
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

আন্তর্জাতিক অপশক্তির সাথে সম্পৃক্ত শিশু বক্তার দম্ভোক্তি: আমরা এখন আর আঞ্চলিক খেলোয়াড় না

বন্ধ হচ্ছে সিইপিজেডের কারখানাগুলো: সংকট ধামাচাপায় সংবাদ প্রকাশে বাধা দিলেও দাবিয়ে রাখা যায়নি শ্রমিকদের

বিগ চেঞ্জ পদক পেয়ে ড. ইউনূস: মানুষের সব সমস্যার সমাধান ব্যবসায়িক উপায়ে করা সম্ভব

বাণিজ্য সচিব নিয়োগে এনসিপি নেতা নাহিদকে ৩৫ কোটি টাকা ঘুষ প্রদানের অভিযোগ

কক্সবাজার সৈকতের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ ও লাইসেন্স বাতিলের উদ্যোগ

নিউইয়র্কে হামলায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গাফিলতি আছে : নাহিদ ইসলাম

অনলাইন জুয়ায় সর্বস্বান্ত মানুষ, বেড়েছে পারিবারিক অশান্তি
অপহরণসহ সকল অপরাধ বেড়েছে কয়েক গুণ: ইউনূস-আমলে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি

ইউনূস সরকারের শাসনামলে দেশে অপহরণসহ নানা ধরনের অপরাধ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সবচেয়ে বড় উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে অপহরণ। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৮ মাসে অপহরণের শিকার হয়েছেন ৭১৫ জন মানুষ। গত বছর এই সময়ে সংখ্যা ছিল ৩৪০। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে অপহরণের হার দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে।
বিশেষ করে চলতি বছরের জুলাই মাসে সর্বোচ্চ ১০৯ জন অপহরণের শিকার হন— যা গত ছয় বছরের মধ্যে কোনো একক মাসে সর্বোচ্চ। বছরের প্রথম আট মাসে গড়ে প্রতিদিন প্রায় তিনজন করে মানুষ অপহরণ হয়েছেন।
এই পরিসংখ্যান থেকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ইউনূস সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মারাত্মকভাবে অবনতি ঘটেছে।
বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তরের মাসিক
অপরাধ পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে। তবে শুধু সরকারি তথ্যই নয়, দেশের শীর্ষ মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পর্যবেক্ষণেও একই উদ্বেগ প্রতিফলিত হয়েছে। তাদের মতে, প্রকৃত চিত্র আরও ভয়াবহ, কারণ অনেক অপহরণ মামলাই প্রভাব, ভয়ভীতি কিংবা প্রশাসনের অবহেলার কারণে নথিভুক্তই হয় না। আইনী সহায়তা পাননি ভুক্তভোগীরা। ২০২৪ সালে জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত অপহরণের শিকার হয়েছিলেন ৩৪০ জন। অথচ ২০২৫ সালের একই সময়ে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১৫-এ। অর্থাৎ মাসে গড়ে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ৮৯.৩৮টি, যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) জানিয়েছে, ২০২৫ সালে গড়ে প্রতি মাসে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ৮৬.১৭টি— যা আগের বছরের তুলনায় ৬১.০৭ শতাংশ বেশি। সিজিএসের ‘বাংলাদেশ ক্রাইম
রিপোর্টস ২০২০-২৫’ প্রতিবেদনে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়, এই অপরাধ প্রবণতা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যর্থতারই প্রতিফলন। একই সাথে আরও বলা হয়েছে, সরকারের রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করায় প্রকৃত অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জায়গায় ফাঁক থেকে যাচ্ছে, যার সুযোগ নিচ্ছে অপরাধীরা। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) চেয়ারম্যান জেড আই খান পান্না বলেন, বর্তমানে দেশে আইনের শাসনের ঘাটতি প্রকট। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া অনেক সময় মামলা করাও সম্ভব হয় না। এই পরিস্থিতি যে অপরাধ বৃদ্ধিতে অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, যখন অপরাধ বাড়ে, তখন কর্তৃপক্ষ সেটার পেছনে নানা ব্যাখ্যা
দাঁড় করায়, কিন্তু অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বাস্তব পদক্ষেপ নেই। এই অপেশাদারিত্বের ফলে অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তার মতে, গড়ে প্রতিদিন তিনজন অপহরণের শিকার হওয়ার মানে হলো— দেশে আইনের শাসনের চরম সংকট চলছে। সাম্প্রতিক তিনটি চাঞ্চল্যকর অপহরণ: পটিয়া, চট্টগ্রাম (১৭ সেপ্টেম্বর): মুরগি ব্যবসায়ী নুরুল আবছারকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা। তার পকেট থেকে ৪০ হাজার টাকা নেওয়ার পর আরও ১৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পুলিশ তাকে দুই ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করলেও ঘটনাটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দুর্বলতার পরিচয় দেয়। কুমিল্লা: অপহরণের ৩৬ দিন পর রিকশাচালক মেহেদী হাসানের খুলি উদ্ধার করে সিআইডি। অপহরণকারীরা জানান, অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্য তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তিনজন গ্রেপ্তার
হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ (১৫ সেপ্টেম্বর): পাওনা টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে অপহরণের শিকার হন সানি আহম্মেদ। অপহরণকারীরা ৮ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পুলিশ তাকে রাতেই উদ্ধার করে এবং পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। এভাবে ইউনূস সরকারের শাসনামলে দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কার্যত ভেঙে পড়েছে বলে ক্ষুব্দ নাগরিকরা। প্রতিনিয়ত অপরাধ বেড়েই চলেছে, অথচ তা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। বরং প্রশাসনের রাজনৈতিক ব্যবহারের ফলে অপরাধীরা পাচ্ছে প্রশ্রয়, আর সাধারণ মানুষ হারাচ্ছে নিরাপত্তা।
অপরাধ পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে। তবে শুধু সরকারি তথ্যই নয়, দেশের শীর্ষ মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পর্যবেক্ষণেও একই উদ্বেগ প্রতিফলিত হয়েছে। তাদের মতে, প্রকৃত চিত্র আরও ভয়াবহ, কারণ অনেক অপহরণ মামলাই প্রভাব, ভয়ভীতি কিংবা প্রশাসনের অবহেলার কারণে নথিভুক্তই হয় না। আইনী সহায়তা পাননি ভুক্তভোগীরা। ২০২৪ সালে জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত অপহরণের শিকার হয়েছিলেন ৩৪০ জন। অথচ ২০২৫ সালের একই সময়ে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১৫-এ। অর্থাৎ মাসে গড়ে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ৮৯.৩৮টি, যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) জানিয়েছে, ২০২৫ সালে গড়ে প্রতি মাসে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ৮৬.১৭টি— যা আগের বছরের তুলনায় ৬১.০৭ শতাংশ বেশি। সিজিএসের ‘বাংলাদেশ ক্রাইম
রিপোর্টস ২০২০-২৫’ প্রতিবেদনে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়, এই অপরাধ প্রবণতা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যর্থতারই প্রতিফলন। একই সাথে আরও বলা হয়েছে, সরকারের রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করায় প্রকৃত অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জায়গায় ফাঁক থেকে যাচ্ছে, যার সুযোগ নিচ্ছে অপরাধীরা। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) চেয়ারম্যান জেড আই খান পান্না বলেন, বর্তমানে দেশে আইনের শাসনের ঘাটতি প্রকট। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া অনেক সময় মামলা করাও সম্ভব হয় না। এই পরিস্থিতি যে অপরাধ বৃদ্ধিতে অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, যখন অপরাধ বাড়ে, তখন কর্তৃপক্ষ সেটার পেছনে নানা ব্যাখ্যা
দাঁড় করায়, কিন্তু অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বাস্তব পদক্ষেপ নেই। এই অপেশাদারিত্বের ফলে অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তার মতে, গড়ে প্রতিদিন তিনজন অপহরণের শিকার হওয়ার মানে হলো— দেশে আইনের শাসনের চরম সংকট চলছে। সাম্প্রতিক তিনটি চাঞ্চল্যকর অপহরণ: পটিয়া, চট্টগ্রাম (১৭ সেপ্টেম্বর): মুরগি ব্যবসায়ী নুরুল আবছারকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা। তার পকেট থেকে ৪০ হাজার টাকা নেওয়ার পর আরও ১৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পুলিশ তাকে দুই ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করলেও ঘটনাটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দুর্বলতার পরিচয় দেয়। কুমিল্লা: অপহরণের ৩৬ দিন পর রিকশাচালক মেহেদী হাসানের খুলি উদ্ধার করে সিআইডি। অপহরণকারীরা জানান, অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্য তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তিনজন গ্রেপ্তার
হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ (১৫ সেপ্টেম্বর): পাওনা টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে অপহরণের শিকার হন সানি আহম্মেদ। অপহরণকারীরা ৮ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পুলিশ তাকে রাতেই উদ্ধার করে এবং পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। এভাবে ইউনূস সরকারের শাসনামলে দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কার্যত ভেঙে পড়েছে বলে ক্ষুব্দ নাগরিকরা। প্রতিনিয়ত অপরাধ বেড়েই চলেছে, অথচ তা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। বরং প্রশাসনের রাজনৈতিক ব্যবহারের ফলে অপরাধীরা পাচ্ছে প্রশ্রয়, আর সাধারণ মানুষ হারাচ্ছে নিরাপত্তা।