ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
মেট্রোরেলের রক্ষণাবেক্ষণে নেই বরাদ্দ, দুর্ঘটনার দায় ঠিকাদারদের ঘাড়ে চাপালেন এমডি
নিরাপত্তাহীনতার কারণে একে একে বাতিল হচ্ছে ক্রয়াদেশ, আরও অসংখ্য কারখানা বন্ধের শঙ্কা
প্রধান উপদেষ্টার তত্ত্বাবধানে পদোন্নতির নামে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কোরামপ্রীতি: বঞ্চিত ৮৭৯ চিকিৎসক
বিএনপির নয়নকে ‘বুড়িগঙ্গার পানি’ দিয়ে ধোয়ার মন্তব্যে ঝড়, এনসিপির পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা
জামায়াত কি আদৌ মওদুদীর ‘বিকৃত আকিদা’ ঝেড়ে ফেলতে পেরেছে? নাকি আগের পথেই আছে?
মহিলা পরিষদ: অক্টোবরে ২৩১ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতন-সহিংসতার শিকার
জেলহত্যা দিবস: শেখ হাসিনার বাণীতে কলঙ্কমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রতিজ্ঞা
অপসো স্যালাইনের প্রায় ৬শ শ্রমিক ছাঁটাই: পোশাক খাতের পর খড়গ এবার ওষুধ শিল্পের ওপর
বরিশালের বগুড়া রোডে অবস্থিত ৪০ বছরের পুরনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান অপসো স্যালাইন লিমিটেড (অপসো ফার্মাসিউটিক্যালস) ফ্যাক্টরিতে হঠাৎ ৫৮০ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি বরিশালের অন্যতম বড় নিয়োগদাতা, যেখানে মোট প্রায় ১১০০ শ্রমিক কর্মরত ছিলেন। শ্রমিকদের অভিযোগ, সম্প্রতি ইউনিয়ন গঠনের প্রচেষ্টা শুরু হওয়ায় এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা বাংলাদেশের ভঙ্গুর অর্থনীতিতে শিল্প কারখানা বন্ধ ও ছাঁটাইয়ের ধারাবাহিকতার এক উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
গত ২৭শে অক্টোবর থেকে কারখানা বন্ধ রেখে তিন দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়। শ্রমিকরা মনে করেছিলেন, এটি সম্ভবত মেশিন মেরামত বা উৎপাদন বিরতির জন্য। কিন্তু ছুটি শেষে ২৯শে অক্টোবর থেকে ডাকযোগে একে একে ছাঁটাইপত্র পৌঁছাতে শুরু করে।
ছাঁটাই হওয়া একজন
শ্রমিক বলেন, “আমরা ইউনিয়ন গঠনের জন্য আলোচনা শুরু করেছিলাম। তারপর থেকে ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে ভয় দেখানো শুরু হয়। হঠাৎ এত বড় সংখ্যায় ছাঁটাই করে দেওয়া হলো, যাতে পরিবার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়বে।” অপসো স্যালাইন লিমিটেড ১৯৮৬ সালে স্থাপিত, যখন দেশে IV ফ্লুইডের তীব্র সংকট ছিল। কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল খালেক খানের নেতৃত্বে এটি দেশের অন্যতম পুরনো ও বড় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি হিসেবে গড়ে উঠেছে। বর্তমানে এটি ইলেকট্রোলাইট, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিআলসারেন্টসসহ বিভিন্ন থেরাপিউটিক ক্লাসের ফিনিশড প্রোডাক্ট উৎপাদন করে। কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুসারে, এটি ২৮১টি ব্র্যান্ড এবং ৬৭০টি SKU-এর সঙ্গে দেশব্যাপী এবং আন্তর্জাতিক বাজারে সক্রিয়। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং রপ্তানি বাধার কারণে উৎপাদন খরচ বেড়েছে,
যা ছাঁটাইয়ের অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ছাঁটাইয়ের পেছনে বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর নিয়ন্ত্রণের প্রভাবও রয়েছে। ২০২৫ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ট্যারিফ আলোচনায় অংশ নেয়, যেখানে একটি “নন-ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট” (NDA) স্বাক্ষরিত হয়। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম এমন চুক্তি, যা আলোচনার বিষয়বস্তু গোপন রাখার জন্য করা হয়েছে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “এই NDA-এর ফলে US FDA-এর অনুমোদনহীন কোনো ওষুধ রপ্তানিতে কঠোর শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের ফার্মা শিল্পের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে, কারণ আমাদের অনেক কোম্পানি US মার্কেটে প্রবেশের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।” যদিও অপসো স্যালাইনের ক্ষেত্রে সরাসরি US
FDA অনুমোদনের তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে বাংলাদেশের ফার্মা শিল্পে এমন চাপ বাড়ছে। বেক্সিমকো ফার্মা এবং এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালসের মতো কোম্পানি US FDA অনুমোদন পেয়েছে, কিন্তু সামগ্রিকভাবে শিল্পটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বিশ্বব্যাপী ২০২৪-২৫ সালে ফার্মা সেক্টরে লেঅফ বেড়েছে ২৮১ শতাংশ, যার মধ্যে বায়ার, পফাইজার এবং টাকেডার মতো জায়ান্ট কোম্পানি হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে। বাংলাদেশে অর্থনৈতিক মন্দা, রপ্তানি হ্রাস এবং উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে শত শত কারখানা বন্ধ হচ্ছে, লাখো শ্রমিক বেকার হচ্ছে। শ্রমিক নেতারা এই ছাঁটাইকে অবৈধ বলে দাবি করে বলছেন, শ্রম আইন অনুসারে এমন ছাঁটাইয়ের আগে সরকারি অনুমোদন নেওয়া উচিত। তারা ইউনূস সরকারের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। কোম্পানির পক্ষ থেকে এখনো কোনো অফিসিয়াল মন্তব্য
পাওয়া যায়নি। তবে, এই ঘটনা ফার্মা শিল্পের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
শ্রমিক বলেন, “আমরা ইউনিয়ন গঠনের জন্য আলোচনা শুরু করেছিলাম। তারপর থেকে ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে ভয় দেখানো শুরু হয়। হঠাৎ এত বড় সংখ্যায় ছাঁটাই করে দেওয়া হলো, যাতে পরিবার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়বে।” অপসো স্যালাইন লিমিটেড ১৯৮৬ সালে স্থাপিত, যখন দেশে IV ফ্লুইডের তীব্র সংকট ছিল। কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল খালেক খানের নেতৃত্বে এটি দেশের অন্যতম পুরনো ও বড় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি হিসেবে গড়ে উঠেছে। বর্তমানে এটি ইলেকট্রোলাইট, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিআলসারেন্টসসহ বিভিন্ন থেরাপিউটিক ক্লাসের ফিনিশড প্রোডাক্ট উৎপাদন করে। কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুসারে, এটি ২৮১টি ব্র্যান্ড এবং ৬৭০টি SKU-এর সঙ্গে দেশব্যাপী এবং আন্তর্জাতিক বাজারে সক্রিয়। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং রপ্তানি বাধার কারণে উৎপাদন খরচ বেড়েছে,
যা ছাঁটাইয়ের অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ছাঁটাইয়ের পেছনে বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর নিয়ন্ত্রণের প্রভাবও রয়েছে। ২০২৫ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ট্যারিফ আলোচনায় অংশ নেয়, যেখানে একটি “নন-ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট” (NDA) স্বাক্ষরিত হয়। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম এমন চুক্তি, যা আলোচনার বিষয়বস্তু গোপন রাখার জন্য করা হয়েছে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “এই NDA-এর ফলে US FDA-এর অনুমোদনহীন কোনো ওষুধ রপ্তানিতে কঠোর শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের ফার্মা শিল্পের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে, কারণ আমাদের অনেক কোম্পানি US মার্কেটে প্রবেশের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।” যদিও অপসো স্যালাইনের ক্ষেত্রে সরাসরি US
FDA অনুমোদনের তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে বাংলাদেশের ফার্মা শিল্পে এমন চাপ বাড়ছে। বেক্সিমকো ফার্মা এবং এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালসের মতো কোম্পানি US FDA অনুমোদন পেয়েছে, কিন্তু সামগ্রিকভাবে শিল্পটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বিশ্বব্যাপী ২০২৪-২৫ সালে ফার্মা সেক্টরে লেঅফ বেড়েছে ২৮১ শতাংশ, যার মধ্যে বায়ার, পফাইজার এবং টাকেডার মতো জায়ান্ট কোম্পানি হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে। বাংলাদেশে অর্থনৈতিক মন্দা, রপ্তানি হ্রাস এবং উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে শত শত কারখানা বন্ধ হচ্ছে, লাখো শ্রমিক বেকার হচ্ছে। শ্রমিক নেতারা এই ছাঁটাইকে অবৈধ বলে দাবি করে বলছেন, শ্রম আইন অনুসারে এমন ছাঁটাইয়ের আগে সরকারি অনুমোদন নেওয়া উচিত। তারা ইউনূস সরকারের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। কোম্পানির পক্ষ থেকে এখনো কোনো অফিসিয়াল মন্তব্য
পাওয়া যায়নি। তবে, এই ঘটনা ফার্মা শিল্পের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।



