
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন নির্ধারণে ২২ সদস্যের কমিশন গঠন

‘গুলশানে সমন্বয়ক পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করছে একটি গ্রুপ’

এমপির বাড়িতে কোটি টাকা চাঁদাবাজিতে গিয়ে গ্রেপ্তার রিয়াদ পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য

‘যার জন্য করলাম চুরি, সেই বলে চোর’ লিখে পদত্যাগ বৈছা নেত্রীর

সারাদেশে বৈছার সব কমিটি বিলুপ্ত: গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত

৩৬ জুলাই আবাসন প্রকল্পে ‘বালিশ কাণ্ডের’ চেয়েও অনেক বড় হরিলুটের গোমর ফাঁস!

ডিসি প্রসিকিউশন তারেকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
আবারও কারা হেফাজতে মৃত্যু: মানিকগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা নান্নুর মৃত্যু, নির্যাতনের অভিযোগ স্বজনদের

বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে এবং কারাগারের কঠোর নিরাপত্তার মাঝেও অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। গত বছরের আগস্ট পরবর্তী সময় থেকে দেশের বিভিন্ন কারাগারে এবং পুলিশি হেফাজতে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের অর্ধ শতাধিক নেতাদের মৃত্যুর ঘটনায় মানবাধিকার সংস্থাগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা কারাগারে বন্দি অবস্থায় মারা গেলেন মানিকগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা সারোয়ার হোসেন নান্নু (৬০)।
আজ ২৭শে জুলাই, রোববার ভোরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর সাথে সাথেই তিনি মারা যান, চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জেলা কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ এনায়েত উল্ল্যাহ বলেন, “হঠাৎ বুকের ব্যথার কারণে ভোর ৪টার কিছু আগে তাকে হাসপাতালে পাঠানো
হয়। এরপর তার মৃত্যু হয়।” মৃত সারোয়ার হোসেন নান্নু মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি শহরের উপকণ্ঠ পঞ্চসার ইউনিয়নের মিরেশ্বরাই গ্রামের প্রয়াত রাজ্জাক মোল্লার ছেলে। এছাড়া, তিনি সাবেক সংসদ সদস্য হাজি মো. ফয়সাল বিপ্লবের ফুপাতো ভগ্নিপতি। উল্লেখ্য, ফয়সাল বিপ্লবও কিছুদিন আগে পর্যন্ত এই কারাগারে ছিলেন এবং বর্তমানে তাকে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। নান্নুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন দলের নেতাকর্মীরা। তার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। তারা জানান, কারাগারে তাকে গোপনে নির্যাতন করা হয়েছে। অতিরিক্ত মারধরের ফলে শরীরে দাগ পড়ে যায় এবং তার শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে যায়। পরিবারের সদস্যদের মতে, তিনি সুস্থ, সচল এবং একজন বয়স্ক
হলেও স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ ছিলেন। কোনো জটিল রোগের ইতিহাসও ছিল না তার। তারা আরও অভিযোগ করেন, “তার মৃত্যু কারাগারে চলমান নির্যাতনেরই ফল। এটি ক্ষমতাসীন ইউনূস সরকারের ‘কিলিং মিশন’-এরই অংশ।” তাদের ভাষায়, “আওয়ামী লীগ নেতাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হচ্ছে দেশের কারাগারগুলোতে।” মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আতাউর রহমান জানান, “ভোর ৪টার কিছু আগে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। সে সময় তিনি হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। হাসপাতালে পৌঁছানোর ৫ থেকে ৭ মিনিটের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। এই চিকিৎসকের দাবি, তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন, কিন্তু ভর্তি রাখার সময়ই তাকে আর জীবিত পাওয়া যায়নি।” গত ৫ই মে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার হন সারোয়ার হোসেন
নান্নু। তার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ৪ঠা আগস্ট মুন্সীগঞ্জে সংঘটিত এক সহিংসতার ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল বলে জানান মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম সাইফুল আলম। রাজনীতির পাশাপাশি সারোয়ার হোসেন স্থানীয় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও সক্রিয় ছিলেন। তিনি মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি সমাজসেবামূলক নানা কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী আব্দুল হাই ছিলেন তার শ্বশুর এবং প্রখ্যাত কৌতুক অভিনেতা টেলি সামাদ তার চাচা শ্বশুর। নান্নুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও বিচার দাবিতে স্বজনরা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা পাওয়া যায়নি।
হয়। এরপর তার মৃত্যু হয়।” মৃত সারোয়ার হোসেন নান্নু মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি শহরের উপকণ্ঠ পঞ্চসার ইউনিয়নের মিরেশ্বরাই গ্রামের প্রয়াত রাজ্জাক মোল্লার ছেলে। এছাড়া, তিনি সাবেক সংসদ সদস্য হাজি মো. ফয়সাল বিপ্লবের ফুপাতো ভগ্নিপতি। উল্লেখ্য, ফয়সাল বিপ্লবও কিছুদিন আগে পর্যন্ত এই কারাগারে ছিলেন এবং বর্তমানে তাকে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। নান্নুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন দলের নেতাকর্মীরা। তার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। তারা জানান, কারাগারে তাকে গোপনে নির্যাতন করা হয়েছে। অতিরিক্ত মারধরের ফলে শরীরে দাগ পড়ে যায় এবং তার শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে যায়। পরিবারের সদস্যদের মতে, তিনি সুস্থ, সচল এবং একজন বয়স্ক
হলেও স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ ছিলেন। কোনো জটিল রোগের ইতিহাসও ছিল না তার। তারা আরও অভিযোগ করেন, “তার মৃত্যু কারাগারে চলমান নির্যাতনেরই ফল। এটি ক্ষমতাসীন ইউনূস সরকারের ‘কিলিং মিশন’-এরই অংশ।” তাদের ভাষায়, “আওয়ামী লীগ নেতাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হচ্ছে দেশের কারাগারগুলোতে।” মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আতাউর রহমান জানান, “ভোর ৪টার কিছু আগে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। সে সময় তিনি হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। হাসপাতালে পৌঁছানোর ৫ থেকে ৭ মিনিটের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। এই চিকিৎসকের দাবি, তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন, কিন্তু ভর্তি রাখার সময়ই তাকে আর জীবিত পাওয়া যায়নি।” গত ৫ই মে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার হন সারোয়ার হোসেন
নান্নু। তার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ৪ঠা আগস্ট মুন্সীগঞ্জে সংঘটিত এক সহিংসতার ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল বলে জানান মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম সাইফুল আলম। রাজনীতির পাশাপাশি সারোয়ার হোসেন স্থানীয় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও সক্রিয় ছিলেন। তিনি মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি সমাজসেবামূলক নানা কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী আব্দুল হাই ছিলেন তার শ্বশুর এবং প্রখ্যাত কৌতুক অভিনেতা টেলি সামাদ তার চাচা শ্বশুর। নান্নুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও বিচার দাবিতে স্বজনরা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা পাওয়া যায়নি।