বর্তমানে, বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ১৩ লাখ ছাড়িয়ে গেছে, যার মধ্যে দেড় থেকে দুই লাখ শিশু রয়েছে। অপরিকল্পিত অভিবাসনের প্রভাব এই বিরাট পরিমাণে রোহিঙ্গা জনগণের আগমন বাংলাদেশের জন্য নানা ধরনের সামাজিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় জীবনযাত্রার ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে, এবং নতুন করে আরও রোহিঙ্গা প্রবাহ বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় ব্যাপক জনসংখ্যার চাপ সৃষ্টি করতে পারে। স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য এটি একটি বড় উদ্বেগের বিষয়। মিয়ানমারের পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে চলে গেলে, বাংলাদেশের জন্য নতুন এক শরণার্থী সঙ্কট তৈরি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের
সহায়তা ও বাংলাদেশের সীমান্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে, যাতে করে আগত রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার রক্ষার পাশাপাশি দেশের নিরাপত্তাও বজায় রাখা সম্ভব হয়।