
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

বিক্ষোভে উত্তাল নেপাল, পার্লামেন্টে ঢুকে পড়েছে জনতা

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিয়ে বিশেষ বার্তা

ইয়েমেনে ফের হামলা চালাল সৌদি আরব

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিয়ে বিশেষ বার্তা

ইয়েমেনে ফের হামলা চালাল সৌদি আরব

কাওসার-জাফর-পায়া স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে ইরান

কনসার্টে বসের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্ত, ডিভোর্স চাইলেন সেই নারী
আপনার আঙুলের ঝলমলে আংটিও ফিলিস্তিনে চলা হত্যাযজ্ঞের অর্থায়ন করছে কি?

বিশ্বখ্যাত হীরার ব্র্যান্ডগুলো- ডি বিয়ারস, টিফানিজ, বুলগারি, হ্যারি উইনস্টন, কার্তিয়ার ও সিগনেট জুয়েলার্স ইসরাইল থেকে প্রক্রিয়াজাত হীরা কিনে বিক্রি করছে। হীরার চাহিদা বেড়েছে, বিশেষ করে বিয়ের আংটি ও লাক্সারি জুয়েলারি হিসেবে।
মিডলইস্ট মনিটরে প্রকাশিত নিবন্ধে আয়ারল্যান্ডের মানবাধিকারকর্মী সিয়ান ক্লিনটন উল্লেখ করেছেন, এই বাণিজ্যে হীরা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত হওয়ার ঝুঁকি জানার পরও বাণিজ্য অব্যাহত রাখছে।
গত দুই দশকে ইসরাইলের অর্থনীতির একটি বড় ভিত্তি হলো হীরা রপ্তানি। ২০২৪ সালে এই শিল্পের মাধ্যমে ৩.৮ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, হীরা শিল্পের আয়ের একটি বড় অংশ সরাসরি ইসরাইলের সামরিক বাজেট ও ফিলিস্তিনে চলমান হত্যাযজ্ঞের জন্য ব্যবহার হচ্ছে।
সিয়ান ক্লিনটন বলেন, ১১ বছর
আগে আমি ইসরাইলের ২০১৪ সালের হামলার পর সোনা শিল্পের নীরবতা নিয়ে লিখেছিলাম, যা ২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছিল। সেই সময় থেকে ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের হত্যাকাণ্ড, অঙ্গহানি, কারাবাস, নির্যাতন, ভয় সৃষ্টি এবং নৃশংসভাবে নির্মূল করতে অব্যাহত রেখেছে, যা ধীরে ধীরে গণহত্যা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এই ধীরে ধীরে বাড়তে থাকা গণহত্যা ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ব্যাপকভাবে ত্বরান্বিত হয়, যখন ফ্যাসিবাদী সরকার অবরুদ্ধ গাজা কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প থেকে ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধের উত্থানকে ইসরাইলের দীর্ঘকালীন কাঙ্ক্ষিত ফিলিস্তিনিদের নিকট থেকে নৃশংসভাবে নির্মূল করার ন্যায্যতার বাহানা হিসেবে ব্যবহার করে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা বেত্ সেলেম, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ফিলিস্তিনে ইসরাইলের কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তবে
হীরা শিল্প এখনও পরিস্থিতি অস্বীকার করে এবং বাণিজ্য অব্যাহত রাখছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি নৃশংসতার প্রতি সহমত প্রকাশের সমান। গাজায় হামলার পর ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ ও বয়কটের ডাক উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে হীরা শিল্প বিতর্কিত হয়ে উঠেছে। কিম্বারলি প্রসেস (কেপি) ও রেসপনসিবল জুয়েলারি কাউন্সিল (আরজেসি) ‘কনফ্লিক্ট ফ্রি’ বা ঝুঁকিমুক্ত হীরার সনদ দেয়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব সনদপত্র শুধুমাত্র যুদ্ধরত বিদ্রোহীদের অর্থায়ন সংক্রান্ত হীরার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ইসরায়েলি হীরার সঙ্গে এটি প্রযোজ্য নয় এবং এটি প্রায়শই কৌশলী চালাকি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। ফিলিস্তিনে ইসরাইলের সামরিক হামলার সময়ে কেপির সাম্প্রতিক সভায় গণহত্যার বিষয়টি আলোচনা হয়নি। অথচ রাশিয়া বা আফ্রিকার হীরার সহিংসতার ক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নজির রয়েছে। এটি
শিল্পের দ্বৈত মানদণ্ড ও নৈতিক শূন্যতা প্রকাশ করে। বিশ্বজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও সামাজিক আন্দোলনের তরুণ প্রজন্ম এই বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছে। তারা চাইছে স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা ও মানবাধিকারের প্রতি সম্মান। হীরা শিল্পের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে তাদের সততা ও ফিলিস্তিনে চলমান হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তির ওপর। সিয়ান ক্লিনটন বলেন, ইসরাইলের হীরা বাণিজ্য অব্যাহত রাখা শুধু নৈতিক বিপদ নয়, এটি আর্থিক ও সামাজিক ঝুঁকিও বাড়াচ্ছে। আন্তর্জাতিক চাপ এবং জনগণের অসন্তোষের মধ্যে হীরা শিল্পকে এখন সত্যিকারের দায়বদ্ধতা ও পরিবর্তনের পথে আসতে হবে।
আগে আমি ইসরাইলের ২০১৪ সালের হামলার পর সোনা শিল্পের নীরবতা নিয়ে লিখেছিলাম, যা ২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছিল। সেই সময় থেকে ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের হত্যাকাণ্ড, অঙ্গহানি, কারাবাস, নির্যাতন, ভয় সৃষ্টি এবং নৃশংসভাবে নির্মূল করতে অব্যাহত রেখেছে, যা ধীরে ধীরে গণহত্যা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এই ধীরে ধীরে বাড়তে থাকা গণহত্যা ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ব্যাপকভাবে ত্বরান্বিত হয়, যখন ফ্যাসিবাদী সরকার অবরুদ্ধ গাজা কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প থেকে ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধের উত্থানকে ইসরাইলের দীর্ঘকালীন কাঙ্ক্ষিত ফিলিস্তিনিদের নিকট থেকে নৃশংসভাবে নির্মূল করার ন্যায্যতার বাহানা হিসেবে ব্যবহার করে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা বেত্ সেলেম, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ফিলিস্তিনে ইসরাইলের কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তবে
হীরা শিল্প এখনও পরিস্থিতি অস্বীকার করে এবং বাণিজ্য অব্যাহত রাখছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি নৃশংসতার প্রতি সহমত প্রকাশের সমান। গাজায় হামলার পর ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ ও বয়কটের ডাক উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে হীরা শিল্প বিতর্কিত হয়ে উঠেছে। কিম্বারলি প্রসেস (কেপি) ও রেসপনসিবল জুয়েলারি কাউন্সিল (আরজেসি) ‘কনফ্লিক্ট ফ্রি’ বা ঝুঁকিমুক্ত হীরার সনদ দেয়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব সনদপত্র শুধুমাত্র যুদ্ধরত বিদ্রোহীদের অর্থায়ন সংক্রান্ত হীরার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ইসরায়েলি হীরার সঙ্গে এটি প্রযোজ্য নয় এবং এটি প্রায়শই কৌশলী চালাকি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। ফিলিস্তিনে ইসরাইলের সামরিক হামলার সময়ে কেপির সাম্প্রতিক সভায় গণহত্যার বিষয়টি আলোচনা হয়নি। অথচ রাশিয়া বা আফ্রিকার হীরার সহিংসতার ক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নজির রয়েছে। এটি
শিল্পের দ্বৈত মানদণ্ড ও নৈতিক শূন্যতা প্রকাশ করে। বিশ্বজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও সামাজিক আন্দোলনের তরুণ প্রজন্ম এই বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছে। তারা চাইছে স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা ও মানবাধিকারের প্রতি সম্মান। হীরা শিল্পের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে তাদের সততা ও ফিলিস্তিনে চলমান হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তির ওপর। সিয়ান ক্লিনটন বলেন, ইসরাইলের হীরা বাণিজ্য অব্যাহত রাখা শুধু নৈতিক বিপদ নয়, এটি আর্থিক ও সামাজিক ঝুঁকিও বাড়াচ্ছে। আন্তর্জাতিক চাপ এবং জনগণের অসন্তোষের মধ্যে হীরা শিল্পকে এখন সত্যিকারের দায়বদ্ধতা ও পরিবর্তনের পথে আসতে হবে।