আদানি পাওয়ার বকেয়া বিল পরিশোধের দাবি জানালো সরকারের কাছে – ইউ এস বাংলা নিউজ




আদানি পাওয়ার বকেয়া বিল পরিশোধের দাবি জানালো সরকারের কাছে

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৪ মে, ২০২৫ | ৫:৪৪ 67 ভিউ
ইউনূস সরকার ও তার সমর্থকদের ক্রমাগত ভারতবিরোধীতার ফলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত। এতে অর্থনৈতিকভাবে কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়েছে বাংলাদেশ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি ও স্থিতিশীলতা। এবার ভারতের আদানি পাওয়ার বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রির বিল বাবদ বিপুল অঙ্কের বকেয়া পাওনা পরিশোধের চাপ দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস বি খাইলিয়া বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ফারজানা মমতাজের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এই বিষয়ে তাগিদ দেন। খাইলিয়ার ভাষ্যমতে, ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত ১,৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরবরাহ করা বিদ্যুতের বিল গত ৭ মাস ধরে অনাদায়ী রয়েছে। তিনি দাবি করেন, বকেয়া অর্থের পরিমাণ প্রায় ৯০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন

বোর্ড (পিডিবি) বলছে, প্রকৃত বকেয়া এর চেয়ে কম, ৭০০ মিলিয়নের নিচে। সাক্ষাতে আদানি পাওয়ারের বাণিজ্য বিভাগের প্রধান এম আর কৃষ্ণা রাওও উপস্থিত ছিলেন। তারা বলেন, দীর্ঘমেয়াদি ব্যাংকঋণের চাপে প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক সংকটে রয়েছে। বিল পরিশোধে বিলম্ব হওয়ায় এই সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে। এস বি খাইলিয়া জানুয়ারিতে জমা দেওয়া একটি প্রস্তাবের উল্লেখ করে বলেন, জুন মাসের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ করা হলে প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডলার বিলম্ব সুদ মওকুফ করা হতে পারে। কিন্তু এখনো পিডিবির পক্ষ থেকে ওই প্রস্তাবে কোনো সাড়া মেলেনি বলে তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ফারজানা মমতাজ জানান, এটি ছিল শুধুই একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ, কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমরা

ধারাবাহিকভাবে বিল পরিশোধ করছি, তবে সম্পূর্ণ অর্থ একবারে পরিশোধে কিছু নীতিগত সীমাবদ্ধতা রয়েছে।’ বিদ্যুৎ বিভাগের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বকেয়া নিয়ে পুনরায় আলোচনা প্রয়োজন। এ বিষয়ে শিগগিরই আরেকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে আদানি প্রতিনিধিরা পিডিবির চেয়ারম্যান রেজাউল করিমের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এছাড়া জানা গেছে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্বাক্ষরিত আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিটি পুনরায় পর্যালোচনা করছে। দেশীয় স্বার্থ সংরক্ষিত হচ্ছে কি না, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ফোনের ছবি নিরাপদ রাখবেন যেভাবে ‘সতর্ক’ সরকারের উচ্চ সুদে দেড় বিলিয়ন ডলারের ঋণ দাবি না মানলে বৃহৎ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে কারখানার আগুন কবিরহাটে বিএনপি জামায়াত সংঘর্ষে আহত ১০ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে হামলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টর্চ লাইট জ্বালিয়ে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষ পাকিস্তানের হামলায় ৩ ক্রিকেটার নিহত, সিরিজ খেলবে না আফগানিস্তান মক্কা নগরী ঘিরে নতুন পরিকল্পনা সৌদির দোহায় বসছে পাকিস্তান-তালেবান বৈঠক, মধ্যস্থতায় কাতার ক্যামেরার অ্যাঙ্গেলই চিনতাম না: জয়া আহসান গাজায় মালয়েশিয়ার মানবিক সহায়তা রাকসুতে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের একমাত্র বিজয়ী কে এই নার্গিস মিম্বারে বসেই ছিঁড়ে ফেললেন সেই খতিব ফের ইতিহাস গড়ল স্বর্ণের দাম, দেশে ভরি কত শনিবার বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায় টাকা দেওয়ার কথা বলে আমবাগানে নিয়ে শিশুকে ধর্ষণ ৫০ টাকার লোভ দেখিয়ে ১০ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণচেষ্টা পাকিস্তানের সেনা অভিযানে আফগান সীমান্তে ১৮ ‘জঙ্গি’ নিহত ব্রিকসের ব্যাংকে সদস্যপদ পেতে চীনের সমর্থন চায় পাকিস্তান